আমরা যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির পর থেকে প্রশাসন, শিক্ষা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষণার অবস্থানের একটি ডাইনামিক উপাত্ত দেখি, তাহলে স্পষ্টতই দেখবো এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনটি দশায় ভাগ করা যায়। কেমন বিশ্ববিদ্যালয় আমরা চাই, সেটিও এই দশাগুলো থেকে বুঝা যাবে।

জন্মের পর থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত একটি দশা, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত একটি দশা এবং ১৯৭৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত একটি দশা। এই তিনটি দশার মধ্যে নির্দ্বিধায় বলা যায় প্রথম দশাটিই ছিলো আমাদের স্বর্ণযুগ অর্থাৎ ১৯৪৭-এর আগ পর্যন্ত।

১৯৪৭-এর আগে-পরে আমাদের পণ্ডিতদের বিশাল একটি অংশ পশ্চিম বাংলায় চলে যান। ১৯৪৭-এর পর আমরা যেই সরকার পাই, তারা কখনও চায়নি সেই শূন্যতা পূরণ হোক। তাই তারপর থেকে ধ্বস নামতে শুরু করে।

আর ৭১-এ এসে আরেকটি ধ্বস নামে। ১৪ ডিসেম্বর আমাদের অনেক প্রতিথযশা শিক্ষককে পাকিস্তানিরা এ-দেশের দোসরদের সহায়তায় স্বাধীন বাংলাদেশ যেন মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে, সেজন্য হত্যা করে। অর্থাৎ বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্মের ঠিক প্রাক্কালেই আমরা আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী শিক্ষককে হারাই।

তৃতীয় দশায় এসে অর্থাৎ ৭৩-এর অধ্যাদেশের পর থেকে আবার ধ্বস নামতে শুরু করে ত্বরান্বিত গতিতে। পরের দুটো দশার একটি সাধারণ বিষয় ছিল যে, এই ধ্বস ঠেকানোর চেষ্টা কখনোই দেখা যায়নি।

৭৩-এর অধ্যাদেশের সবচেয়ে আপত্তিকর বিষয় হলো, শিক্ষকদের সরাসরি রাজনীতি করার দ্বার একদম অবারিত করে দেওয়া। সেই রাজনীতিকিকরণকে আরও সুসংহত করার জন্য এ-অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানভিত্তিক করার পরিবর্তে নির্বাচনকেন্দ্রিক করে ফেলা হয়েছে।

৭৩-এর অধ্যাদেশের সবচেয়ে আপত্তিকর বিষয় হলো, শিক্ষকদের সরাসরি রাজনীতি করার দ্বার একদম অবারিত করে দেওয়া। সেই রাজনীতিকিকরণকে আরও সুসংহত করার জন্য এ-অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানভিত্তিক করার পরিবর্তে নির্বাচনকেন্দ্রিক করে ফেলা হয়েছে।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা বছরজুড়ে চলে সিনেট নির্বাচন, সিন্ডিকেট নির্বাচন, ডিন নির্বাচন, শিক্ষক সমিতি নির্বাচন, কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচন, বিভিন্নভাগে বিভক্ত নানা শ্রেণির কর্মচারি সমিতির নির্বাচন, শিক্ষার্থীদের নির্বাচন।

শুধু তাই নয়, নির্বাচনগুলোকে আমরা এখন উৎসবের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। শিক্ষকরা অবশ্যই রাজনীতি করবেন কিন্তু সেটি সরাসরি কোনো দলের হয়ে নয়।

বলতে গেলে এখন দল করা মানেই দলান্ধ হয়ে যাওয়া। দলান্ধ হয়ে পড়া মানেই নিজ দলের সকল অন্যায়ের সাফাই গাওয়া আর অন্য দলের দোষ খোঁজা। দলান্ধ হয়ে যাওয়া মানে ঝাঁক বেঁধে চলা। ঝাঁক বেঁধে চলে যারা, তারা সহজে কোনো বিষয় তলিয়ে ভাবতে চায় না, গতানুগতিকতার বাইরে যেতে চায় না, দিগন্তকে ভাঙতে জানে না।

এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে একদম যায় না। দলবদ্ধ থাকতে হলে আঠা দরকার। বলতে গেলে বর্তমানে সেই আঠা হলো স্বার্থ। প্রমোশনের স্বার্থ, অন্যকে ঠকিয়ে আগে যাওয়ার স্বার্থ।

আমরা শিক্ষিত বলে যে আমরা গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের ভোটার থেকে যে খুব ভালো মানের ভোটার তা কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে পারিনি। সচরাচর দেখা যাচ্ছে, দল যাকে মনোনয়ন দেয়, তিনি কলাগাছ হলেও দল শক্তিশালী হলেও তিনি ভোটে জিতে যান।

আপনি অনেক বড় পণ্ডিত ও যদি ভালো মানুষ হিসেবে আপনার সুনামও থাকে, আপনি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দেখুন, খুব বেশি ভোট আপনি পাবেন না।

আমি আমার কিছু সহকর্মীদের মাঝে লক্ষ করেছি যে, তাঁরা দেখে কার জেতার সম্ভবনা, কার কাছে গিয়ে দাবি দাওয়া পেশ করা যাবে, কে নিয়োগ-প্রমোশনে সহায়তা করবে, কে দেখা হলে হেসে কথা বলে ইত্যাদি হলো ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

আপনি অনেক বড় পণ্ডিত ও যদি ভালো মানুষ হিসেবে আপনার সুনামও থাকে, আপনি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দেখুন, খুব বেশি ভোট আপনি পাবেন না।

আমি যখন ছাত্র ছিলাম, যারা আমার জাদরেল শিক্ষক ছিলেন, যাদের আমি অত্যন্ত উচ্চস্থানে রেখেছি, শিক্ষক হওয়ার পর তাঁদেরকে আর সেই স্থানে রাখতে পারিনি। ভোটে দাঁড়িয়ে দেখি আমাদের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। দেখা হলে কীরকম নুইয়ে যাচ্ছেন!

আমি তো আমার শিক্ষকদের এরকম অবস্থানে দেখতে চাইনি বা চাই না। আবার ভোটে জেতার পর অন্যরকম চেহারা। এসব আচরণ অন্তত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানা যায় না।

নির্বাচনের মাধ্যমে যেই শিক্ষক সমিতি নির্বাচিত হয়, তার যেন প্রধান কাজই হয়ে দাঁড়ায় শিক্ষক নিয়োগ ও প্রমোশন-নীতি কতো শিথিল করা যায় সেই চেষ্টা করা।

আমরা নিশ্চই সবাই বিদ্যালয়ে উচ্চ লম্ফ প্রতিযোগিতা দেখেছি। সেখানে কী করা হয়? শুরুতে বারটি খুব নিচুতে থাকে যাতে সবাই অতি সহজে এটি ডিঙাতে পারে। তারপর আস্তে আস্তে উপরে তোলা হয়। ফলে অনেকেই বাদ পড়ে। যারা উচ্চ লম্ফ শিখে, তাদের প্রশিক্ষণের সময় উচ্চতার বার ধীরে ধীরে বাড়িয়ে তাদেরকে ওটা ডিঙানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হয়।

উন্নত বিশ্বে এটিই করা হয় এবং সেইজন্যই তারা উন্নত। আর আমরা? ১৯৪৭ সালের আগে আমাদের প্রমোশন-নীতি অনেক ভালো ছিলো। তখন পিএইচডি ছাড়া কেউ অধ্যাপক হতে পারতো না।

স্বয়ং সত্যেন বোসকে পর্যন্ত অধ্যাপক করা হচ্ছিল না। তিনি ব্যতিক্রম হওয়া সত্ত্বেও তাঁর প্রতি ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিলো না। পরে আইনস্টাইন যখন সত্যেন বোসের জন্য সুপারিশপত্র পাঠালেন, তখন তাঁকে অধ্যাপক করা হলো। সেটি করা হয়েছিলো ব্যতিক্রম হিসাবে।

