আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারি যে, একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তখন তার মাঝে দেশপ্রেমের নেশা প্রবল হয়ে দেখা দেয়। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করি, তখন কতো চিন্তা মাথায় ভর করতো তার ইয়াত্তা নেই। মনে হতো এই এডুকেশন সিস্টেম পাল্টাতে হবে, এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। এরপর যখন প্র্যাকটিস টিচিং-এ গেলাম, তখন কত স্বপ্ন মাথায় ভর করতো। রাত জেগে জেগে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ পরিকল্পনা করা, উপকরণ তৈরি করাতে মত্ত হয়ে পড়তাম। এটা-ওটা ঘেটে তাদের জন্য লেকচার তৈরি করতাম। আর সেই আমরাই যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করি তখন হয়ত কাজের চাপে আর নানান চাপে এ কাজ আর করা হয় না। তখন দায়সারাভাবে ক্লাশ নিতে পারলেই বাঁচি।
শিক্ষার্থীরা সাধারণত যে পরীক্ষাগুলোর কথা শুনলে ভয় পায় তা হলো, দুইটি সাময়িক পরীক্ষা এবং একটি বার্ষিক অথবা সমাপনী পরীক্ষা। এই ভয় শুধু যে স্কুল-কলেজে ছিল তাই না, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসেও দেখতে পাই ইনকোর্সের ভয়ে আমরা ভীত থাকতাম। একটি শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলছে কিনা, এর উদ্দেশ্য কতটা সফল হলো, তা জানার যখন আরও অনেক ধরন (বাড়ির কাজ, শ্রেণির কাজ, মৌখিক প্রশ্ন-উত্তর, ব্যবহারিক কাজ) আছে; তবে এই পরীক্ষা নামক জুজুর ভয় কেন আমাদের পোহাতে হবে?
উপানুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়াই আনন্দস্কুলের উদ্দেশ্য। অর্থাৎ বিদ্যালয়ের সময়সূচী হবে নমনীয়। স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে এ সময়সূচী নির্ধারণ করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবই অনুসারে আনন্দ স্কুলের পাঠদান প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।
Raspberry Pi-এর ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা যায় এর দাম আমাদের হাতের নাগালেই। বাংলাদেশে এটির দাম প্রায় পাঁচ হাজার টাকার মতো। এর সাথে যদি আমরা একটি টেলিভিশনের দাম সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা যোগ করি, তাহলে একটি স্মার্ট ক্লাসরুমের জন্য আমাদের খরচ পড়বে মাত্র পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা (তবে এ কাজটি পুরনো টেলিভিশন কিনেও করা যায়।