আপনি কি একজন শিক্ষক? আপনি কি মনে করেন, আপনি একজন গবেষকও বটে? আপনার উত্তর হতে পারে “হ্যাঁ”, “না” বা “আমি জানি না”। যদি আপনি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এবং গবেষণার নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে আপনার শ্রেণিকক্ষের নানা বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন, তবে উত্তরটি “হ্যাঁ” হতে পারে। উত্তরটি “না” হতে পারে, যদি আপনি আপনার শ্রেণিকক্ষ অনুশীলন সম্পর্কে কখনও কিছুই না ভাবেন। বাস্তবে সেটি হওয়া প্রায় অসম্ভব। আর তৃতীয় বিকল্পটি হলো “আমি জানি না”। তার অর্থ হলো, আপনি সম্ভবত কিছুটা শ্রেণিকক্ষ গবেষণা করেন আপনার মতো করে; তবে এই কাজটি সম্পর্কে সচেতনভাবে অবগত নন।

পাঠের প্রতিফলন

আপনার শিক্ষার্থীদের সাথে কোনো পাঠ পরিচালনা করার পর আপনি সাধারণত কী করেন? ধরুন, আপনি মাত্রই আপনার শ্রেণিকক্ষে একটি পাঠ পরিচালনা করে এসেছেন। আপনি হয়তো আপনার পাঠ সম্পর্কে ভাবছেন এবং তা ভালো হলে আপনি ভালো বোধ করছেন। আর যদি তা না হয়, তবে আপনার নিশ্চয়ই খারাপ লাগছে এবং আরও ভালোভাবে পাঠদান করার জন্যে কোনো উপায় অনুসন্ধান করার চেষ্টা করছেন। আপনি যে উপায়ে পাঠের উন্নতি করার চেষ্টা করছেন, তা সঠিক উপায় নাও হতে পারে। আপনি হয়তো আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে ভেবে নিচ্ছেন। অথবা আপনার কোনো সহকর্মী আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। তার মানে, আপনি কিন্তু নিশ্চিত নন যে, ওভাবে কাজ হবেই।

পাঠের প্রতিফলন নিয়ে কীভাবে একটু গুছিয়ে ভাবা যায়, তার একটি নমুনা দেখা যাক। আপনি কিন্তু মাত্রই আপনার শ্রেণিকক্ষে পাঠ পরিচালনা করে এসেছেন এবং এখন তাই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। নিজের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের প্রতিফলন নিচের প্রশ্নগুলোর সাহায্যে একটু করা যাক:

  • আজকের পাঠে কোন কোন বিষয় ভালো হয়েছে?
  • কোনটা ততোটা ভালো হয়নি?
  • কেন ভালো হয়নি?
  • ভবিষ্যতে কীভাবে এটি আরও ভালোভাবে করতে পারি?

ধরে নিচ্ছি, এই পাঠের জন্যে আপনার ভালো প্রস্তুতি ছিল, প্রয়োজনীয় সমস্ত উপকরণ আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিলেন, উপস্থাপনা খুব ভালো ছিল এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আপনার খুব ভালো ইন্টারঅ্যাকশন হয়েছে। এতো কিছু ভালো হওয়ার পরও আপনার মনে হচ্ছে, শ্রেণির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী ভালোভাবে শিখতে পারেনি।

কেনো তারা শিখতে পারল না? এর উত্তর খানিকটা আপনার জানা থাকলেও সঠিক কারণটি হয়তো জানা নেই। অনুমান আপনি করতেই পারেন, কিন্তু সঠিক কারণটি জানতে হলে তা অনুসন্ধান করা দরকার। আপনি বলতেই পারেন, তারা ভালোভাবে শিখতে পারেনি, কারণ তারা আপনার শ্রেণিকক্ষের দুর্বল শিক্ষার্থী। দুর্বল বলে কি তারা একেবারেই শিখতে পারবে না? তাহলে কী করা যায়, যাতে তারা আর দুর্বল থাকবে না? ঠিক তখনই আপনার শ্রেণিকক্ষ গবেষণা করার প্রসঙ্গটি আসে। গবেষণা আপনাকে বলে দিতে পারে এই সমস্যার গোড়ার কারণ কী এবং তার সমাধান কীভাবে হতে পারে।

