শ্রেণীকক্ষে মোবাইল ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়া যায়, টেলিভিশনের মাধ্যমে দূর শিক্ষণকে জনপ্রিয় করা সম্ভব, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় না এমন কী আছে? এগুলো সব কাজের কথা, প্রয়োজনের কথা। কিন্তু এ প্রয়োজনটা শিক্ষকদের বোঝানো দরকার আর সেটা করতে হবে হাতেকলমে। শিক্ষার ক্ষেত্রে উদ্যোগটা নিতে হবে নিজেকেই।

শিক্ষায় ডিজিটাল ক্লাসরুম সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে নিচের উক্তিটি পড়া প্রয়োজন।

Knowledge is not memorization of facts and figures, but is constructed through research and application, and connected to previous knowledge, personal experience, interests, talents and passions.

আমরা যারা একুশ শতকের মানুষ, আমরা যে বর্তমানে একটা ডিজিটাল যুগে বাস করছি এটা কি আমরা সবাই উপলব্ধি করতে পারছি? বিংশ শতকের শিক্ষা আর একুশ শতকের শিক্ষার মধ্যে যে তথ্যগত, প্রযুক্তিগত, শিক্ষন-শিখন পদ্ধতি, কারিকুলামসহ বিদ্যালয় ও শ্রেণীকক্ষের শিক্ষণ পরিবেশের মধ্যে যে পার্থক্য আছে, এটা হয়ত আমরা অনেকেই জানি না। ডিজিটাল ক্লাসরুম সম্পর্কে আমরা কতোটুকু জানি? এ শতক বিদ্যালয়ে আদর্শ শিক্ষন পরিবেশ সৃষ্টি করার কথা বলে, যেখানে বিশ্ব জ্ঞানভাণ্ডারের সাথে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকের মধ্যকার সেতুবন্ধ বা সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।

টিকে থাকার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের আয়ত্তে রাখতে হবে একুশ শতকীয় সাক্ষরতা- যার মধ্যে পড়ে মাল্টিকালচারাল, মিডিয়া, তথ্য, মনোজাগতিক, পরিবেশিক, অর্থনৈতিক ও সাইবার-সাক্ষরতা। এ-জাতীয় সাক্ষরতা বাড়াতে হলে দুনিয়ার অন্য দেশের ছাত্রছাত্রীদের সাথে মিথস্ক্রিয়া বাড়ানো দরকার। প্রতিযোগিতা নয়, বরং সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈশ্বিক সংস্কৃতিতে মনোনিবেশ করতে হবে তথ্য-হাইওয়ের সাহায্যে। এ শতকের শিক্ষকের দায়িত্বকে সংজ্ঞায়িত করলে আমরা দেখতে পাই, শিক্ষকের কাজ হলো- to learn and help students to turn information into knowledge, and knowledge into wisdom. অর্থাৎ এ শতক কেবল তথ্য দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং তারা জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র তৈরি করে। একুশ শতকের কারিকুলামের একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে, এটা আন্তঃবৈষয়িক, প্রজেক্টভিত্তিক ও গবেষণা-চালিত। এটি জাতীয় ও বিশ্বপর্যায়ের কমিউনিটির সঙ্গে জড়িত। এ শতকের কারিকুলাম higher order thinking skills, multiple intelligences, technology এবং multimedia এবং একইসাথে multiple literacy-কে অন্তর্ভুক্ত করে। কারিকুলাম textbook-driven বা fragmented নয় বরং এটা হতে হবে বিষয়কেন্দ্রিক, প্রজেক্টনির্ভর এবং সমন্বিত। এখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রজেক্টভিত্তিক কাজের মাধ্যমে নিজেরাই শিক্ষণ দক্ষতাগুলো অর্জন করবে। এ সকল কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহের জন্য পাঠ্যবই এবং অন্যান্য মাধ্যমগুলোও ব্যবহার করবে। এ শতকের শিক্ষা, শিক্ষার্থীদের প্রজেক্টভিত্তিক কাজের বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্য মূল্যায়নের ওপরে শিক্ষকদের অবদানকেও ব্যাখ্যা করে। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, “Real-world audiences are an important part of the assessment process, as is self-assessment”. অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্ব-মূল্যায়নের একটি গঠনমূলক অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাই একুশ শতকের শিক্ষা বর্তমানে কেবল শ্রেণীকক্ষের চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এ শতকের শিক্ষার্থীরা self-directed। তারা স্বাধীনভাবে এবং পারষ্পরিক মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে।

