উচ্চশিক্ষা

স্বায়ত্তশাসন নামক মৃতদেহের নখ এবং ইউজিসি কর্তৃক প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালা

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আন্দোলন, প্রতিবাদ ও যুক্তিতর্ক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রণীত অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করার চেষ্টায় লিপ্ত। বিষয়টি আমার কাছে মনে হয়েছে, একটি মৃতদেহের নখ সংরক্ষণ করা না করার মতো। অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করার মতো সর্বশেষ যে যুক্তিটি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে সেটি হলো, শিক্ষাব্যবস্থার তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন, যার অর্থ স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষমতা।

আমার জানা মতে, এই স্বায়ত্তশাসন ধারণাটি অতি প্রাচীন যা প্রায় পৃথিবী সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে আছে। গোত্র, গোষ্ঠী, রাজ্য, দেশ, মহাদেশ পরিচালনার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা (শাসন, বিচার, অর্থনীতি, হিসাব ও অন্যান্য) শুধু শিক্ষা/জ্ঞানব্যবস্থা ব্যতীত শাসক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতো।

পৃথিবীর ইতিহাসে সুশাসক (মানবগুণাবলীসম্পন্ন) যেমন ছিলো, তেমনি অনেক স্বৈরশাসক (আত্মকেন্দ্রিক বা দানব যেমন, হিরণ্যকশিপু) শাসকও ছিল। আবার মানবতার জন্য যেমন শিক্ষাব্যবস্থা (বিভিন্ন ঋষি, যেমন, মহর্ষি কশ্যপ প্রাচীন আয়ুর্বেদ চর্চাকারী এক ঋষি কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষাব্যবস্থা) যেমন ছিলো, তেমনি দানবতার জন্যও শিক্ষাব্যবস্থা (দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য পরিচালিত শিক্ষাব্যবস্থা) ছিলো। কিন্তু এমন কোনো সাধারণ জ্ঞানী বা নাগরিক তো দূরের কথা, কোনো শাসকের বিবরণ পাওয়া যায় না যে, শিক্ষা/জ্ঞানব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন। বরং তারা অহংকার বা গর্ব করতেন এই ভেবে যে, তাঁর শাসন অঞ্চলে গুরুকুল আছে এবং কিছু মুনি-ঋষি আছেন। হ্যাঁ, বিষ্ণু পূরাণে এমন একটি ঘটনার উদাহারণ আছে, দানবরাজ হায়গ্রীব একবার জ্ঞান অর্থাৎ চার বেদ চুরি করেছিলো। সেজন্য ভগবান বিষ্ণু মৎস অবতার ধারণ করে হায়গ্রীবকে বধ করে বেদসমূহ (জ্ঞান) মানব কল্যাণের জন্য উদ্ধার করেছিলেন।


এমন কোনো সাধারণ জ্ঞানী বা নাগরিক তো দূরের কথা, কোনো শাসকের বিবরণ পাওয়া যায় না যে, শিক্ষা/জ্ঞানব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন। বরং তারা অহংকার বা গর্ব করতেন এই ভেবে যে, তাঁর শাসন অঞ্চলে গুরুকুল আছে এবং কিছু মুনি-ঋষি আছেন।


সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে আদিযুগ (প্রায় ১২০০ শতাব্দী) পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হত গুরুকূলে। গুরুকুল সম্পূর্ণভাবে পরিচালিত হতো সেই গুরুকুলের প্রধান ঋষি বা আচার্য কর্তৃক আরোপিত নিয়ম-কানুন, আচার-ব্যবস্থা দ্বারা। তাঁকে সহায়তা করার জন্য ছিলেন এক বা একাধিক ঋষি, মুনি, গুরু এবং ধর্মোপাসক। আমরা এদেরকেই বিভিন্নরূপে আচার্য, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক বা শিক্ষক হিসেবে বর্তমান যুগে কল্পনা করি।

