কেমন বিশ্ববিদ্যালয় আমরা চাই এই প্রশ্নটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি সিনেট ও সিন্ডিকেটের সাথেও সম্পর্কিত। ‘৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট তিনজনের একটি ভিসি প্যানেল নির্বাচন করে। যেহেতু এই সিনেট ভিসি নির্বাচন করে, তাই সিনেট সদস্য নির্বাচন এখন রীতিমত হৈহৈ রৈরৈ ব্যাপার। এই সদস্য কারা হবেন সেটি এখন পুরোপুরি রাজনৈতিক ব্যাপার।

সরকার কর্তৃক ১৫ জন নির্বাচিত হন যাদের ৫ জন সংসদ সদস্য, ৫ জন আমলা, আর ৫ জন শিক্ষাবিদ। এছাড়া ২৫ সদস্য নির্বাচিত হন রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের ভোটে।

রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের ভোটার বানানোও এখন রীতিমত হৈহৈ রৈরৈ ব্যাপার! আর ৫ জন সদস্য হন ডাকসু থেকে, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে। তাঁরা সম্ভাব্য উপাচার্যদের তিনজনের একটি প্যানেল তৈরি করেন।

এখন যারা সরকারে থাকেন, দেখা যায় সিনেট সদস্যদের প্রায় সবাই তাদের দলীয় লোক। দেখা যায়, তিনজনের প্যানেলটি আসলে পুরোপুরি একটি fuss! যাঁর নাম প্রথমে থাকে, তিনিই হন সরকারের পছন্দের আর আচার্য তাঁকেই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেন।

পৃথিবীর অন্য কোথাও এরকম উপাচার্য নির্বাচন পদ্ধতি আছে বলে আমার জানা নেই। আর আছে বলে আমি বিশ্বাসও করতে পারি না। ইদানিং তো সিনেটে এই নির্বাচনও হচ্ছে না। মেয়াদের পর মেয়াদ অনির্বাচিত উপাচার্য দিয়েই পার করে দেওয়া হচ্ছে।

অর্থাৎ আমরা নিজের সুবিধামত নিয়ম বানাই, আর ইচ্ছেমত সেই নিয়ম ভাঙি। আমরা এতটাই স্বাধীন! সেটি ভালো কিংবা মন্দ যাই হোক সেটিও মানা হচ্ছে না। মন্দ হয়ে থাকলে পরিবর্তন করুন। পৃথিবীর কোনোকিছুই অপরিবর্তনশীল নয়।

’৭৩-এর অধ্যাদেশ কেন পরিবর্তন হবে না? পরিবর্তন আর বিবর্তনই হলো উন্নত হওয়ার মূল মন্ত্র। বদ্ধ জলাশয় যেমন গন্ধ ছড়ায়, ঠিক তেমনি যেই জিনিস অপরিবর্তনশীল থাকে, তা নানা জঞ্জাল সৃষ্টি করবেই।

উপাচার্য নির্বাচিত হোন আর নাই হোন, এই পদটি এখন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পদে রূপান্তরিত হয়েছে। উপাচার্যের কাজ যেন সরকারের গুণকীর্তন করা, সরকারের স্বার্থ রক্ষা করা। শিক্ষা নিয়ে, শিক্ষার উন্নতি নিয়ে, শিক্ষকদের মান নিয়ে তাঁর যেন কোনো ভাবনা নেই।

উন্নত দেশে শিক্ষকরা শিক্ষকতার শুরুর দিকে শিক্ষা ও গবেষণায় নিজেকে খুবই নিবেদিত রাখেন। ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। ক্যারিয়ারের এ-পর্যায়ে সাধারণত কেউ কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে চান না।

অন্যদিকে, সিন্ডিকেট কমিটিতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য বাদ দিলে বাকি মোট ১৫ জনের মধ্যে ৯ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের। এই ৯ জনের মধ্যে ২ জন কলেজ শিক্ষক। বাকি ৭ জনের মধ্যে ৩ জনকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন, ১ জন আমলাকে সরকার এবং একজন প্রথিতযশা ব্যক্তিকে সিনেট কমিটি নির্ধারণ করবে। কেবল ৬ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

ওই ৯ জন কেমন হবেন, কেমন তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকবে সে-বিষয়ে বিশদভাবে কিছু বলা নেই। ফলে আমার ধারণা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে কাজ করে, শিক্ষাক্রম কীভাবে কাজ করে, সে-সম্পর্কে তাঁদের তেমন কোনো স্বচ্ছ ধারণা না থাকারই কথা।

যতটুকু শুনেছি ওই ৯ জনের তেমন জোরালো কোনো ভূমিকা থাকে না। সাধারণত তাঁরা উপাচার্য ও সরকারের মতামতকেই নিজের মত বলে মনে করেন। অথচ এরকম একটি বডি, যাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংসদ বলা যায়, পণ্ডিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পরিপূর্ণ থাকার কথা।