হ্যাঁ, ব্যতিক্রমী মানুষের জন্য ব্যতিক্রম ব্যবস্থা নিতে হয়। একসময় বিখ্যাত পদার্থবিদ আরনল্ড সামারফিল্ড ছিলেন অধ্যাপক প্রোমোশনের পর্যালোচক! আজকাল? এসব আমরা এখন গর্ব করে বলি, অথচ অনুসরণ করি না।

নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে meritocracy-কে democracy of mediocrity দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হলো। ৭৩-এর অধ্যাদেশ পবিত্র বা ঐশ্বরিক কিছু না যে এর পরিবর্তন করা যাবে না।

আমরা ৭৩-এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিক্ষকদের যে অবারিত স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, সেটিতে এতো বেশি আনন্দিত হয়েছি যে, এর ভেতরে আর কোনো সমস্যা আছে কিনা সেটি বিশ্লেষণ করতেই ভুলে গেছি।

আমাদের একটি প্রধান সমস্যা হলো, আমরা ৭৩-এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে শিক্ষকদের যে অবারিত স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, সেটিতে এতো বেশি আনন্দিত হয়েছি যে, এর ভেতরে আর কোনো সমস্যা আছে কিনা সেটি বিশ্লেষণ করতেই ভুলে গেছি।

ভুলে গেছি যে, বদ্ধ জলাশয় যেমন গন্ধ ছড়ায়, ঠিক তেমনি অপরিবর্তনীয় যেকোনো কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে বাধ্য। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পেছন ফিরে তাকিয়ে হিসাব কষে দেখা উচিত ছিলো, এই অধ্যাদেশ আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না পেছনে! সেই কাজটি আমরা কখনো করিনি।

পৃথিবী খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। তার সাথে খাপ খাওয়াইয়ে আমাদের আইন-কানুনকেও বদলানো উচিত। যেকোনো আইন করে দুয়েক বছর পর পর দেখতে হয় এই আইন আমাদের সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে নাকি পেছনে। আমরা এটি করিনি।

৭৩-এর অধ্যাদেশের সমালোচনা করলেই শিক্ষকদের স্বাধীনতা হরণ নামক জুজুর ভয় দেখিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়। কোনো স্বাধীনতাই অবারিত হতে পারে না।

পৃথিবীর আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় দেখান তো যেখানে এতো এতো নির্বাচন হয়? যা কোথাও হয় না, তা আমরা কেন করি? আয়রনি হলো, আমরা প্রয়াত উপাচার্য ফজলুল হালিম চৌধুরী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন বলে আমরা গর্ব করি, কিন্তু তা অনুসরণ করি না।

৭৩-এর অধ্যাদেশের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বড় পরিবর্তন আসলো বিভাগীয় প্রধানের পদের নামকরণ, এর নিয়োগ, এবং এর কার্যক্রমে। বিভাগীয় প্রধানের পরিবর্তে বিভাগীয় চেয়ারম্যান নামকরণ করা হলো। চেয়ারম্যান নিয়োগকে তিন বছরের মেয়াদ করা হলো এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম করা হলো।

এই নিয়মের প্রবর্তনে শিক্ষকরা অসম্ভব খুশি হলেন কারণ এর আগের ‘বিভাগীয় প্রধান’ নামে যে-পদটি ছিলো, সেই পদে যারা ছিলেন তাঁরা এতো স্বৈরাচারী মনোভাবাপন্ন ছিলেন যে, সাধারণ শিক্ষকরা প্রচণ্ড নিগৃহীত হতেন। দেখা গেছে, জুনিয়র শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রধানের বাসার বাজার পর্যন্ত করে দিতে হতো।

এ-থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে যেটি এলো, সেটি হলো এক এক্সট্রিম থেকে আরেক এক্সট্রিম। চেয়ারম্যান নিয়োগ পদ্ধতির মাঝে গুণবিচারের আর সুযোগ রইলো না। আমাদের একটি বড় সাংস্কৃতিক সমস্যা হলো আমরা পদ-পদবি এবং সম্মানপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতাকে খুব গুরুত্ব দেই। অথচ এসব প্রাপ্তি হওয়া উচিত যোগ্যতার ভিত্তিতে।

