দেখা যায়, একটি এলাকায় হয়তো একাধিক সংস্থা কাজ করছে; আবার অন্য এলাকায় উপানুষ্ঠানিক বিদ্যালয় প্রয়োজনের তুলনায় কম। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় না থাকলে এমনটি হওয়ারই কথা। সমন্বয় থাকলে হয়তো দেখা যেত, শিক্ষার্থীসংখ্যা বিচারে একটি এলাকায় একাধিক সংস্থার কাজ করার প্রয়োজন নেই।
উপানুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়াই আনন্দস্কুলের উদ্দেশ্য। অর্থাৎ বিদ্যালয়ের সময়সূচী হবে নমনীয়। স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে এ সময়সূচী নির্ধারণ করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবই অনুসারে আনন্দ স্কুলের পাঠদান প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।
“কীভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা জনপ্রিয় করা যায়”- এ নিয়ে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা যথেষ্ঠ ব্যস্ত সময় পার করছেন। মিটিং-সিটিং কম হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকদেরও ডাক পড়ছে হরহামেশা। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ও একাধিকবার বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে তার টেনশনের কথা প্রকাশ করেছেন। তাই আশা করবো, উল্লেখিত প্রস্তাবখানা সরকারের নীতি-নির্ধারকগণ বিবেচনা করে দেখবেন।
যদিও অনেকেই প্রাক-সাক্ষর সমাজের এই শিক্ষাকে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা হিসেবে বিবেচনা করেন, তথাপি আমাদের মতে এই শিক্ষা আসলে একেবারে অনানুষ্ঠানিক ছিল না। গোত্রপতি বা দলপতির কাছে শিক্ষাগ্রহণের জন্য কতোগুলো আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যেতে হত। এমনকি অনেক বিষয় শিশুদের অভিনয় করে দেখানো হত যা আজ Role Play নামক Learning Strategy-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।