কিন্তু এখানে খুব কম পণ্ডিত ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায়। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে পণ্ডিত ব্যক্তিদের জয়ের সম্ভবনা যেমন ইউনিয়ন পরিষদে নেই, তেমনি সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নেই।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একশ্রেণীর শিক্ষক গড়ে উঠেছেন, যাদের প্রধানতম কাজ যেন নির্বাচন আর পদ-পদবীর পেছনে দৌড়ানো। তাঁরা সারা বছরজুড়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালান। ঈদ, পূজা ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠান পার্বণের পূর্বে শুভেচ্ছাবাণী সম্বলিত কার্ড ও মেসেজ পাঠিয়ে তাঁদের প্রচারণা বজায় রাখেন।

উন্নত দেশে শিক্ষকরা শিক্ষকতার শুরুর দিকে শিক্ষা ও গবেষণায় নিজেকে খুবই নিবেদিত রাখেন। ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। ক্যারিয়ারের এ-পর্যায়ে সাধারণত কেউ কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে চান না।

কিন্তু এখানে আমরা কী দেখছি? মাস্টার্স পাশ করে সবেমাত্র প্রভাষক হয়েছেন কিংবা মাত্র সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন, এ-সময়েই যদি নির্বাচনে অংশ নেন তাঁর কি আর শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ সম্ভব? নির্বাচনী ব্যবস্থাটা বড়ই আসক্তিসৃষ্টিকারী।

ঠিক যে-সময় পিএইচডি করতে যাওয়ার কথা, সে-সময়েই রাজনীতি আর নির্বাচনী ডামাডোলে ক্যারিয়ার ডুম হওয়ার সামিল। এরকম আত্মহননমূলক কাজ আমরা কীভাবে করি?

অন্যদিকে কোনোরকমে একটি পিএইচডি করে নামের আগে একটি ডক্টরেট লাগাতে পারলেই মনে করে মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছে গেছি। পিএইচডি করার মাধ্যমে কেবল গবেষণা করতে পারার প্রাথমিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়। ঠিক এর পরের সময়টাতেই প্রতিদান দেওয়ার কথা। এ-সময়ই ছাত্রছাত্রীদের মাঝে অনেক কিছু বিলিয়ে দেওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়।

একজন শিক্ষককে পিএইচডির পেছনে সময় এবং অর্থসহ প্রতিষ্ঠানেরও অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। এসব লগ্নি অপচয়ে পর্যবসিত হয় যদি পিএইচডি করে এসেই পূর্ণ সময় রাজনীতিতে নেমে পদ-পদবীর horse-trading শুরু করে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার একটি প্রধান ও অন্যতম পাওয়া হলো চিন্তা এবং মতপ্রকাশ করতে পারার স্বাধীনতা। ভালো শিক্ষক হওয়ার প্রধান বৈশিষ্ট হলো প্রতিবাদী মানুষ হওয়া। প্রতিবাদী মানুষ হতে পারার প্রধান শর্ত হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা।

অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল না হলে প্রকৃত স্বাধীন হওয়া কখনোই সম্ভব না। আমাদের ‘৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে লিখিতভাবে স্বাধীনতা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা ছাড়া। যার জন্য শিক্ষকরা আসলে স্বাধীন নন।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষকই উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে গিয়ে বছরের পর বছর থেকেছেন। অনেকদিন থাকার কারণে একটি জীবনব্যবস্থার সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন।

মানুষ একবার উচ্চমানের কোনোকিছুর সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে সেখান থেকে পুরোপুরি ফিরে আসা কঠিন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভালো শিক্ষার্থী হিসেবে ছোটবেলা থেকে সমাদৃত হয়ে আসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার একটি প্রধান ও অন্যতম পাওয়া হলো চিন্তা এবং মতপ্রকাশ করতে পারার স্বাধীনতা। ভালো শিক্ষক হওয়ার প্রধান বৈশিষ্ট হলো প্রতিবাদী মানুষ হওয়া। প্রতিবাদী মানুষ হতে পারার প্রধান শর্ত হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা।

আমরা এমন একটি সমাজে বেড়ে উঠি, যেখানে মন্ত্রের মতো শোনানো হয় “লেখাপড়া করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে”! পৃথিবীর আর কোথাও এমন মন্ত্র শুনি না। এসবেরও একটি সামাজিক চাপ আছে। সুতরাং মোটামুটি একটি ভালো বেতন শিক্ষকদের দেওয়া উচিত।

কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের বেতন মোটেও যথেষ্ট নয়। আর এই সুবিধাটিই নেয় ক্ষমতাসীন দল এবং তার অনুসারীরা। তারা এমন একটি ব্যবস্থা করেছেন যাতে শিক্ষকরা কেবল বেতন দিয়ে চলতে না পারে।

তারপর রাজনীতির মাধ্যমে শিক্ষক সমিতি করে ভোটারদের মন জয় করতে করতে শুরু হলো প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে টাকা কামানোর ব্যবস্থা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে টাকা কামানোর ব্যবস্থা, পরীক্ষায় পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করে টাকা কামানোর ব্যবস্থা, হলের হাউস টিউটর হয়ে টাকা এবং বাসা কামানোর ব্যবস্থা।

