করোনাকালের বন্ধের মধ্যে দেশের দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত। বরিশাল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে যা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। উচ্চশিক্ষাঙ্গনগুলোকে আরও একধরনের অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিআরটিসি বাস কন্ডাক্টরের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাত ও এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করা হয়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেফতারের ঘটনায বরিশাল উত্তাল হয়ে উঠেছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় শনিবার রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। গ্রেফতারের প্রতিবাদে তারা বাস ধর্মঘট ডেকেছে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের পাঁচ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
শ্রমিক গ্রেফতারের ঘটনায় পুরো বরিশাল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এদিকে তের ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে। সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু বন্ধ করে তারা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করে।
১১ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নিয়ে বাগবিতণ্ডার জের ধরে স্থানীয়দের সাথে জাবির কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরোধ চলছিলো। এ ঘটনার রেশ ধরে ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিম্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন গেরুয়া এলাকায় স্থানীয়দের হামলায় জাবির অর্ধশাতধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এর মধ্যে এগারজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে, বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে জাবির ১৬টি আবাসিক হলের প্রধান ফটকের তালা ভেঙ্গে ফেলে তারা। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসার সামনে ও ক্যাম্পাস-সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা একটি সহজ কাজ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়ি আটকে রাখা। মহাসড়কে যখন বিশ-পচিশ মিনিট রাস্তা বন্ধ থাকে, তখন হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে, নারীশিশুসহ লক্ষ লক্ষ মানুষ আটকা পড়ে, পোহাতে হয় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। তাতে যেনো কারুর কিছু আসে-যায় না। আর শিক্ষার্থীসহ যেকোনো দাবি আদায়কারিরা এই সহজ পথটি বেছে নেয়। তারা জানে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কানে সমস্যার কথা পৌঁছাবে না। এখানে দায়িত্বশীলতা ও মানবতার বিষয় হয়ে পড়ে অতি তুচ্ছ। যেন শিক্ষার সাথে এর কোনো সম্পর্কই নেই।
পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো এ থেকে পিছিয়ে থাকবে কেন? পুরো দেশের রাস্তাঘাট তো তাদের দখলে। তাদের রয়েছে শক্তিশালী নেতা। কাজেই তারাও এই কাজটি অর্থাৎ পরিবহন ধর্মঘট ডেকে দেশের সাধারণ মানুষদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে। তাতে কার কী আসে যায়? দেশ যারা পরিচালনা করেন, তাঁদের তো প্রত্যক্ষ কোনো সমস্যা হয় না, কারণ তাঁরা কোথাও গেলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সবকিছুর বিনিময়ে তাঁদের নিরাপত্তা প্রদান করে। কিন্তু সাধারন মানুষ বা সাধারণ শিক্ষার্থীর কী হবে?
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যখন গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, একদিন শুনলাম সেটিকে স্থানান্তর করা হয়েছে কুষ্টিয়ায়। এর অনেক কারণ আছে। একটি কারণ শুনলাম, তৎকালীন এরশাদ আমলের প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদ নাকি বলেছিলেন, “উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় ঢোকার পথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকায় ঢোকার বিকল্পপথ ও ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে শিক্ষার্থীরা যে কোনো তুচ্ছ ঘটনায় ঢাকায় প্রবেশ বন্ধ করে দিবে, দেশ অচল হয়ে পড়বে।” তাই এই পথটি অন্তত খোলা রাখা হোক। তাই রাতের অন্ধকারের এখানকার আসবাবপত্র কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষার্থীদেরকেও সেখানে স্থানান্তর করতে হয়। জাহাঙ্গীরনগরের প্রাক্তন ভিসি প্রফেসর আলাউদ্দিন বলেছিলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে সিভিল ক্যান্টনমেন্ট”। ক্যান্টমেন্টের লোকজন বাইরে বেরিয়ে পড়লে দেশে যখন ‘সামরিক আইন’ জারি হয়, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দলে দলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লে অনেকটা সেই রকম অবস্থাই সৃষ্টি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের সাথে এবং বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকাবাসীর সাথে দ্বদ্ব, মারামারি, জোর-জরবদস্তি এবং সংঘর্ষ বা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হওয়ার ঘটনা প্রায়ই হয়ে থাকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। বরিশাল ও জাহাঙ্গীরনগুরের ঘটনা কোনো ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিক, এলাকাবাসী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী— যেন দুই প্রতিপক্ষ!