শিক্ষার্থীদের সহায়তা দানের কৌশল

সমাধানের উপায় হিসেবে চিন্তা করছেন পাঠদানের সময় তাদেরকে একটু বাড়তি সহায়তা দেওয়া যায় কীভাবে? তার মানে, আপনি ধরে নিচ্ছেন (hypothesis), একটু বাড়তি সহায়তা করতে পারলে আপনার দুর্বল শিক্ষার্থীরাও অপেক্ষাকৃত ভালো শিখতে পারবে। কীভাবে এটি করা যায় তার উপায় হিসেবে নিচের কৌশলগুলো চিন্তা করছেন।

  • শ্রেণিকক্ষে সহজ এবং সাধারণ নির্দেশনাবলী অনুসরণ করা
  • শিক্ষার্থীদের পরিচিত উদাহরণ ব্যবহার করে জটিল বিষয়গুলো সহজ করে ব্যাখ্যা করা
  • তাদের আরও কাছাকাছি যাওয়া এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য করা
  • শ্রেণিকক্ষে বেশি বেশি জোড়ায়/দলে কাজ করতে দেওয়া এবং দলনেতা নির্বাচন করা যাতে তারা বাকী সদস্যদের সাহায্য করতে পারে
  • সম্ভব হলে পাঠের আগে বা পরে তাদেরকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া

এই সমস্যার সমাধান করতে কোন কৌশল কতটা কাজ করে, তা শ্রেণিকক্ষে প্রয়োগের মাধ্যমেই বোঝা যাবে। তবে এগুলো ছাড়াও  দুর্বল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার আরও অনেক উপায় থাকতে পারে।

ধরা যাক, আপনি শ্রেণিকক্ষে দুর্বল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্যে বেশি বেশি দলে কাজ করতে দেওয়ার কৌশলটি বেছে নিয়েছেন আপনার এবারের গবেষণার জন্যে। আমরা চাইলে, একটি গবেষণা প্রশ্নও তৈরি করে ফেলতে পারি। হতে পারে এরকম: পাঠের সময় আমি কীভাবে আমার দুর্বল শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারি?

শ্রেণিকক্ষ গবেষণা : চক্র ১

শ্রেণিকক্ষ গবেষণা শুরু করতে চলেছি আমরা। আপনার পরবর্তী পাঠের জন্যে যে পাঠ পরিকল্পনা করবেন, সেখানে দলীয় কাজের ওপরে একটু বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা করুন। এখানে গবেষণার মূল বিষয়ই হলো, দলীয় কাজের মাধ্যমে আপনি কীভাবে আপনার দুর্বল শিক্ষার্থীদের বাড়তি সহায়তা প্রদান করতে পারেন যাতে করে তারা ভালোভাবে শিখতে পারে। আপনি যদি আপনার পাঠ নিয়ে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে পরবর্তী পাঠ এই নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করুন।

এখানে আরেকটি বিষয় খুব জরুরি। আপনার পাঠদান কেমন হচ্ছে, তার বিচার মূলত আপনি নিজেই করেন। আপনার নিজের মূল্যায়নের পাশাপাশি অন্য কেউ কি আপনাকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারে? আপনার  কি মনে হয়, আপনার শিক্ষার্থীরা কীভাবে দলীয় কাজ করতে পারে, সে সম্পর্কে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবে? আমার এই প্রশ্ন শুনে আপনি একটু অবাকও হতে পারেন। কিন্তু দয়া করে আপনার শিক্ষার্থীদের সক্ষমতাকে খাটো করে দেখবেন না। ওরা কিন্তু সব সময় আপনাকে পর্যবেক্ষণ করে। আপনি কেমন পড়ান, সে বিষয়ে সব সময়ই ওদের নিজম্ব মতামত থাকে। ওরা ঠিকই জানে, তাদের স্কুলে সেরা শিক্ষক কে।

আপনি ভালো, মাঝারি এবং দুর্বল- এই তিন ধরনের শিক্ষার্থীর সংমিশ্রণে চার/পাঁচজনের সাক্ষাৎকার নিতে পারেন। ওরা কীভাবে ওদের দলীয় কাজ করতে চায় তা জানতে চাইতে পারেন। অথবা আপনি ওদের জন্যে খুব সহজ একটি শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ চেকলিস্ট তৈরি করতে পারেন এবং আপনার পাঠদানের পরপরই তারা এতে তাদের মন্তব্য লিখতে পারে। এখানে এই চেকলিস্টের একটি নমুনা দেওয়া হলো:

বিষয়মন্তব্য
তুমি কি দলীয় কাজ পছন্দ কর?হ্যাঁনা
যদি “না” হয়, তাহলে কেন পছন্দ কর না? 
যদি “হ্যাঁ” হয়, তাহলে কেন পছন্দ কর? 
এই পাঠের দলীয় কাজের কোন অংশটি বেশি ভালো লেগেছে এবং কেন ভালো লেগেছে? 
এই পাঠের দলীয় কাজের কোন অংশটি ভালো লাগেনি এবং কেন ভালো লাগেনি? 
দলীয় কাজের ক্ষেত্রে আর কী করলে তোমরা আরও ভালো শিখতে পারবে? 