ইদানিং আবার বিভিন্ন কমিটির সদস্য হয়ে ইনভেলাপ মানি দিয়ে টাকা কামানোর ব্যবস্থা হয়েছে। অর্থাৎ, সরকার ও প্রশাসন চায় শিক্ষকরা নানারকম ছন্দাইনন্দাই করে এরকম অসম্মানজনকভাবে টাকা অর্জনে যেন বাধ্য হয়! এভাবে শিক্ষকদের অহমবোধকে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।

বেতনের টাকা পাওয়া আর ছন্দাইনন্দাই করে টাকা পাওয়ার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। শুধুই কি তাই? তার ওপর আছে খণ্ডকালীন চাকুরি। কোনো শিক্ষক সাধে-আনন্দে বর্তমান ঢাকার অসহনীয় জ্যাম পেরিয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যান না। প্রয়োজন আছে বলেই যান।

বেতন অপ্রতুল বলেই নানারকম ফন্দিফিকির করে কিছু অতিরিক্ত টাকাপয়সা কামানোর জন্য তাড়নাবোধ করে বলেই যান। বিদ্যালয়-কলেজের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে।

শিক্ষকদের অহমবোধে ধ্বস নামানোর জন্য পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের পারিশ্রমিক উত্তরপত্র বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছিল। শিক্ষকদের বেতন অপ্রতুল বলে নানারকম ছলাকলা করে শ্রেণীকক্ষে কম পড়িয়ে প্রাইভেট কিংবা কোচিং পড়তে উৎসাহিত করে।

আমি হলফ করে বলতে পারি শিক্ষকদের বেতন যদি যথেষ্ট হতো (অন্তত একই পদমর্যাদার আমলারা যেই সুযোগ-সুবিধা পান, সেইটুকু পেলেও) এসব হটকারী রাজনীতি করার জন্য শিক্ষক পাওয়া যেতো না।

বেতন অপ্রতুল বলেই শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে প্রমোশন নীতি শিথিল থেকে শিথিল করে ফেলা হয়েছে। কারণ শিক্ষকরা এখন একটি প্রমোশনকে বেতন বৃদ্ধি হিসাবে দেখেন; অথচ প্রমোশনকে দেখা উচিত অর্জন হিসেবে।

আমাদের প্রমোশন নীতিও পরিবর্তন করা উচিত। একজন প্রভাষক তিন বছর পর ঠিক সহকারী অধ্যাপকের বেতন পাবেন, কিন্তু প্রমোশন পাবেন না যদি তাঁর আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে ভালোমানের নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রকাশনা ও পিএইচডি না থাকে।

প্রকাশনার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জার্নাল ছাপিয়ে, নিজেদের সম্পাদনা বোর্ড ও পর্যালোচনাকারী দিয়ে ন্যূনতম-সংখ্যক গবেষণাপত্র ছাপিয়ে একবার অধ্যাপক হয়ে গেলে বাকি চাকুরি জীবনটা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মতো কাটিয়ে দেয়। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান দিন দিন অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আমি নিশ্চিত শিক্ষকদের বেতন যদি যথেষ্ট (সত্যিই যথেষ্ট) হতো, তাহলে রাজনীতি করার জন্য শিক্ষক পাওয়া যেত না। আজকাল আদর্শ ছড়িয়ে সমাজকে উন্নত করার ব্রত নিয়ে খুব নগণ্য-সংখ্যক শিক্ষক রাজনীতি করেন।

আমাদের প্রমোশন নীতিও পরিবর্তন করা উচিত। একজন প্রভাষক তিন বছর পর ঠিক সহকারী অধ্যাপকের বেতন পাবেন, কিন্তু প্রমোশন পাবেন না যদি তাঁর আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে ভালোমানের নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রকাশনা ও পিএইচডি না থাকে।

ঠিক তেমনি আরও পাঁচ-সাত বছর পর সহযোগী অধ্যাপকের বেতন পাবেন, কিন্তু পদ পাবেন না। সহযোগী অধ্যাপকের পদ পেতে হলে তাঁকে কঠিন যোগ্যতার বাধা ডিঙাতে হবে। একই কথা খাটে অধ্যাপক হওয়ার ক্ষেত্রেও।

বর্তমান পদ্ধতি থেকে এটি একদিক থেকে ভালো যে, কাউকে টাকায় কষ্ট দেওয়া হবে না কিন্তু সম্মানে কষ্ট দেওয়া হবে। আত্মসম্মান থাকলে, অহমবোধ থাকলে, লজ্জাবোধ থাকলে কষ্ট করতে হবে।

অর্থনৈতিক মুক্তি নেই বলেই ’৭৩-এর অধ্যাদেশের পূর্ণ সুফল শিক্ষকরা পাচ্ছেন না। অর্থনৈতিক মুক্তি নেই বলেই ’৭৩-এর পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝ থেকে প্রতিবাদী কণ্ঠ দিনদিন কমে কমে এখন প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। এতে বড় পর্দায় দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

উচ্চশিক্ষা নিয়ে আরও কিছু প্রাসঙ্গিক লেখা

Sending
User Review
0 (0 votes)

লেখক সম্পর্কে

কামরুল হাসান মামুন

কামরুল হাসান মামুন

ড. কামরুল হাসান মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

মন্তব্য লিখুন