পুলিশ যেমন রাষ্ট্রীয় বিষয়, কিন্তু যারা যখন ক্ষমতায় থাকেন পুলিশ হয়ে যায় তাদের। সরকারের কোনো ভুল সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বাঁধা দিতে চাইলে পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হয় তাদের ওপর। শিক্ষার্থীরা যেনো প্রতিপক্ষ! আর এরশাদ তো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের পর সরাসরি বলতেনই, “আমরা শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছি, কাজেই একটু আধটু আহত তো হতেই হবে”। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাসাপাতালে দেখতে গিয়ে তিনি তাদের এ কথা বলে সান্ত্বনা দিতেন। বাকিরা হয়তো এভাবে বলেন না, তবে কাজ কিন্তু সেরকমই হয়। আর প্রতিপক্ষ ভাবা হয় বলেই কোনো সরকারই কিন্তু চায় না যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রকৃত শিক্ষার পরিবেশ বিরাজ করুক, রাজনৈতিক কোনো হানাহানি না থাকুক কিংবা বর্তমানে যে ঘটনা আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেগুলো না ঘটুক। এতে তাদের অনেক লাভ হয়তো আছে, কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না আসলে সেই লাভ কি আসলে কোনো লাভ?
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে এলাকাবাসীর এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, মারামারি এমনকি হত্যার ঘটনা বা এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। আবার বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যেও এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে থাকে। সরকারি ছাত্র সংগঠনগুলোর দাদাগিরিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকে ভীত-সন্ত্রস্ত। তারা সবসময়ই বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত, নির্যাতিত হতে থাকে। দিনে দিনে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হওয়ার বদলে এসব ঘটনা কমবে বলে আমরা আশা করি, কিন্তু হয় উল্টো।
এখানেও তাদের লাভ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সব ছাত্র সংগঠনগুলোই চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। প্রশাসনের সুবিধা হচ্ছে, তারা সব সময়ই সরকারি ছাত্র সংগঠনগুলোকে খুশি রাখে। ন্যায়-অন্যায় যাই করুক না কেন, তাদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে তথাকথিত প্রশাসন চালায়। এভাবে ধামাচাপা দিয়ে চলতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিন্তু যখন বাইরের কোনো শক্তির সাথে এ ধরনের ঘটনা ঘটে, তখন দেখা যায় আলাদা আরেক ধরনের বিড়ম্বনা। শিক্ষার্থীরা চাপ প্রযোগ করতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর, বিশেষ করে প্রক্টর ও ভিসির ওপর। বিশ্ববিদ্যালযের প্রক্টর হচ্ছেন ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে, ক্যাম্পাসের পাশে এমনকি ক্যাম্পাসের বাইরে কোনো ঘটনা ঘটলেই শিক্ষার্থীরা চড়াও হয় প্রক্টরের অফিস কিংবা বাসায়। যেন তিনি ইচ্ছে করলেই সবকিছু করতে পারেন। এভাবে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনক ব্যস্ত থাকতে হয় সরকারি ছাত্র সংগঠনকে খুশি করার কাজে বা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে মারামারি বা সংঘর্ষ মেটাতে।