আপনি আপনার সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকেই তাদের প্রতিক্রিয়া নিতে পারেন। তবে কোনোভাবেই জোর করা যাবে না। স্বেচ্ছায় যারা যারা দিতে চায়, তাদের কাছ থেকেই কেবল নেওয়া উচিৎ। চল্লিশজনের মধ্যে বিশ/পঁচিশজন অংশগ্রহণ করলেই যথেষ্ট।

নতুন পাঠ পরিকল্পনার আলোকে আপনার পাঠ পরিচালনা শেষ করেছেন। এখন  আবার ঐ চারটি প্রতিফলন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন দলীয় কাজের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রেখে। আপনার দুর্বল শিক্ষার্থীদের পাঠে অংশগ্রহণ ও তাদের বাড়তি সহায়তা প্রদান করার বিষয়ে আপনি কি বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন? যদি তা না হয়, তাহলে বিষয়টি নিয়ে একটু পড়াশোনা করে ও আপনার সহকর্মীদের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পাঠের পরিকল্পনা করুন। আর যদি কোনো পরিবর্তন দেখতে পান, তা রেকর্ড করুন। পাঠ সম্পর্কে আপনার নিজের প্রতিফলন লিখে রাখুন। খুব ভালো হয়, যদি আপনি একটি প্রতিফলন জার্নাল তৈরি করে ফেলতে পারেন।

এখন আপনার শিক্ষার্থীদের দেওয়া প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করুন। আপনার নিজস্ব প্রতিফলনের সাথে তাদের প্রতিক্রিয়া মিলিয়ে দেখুন। এমনও হতে পারে, দলীয় কাজ আরও কার্যকরভাবে করার বিষয়ে ওরা নতুন কোনো ধারণা দিয়েছে, যা আপনার মাথায়ই আসেনি।

শ্রেণিকক্ষ গবেষণা : চক্র ২

আপনি এখন এই গবেষণার দ্বিতীয় ধাপে পদার্পণ করছেন। আপনার গবেষণা প্রশ্নের আলোকে শ্রেণিকক্ষ গবেষণার চক্র ১ থেকে (নিজের প্রতিফলন এবং শিক্ষার্থীদের পরামর্শ) যা যা শিখেছেন, তার সবকিছু কাজে লাগিয়ে পরবর্তী পাঠের পরিকল্পনা করুন। স্বাভাবিকভাবেই আপনার দলীয় কাজের পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আসবে। এই পর্যায়ে পাঠ পরিচালনা করার আগে, আপনার পাঠ পর্যবেক্ষণের জন্যে আপনার প্রধান শিক্ষক অথবা সহকর্মীদের একজনকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে আপনার সহকর্মীর পর্যবেক্ষণের সুবিধার জন্যে একটি পর্যবেক্ষণ চেকলিস্ট তৈরি করতে হবে। আপনার সহকর্মী এই কাজে আপনাকে সময় নাও দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে  আপনি আপনার পাঠের ভিডিও ধারণ করতে পারেন। আপনার মোবাইলটি শ্রেণির যে কোনো এক কোণে রেখে তা করতে পারেন। এতে করে পাঠের পরে আপনি ভিডিওতে নিজের পাঠদান দেখতে পারবেন এবং তা বিশ্লেষণ করে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

সকল প্রস্তুতি শেষ করে আপনি গবেষণার দ্বিতীয় ধাপে এসে শ্রেণিকক্ষে আপনার পাঠ পরিচালনা করুন। তারপর আগের ধাপে (চক্র ১) যা যা করেছিলেন, এবারও তাই তাই করুন। তার মানে, চারটি প্রতিফলন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা, নিজের প্রতিফলন লেখা, শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া বা পর্যবেক্ষণ চেকলিস্টের মাধ্যমে লিখিত প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করা এবং সহকর্মী অথবা প্রধান শিক্ষক শ্রেণি পর্যবেক্ষণ  করে থাকলে সেই পরামর্শ গ্রহণ করা। আর যদি ভিডিও রেকর্ড করে থাকেন, তাহলে তা বিশ্লেষণ করা। এতসব করার ভেতর দিয়ে আপনার নিশ্চয়ই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এই সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে গবেষণার পরবর্তী ধাপে গিয়ে।