আমাদের শিক্ষকদের প্রমোশনের সময়ও জ্যেষ্ঠতাকে মারাত্মক গুরুত্ব দিই। নিয়োগের সময় কেউ একবার জ্যেষ্ঠ হয়ে গেলে কারো পক্ষে তাঁকে ডিঙানো প্রায় অসম্ভব।

ধরুন, দু’জন সহপাঠী মাস্টার্স পাশ করার পর একজন পিএইচডি করতে বাইরে চলে গেল, আর অন্যজন বিভাগে জয়েন করলো। যে বাইরে চলে গেল সে পিএইচডি করলো, তারপর দু-একটা পোস্টডক শেষে দেশে ফিরলো। ততদিনে তার সহপাঠী হয়তো সহযোগী অধ্যাপক হয়ে গিয়েছেন।

ফিরে আসার পর তার জন্য প্রথম ধাক্কা হলো সে চাকুরি পাবে কিনা সন্দেহ। আর তার চাকুরি হলেও তার পক্ষে তার সেই সহপাঠীকে ডিঙানো সম্ভব না। যদিও তার বর্তমান যোগ্যতা সেই সহপাঠী থেকে অনেক অনেক বেশি। অর্থাৎ আমাদের প্রমোশন নীতি প্রচণ্ড ত্রুটিপূর্ণ। এ-পদ্ধতি চলতে দেয়া একেবারেই ঠিক হবে না।

একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে সবসময় চাপের মধ্যে রাখতে হবে। এই চাপটি কী? এখানে চাপ হলো যেকোনো সময় যে কেউ ভালো করলে অন্যকে ডিঙিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে। সেখানে বয়স কোনো বাধা হতে পারবে না।

একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে সবসময় চাপের মধ্যে রাখতে হবে। এই চাপটি কী? এখানে চাপ হলো যেকোনো সময় যে কেউ ভালো করলে অন্যকে ডিঙিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে। সেখানে বয়স কোনো বাধা হতে পারবে না।

আরও একটি খারাপ কাজ হলো, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন পদ্ধতির কারণে এরা ভোটের আগে নানারকম প্রলোভন দেয়। যেমন, প্রমোশন-নীতি শিথিল করা হবে। যেহেতু নির্বাচনের মাধ্যমে যে শিক্ষক সমিতি নির্বাচিত, সেহেতু শিক্ষক সমিতি ভোটারদের তুষ্ট করতে ক্রমাগতভাবে প্রমোশন-নীতি শিথিল করতে করতে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় যে, বিশ্বে যে-যোগ্যতায় একজন সহকারী অধ্যাপকও হতে পারেন না, সেই যোগ্যতা দিয়ে এখানে অধ্যাপক হয়ে যাচ্ছেন।

অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে চেয়ারম্যান হলেও অধ্যাপক হওয়াটিকে সঠিক ফিল্টারিং পদ্ধতির মাধ্যমে যোগ্যদের অধ্যাপক করতে পারলে মন্দ ছিলো না। আমরা অধ্যাপক হওয়ার বার এমন পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে গিয়েছি যে একটি বিভাগে প্রায় সবাই অধ্যাপক। আর অধ্যাপক হওয়ার পর যেহেতু প্রমোশনের কোনো বালাই নাই, তাই অধ্যাপক হওয়ার পর হয় অবসরের জীবনযাপন নতুবা পূর্ণ সময়ের রাজনীতি

আমাদের কেন বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর নতুন নতুন আইন বা নিয়ম আবিষ্কার করতে হয়? কেন আমরা বিশ্বের পরীক্ষিত সফল আইন বা নিয়ম অনুসরণ করতে পারি না? অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড, কেমব্রিজে সব জায়গায় বিভাগীয় প্রধান এতো ভালো কাজ করে; আর আমাদের এখানে এটি স্বৈরাচারি কেন হয় সেটি খতিয়ে না দেখে সিস্টেমের দোষ দিয়ে নতুন নিয়ম আবিষ্কার করলাম।



Sending
User Review
0 (0 votes)

লেখক সম্পর্কে

কামরুল হাসান মামুন

কামরুল হাসান মামুন

ড. কামরুল হাসান মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

মন্তব্য লিখুন