প্রাচীন যুগে বীর, যোদ্ধা ও রাজনীতিবিদগণ বিভিন্ন গুরুকুলে (প্রয়োজনীয়) শিক্ষাগ্রহন করে রাজ্য বা দেশ শাসন করতেন। সেই পরমপরা এখনো বিদ্যমান। রাজার সন্তান না প্রজার সন্তান এতে কোনো ভেদ ছিলো না। কিন্তু যে শিক্ষা শিক্ষার্থী গ্রহণ করতে চায় সেটি গ্রহণের সামর্থ্য তার আছে কি না, সেটিও (বর্তমান যুগে ভর্তি পরীক্ষা) নির্বাচন করতেন গুরুকুল আচার্য বা তার আরোপিত নিয়ম অনুযায়ী তার অন্য সহযোগীগণ (সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নয়)। এটিই ছিলো স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষাব্যবস্থা।

এই স্বায়ত্তশাসনে প্রথম রাজনৈতিক বা রাজার হস্তক্ষেপ শুরু হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে (প্রায় ১২০০ শতাব্দী)। কিছু কিছু পরমপরা আমরা এখনো ধরে রেখেছি বা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। সেটি যতোটা না শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য, তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বা শাসনব্যবস্থা পরিচালনায় আমলাতান্ত্রিক আমলা তৈরির প্রয়োজনে। সেই মানের গবেষণা কোথায় বা গবেষণা বরাদ্দ কোথায় যা দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ঋষি, মুনি, গুরু এবং ধর্মোপাসক তৈরি হবে? গুটিকয়েক যারা তৈরি হচ্ছে তারাও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় হারিয়ে যাচ্ছে, বা তাদের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক ব্যবস্থা/মর্যাদার মায়াজালে হারিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি।


কিছু কিছু পরমপরা আমরা এখনো ধরে রেখেছি বা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। সেটি যতোটা না শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য, তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক বা শাসনব্যবস্থা পরিচালনায় আমলাতান্ত্রিক আমলা তৈরির প্রয়োজনে।


গুরুকুল ব্যবস্থা ভেঙ্গে আমরা কী বানিয়েছি? গৃহশিক্ষা (পরিচালনা করেন প্রাইভেট টিউটর জীবিকার তাগিদে); কোচিং সেন্টার (পরিচালনা করেন একজন ব্যবসায়ী অর্থের লোভে); প্রাথমিক বিদ্যালয়/মাদ্রাসা (পরিচালনা করেন একটি পরিচালনা কমিটি যার মধ্যে শিক্ষিত, জ্ঞানী যেমন আছেন তেমনি শিক্ষা/জ্ঞানহীন কিছু সদস্য এবং রাজনৈতিক কর্মীও বাধ্যতামূলকভাবে আছেন। আমার জীবনসঙ্গিনী একজন স্কুলশিক্ষকা, তাই কিছু ধারণা তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি। যেমন, কোনো কোনো বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি শিক্ষকদের কৃষি বা অন্যান্য শ্রমিকের মতো করে দেখেন। সর্বোপরি আছেন আমলাতান্ত্রিক খড়গ এটিইও থেকে টিইও হয়ে ডিপিইও ইত্যাদি), এবং বিভিন্ন ফরম্যাটে (যেগুলোর পরিচালনা ব্যবস্থা আরও ভয়ঙ্কর, যেগুলোতে শিক্ষার মানের চেয়ে সামাজিক মর্যাদার মান (কুড়ির বাগান না সেনার বাগান) বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। কথায় সেই স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষাব্যবস্থা? অভিন্ন নীতিমালা করে সেটি আরও ধ্বংস করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা আরও জটিল। এখানে তথাকথিত বেকার শিক্ষিত যুবসম্প্রদায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত স্কুলঘর থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সেনা নিয়ন্ত্রিত স্কুল/কলেজ এবং সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও আছে। প্রতিষ্ঠান-ভিন্নতায় পরিচালনা কমিটিরও ভিন্নতা আছে। সম্মানিত প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ আছেন বটে, কিন্তু পরিচালনার দায়ভার তো নিয়েছেন রাজনৈতিক কর্মী, ব্যবসায়ী, সেনা কর্মকর্তা বা সরকারের আমলাগণ। স্বায়ত্তশাসনের কি কোনো সুযোগ আছে?