শ্রেণিকক্ষ গবেষণা : চক্র ৩

আপনার গবেষণার মূল বিষয়ই হলো দলীয় কাজের মাধ্যমে পাঠে দুর্বল শিক্ষার্থীদের বাড়তি সহায়তা প্রদান করা। এবারের পাঠ পরিকল্পনায় দলীয় কাজে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন এবং আরও কিছু ধারণা যোগ করতে পারেন। দলীয় কাজে আপনি হয়তো একবারও দলনেতা ঠিক করে দেননি, অথবা দলের প্রত্যেকের কাজ কী হবে তা ঠিক করেননি। এসব মাথায় রেখেই আপনি আপনার গবেষণার তৃতীয় ধাপের পাঠ পরিকল্পনা করুন। প্রস্তুতি শেষে একই প্রক্রিয়ায় পাঠ পরিচালনা করুন এবং বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করুন।

আপনার পাঠদানের বিভিন্ন বিষয় দিয়ে এইভাবে গবেষণা করতে পারলে আপনি যে কোনো সমস্যা অনেক বেশ তলিয়ে দেখতে পরেবেন এবং গোড়ার কারণটি কারণ অনুসন্ধান করতে পারবেন। আর কেবল তখনই আপনি একটি উপযুক্ত সমাধান খুঁজে পাবেন যা আপনার গবেষণায় প্রমাণিত।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, আপনি এত কষ্ট করে এই গবেষণা অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে কেন যাবেন? প্রথমত, এই কাজের মাধ্যমে আপনি নিজেকেই সহায়তা করছেন যা আপনার নিজের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করছে। এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেলে আপনি অন্যান্য অনেক শিক্ষককেও সহায়তা করতে পারবেন। তারাও হয়তো একই ধরনের সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং আপনি তার সমাধান বের করেছেন। আপনার এই মূল্যবান অভিজ্ঞতার কথা আপনার বিদ্যালয়, অঞ্চল, উপজেলা বা জেলায় কর্মরত অন্যান্য সহকর্মীদেরকেও জানাতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে হাজার হাজার শিক্ষকের কাছে আপনার অভিজ্ঞতার কথা পৌঁছে দিতে পারেন। আপনি আপনার গবেষণার অভিজ্ঞতার আলোকে একটি ভিডিও তৈরি করতে পারেন, যা অন্যান্য অনেক শিক্ষক, শিক্ষক প্রশিক্ষক এবং শিক্ষা গবেষকদের দারুণ কাজে আসতে পারে। আপনি চাইলে একটি নিবন্ধও লিখে ফেলতে পারেন এবং তা কোনো দেশীয় বা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ করতে পারেন।

পেশাদার শিক্ষা গবেষকরাও আপনার কাছেই আসেন তথ্য সংগ্রহ করতে। আপনার পাঠদান সম্পর্কে আপনার কাছ থেকেই শুনে নিয়ে, পরে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করেন। আপনার শ্রেণিকক্ষ, আপনার শিক্ষার্থী এবং আপনার পাঠদান সম্পর্কে আপনিই সবচেয়ে ভালো জানেন। তাই গবেষণার কাজটিও যদি আপনিই করতে পারেন, তার চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না। পেশাদার গবেষকের গবেষণার ফল আপনার কাছে নাও পৌঁছাতে পারে, কিন্তু আপনার গবেষণার ফল আপনি হাতে হাতে পাচ্ছেন এবং তা কাজে লাগাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আর গবেষণার কাজ করতে করতে আপনার মধ্যে গবেষক মন তৈরি হবে। এরপর আপনি যাই করবেন- “কী করছি, কেন করছি, আর কীভাবে করতে পারি” এসব নিয়ে অনেক বেশি ভাববেন।

আশা করি আপনি যদি শিক্ষক হোন আর এই লেখাটি পড়েন, তাহলে শ্রেণিকক্ষ গবেষণা নিয়ে এই ধারণাটি কাজে লাগাবেন। তাতে লাভ আপনারই। এই বিষয়ে আরও জানতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।

Sending
User Review
0 (0 votes)

লেখক সম্পর্কে

সুদেব কুমার বিশ্বাস

সুদেব কুমার বিশ্বাস

সুদেব কুমার বিশ্বাস পেশায় একজন শিক্ষাজীবী এবং কাজ ক‌রেন এক‌টি আন্তর্জা‌তিক উন্নয়ন সংস্থায়।

মন্তব্য লিখুন