পারষ্পরিক মিথষ্ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার অন্যতম মাধ্যম হলো শ্রেণীকক্ষে প্রযুক্তির ব্যবহার বা ডিজিটাল ক্লাসরুম। এখন প্রশ্ন হলো, শ্রেণীকক্ষে শিক্ষণ-শিখন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন কোন প্রযুক্তি আমরা শ্রেণীকক্ষে ব্যবহার করতে পারি? শ্রেণীকক্ষে ব্যবহার উপযোগী প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে কম্পিউটার, প্রিন্টার, ডিজিটাল ক্যামেরা, স্ক্যানার, সাইন্স প্রোব, প্লটার, ইলেকট্রনিক হোয়াইটবোর্ড, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর উল্লেখযোগ্য। আমাদের দেশে শ্রেণীকক্ষগুলোতে একলাফে এই সকল প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্ভব না হলেও শুরুর দিকে আলোচনা, ছবি প্রদর্শন, পাঠের বিষয়বস্তু সহজভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির কার্যকারিতা শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরতে হবে। পরবর্তীতে নানা ডেমো ক্লাস বা ওয়ার্কশপের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা উপস্থাপন করা যেতে পারে। এভাবে ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রযুক্তির প্রয়োগ শ্রেণীকক্ষে বাড়াতে হবে। নিচের চিত্রে একটি ডিজিটাল শ্রেনীকক্ষের ধারণা দেখান হলো।

প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করবে যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহারই প্রমিত কার্যধারা। শ্রেণীকক্ষে প্রযুক্তির ব্যবহার-
• শিক্ষার্থীদের যে কোনো উন্নয়নের জন্য creative, numerate, literate, well-trained এবং readily re-trainable করবে।
• শিক্ষকদের শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষণ পরিবেশ গঠনের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে।
• বিদ্যালয় পাশ শিক্ষার্থীদের এমন বুনিয়াদি দক্ষতা ও কার্যকারিতা তৈরি করতে সহায়তা করবে যাতে তারা চাকরির বাজারে সফলতার সাথে উৎরে যায়।

কেবল এইগুলোই নয়, প্রযুক্তির ব্যবহার একুশ শতকের শিক্ষার্থীদের শিখন চাহিদা পুরণের সাথে সাথে ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে লড়াই করতে শেখাবে। আমরা উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে টেকসই উন্নয়নের কথা বলি, সেটি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

একুশ শতকের বিদ্যালয়, শ্রেণীকক্ষ বা ডিজিটাল ক্লাসরুম, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কারিকুলাম ও মূল্যায়নের এ ধারণা আমাদের দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকসহ সকল শিক্ষা ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ২০১১ সালে কম্পিউটার বিষয়টির প্রবর্তন একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হলেও কেবল কম্পিউটারকে পাঠ্য হিসেবে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করলেই শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ব্যবহারে পটু হয়ে উঠবে না। নিঃসন্দেহে এটি একটি দারুণ পদক্ষেপ হলেও তা কিছু প্রশ্নের উত্তর প্রদানে ব্যর্থ। প্রথমত, কেবল বিষয়ের অন্তর্ভুক্তিকরণ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে কম্পিউটার প্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ হবার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখবে কি? দ্বিতীয়ত, পুঁথিগত বিদ্যাকে তারা ঠিক কতখানি বাস্তব জীবনের সাথে সম্পর্কযুক্ত করতে শিখবে? তৃতীয়ত, বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ এবং ভূমিকা সম্পর্কে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে সমর্থ হবে কি?

উপরিউক্ত প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর প্রদানের জন্য এ মুহূর্তে পর্যাপ্ত সুযোগ বা ব্যবস্থা আমাদের দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত আমরা বুঝি বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাবার প্রাণপণ চেষ্টা করছে, কম্পিউটারকে বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে ব্ল্যাকবোর্ডের পরিবরতে হোয়াইট বোর্ডের সংযোজন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বিদ্যালয়গুলোতে এখনও পর্যন্ত শিক্ষকদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে শ্রেণীকক্ষে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার শুরু হয়নি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের বাইরে বেরিয়ে প্রজেক্টভিত্তিক কাজের সুযোগ-সুবিধা পায় না। স্ব-শিখনকে আমলে এনে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অন্বেষণের ক্ষেত্রে ‘ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী’ হবার সম্ভাবনাকে আমলে এনে শিক্ষার্থীর সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। ৪৫ মিনিটের কাছাকাছি সময় পর্যন্ত নির্ধারিত ক্লাসের সময়ে বিষয়ভিত্তিক তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিকের হাতেকলমের শিক্ষা ঠিক কতখানি ফলপ্রসূ হবে, এই ব্যপারে খানিকটা সন্দেহ রয়ে যায়।

