মইনুল ইসলাম লিখেছেন প্রাথমিক শিক্ষা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে
২০১২ সালের ২০ অক্টোবরের পত্রিকায় জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনেসকো প্রকাশিত হতাশাজনক কিছু তথ্য বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের আসল চালচিত্রটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার-এ প্রকাশিত নিচের তথ্যগুলো খুবই গুরুত্ববহ: ১. ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সের ৮০ লাখ বাংলাদেশি তরুণ-তরুণী কখনোই প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারেনি। ব্যর্থতার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের কাতারে। ২. প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার বাংলাদেশে ৪০ শতাংশের আশপাশে। দারিদ্র্য এবং শিক্ষা লাভে আগ্রহের অভাবকে এ জন্য দায়ী করা হয়েছে। ৩. বিশ্বের ৭৭ কোটি ৫০ লাখ নিরক্ষর বয়স্ক মানুষের মধ্যে চার কোটি ৪০ লাখই রয়েছে বাংলাদেশে। বয়স্ক নিরক্ষরতা সংখ্যার বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি ৮০ লাখ। এদের মধ্যে ১৫ বছরের নিচের বয়সের জনসংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশি। বাকি নয় কোটি ৫০ লাখ মানুষের মধ্যে যদি চার কোটি ৪০ লাখ মানুষ নিরক্ষর হয়, তা হলে ১৫ বছরের বেশি বয়সের জনগণের সাক্ষরতার হার মাত্র ৫৪ শতাংশ। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করছেন, বাংলাদেশ ২০১৪ সালেই নিরক্ষরতামুক্ত দেশে পরিণত হবে। ২০০২ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ঘোষণা করেছিলেন, ওই সময়েই নাকি সাক্ষরতার হার ৬৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। তাঁর ওই ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই ইউএনএফপিএ (ইউনাইটেড ন্যাশনস ফান্ড ফর পপুলেশন অ্যাকটিভিটিজ) একটি জরিপ প্রকাশ করে বলেছিল, প্রকৃতপক্ষে সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৪২ শতাংশ। পরবর্তী ১০ বছরে সাক্ষরতার হার যদি ১২ শতাংশ বাড়ে, তা হলে আমাদের জীবদ্দশায় এ দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করা যাবে না। অথচ বেশ কয়েকটি দেশ সাফল্যের সঙ্গে সাত থেকে দশ বছরের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত হওয়ার নজির সৃষ্টি করেছে, যাদের মধ্যে কিউবা, ভিয়েতনাম, ইরান, কোস্টারিকা ও মালদ্বীপ উল্লেখযোগ্য। সাক্ষরতার হার নিয়ে প্রতারণাপূর্ণ সাফল্যের দাবি বন্ধ করে আমাদের পূর্বাপর সরকারগুলো যদি সত্যিকার অর্থে কার্যকর পদক্ষেপ নিত, তা হলে বিপুল বিনিয়োগযজ্ঞ ছাড়াই দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করা যেত। ইউনেসকো বহু বছর আগেই শিক্ষার সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে বার্ষিক সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে জিডিপির ৬ শতাংশে এবং সম্ভব হলে ৮ শতাংশে উন্নীত করার ব্যাপারে সব দেশের অঙ্গীকার আদায় করেছিল। বাংলাদেশও ওই অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর দিয়ে এসেছে। কিন্তু ২০০৪-০৫ অর্থবছরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বাজেটে জিডিপির মাত্র ২.০৭ শতাংশ সরকারি ব্যয় করা হয়েছিল শিক্ষা খাতে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তুলনায় মহাজোট সরকার অনেক বেশি শিক্ষাবান্ধব। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর কারণেই স্বাধীনতার ৪০ বছর পর জাতি একটি গ্রহণযোগ্য শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন শুরু করতে পেরেছে। কিন্তু শিক্ষা খাতে সরকারি ব্যয় বরাদ্দে অগ্রগতির চেয়ে অধগতিই লক্ষ করা যাচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ২.৩২ শতাংশ বরাদ্দ করা হলেও ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা ২.০৫ শতাংশে নেমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী খোঁজ নিলে দেখতে পাবেন, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে এই ২.০৫ শতাংশ অনুপাতটি সর্বনিম্ন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ দ্রুত বাড়াতে হবে।