এবার আসি উচ্চশিক্ষাব্যবস্থায়। যে শিশুর জন্মই হয়নি স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে, বড় হয়ে তার জন্য স্বায়ত্তশাসন কতোটা প্রভাব ফেলব? তারপরেও কিছু না লিখে পারছি না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে নেই, তারপরেও বিশ্বে বিভিন্ন দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাদের প্রয়োজনীয়তা, উদ্দেশ্য, মান এবং সংখ্যা কি বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে মেলে? এ বিবেচনা আপনারাই করবেন।

দেশে প্রচলিত মতবাদ আছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ এবং তৎপরবর্তী অধ্যাদেশ) এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়রূপে উচ্চশিক্ষার গুরুকুলসমূহ পরিচালিত হচ্ছে। কৌশলে শাসক এবং আমলাগণের স্বায়ত্তশাসন নামক মহাভীতিটাকে বিলুপ্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত। অভিন্ন নীতিমালা তারই প্রয়াস। ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যতোটা স্বায়ত্তশাসন (যদিও পরিপূর্ণ নয়, তবুও সিনেট নামক একটি জ্ঞানী-গুণী, ঋষি, মুনি, গুরু এবং জ্ঞানোপাসক কমিটি দ্বারা পরিচালিত, ইদানিং সেটিও দূষিত হয়েছে) চর্চা করতে পারে, ১৯৭৩-পরবর্তী অধ্যাদেশ দ্বারা সৃষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেটি থেকেও বঞ্চিত। কারণ সিনেট নামক জ্ঞানী-গুণী, ঋষি, মুনি, গুরু এবং জ্ঞানোপাসক কমিটিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এগুলো পরিচালিত হয় শুধু সিন্ডিকেট দ্বারা যেখানে ঋষি, মুনি, গুরুসহ বেশকিছু আমলা সদস্যও আছেন অর্থাৎ সুপরিকল্পিতভাবে গুরুকুল পরিচালনায় আমলার প্রবেশ ।

তৃতীয় স্তরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ যেখানে সিনেট ও সিন্ডিকেট কোনোটিই নেই। রাজনৈতিক সভ্যগণ ভাবলেন, মহান সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় নামক গুরুকুলের অনুমোদন দিই আমরা, আর সেই গুরুকুল পরিচালনায় আমাদের অনুপস্থিতি কীভাবে সম্ভব?

এই ভাবনাটির বাস্তবায়ন ১৯৭৩-পরবর্তী অধ্যাদেশ দ্বারা সৃষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই হতো, একটু চিন্তা করে দেখুন উত্তর খুঁজে পাবেন। যদি চিন্তা না করতে চান তাহলে ছোট করে বলি, এই সময়ে শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক সভ্যগণের উপস্থিতি ছিলো না, ছিলেন শুধু আমলাগণ। তাই পরিচালনা কমিটিতে শুধু আমলাদের প্রবেশ হয়েছে, রাজনৈতিক সভ্যগণ বাকি ছিলেন। তাই তৃতীয় স্তরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ সিন্ডিকেট নামটি পরিবর্তন করে রিজেন্ট বোর্ড নামকরণের মাধ্যমে ঋষি, মুনি, সংসদ সদস্য, আমলা, ব্যবসায়ীসহ সার্বজনীন বা পাবলিক এক পরিচালনা কমিটি গঠিত হল। ফলস্বরূপ, উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় স্বায়ত্তশাসন নামক ধারণাটির বিলুপ্ত হলো।

বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা যে ঋষি, মুনি, গুরু এবং জ্ঞানোপাসকগণ আছি, সময় ও পরিবেশ বুঝে কতোটা সচেতন ছিলাম বা আছি? বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হয়ে আমি একজন প্রাইভেট টিউটরের কতটা মূল্যায়ন করি? একজন প্রাইভেট টিউটর হিসেবে আমি শিক্ষা বা জ্ঞানের মর্যাদাটা সমুন্নত রাখার কতোটা চেষ্টা করি? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে সকল শিক্ষককুলকে কি আমি সমভাবে সম্মান করি বা তাদের স্বায়ত্তশাসনের জন্য আমি কতোটা কান্নাকাটি করি বা করছি? সিনেট নামক পরিচালনা কমিটি যখন বাদ দেওয়া হলো, আমরা কেউ কি টু শব্দ করেছি? এমনকি বিগত অতি স্বল্প সময়ে বা বর্তমানেও যে সিন্ডিকেট শব্দটি বাদ দিয়ে রিজেন্ট বোর্ড করা হলো বা হচ্ছে, সেটিতে কতোটা সজাগ ছিলাম বা আছি? তাই গুরুকূল যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নির্বাসিত, শিক্ষক অর্থাৎ জ্ঞানের উৎস বা জ্ঞানসৃষ্টিকারী যেখানে জ্ঞানপাপীদের কৌশলের কাছে পরাজিত, শিক্ষক যখন শাসক, ব্যবসায়ী বা আমলাদের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক মর্যাদার মায়াজালে আবদ্ধ, সেখানে স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে আনার বৃথা চেষ্টা কতোটা সফল হবে?


গুরুকূল যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নির্বাসিত, শিক্ষক অর্থাৎ জ্ঞানের উৎস বা জ্ঞানসৃষ্টিকারী যেখানে জ্ঞানপাপীদের কৌশলের কাছে পরাজিত, শিক্ষক যখন শাসক, ব্যবসায়ী বা আমলাদের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক মর্যাদার মায়াজালে আবদ্ধ, সেখানে স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে আনার বৃথা চেষ্টা কতোটা সফল হবে?


এবার বলুন অভিন্ন নীতিমালা আরোপ কি আমাদের দুর্বলতা নয়? সব যখন বিসর্জন দিয়েছি শুধু শুধু মৃতদেহের নখ সংরক্ষণের প্রয়োজন আছে কি?

সবশেষে, সকলস্তরের ঋষিগণের কাছে এটিই অনুরোধ করতে চাই, সকল ভেদাভেদ ভুলে স্বমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হই। শিক্ষাব্যবস্থায় স্বায়ত্তশাসন নামক মৃতদেহের নখটাকে পুনঃউদ্ধারে দানবরূপী স্বায়ত্তশাসন হরণকারী হায়গ্রীবদের পরাজিত করতে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা করি।

উপমা হিসাবে নখ এ কারণে নিয়েছি যে, এর স্থায়ীত্ব অনেক দিন। তাই আমাদের অনেক অনেক পরের উত্তরসূরীগণ যেন আমাদের এই বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টাটি স্মরণ করতে পারে।

User Review
0 (0 votes)
পরেশ চন্দ্র বর্মণ

গৌতম রায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

Recent Posts

মানুষের দুর্নীতিবাজ হওয়ার পেছনে শিক্ষকের দায় কতটা?

দুর্নীতিতে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার পুরো বিশ্বে দখল করেছে শীর্ষস্থান! বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্পে বড় ধরনের…

3 মাস ago

মুখস্থবিদ্যা কতোটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

নতুন শিক্ষাক্রমের প্রবর্তকেরা এবং তার সমর্থকরা এর পক্ষে যুক্তি হিসেবে সবার আগে মুখস্থবিদ্যার ওপর নির্ভরশীল…

4 মাস ago

নতুন শিক্ষাক্রম : জাপানের সাথে তুলনা কতোটুকু প্রাসঙ্গিক?

বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থার নতুন শিক্ষাক্রমের আবশ্যিক বিষয় জীবন ও জীবিকার ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির…

4 মাস ago

কেন ক্লাস করতে চায় না শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীরা কেন ক্লাস করতে চায় না এই প্রশ্নটি নতুন নয়। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের…

6 মাস ago

শিক্ষকের মান ও গুণগত শিক্ষা

বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২৩-এর প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, "কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক: শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ বৈশ্বিক…

6 মাস ago

বিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাসিক ব্যবস্থাপনা : প্রয়োজন যথাযথ উদ্যোগ

মেয়েদের মাসিক ঋতুস্রাব তাদের জীবনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যেটি বাংলাদেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে দশ বছর থেকে…

7 মাস ago