টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং ২০১৯ প্রকাশিত হয়েছে। মোট পাঁচটি ক্ষেত্র বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং স্কোর করা হয়।

শিখন-শেখানোর পরিবেশের ওপর ৩০% নম্বর, গবেষণার জন্যে ৩০% নম্বর, প্রকাশিত গবেষণার সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে আরও ৩০% নম্বর, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি (বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি ইত্যাদি) মিলে ৭.৫% নম্বর এবং শিল্প আয়ের ওপরে বাকি ২.৫% নম্বর দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং-এর আওতায় এসেছে বিশ্বের মোট ১,২৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এ-বছর তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং দ্বিতীয় ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি। ইয়েল ইউনিভার্সিটি শীর্ষ ১০-এ ঢুকল এবারই প্রথম (গত বছর ছিল ১২তম স্থানে)।

ঈর্ষণীয়ভাবে আমেরিকার মোট ১৭২টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এই তালিকায়। সেরা একশোর মধ্যে ৪১টিই আছে তাদের দখলে। ওদিকে কানাডার আছে ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষায় বিশ্বের অন্যতম প্রতিনিধিত্বকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের দখলে আছে ৯৮টি, ফ্রান্সের ৩৪টি, ইতালির ৪৩টি, আর জার্মানির ৪৭টি। অস্ট্রেলিয়ার অবস্থাও বেশ ভালো। তাদের দখলে আছে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়।

আমাদের এশিয়ার দিকে মন দেওয়া যাক। চিনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এখন এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, যার অবস্থান ২২তম স্থানে। এবারই প্রথম সিঙ্গাপুরকে পেছনে ফেলে চিনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার নেতৃত্বের আসলে চলে এলো।

বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং-এ চিনের মোট ৭২টি বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকাভুক্ত হলো। চিন এবং ইউরোপ মহাদেশকে টেক্কা দিয়ে জাপানের ১০৩ বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এর মধ্যে সেরা একশোতে আছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়।

হংকং এবারও আছে তাদের সম্মানজনক অবস্থানে। তাদের মোট ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এই তালিকায় এবং তিনটি আছে একশোর মধ্যে। দক্ষিণ কোরিয়াও আছে খুব ভালো অবস্থানে। তাদের মোট ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে, যার মধ্যে সেরা একশোর মধ্যে আছে দুটো বিশ্ববিদ্যালয়।

দক্ষিণ এশিয়ার কথা একটু আলাদা করে বলি। এই বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং-এ শ্রী লংকা ও নেপালের একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় আছে এই তালিকায়। অবাক হতে পারেন, কিন্তু এটাই সত্যি যে, পাকিস্তানের নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় জায়গা পেয়েছে।

আর ভারত? তাদের মোট ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এর মধ্যে। এত বড় দেশ, এত এত মানুষ; সে হিসেবে সংখ্যাটি বোধহয় ঠিকই আছে। কিন্তু সেরা দুশোর মধ্যেও নেই তাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২৫০-এরও পরে।


ভালো কথা, আমাদের বাংলাদেশের কথা তো বললাম না! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবশ্যই এই তালিকায় থাকার কথা? সেরা একশো না হলেও, সেরা পাঁচশোর মধ্যে তো থাকার কথাই। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিবেচনাতেই আসেনি।


ভালো কথা, আমাদের বাংলাদেশের কথা তো বললাম না! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবশ্যই এই তালিকায় থাকার কথা? সেরা একশো না হলেও, সেরা পাঁচশোর মধ্যে তো থাকার কথাই। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিবেচনাতেই আসেনি।

কেন আসেনি বিবেচনায়? আমরা কি এতই খারাপ? অন্যগুলো না হলেও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়? প্রাচ্যের অক্সফোর্ড!