প্রাথমিক স্তরে যে ৪০ শতাংশ ঝরে পড়ছে, তা নামিয়ে আনতে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষাকে একক মানসম্পন্ন, যুগোপযোগী ও আধুনিক শিক্ষায় রূপান্তরিত করার ‘সাংবিধানিক অঙ্গীকার’কে (সংবিধানের ১৭ ধারায় প্রদত্ত) মহাজোট সরকার অগ্রাহ্য করছে কেন? ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেটে বঙ্গবন্ধুর সরকার সরকারি ব্যয়ের ২১.১৬ শতাংশ বরাদ্দ দিয়েছিল ‘শিক্ষা ও ক্রীড়া’ খাতে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ওটাই ছিল শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ। স্বৈরাচার এরশাদ সরকার ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ বাজেটের মাত্র ৮.৬৯ শতাংশে নামিয়ে ফেলেছিল। ওই সময়েও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। জানি না, এটা কাকতাল কি না! শিক্ষায় জিডিপির মাত্র ২.০৫ শতাংশ খরচ করে সরকার ২০১৪ সালে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাইছে কোন যুক্তিতে? বাজেটের মাত্র ১২ শতাংশ শিক্ষার পেছনে ব্যয় করে শিক্ষাকে প্রধান অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিও প্রতারণাপূর্ণ।
প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার নিচের বিষয়গুলো সর্বশক্তি দিয়ে সংশোধন না করলে আমাদের শিক্ষা সমস্যার সমাধান মিলবে না:
১. প্রাথমিক স্তরে দেশে ১১ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে: সরকারি প্রাইমারি স্কুল, রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল, নন-রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল, এক্সপেরিমেন্টাল প্রাইমারি স্কুল, প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাইমারি স্কুল, কমিউনিটি স্কুল, এনজিও পরিচালিত স্কুল, কিন্ডারগার্টেন, এবতেদায়ি মাদ্রাসা, স্যাটেলাইট স্কুল ও হাইস্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাইমারি স্কুল। এই ১১ ধরনের স্কুল গড়ে ওঠার ব্যাপারটি বলে দিচ্ছে যে আমরা ছেলেমেয়েদের গিনিপিগ হিসেবে বিবেচনা করছি এবং শিক্ষাজীবনের শুরুতেই তাদের বৈষম্যের সমুদ্রে ঠেলে দিচ্ছি। ধনাঢ্য পিতা-মাতার সন্তানেরা কিন্ডারগার্টেনের ‘শিক্ষা বাজার’ থেকে মানসম্পন্ন (প্রধানত ইংরেজি মিডিয়ামের) শিক্ষা লাভ করছে; কিন্তু বাকি ১০ ধরনের স্কুলশিক্ষার মধ্যে রয়েছে বিশাল বৈষম্য। বিশেষত নন-রেজিস্টার্ড বেসরকারি স্কুল ও এবতেদায়ি মাদ্রাসায় যে ধরনের প্রাথমিক শিক্ষা প্রচলিত রয়েছে, তাকে মানসম্পন্ন বলা যাবে না। গ্রামের সরকারি প্রাথমিক স্কুল, রেজিস্টার্ড বেসরকারি স্কুল এবং শহরাঞ্চলের নিম্নবিত্ত জনবসতির প্রাথমিক স্কুলের লেখাপড়াও মানসম্পন্ন নয়। তাই সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক জনগণের সন্তানেরা প্রাথমিক স্তরেই পিছিয়ে পড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রাইভেট টিউশনির ক্রমবর্ধমান দৌরাত্ম্য। নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিক মানুষ সন্তানদের প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ানোর সামর্থ্য রাখে না। বিশ্বের আর কোনো দেশে প্রাথমিক স্তরে ১১ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েশন স্তর পর্যন্ত কোনো নাগরিকের সন্তানদের জন্য ইচ্ছেমতো স্কুল বাছাইয়ের স্বাধীনতা থাকে না, প্রিসিঙ্কট (Precinct) মোতাবেক স্কুল সুনির্দিষ্ট থাকে। আমাদের দেশেও অন্তত অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একক মানসম্পন্ন, আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষার মানের বৈষম্য দূর করা যাবে না। সে জন্য বর্তমান শিক্ষানীতিকে অদূর ভবিষ্যতে আরও বড়সড় সংস্কারের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।
২. কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম সম্পর্কে বর্তমান শিক্ষানীতিতে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। প্রতিবছর লাখ লাখ নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মা-বাবার সন্তানেরা কওমি মাদ্রাসাগুলোয় ভর্তি হয়। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, শিশুসন্তানেরা মা-বাবার সম্পত্তি নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবার একক সিদ্ধান্তে নাবালক শিশু কওমি মাদ্রাসার যুগোপযোগিতাহীন শিক্ষাব্যবস্থায় আটকা পড়ে সারা জীবনের জন্য একটা অপ্রাপ্তির চক্রে আবর্তিত হয়। বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে রাষ্ট্র মা-বাবাকে এ ধরনের যথেচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার দেয় না। আমাদের সংবিধানও এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে। কোনো শিশুকে স্কুলে না পাঠানোর অধিকার যেমন মা-বাবাকে দেওয়া হয় না, তেমনি রাষ্ট্রকেও শিশুর মেধা ও মনন বিকাশের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। অভিন্ন মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষার যুক্তি এ জন্যই অলঙ্ঘনীয়।