আরেকটি বড় কাজ করতে হয় টেন্ডারবাজদের দাবি মেটাতে। এগুলো করে কখন তারা পড়াবেন? গবেষণা তো আরও দূরের কথা! তাই বহু আগেই প্রস্তাব করেছিলাম ক্যাম্পাস পুলিশ চালু করার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পুলিশিং করার জন্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য। সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়েছে, তাতে ভিসি কিংবা প্রক্টরের কিছু করার আছে? দেখা যায় বা যাচ্ছে, তাদের ওপরই শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ। পুলিশই বলছে ঘটনা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। জাহাঙ্গীরনগরে পুলিশের রাবার বুলেট আর টিয়ারগ্যাস মারার মধ্যেও ছাত্র-এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বরিশালে পুলিশ বলেছে ঘটনা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলছেন, “ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হয়। এরপর সেই সূত্র ধরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এছাড়া বহু শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকার মেসগুলোতে আটকে রেখেছেন স্থানীয়রা। অবস্থা ভয়াবহ”। উপাচার্য বলেছেন, “গেইটের বাইরে আমার প্রক্টর নিরাপত্তা কর্মীদের কিছু করার নেই। আমি পুলিশ পাঠানোর জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কথা বলতেছি”। পুলিশ ধার করে আনতে হবে। আর তারা বহু আনুষ্ঠানিকতা করে ঘটনাস্থলে যখন যাবেন, তার মধ্যে তো বহু ঘটনা ঘটে যাবে। আর ক্যাম্পাস পুলিশ থাকলে এসব ঝামেলা তাদের দায়িত্বে থাকতো, তারা তাদের পেশাদারিত্ব দিয়ে কাজ করতো। কিন্তু এসব প্রস্তাবে রাষ্ট্র কর্ণপাত করবে কেন? তাদের লাভ যে অন্যত্র!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয় এবং কয়েকশ শিক্ষার্থী ছেলেদের আটটি ও মেয়েদের আটটি হলে তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। তবে ভেতরে অবস্থান না নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। প্রশাসন আবার প্রধান ফটকে নতুন তালা লাগায়। বিকেলে আবারও তালা ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং তারপর থেকে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করছে। সরকারি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত করোনাকালে আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের অবস্থান করার কোনো সুযোগ নেই বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এবং হলে না থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ও সরকারি নির্দেশনার অমান্য বলে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নাকি স্বায়ত্বশাসিত! কোথায় স্বায়ত্বশাসন? তারা তো সরকারি নির্দেশ ছাড়া কিছুই করতে পারে না। পারবে কীভাবে? ভিসি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দেখলে মনে হয় তারা একেকজন পার্টির লিডার। তাঁদের চলনে, বলনে, কথায় কাজে শিক্ষার তেমন কোনো কথা নেই, সব পার্টির কথা। তাঁরা তো পার্টি করেই এসব পদে আছেন— সেটি যখন সবার জানা, তখন স্বায়ত্বশাসন কীভাবে কায়েম হবে?
জাহাঙ্গীরনগরে যখন বিশেষ অবস্থা বিরাজ করছে, সেখানকার প্রশাসনের সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেই ক্ষমতা বা রীতি তো অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। সাহস আসবে কোথা থেকে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো শিক্ষাসংক্রান্ত কিংবা সত্যিকারের কোনো আন্দোলনে যখন সাধারণ শিক্ষার্থী বা প্রগতিশীল কোনো ছাত্র সংগঠন সেগুলোর আয়োজন করে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি ছাত্র সংগঠন দিয়ে সেগুলো দমন করে। এই মুহূর্তে সেটি করার সুযোগ নেই বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের এই কার্যকর পদ্ধতিটি এখনও প্রয়োগ করতে পারছে না। চেয়ে আছি তারা বিষয়গুলোর সমাধান কীভাবে করেন, কারণ শিক্ষার্থীরা তো আমাদেরই ভাইবোন। শ্রমিক ও এলাকাবাসীরাও তো এদেশেরই বৈধ নাগরিক।
লেখক পরিচিতি
মাছুম বিল্লাহ বাংলাদেশে ইংলিশ টিচার্স অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পূর্বে ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তিনি ভাব বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন। তিনি নিয়মিত শিক্ষাবিষয়ে নানা প্রবন্ধ লিখছেন।