যেসব বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক শ্রেণি পড়ায় না, তাদের বাদ রাখা হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং-এ। আর যারা ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১০০০টি গবেষণা করতে পারেনি, তাদেরও বাদ দেওয়া হয়েছে।

বুঝতেই পারছেন, আমরা কেন বাদ পড়েছি? কোনো গবেষণা ছাড়াই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথায় পাওয়া যায়, আমার জানা নেই। এখনও বাছা কিছু প্রশ্নোত্তর মুখস্ত করলেই ভালোভাবে পাশ জুটে যায়। একটু ভালো নোট জোগাড় করতে পারলে প্রথম শ্রেণি আর কে ঠেকায়?

কিছু বিষয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ আছে বটে, কিন্তু সেটি সবার জন্যে নয়। আবার কেউ চাইলে গবেষণা না করে, একটি-দুটো কোর্স বেশি নিয়ে অথবা প্রজেক্ট করে পাশ করে যেতে পারে। এই গবেষণা করাও হয় অনেক ক্ষেত্রে দায়সারাভাবে, নিয়মরক্ষার প্রয়োজনে।

অনেকে দেশে এ কাজটি করার অভিজ্ঞতা নিয়েছেন এবং বিদেশে পড়তে গিয়ে আরেকবার গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছেন, তারা খুব ভালো করে জানেন, দেশে তারা গবেষণার নামে কী করেছেন।

কয়েক বছর আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন র‌্যাঙ্কিংয়ে ৫০০-এর মধ্যেও আসতে পারে না?

উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নাকি মোটেও খারাপ নয়। সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি বলেই এই ফল বিপর্যয়। আমাদের সাবেক এক উপাচার্যকে বলতে শুনেছিলাম, ওদের মূল্যায়ন কাঠামোতেই নাকি গণ্ডগোল আছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়।

নিজেরা দায় স্বীকার করে একটু উন্নতির চেষ্টা করব কি, তাদের ভুল ধরতে তৎপর হয়ে উঠি আমরা। উঠপাখির মতো বালিতে মুখ লুকিয়ে চাইলে ঝড় নাও দেখতে পারি, কিন্তু তাতে তো ঝড় থামবে না। আমাদের উচ্চশিক্ষার নীতিনির্ধারকেরা যদি এসব বলেন, তাহলে এবার বলুন, আমাদের কেন ২০০০-এর একটি তালিকার মধ্যেও ঢোকা উচিৎ নয়?

আগে জানতাম মানবিক আর সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মুখস্থের বেশ চল আছে। পরে শুনি, বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরাও ছেড়ে কথা বলে না।

কদিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগ থেকে পাশ একজনের সাথে কথা হচ্ছিল। সেখানেও নাকি একটা পর্যায়ে সবাই মুখস্থ করতে শুরু করে। কারণ বিমূর্ত বিষয়গুলো শিক্ষকগণ নাকি তেমন একটা বোঝাতেও পারেন না। ফলে ভালো ফল করার জন্যে সবচেয়ে বড় বিদ্যা মুখস্থবিদ্যায় আশ্রয় নেয় শিক্ষার্থীরা।

বলতে খারাপ লাগছে; কিন্তু বাস্তবতা তো এটাই যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্মানিত শিক্ষকগণ নানা রঙে নানা দলে বিভক্ত। এটি না করলে প্রশাসনিক পদ পাওয়া যায় না। আর সরকারি দল করতে পারলে তো কথাই নেই। একেবারে বাঘের মতো চলা যায় ক্যাম্পাসে। যারা এসব করতে পারবেন না, তাদের বিড়াল হয়ে মুখ লুকিয়ে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া আর উপায় নেই।

যারা নিপাট ভদ্রলোক হিসেবে জ্ঞানবুদ্ধির চর্চা আর গবেষণা নিয়ে থাকতে চান, তাদের ছা-পোষা হয়েই থাকতে হয়। তাদের কেউ খুব একটা চিনবে না, মিডিয়া তাদের খুঁজবে না। জাতীয় কোনো ইস্যুতে তাদের যথেষ্ট জ্ঞানগরিমা থাকলেও ডাক পাবেন না। পাবেন অন্যরা যাদের খুঁটির জোর আছে, মানে কোনো রাজনৈতিক দলের রঙ মাখা আছে গায়ে।


আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কাজে যথেষ্ট বরাদ্দ নেই। মানলাম, ঘটনা সত্যি। কিন্তু যেটুকু আছে, সেটুকুও কি ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারছি? এই যে আমাদের শিক্ষকগণ নানা রকমের দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেন, একবারও তো দেখলাম না গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো নিয়ে আন্দোলন করতে।


প্রায়ই বলতে শুনি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কাজে যথেষ্ট বরাদ্দ নেই। মানলাম, ঘটনা সত্যি। কিন্তু যেটুকু আছে, সেটুকুও কি ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারছি? এই যে আমাদের শিক্ষকগণ নানা রকমের দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেন, একবারও তো দেখলাম না গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো নিয়ে আন্দোলন করতে। হয়তো হয়েছে, আমি খেয়াল করিনি।

আবার একটি পত্রিকার পুরোনো একটি প্রতিবেদন দেখলাম— আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ধরণের গবেষণা হয়, তার ৭০% নাকি কোনো মানেরই নয়। আমি গবেষণার মানুষ নই, তাই এই কঠিন বিষয়টি আমার বোঝার কথা নয়।

বিষয়টি একটু ভালো করে বোঝার জন্যে আমাদের কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং নামকরা গবেষকের শরণাপন্ন হলাম। তিনি অবলীলায় ৭০% থেকে বাড়িয়ে আরও অনেক উপরে নিয়ে গেলেন। আমি তো শুনে অবাক!

বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় জায়গার বড় বড় বিষয় আমার ছোট মাথায় ধরার কথা নয়। তবু অনধিকার চর্চার মতো হলেও বলতে ইচ্ছে করে, আমাদের শিক্ষকগণ কেন ভালো পড়াবেন? ভালো জানলে আর ভালো পড়ালে কি আগে আগে প্রমোশন পাওয়া যায়, নাকি বাড়তি কোনো সুবিধে আছে?

আমাদের শিক্ষকগণ গবেষণা কেন করবেন? গবেষণা থাকলে কি বাড়তি কোনো সুবিধা আছে? নিয়ম রক্ষার কিছু প্রকাশনা তো এখানে-সেখানে প্রকাশ করে সংখ্যা পূরণ করাই যায়, যেটি একটু দরকার হয় প্রমোশন পাওয়ার ক্ষেত্রে। আবাসিক শিক্ষক হওয়ার অভিজ্ঞতা যদি পয়েন্ট হিসেবে যোগ হতে পারে প্রমোশনের ক্ষেত্রে, ভালো মানের প্রকাশনা কেন তা করবে না?

যদি সব থেকে মেধাবীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পেতে চাই, তাহলে সবার আগে দরকার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন আনা। আমরা কি নিয়ম করতে পারি না, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে তার পিএইচডি থাকা বাধ্যতামূলক? কীভাবে পড়াতে হয়, তার ওপরে কোনো প্রশিক্ষণ নেই, গবেষণা সম্বন্ধে বিন্দু বিসর্গ ধারণা নেই, অথচ তাকে স্নাতকোত্তর শেষ করার পরপরই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে শিক্ষক হিসেবে।

পিএইচডি বাধ্যতামূলক যদি করা নাও যায়, এমনটি কি করা যায় না যে, যারা স্নাতকোত্তর পাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চান, তাদের একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করে একটি পুল গঠন করা হবে? সেই পুল থেকে সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদাসাপেক্ষে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে?

তাহলে রাজনৈতিক বিবেচনা, স্বজনপ্রীতি বা অন্য কোনো অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ হয়তো বন্ধ করা যেত। কখনও কখনও বিতর্কিতভাবে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম আর সত্যিই যে প্রথম হওয়ার যোগ্য, তাকে ধাক্কা মেরে পেছনে পাঠিয়ে দিয়ে শিক্ষক না হতে দেওয়াও হয়তো বন্ধ করা যেত।