এখন যেটা কাজের কথা সেটা হল, কী করে নিজেদের আমরা এই শতকের উপযুক্ত করে তুলতে পারি? আমাদের শিক্ষার শুরুটা হল বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে। কাজেই প্রথম যে পদক্ষেপটি নিতে হবে সেটা হলো, শিক্ষার্থীদের শিক্ষণের জন্য একুশ শতকের উপযোগী ডিজিটাল ক্লাসরুম নিশ্চিতকরণ। ক্যারিবিয় অঞ্চলে এক সময় শ্রেণীকক্ষের চিত্র ছিল একটি টিপিক্যাল ক্লাসরুমের মতো। বসবার জন্য সারিবদ্ধ টেবিল-চেয়ার, ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে চক হাতে বিষয় শিক্ষকের টানা বক্তৃতা দিয়ে যাওয়া, হিপনোটাইজড শিক্ষার্থীদের চোখ চুম্বকের মতো শিক্ষকের প্রতিটি শব্দের ওপরে আটকে যাওয়া, বোর্ডে লিখে যাওয়া পাখির বুলি- এমনটিই ছিল শ্রেণীকক্ষের পরিবেশ। এখন সে পরিবেশ বদলে এখন সেখানে শ্রেণীকক্ষে কম্পিউটার টেকনোলজি প্রতিস্থাপিত হয়েছে। পূর্বে তাদের শ্রেণীকক্ষে টেলিভিশন, রেডিও, ভিসিআর, ওভারহেড প্রজেক্টার টেকনোলজির ব্যবহার ছিল। পরবর্তীতে কম্পিউটার টেকনোলজি ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের আবির্ভাব তাদের শিক্ষন-শিখনের মান উন্নয়ন ঘটিয়েছে। যুক্তরাজ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতি ছয় জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি নয় জন শিক্ষার্থীর জন্য একটি কম্পিউটার বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানে শতকরা ৯৯ ভাগ শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত। যেখানে শিক্ষকরা আইসিটির ওপরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, যা কিনা ১৯৯৮ থেকে ২০০২ এসে শতকরা ৬৩ ভাগ থেকে ৭৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে। আমরা যদি একই বিচারে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রয়োগ এর কথা চিন্তা করি তাহলে কী দেখতে পাই? ]

নিঃসন্দেহে ডিজিটাল ক্লাসরুম তৈরিতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এই পিছিয়ে থাকাটা যে ঠিক কতখানি তা আমদের ধারণার বাইরে। আমাদের হাতে হাতে মোবাইল, ঘরে ঘরে টিভি, কম্পিউটারের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এ প্রযুক্তিগুলোকে যে কেবল বিনোদনের জন্য নয়, শিক্ষার কাজেও লাগানো সম্ভব এটা আমরা কজনই বা মানি। শ্রেণীকক্ষে মোবাইল ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়া যায়, টেলিভিশনের মাধ্যমে দূর শিক্ষণকে জনপ্রিয় করা সম্ভব, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় না এমন কী আছে? এগুলো সব কাজের কথা, প্রয়োজনের কথা। কিন্তু এ প্রয়োজনটা শিক্ষকদের বোঝানো দরকার আর সেটা করতে হবে হাতেকলমে। শিক্ষার ক্ষেত্রে উদ্যোগটা নিতে হবে নিজেকেই। কারণ আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে সরকারের পক্ষে দেশ চালানোর ঠেলা সামলে এককভাবে শিক্ষার উন্নয়নের কথা চিন্তা করা সম্ভব নয়। ব্যক্তিগত উদ্যোগকে তাই প্রাধান্য দিতে হবে। চিন্তা চেতনায় স্বকীয়তা তৈরি করতে না পারলে কে কখন শেখাবে আর সাহায্য করবে এ আশাতেই তীর্থের কাকের মতন সময়টা গড়িয়ে যাবে বিনা উন্নয়নে। মোদ্দা কথা হল, উন্নয়ন চাই এবং সেটা টেকসই হতে হবে। এই উন্নয়নকে তরান্বিত করতে সাহায্য করবে শ্রেণীকক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার। প্রকৃতপক্ষে এই ব্যবহার বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ থেকে শুরু না করলে দেশের উন্নয়নকে সামনের দিকে ক্রমশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়; কারণ একটা জাতি তখনই উন্নতির দিকে এগিয়ে যায় যখন সে জাতি তাঁর শিক্ষা ব্যবস্থার ভিতকে মজবুত করে।

Let us think of education as the means of developing our greatest abilities, because in each of us there is a private hope and dream which, fulfilled, can be translated into benefit for everyone and greater strength for our nation. -John F. Kennedy (1917-1963) Thirty-fifth President of the USA  

Sending
User Review
0 (0 votes)

লেখক সম্পর্কে

ফারহানা মান্নান

ফারহানা মান্নান

ফারহানা মান্নান: লেখক, শিল্পী, শিক্ষা-গবেষক। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগবেষণায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত।

মন্তব্য লিখুন