বিজ্ঞান শিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রেষণা প্রদান না করলে বিজ্ঞান শিখনের প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে না। এই সমস্যার সমাধান হলো, বিজ্ঞান শিক্ষণের কৌশল সম্পর্কে জানা অর্থাৎ আর্ট অফ সাইন্স টিচিং সম্পর্কে ধারণা লাভ করা।
শিক্ষা কেবল পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানার্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সেই জ্ঞানকে বাস্তব জগতের সঙ্গে সংযোগ করাও একটি বড় উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীরা তথ্য জানবে এবং দায়িত্বশীলতার সাথে সিদ্ধান্তগ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে দেশের একজন আস্থাবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবার মাধ্যমে সমাজে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে, অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে, কাঙ্ক্ষিত গুণগত জীবন অর্জনের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
শিক্ষার্থীরা যদি বইয়ে সোনারগাঁ সম্পর্কে পড়ে, তবে কোনো এক সময়ে পরিবারের সাথে উক্ত স্থান দেখতে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে শিক্ষকের দায়িত্ব হলো স্থান পরিদর্শনে সহায়তা করা। সেখানে গিয়ে তারা কী দেখবে বা কীভাবে পাঠের সাথে সম্পৃক্ততা খুজবে, সে বিষয়ে সাহায্য করবেন।
আমাদের দেশে বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক অস্থিরতার যে চরম সময় পার করছে, এর থেকে বের হয়ে আসতে গেলে বোঝা প্রয়োজন, রাজনীতি করার প্রতি তাদের আগ্রহটা কীসের? স্বল্পসময়ে অর্থ আর ক্ষমতার প্রলোভনটাই কি তাদের বেশি টানে নাকি আরও অন্যান্য কারণ আছে।
শিক্ষা এই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও টেকসই করতে পারে তখনি যখন শিক্ষা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য নিশ্চিত করা হবে, একই সাথে উচ্চ শিক্ষিত ও নিম্ন শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে ফারাক কমিয়ে আনা হবে। তবে শিক্ষা অর্জনের ধরন আর প্রদানের ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে। পাঠ্য বইয়ের শিক্ষাকে বাস্তব জীবনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
শ্রেণীকক্ষে মোবাইল ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়া যায়, টেলিভিশনের মাধ্যমে দূর শিক্ষণকে জনপ্রিয় করা সম্ভব, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় না এমন কী আছে? এগুলো সব কাজের কথা, প্রয়োজনের কথা। কিন্তু এ প্রয়োজনটা শিক্ষকদের বোঝানো দরকার আর সেটা করতে হবে হাতেকলমে। শিক্ষার ক্ষেত্রে উদ্যোগটা নিতে হবে নিজেকেই।