আমি অনেককে চিনি যাদের ভীষণ ইচ্ছে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার এবং ত‌ারা এ কাজের যথেষ্ট যোগ্যও ছিলেন। কিন্তু নানা কারণে তারা দেশে সুযোগ না পেয়ে বিদেশে গিয়ে এখানকার তুলনায় কয়েকগুণ ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন। আমরা সেই যোগ্য মানুষদের ধরে রাখতে পারি না আমাদের পদ্ধতিগত দুর্বলতার কারণে।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন নিয়েও বোধহয় ভাবা উচিৎ। তারাও নিশ্চয়ই চাইতে পারেন, ছেলেমেয়েদের নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচতে। তাদেরও গাড়িতে চড়ার ইচ্ছে হতে পারে জীবনের একটি পর্যায়ে। নিজের একটি বাড়ি হবে, এটি আশা করা কি তাদের অন্যায়?

অবশ্যই নয়, আর তাই এসব আশা পূরণ করতে তারা ছুটছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, নয়তো করছেন কন্সালটেন্সি। এই নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে, কিন্তু একজন শিক্ষক যখন দেখেন একজন সরকারি কর্মকর্তা তার নিজের অথবা সরকারি গাড়িতে তার সামনে দিয়ে ধুলো উড়িয়ে চলে যাচ্ছেন, তখন তার তো খারাপ লাগতেই পারে।

আরেকটি কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ কেন কেবল প্রভাষক পদের ভেতর দিয়েই পেতে হবে? জানি না, উপযুক্ত যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে সরাসরি অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ আছে কি না আমাদের দেশে।

বিসিএস দিয়ে অনেকে কলেজের শিক্ষক হচ্ছেন। তারাও কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছাকাছি যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ। তারাও মোটামুটি একই ধরনের বিষয় পড়েছেন এবং পড়ান। তাদের পিএইচডি ডিগ্রি ও ভালোমানের প্রকাশনা থাকতে পারে। তারা কেন কেরিয়ারের কোনো এক পর্যায়ে যোগ্যতার উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন না?


বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং নিয়ে কথা বলতে বলতে কোথায় চলে এসেছি। তো, এই র‌্যাঙ্কিংয়ে গবেষণা আর তার সাইটেশনের ওপরেই ৩০ + ৩০ মোট ৬০ নম্বর। আর শিখন-শেখানোর পরিবেশের ওপরে আরও ৩০। এই নব্বইয়ের মধ্যে দেশের বাজারদরে ভালোমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কত নম্বর পেতে পারে?


বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং নিয়ে কথা বলতে বলতে কোথায় চলে এসেছি। তো, এই র‌্যাঙ্কিংয়ে গবেষণা আর তার সাইটেশনের ওপরেই ৩০ + ৩০ মোট ৬০ নম্বর। আর শিখন-শেখানোর পরিবেশের ওপরে আরও ৩০। এই নব্বইয়ের মধ্যে দেশের বাজারদরে ভালোমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কত নম্বর পেতে পারে?

আমি আনাড়িভাবে অনুমান করতে পারি, কিন্তু বলব না। আর বাকি দশের মধ্যে কতই আর পেতে পারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো?

যা হোক, অনেক কথা বলে ফেললাম। অনেক অনেক যোগ্য মানুষ আছেন আমার দেশে। তারা সবাই মিলে বসলে অনেক কিছুর সমাধান বোধহয় বেড়িয়ে আসত। উচ্চশিক্ষায় মানের বিপর্যয় সামলে ওঠার সামর্থ্য বোধহয় কোনো দেশই রাখে না। তাই বেঁকে যাওয়া শিক্ষার মেরুদণ্ড সোজা করতে এখনই কাজে লেগে পড়া দরকার। নইলে যা হওয়ার, তাই হবে।

Sending
User Review
0 (0 votes)

লেখক সম্পর্কে

সুদেব কুমার বিশ্বাস

সুদেব কুমার বিশ্বাস

সুদেব কুমার বিশ্বাস পেশায় একজন শিক্ষাজীবী এবং কাজ ক‌রেন এক‌টি আন্তর্জা‌তিক উন্নয়ন সংস্থায়।

মন্তব্য লিখুন