বাড়ি উচ্চশিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণা: পর্ব ৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সমস্যা হলো এর নিয়োগ প্রক্রিয়া, কারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কেমন হবে তার মূল নিয়ামক হলো তার শিক্ষকদের মান।

১. ধরা যাক, আমাদের কোনো এক শিক্ষার্থী এখানে অনার্স ও মাস্টার্স করে ইউরোপ-আমেরিকায় গিয়ে ফিজিক্সে আইসিটিপির মতো প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা করলো, আমেরিকা থেকে পিএইচডি করলো। তারপর ইউরোপ-আমেরিকায় তিনটি পোস্ট-ডক করলো এবং এভাবে ১০ থেকে ১৪ বছর কাটলো। অথবা ধরা যাক, আমাদের কোনো এক শিক্ষার্থী এখানে অনার্স আর মাস্টার্স করে আমেরিকায় গিয়ে পিএইচডি করল, তারপর আমেরিকার খ্যাতিমান কোনো এক প্রতিষ্ঠানে রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টে গবেষক হিসাবে বেশ কয়েক বছর চাকুরি করে ভালো ভালো জার্নালে আর্টিকেল প্রকাশ এবং এমনকি পেটেণ্টও করল এবং ৮ থেকে ১২ বছর কাটলো।

২. এবার আরেকটি পথ দেখি। ধরা যাক, আমাদের কোনো এক শিক্ষার্থী এখানে অনার্স ও মাস্টার্স করে বাইরে পিএইচডির জন্য না গিয়ে এখানে প্রভাষক হিসাবে যোগ দিলো। তারপর কোথাও পিএইচডি করতে না গিয়ে এখানে ১০ থেকে ১৪ বছর পার করলো। ইতোমধ্যে তিনি হয়ত সহকারী অধ্যাপক হয়ে সহযোগী অধ্যাপক হয়ে গিয়েছে কিংবা হবে হবে করছে।

উপরের দুই ক্যাটেগরির মধ্যে কারা ভালো? প্রথম নাকি দ্বিতীয় ক্যাটাগরির? বুঝতে হবে, আমেরিকা বা ইউরোপে একের পর এক পোস্ট-ডক পাওয়া অত্যন্ত কঠিন বিষয়। অথবা, আমেরিকায় কোনো স্বনামধন্য কোম্পানিতে গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগে চাকুরি পাওয়াও অত্যন্ত কঠিন। এইব পাওয়া তাদের আন্তর্জাতিক যোগ্যতা প্রমাণ করে।

এ পর্যায়ে তারা যদি দেশে ফিরে আসে, তাদের কাউকে কি প্রভাষক কিংবা সহকারী অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া মানায়? যেখানে তাদের সহপাঠীরা বিদেশ না গিয়ে দেশে থেকে ইতোমধ্যে সহযোগী অধ্যাপক কিংবা সহকারী অধ্যাপক হয়ে গিয়েছে? দ্বিতীয় ক্যাটেগরির যারা কোথাও গেল না বা পিএইচডি করতে যাওয়ার সুযোগ পেল না, তারা কি তাদের যোগ্যতার চেয়ে বেশি পেয়ে যাচ্ছে না?


আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যারা এখন বিদেশে পিএইচডি পোস্ট-ডক করছে, তাদের দেশে ফিরে আসার জন্য উৎসাহিত করতে হলে যারা ফিরে আসে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে শিখতে হবে। আর যারা পিএইচডি পোস্ট-ডক করে দেশে আসবে, দয়া করে তাদের এসএসসি এইচএসসি বা অনার্সের রেজাল্ট দেখতে চাইবেন না। পৃথিবীর কোথাও চায় না। ওগুলা দেখিয়েই তারা ওইসব উচ্চতর ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়েছে।


আমরা যে তৈরি পিএইচডি পোস্ট-ডকসহ কাউকে পেয়ে যাচ্ছি, যাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি পোস্ট-ডক করতে বেতনসহ ছুটি দিতে হবে না, এরকম প্রার্থীদের কেনো অতিরিক্ত প্রণোদনা দিয়ে নিয়োগ হবে না? অনেকে যুক্তি দেখায় যে, দ্বিতীয় ক্যাটেগরির শিক্ষক তো এখানে থেকে সার্ভিস দিচ্ছে। সার্ভিস দেওয়াটাই মুখ্য হলো? সার্ভিস দেওয়ার আগে নিজেকে স্বউদ্যোগে উন্নতমানের শিক্ষক হিসেবে তৈরি করে যে আসলো, সে কি এখন বেটার সার্ভিস দিতে পারবে না?

