বাড়িশিক্ষাক্রম ও পুস্তকশুদ্ধস্বর প্রকাশনা থেকে বইমেলায় বেরিয়েছে "বাংলাদেশের শিক্ষা : সমসাময়িক ভাবনা"
বাংলাদেশের শিক্ষা: সমসাময়িক ভাবনা
বাংলাদেশের শিক্ষা: সমসাময়িক ভাবনা

এবারের একুশের বইমেলায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনা সংস্থা থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে “বাংলাদেশের শিক্ষা: সমসাময়িক ভাবনা” নামক বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে মোট ১৬ জন লেখকের ২২ টি প্রবন্ধ রয়েছে। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক গৌতম রায় ।

প্রবন্ধগুলোর অধিকাংশই শিক্ষা বিষয়ক প্রবন্ধের ওয়েবসাইট বাংলাদেশের শিক্ষাতে প্রকাশিত হয়েছিল বিভিন্ন সময়ে। পরবর্তীতে সেগুলো পরিমার্জিত ও বর্ধিত সংস্করণ প্রকাশিত হয় বইটিতে। কিছু প্রবন্ধ জাতীয় পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছিল আগে। প্রাবন্ধিকরা সকলেই তরুণ কিংবা তারুণ্যের শেষ প্রান্তে। তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিগণ বাংলাদেরশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কী ভাবেন, কী রকম শিক্ষাব্যবস্থা দেখতে চান তার বহিঃপ্রকাশই ঘটেছে বইটিতে। এর পাশাপাশি আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার নানা সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধানের পথও খুঁজেছেন তরুণ প্রাবন্ধিকগণ। ২০১০-এর শিক্ষানীতি, দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা, শিক্ষাখাতে অর্থায়ন, নারী শিক্ষা, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষা, ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা, শিক্ষাখাতে দুর্নীতি থেকে শুরু করে বইটিতে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক, শিক্ষকতা পেশা এমনকি শিক্ষাবিজ্ঞান নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, দেশের শিক্ষাকাঠামোর প্রায় প্রতিটি দিকই প্রতিফলিত হয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষা : সমসাময়িক ভাবনা গ্রন্থে।

শিক্ষা সেক্টরে যারা কাজ করছেন, দেশের শিক্ষা নিয়ে যারা ভাবেন কিংবা শিক্ষা নিয়ে যারা পড়াশুনা করছেন তাদের জন্য বইটি জরুরি মনে হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা বা শিক্ষার অবস্থা নিয়ে চিন্তিত নাগরিকেরা বইটিতে নিরপেক্ষ কিছু মতামত পাবেন বলে আশা রাখি। বইটিতে যারা লিখেছেন তাদের সিংহভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে তাঁরা দেশের শিক্ষা সেক্টরের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছেন। আইইআরের শিক্ষার্থী নন কিন্তু শিক্ষকতা ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন এমন ক’জন প্রখ্যাত ব্যক্তিও লিখেছেন বইটিতে। সামহোয়ার ইন ব্লগের শ্রদ্ধেয় ব্লগার ড. রাগিব হাসানেরও একটি লেখা রয়েছে। আরো লিখেছেন ব্র্যাক শিক্ষা কার্যক্রমের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব মাছুম বিল্লাহ।

একুশের বইমেলায় শুদ্ধস্বরের স্টলে বাংলাদেশের শিক্ষা : সমসাময়িক ভাবনা বইটি পাওয়া যাচ্ছে। ১২০ পৃষ্ঠার বইটির গায়ে দাম লেখা আছে ২৪০ টাকা। ডিসকাউন্টসহ বইটি ১৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বইমেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্সে শুদ্ধস্বর প্রকাশনার নিজস্ব দোকানে বইটি পাওয়া যাবে। ঘরে বসে রকমারি ডট কমের মাধ্যমেও বইটি পেতে পারেন আপনারা।

আরও পড়ুন

মতামত

বিজ্ঞান চেতনা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন বিজ্ঞান শিখছে শিশুরা?