৩. প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ‘মধ্যাহ্ন খাবার’ সরবরাহের বিষয়টিও ‘ড্রপ আউট’ সমস্যার সমাধানে কার্যকর প্রতিষেধক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভারতেও এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। কিন্তু দেশে দুর্নীতির প্রকোপ এত বেশি যে এই কর্মসূচি চালু করার পক্ষে দুর্নীতিকেই বড় বাধা বিবেচনা করা হচ্ছে। একটা প্রস্তাব হতে পারে, প্রতিটি শ্রেণীর আনুমানিক ৫০ জন ছাত্রছাত্রীকে দুই ভাগে ভাগ করে মাসে এক বেলা একজন ছাত্রছাত্রীর মাকে পালাক্রমে ২৫ জন ছাত্রছাত্রীর দুপুরের খাবার (যেমন একটি সেদ্ধ ডিম, সবজি, ডাল, ভাত) খাওয়ানোর দায়িত্ব প্রদান করা। এতে নিজের সন্তানকে ২৫ দিনে ২৫ বেলা খাওয়ানোর সমান খরচ পড়বে। এ ধরনের ব্যবস্থা রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস, বাংলাদেশ (রিব) পরিচালিত প্রায় ২০০ কাজলী প্রি-স্কুল শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে সাফল্যের সঙ্গে চালু আছে। শিশুদের মা-বাবাকে সহজেই ব্যাপারটিতে উদ্বুদ্ধ করা গেছে এবং অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে মায়েরা শিশুদের খাবার পরিবেশন করে থাকেন। এই ব্যবস্থা প্রাইমারি স্কুলের ছয়টি শ্রেণীর জন্য চালু করতে চাইলে প্রতিটি স্কুলে একটি আলাদা খাবারকক্ষ নির্মাণ করতে হবে। মায়েরা নিজেদের বাড়ি থেকে খাবার রান্না করে নিয়ে এসে ওই কক্ষে পরিবেশন করবেন। ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ব্যাচে বিভক্ত হয়ে ওই কক্ষে এসে খাবার খেয়ে যাবে। সরকার চাইলে রিব এ ধরনের পাইলট প্রকল্প শুরু করায় সহায়তা দিতে রাজি হবে।
৪. প্রাইমারি শিক্ষার সকল স্তরে প্রাইভেট টিউশনি নিষিদ্ধ ঘোষণা করাও বৈষম্য নিরসনের আরেকটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। পাঠকক্ষের পাঠদানের মান বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং পাঠ্য বিষয়সমূহের আধুনিকীকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরই শিক্ষার পণ্যকরণকে রুখে দাঁড়ানো যাবে।
৫. সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সন্তানদের জন্য গড়ে ওঠা কিন্ডারগার্টেনগুলোকে মূলধারার প্রাইমারি শিক্ষার পাঠ্যক্রম অনুসরণে বাধ্য করতে হবে। এক বাংলাদেশের মধ্যে তিন ধরনের সমাজ গড়ে তুলছে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা—কিন্ডারগার্টেনের ইংরেজিপ্রেমিক সমাজ, মূলধারার শিক্ষাপ্রাপ্ত সমাজ এবং মাদ্রাসা থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত বাংলাবিদ্বেষী সমাজ। এহেন আত্মঘাতী বৈষম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থা চলতে দেওয়া যায় না।
মুক্তবাজার অর্থনীতির ডামাডোলে শরিক হয়ে দেশে পঁচাত্তর-পরবর্তী সরকারগুলো শিক্ষার বাজারীকরণের মহোর্যাসবে মেতে উঠেছে। কিন্তু বিশ্বের পুঁজিবাদী মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, ইতালি ও কানাডার মতো দেশের কোনোটাই প্রাথমিক শিক্ষাকে বাজারের পণ্যে পরিণত করেনি। এসব দেশের প্রতিটিতেই একক মানসম্পন্ন আধুনিক প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করছে রাষ্ট্র। প্রতিটি দেশেই সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো মা-বাবার (কিংবা অভিভাবক) জন্য বাধ্যতামূলক, না পাঠালে পুলিশ মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। উন্নয়নশীল যেসব দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন করেছে, সেসব দেশের প্রতিটি নাগরিককে শিক্ষিত করার সাধনায় জয়ী হয়েছে—এর কোনো ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যাবে না। দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, ইরান—এসব দেশ অভিন্ন প্রমাণ তুলে ধরছে। সে জন্যই নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বিশ্বের জনগণের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথনির্দেশ করেছেন নিচের অমোঘ সত্যটি উচ্চারণ করে:
‘উন্নয়ন চাইলে স্কুল গড়ো’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি কি শুনছেন?
ড. মইনুল ইসলাম: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
লেখক পরিচিতি
সম্পাদক বাংলাদেশের শিক্ষা
এই লেখাটি সম্পাদক কর্তৃক প্রকাশিত। মূল লেখার পরিচিত লেখার নিচে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাই সব কিছু দিয়ে দিতে পারত। শিক্ষা শুধু নয় সব সেক্টরেরই ব্যর্থ! দুঃখজনক কথা।