আমাদের ছাত্রছাত্রীরা যারা এখন বিদেশে পিএইচডি পোস্ট-ডক করছে, তাদের দেশে ফিরে আসার জন্য উৎসাহিত করতে হলে যারা ফিরে আসে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে শিখতে হবে। আর যারা পিএইচডি পোস্ট-ডক করে দেশে আসবে, দয়া করে তাদের এসএসসি এইচএসসি বা অনার্সের রেজাল্ট দেখতে চাইবেন না। পৃথিবীর কোথাও চায় না। ওগুলা দেখিয়েই তারা ওইসব উচ্চতর ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে ওই পর্যায়ে নিয়োগের একমাত্র সূচক হওয়া উচিত গবেষণা পেপার। কোনোভাবেই শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বিবেচিত হওয়া উচিত না। যদি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এতোই গুরুত্বপূর্ণ হতো, তাহলে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মারিয়া মির্জাখানিকে কোনোরূপ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ছাড়া সরাসরি অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ দিত না।

আমাদের এখানে যারা নিজেদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ করে আসবে, তাদেরকে একটু বেশি খাতির করে নিয়োগ দেওয়া উচিত। তারা যে দেশে ফিরে আসলো সেজন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। এইটুকু শুরু করলেই কেবল আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়তে শুরু করবে, অন্যথায় নয়।

১৯২১ সালে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষকতার জন্য ১৯২৪ সালে দরখাস্ত করেন সত্যেন বোস আর মেঘনাদ সাহা। অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যেন বোস প্রথম আর মেঘনাদ সাহা দ্বিতীয় হন। তখনকার ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন পি যে হার্টগ যিনি গুণ এবং এক্সসিলেন্সের ক্ষেত্রে কোনো কম্প্রোমাইজ করতে জানতেন না। তিনি বোসকে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে বোস এবং সাহা দুজনেই খ্যাতির শিখরে উঠেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে ওই পর্যায়ে নিয়োগের একমাত্র সূচক হওয়া উচিত গবেষণা পেপার। কোনোভাবেই শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বিবেচিত হওয়া উচিত না। যদি শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এতোই গুরুত্বপূর্ণ হতো, তাহলে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মারিয়া মির্জাখানিকে কোনোরূপ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ছাড়া সরাসরি অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ দিত না।


বোসের পিএইচডি ছিল না বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হতে পারছিলেন না। সেই সময় পিএইচডি আজকের মতো এত ডালভাত ছিলো না। ব্যতিক্রমী মানুষের জন্য নিয়মের ব্যতিক্রমী কিছু করতে হয়। বোসকে অধ্যাপক বানানোর জন্য স্বয়ং আইনস্টাইন রেকমেন্ডেশন লেটার পাঠান। আর সেই রেকমেন্ডেশনে সত্যেন বোস অধ্যাপক হন। এগুলো ছিলো আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য।

আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগের অবস্থা কী? কী মানের শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছেন? আমরা কি দিন যতো যাচ্ছে সামনে আগাচ্ছি, নাকি প্রচণ্ড গতিতে পেছাচ্ছি? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মান, শিক্ষকদের চালচলন, শিক্ষকদের কথাবার্তা সবকিছুই জানান দিয়ে যায় যে আমরা ক্রমাগত এবং একইহারে পেছাচ্ছি। দিন যতোই যাচ্ছে ভালো শিক্ষকরা নাই হয়ে যাচ্ছেন।

অধ্যাপক সত্যেন বোস তার জীবনের শ্রেষ্ট সময়ের ২৪টি বছর এই বিভাগে কাটিয়ে বিশ্বের সেরা কাজের একটি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় তুলেছিলেন। যদিও সেই উচ্চতার ধারেকাছেও আমরা থাকতে পারিনি। পৃথিবী আগায় আর আমরা পেছাচ্ছি। এ থেকেই বুঝা যায়, ওইসময় কেমন মানের শিক্ষক নিয়োগ হতো আর কেমন মানের শিক্ষক নিয়োগ এখন হয়!

এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং দেখছিলাম। ওখানে ১ থেকে ৪০০ এশিয়ার শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া আছে। আবার, দেশভেদে খোঁজ করার অপশনও আছে।

আমি প্রথমেই বাংলাদেশ লিখতে চাইলাম। দেখি শূন্য। নেপাল লিখতে শুরু করার সময় Ne লেখামাত্রই ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এসে গেছে। আবার শ্রী লংকার নাম লিখতে গিয়ে ইউনিভার্সিটি অফ কলম্বোর নাম এসে যায়। আর পাকিস্তান নাম লিখতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়ে দেখি ওদের ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। আর ভারত লিখে তালিকা দেখে একটু আশাহত হয়েছি। তাদের মোট ৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কিন্তু আশা করেছিলাম আরো বেশি। ওদের সবচেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠান হলো ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স যার অবস্থান ২৯!

আমাদের কি জীবনেও লজ্জা হবে না? এশিয়ার সেরা ৪১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমাদের একটি প্রতিষ্ঠানের নামও নেই। যেখানে শ্রী লংকা ও নেপালের নাম আছে। আর পাকিস্তানের তো আছে ৯টি। আমাদের অহমবোধে এসব শুনে বা জেনে কেন আঘাত লাগে না?

উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যার দিক থেকে তো আমরা নেপাল, শ্রী লংকা আর পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যাবো। প্রথম কথা হলো, আমরা এ অবস্থান থেকে উন্নতি করতে চাই কিনা? আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন এই তালিকায় নেই। কীভাবে থাকবে? আমাদের শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা কেমন? সেই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যারা নিয়োগ পান, তারা আবার সপ্তাহের অনেকটা সময় খেপ মারায় ব্যয় করেন।

এর মধ্যে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৭টি কলেজ, যাদের প্রত্যেকটির শিক্ষার্থী সংখ্যা ঢাকা বিশবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার থেকে হয় বেশি না হয় কাছাকাছি, তার নিজের করে নিয়েছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন? বাকি যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে যেমন বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়— এদেরকেও ঢাকা ও আশপাশের কলেজগুলোর দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হোক। তাহলেই শিক্ষার ২৪টা বাজিয়ে ষোলকলা পূর্ণ হয়ে যাবে।

তাছাড়া যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বস্তির চেয়েও অধম জীবনযাপন করে সেই বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিঙে স্থান পাবে কীভাবে? যে দেশের শিক্ষক গবেষকরা অসম্মানিত হন প্রতি পদে, সে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন র‍্যাংকিঙে থাকবে?

আমরা কি ভালোর দিকে আগাবো, নাকি খারাপের দিকে পেছাব? মানে আমাদের চেতনা কখন জাগবে? আমি দলীয় চেতনার কথা বলছি না? ওটা আমাদের টনটনে সেটি আমরা সবাই জানি। আমি বলছি অহমবোধের চেতনা। এটি এতো ভোঁতা কেনো?

আমাদের আগে বুঝতে হবে শিক্ষকদের খেপ আর অন্য কাউকে উদ্ধারের কাজে লাগালে এরা গবেষণা না করার অজুহাত পেয়ে যাবে। যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজের ভারই বইতে পারছিলো না, কোন কারণে তার ওপর আরো বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলো? সরকার কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গাধা ভেবেছে যে, যতোই বোঝা দিক, একেবারে ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত বোঝা নিতে অস্বীকৃতি জানাবে না।


যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বস্তির চেয়েও অধম জীবনযাপন করে সেই বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিঙে স্থান পাবে কীভাবে? যে দেশের শিক্ষক গবেষকরা অসম্মানিত হন প্রতি পদে, সে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন র‍্যাংকিঙে থাকবে?


গোটা বাংলাদেশকে উদ্ধারের দায় কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের? এর মাধ্যমে সাতটি কলেজের মান হয়তো সামান্য উন্নতি হবে, কিন্তু সেই সামান্য অর্জন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজের মানের যে ধ্বস নামছে এটি কি কেউ ভেবে দেখছে?

আসলে আমাদের শিক্ষকদের এসব ভাবার সময়ও নেই। কত কাজ আমাদের? খেপ মারা, নিজ বিশবিদ্যালয়ের দায়িত্ব সাত কলেজের দায়িত্ব, টক শোতে যাওয়ার দায়িত্ব— আরো কতো কি? সময় কোথায় আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মঙ্গলের কথা ভাবার? সময় কোথায় গবেষণার কথা ভাবার? র‍্যাংকিং কি আসমান থেকে নাজিল হবে? এটি অর্জনের জন্য গোল ঠিক করে সে অনুযায়ী সুদুরপ্রসারী অ্যাকশন প্ল্যান অনুসারে কাজ করতে হবে।

এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকি-এর তালিকার ১-১০-এর মধ্যে যারা আছে তাদের একনম্বরে চীন। এর আগের বছরে ছিল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর। সেটি এবার দুই নম্বরে চলে গেছে। চীনের মোট ৭২টি প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় হলো এশিয়ার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আর পিকিং ইউনিভার্সিটি হলো পঞ্চম। আর হংকঙের আছে ৬টি। এশিয়ার তৃতীয় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হংকং-এ। হংকং-কে চীনের অংশ ধরলে চীনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৮। ছোট দেশ তাইওয়ানের আছে মোট ৩২টি প্রতিষ্ঠান এই তালিকায়। আর ওদের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল তাইওয়ান ইউনিভার্সিটি, যার অবস্থান ২৫ নম্বরে।

এই তালিকার সাথে একটি দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অর্থনীতির উন্নতি একটি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার মতো। এই প্রতিযোগিতায় বর্তমানে চীন অনেক এগিয়ে। অর্থনীতির সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানও একই সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। আসলে এ দুটো একটির সাথে অন্যটি জড়িত। কেউ একা আগাতে পারে না। আমরা কি এটা বুঝি? বুঝলে বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষার মানের অধঃপতন সত্ত্বেও এত উন্নয়ন উন্নয়ন করতাম না।

জাগো বাহে, কুন্ঠে সবাই! এই উন্নয়ন উন্নয়ন নামক ঘুম পাড়ানিয়া গান আর নয়। আমরা সত্যিকারের টেকসই উন্নয়ন চাই যার মুলে রয়েছে শিক্ষায় উন্নয়ন। আর শিক্ষায় উন্নয়ন আসমান ভেদ করে আসবে না। তার জন্য প্রয়োজন বিনিয়োগ।

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version