নাহিদ নলেজ বিজ্ঞান চেতনা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কী- এ সম্পর্কে বিস্তর কথাবার্তা আমাদের সবার জানা। সেই প্রাথমিক শিক্ষাটুকুই যদি গলদপূর্ণ হয়, তাহলে আর কী কথা...

দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আপনি কি সন্তুষ্ট?

মোঃ তৌফিক ইমাম চৌধুরী লিখেছেন বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থা আছে তা নিয়ে কি আপনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট? প্রাথমিক কিংবা নিম্নমাধ্যমিক শ্রেণীতে একজনকে অনেকগুলো বিষয়ে পড়তে...
নতুন লেখার খবর পান ইমেইলে
বাংলাদেশের শিক্ষা প্রসঙ্গে নতুন লেখা প্রকাশিত হলে সেই খবর পৌঁছে যাবে আপনার ইমেইলে।

এই বিভাগের আরও লেখা

শিক্ষাক্রম: প্রাথমিক স্তরের অর্জন উপযোগী যোগ্যতা বনাম বাস্তবে অর্জিত যোগ্যতা

প্রাথমিক শিক্ষার সাথে যুক্ত থাকার কারণে শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের সাথে মেশার সুযোগ হয়। সেই...

বই পর্যালোচনা: তোত্তোচান জানালার ধারে ছোট্ট মেয়েটি

তানজিনা আক্তার রুপা পর্যালোচনা করেছেন তোত্তোচান বইটির বাংলা অনুবাদ জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব...

বই পর্যালোচনা: ব্যাকরণ ও বিবিধ

মূল লেখাটি লিখেছেন: আবদুল্লাহ আল নোমান; প্রকাশ করেছেন: সম্পাদক, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাকরণ ও বিবিধ বইয়ের...

বিদ্যালয় হোক আনন্দের এক রঙিন ফুল

হাবীব ইমন লিখেছেন বিদ্যালয় ও আনন্দময় শিক্ষা নিয়ে শিক্ষা-সংশ্লিষ্টতায় অনেকদিন যোগাযোগ ছিল না। যখন একটি...

শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন: সংশ্লিষ্টদের বিড়ম্বনা

ডিজিটালাইজেশন তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সম্প্রসারণের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে তথ্যের আদান-প্রদানকে সহজলভ্য করে মানুষের সময়, শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় করা। এক্ষেত্রে পরিকল্পনা প্রণয়ন পর্যায়ে দেশে বিরাজমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সুবিধা ও সুবিধাভোগীদের প্রযুক্তিজ্ঞানের কথা যেমন মাথায় রাখতে হবে, তেমনি গৃহীত পদক্ষেপ বা পদ্ধতি কতটা সুবিধা দিতে পারছে তাও নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। আর তাহলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারবো তথ্যপ্রযুক্তির অপার সম্ভাবনার রাজ্যে।

পাঠ্যপুস্তক উৎসব এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর এক উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন বই হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য!

বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থায় বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে প্রস্তাবনা

আদর্শ শ্রেণিকক্ষে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক যদি সময়ের চাহিদা পূরণে সক্ষম এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করে আধুনিক শিখন-শেখানো পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীকে শিক্ষালাভে সহায়তা করেন এবং যথাযথভাবে মূল্যায়ন করেন তবেই সম্ভব হবে আকাঙ্ক্ষিত মাত্রায় শিখনফল অর্জন। সার্থক হবে শিক্ষাব্যবস্থা, অর্জন করা সম্ভব হবে শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য

ইংরেজি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি এবং এনসিটিবির ভূমিকা

যদি এমন করা হতো যে, এনসিটিবি কর্তৃক বই গাইডলাইন আকারে থাকবে এবং প্রশ্ন বাজারের কোনো ধরনের বই থেকে কোনোভাবেই নেয়া যাবে না, তবে প্রাকটিসের জন্য শিক্ষার্থীরা যে কোনো বই অুনশীলন করতে পারে তাহলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হতো এবং ইংরেজি পরীক্ষা সঠিক গ্রহণযোগ্যতা পেত।