বাড়ি বিদেশে শিক্ষা

আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা: বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিবেন কীভাবে?

আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন; ছবিসূত্র: easyuni.com

আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক। হাজার হাজার। এর মাঝে হার্ভার্ড, প্রিন্সটনের মতো বনেদি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন আছে, তেমনি আছে অখ্যাত নাম না জানা নামসর্বস্ব বিশ্ববিদ্যালয়। কাজেই আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেয়াটার পিছনে সময় দিতে হবে।

কোথায় একেবারেই যাবেন না?

শুরুতেই বলি কী ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় একেবারেই বাদ দিবেন। প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা আসলে ডিগ্রি বিক্রির ব্যবসা করে। এসব জায়গার পিছনে টাকাপয়সা ঢালা বোকামি। ভর্তি হলেও এসব জায়গার নাম দেখলে ভিসা প্রত্যাখ্যান নিশ্চিত।

কাজেই শুরুতেই দেখবেন, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবছেন সেটির বা সেটিতে আপনার বিভাগের ডিগ্রি প্রোগ্রামের এ্যাক্রেডিটেশন আছে কি না, এবং যে সংস্থা এ্যাক্রেডিটেশন দিয়েছে, সেটি নিজেই ভুয়া বা দুই নম্বর কি না। ইন্টারনেটে খোঁজ নিন এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কী বলা হয়েছে।

মনে রাখবেন, দুই নম্বর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিন্তু গালভরা নাম থাকে, যেমন অমুক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, তমুক স্টেইট ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি। খেয়াল করে খোঁজ নিয়ে দেখুন আসলেই এটি স্টেইট ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের অংশ কি না। এসব দুই নম্বর জায়গা শুরুতেই বাদ দিয়ে ফেলেন।


শুরুতেই দেখবেন, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবছেন সেটির বা সেটিতে আপনার বিভাগের ডিগ্রি প্রোগ্রামের এ্যাক্রেডিটেশন আছে কি না, এবং যে সংস্থা এ্যাক্রেডিটেশন দিয়েছে, সেটি নিজেই ভুয়া বা দুই নম্বর কি না। ইন্টারনেটে খোঁজ নিন এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কী বলা হয়েছে।


আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে কী কী ফ্যাক্টর বিচার করবেন?

আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে বেশ কিছু দিক খেয়াল রাখবেন। আসুন দেখা যাক এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলা কী কী?

সুনাম

বিশ্ববিদ্যালয়টির সুনাম কেমন? সুনামের ব্যাপারটি আসলে আপেক্ষিক, তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বনেদি হিসাবে নাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। সুনাম বের করার আরেকটি উপায় হলো র‍্যাংকিং। নানা সংস্থার পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং করা হয়, এর মধ্যে আছে US News and World Report, টাইমস এডুকেশন, ইত্যাদি। অনেকেই এই র‍্যাংকিং দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সমস্যাটি হলো, অধিকাংশ র‍্যাংকিংই আসলে নির্ভরযোগ্য বা কার্যকর নয়।

ধরা যাক, কোনো এক র‍্যাংকিং-এ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রম ২৫, আরেকটির ২৭। এর মানে কিন্তু এই না যে প্রথমটির চেয়ে পরেরটি কম মানের। কাজেই কেবল র‍্যাংকিং দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করা বুদ্ধিমানের কাজ না। র‍্যাংকিং একটি কাজেই ব্যবহার করতে পারেন, সেটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়টি কোন গ্রুপে পড়ে সে সম্পর্কে মোটামুটি আন্দাজ করা। যেমন, প্রথম ১০-এর মধ্যে আছে, নাকি প্রথম ৫০-এর মধ্যে?

প্রথম দশে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা। র‍্যাকিং-এ ১১ থেকে ৫০-এর মধ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মোটামুটি কাছাকাছি মানের, আর ৫১ থেকে পরেরগুলা এর পরের গ্রেডের। সহজ ভাষায় প্রথম ১০টিকে উচ্চবিত্ত, মাঝের ৪০টিকে মধ্যবিত্ত, আর পরেরগুলোকে নিম্নবিত্ত ধরতে পারেন। তবে, তার মানে এই নয় যে, শেষের গ্রুপের একটি ইউনিভার্সিটি মাঝের গ্রুপের চাইতে একেবারেই কম মানের। আসলে মানের দিক থেকে গ্রুপ ২ ও ৩-এর তফাৎ করাটা কঠিন। কারণ র‍্যাংকিং ছাড়াও আরও অনেক ফ্যাক্টর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ধরা হয়। আইভি লীগের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় যে গ্রুপেই থাকুক না কেনো, খুবই বনেদি হিসাবে গণ্য ও সারা বিশ্বে সমাদৃত। আবার পরের দিকে কোনো র‍্যাংকিং-এ পড়ে গেলেও অন্য কারণে ইউনিভার্সিটির ডিগ্রির সুনাম থাকতে পারে।

আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয় : ডিপার্টমেন্টের সুনাম

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর হলো ডিপার্টমেন্টের সুনাম। অনেক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংক পিছনে হলেও ওই ডিপার্টমেন্টের সুনাম থাকতে পারে। ধরা যাক, ক বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংক মাঝারি, খ বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংক নিচের দিকে। কিন্তু এটি সত্ত্বেও খ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো বিভাগের নামডাক ক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নামডাকের চাইতে বেশি হতে পারে।

আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয় : প্রফেসরের সুনাম

বিশেষ করে, পিএইচডির ক্ষেত্রে এ্যাডডভাইজরের সুনাম খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যাপারটি বুঝবেন কী করে? প্রফেসরের নাম ধরে গুগল সার্চ করে দেখুন কিংবা গুগল স্কলারে প্রফেসরটির পাবলিকেশন স্ট্যাটিস্টিক্স ঘেঁটে দেখুন। নামকরা কারো অধীনে কম র‍্যাংকের জায়গাতে পিএইচডি করলেও দীর্ঘমেয়াদে সেটি ভালো।

খরচ

বিশেষ করে ফান্ডিং না পেলে এই ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হবে। একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি একেক রকমের। পাবলিক ইউনিভার্সিটি যা নানা স্টেটের অর্থে চালিত, তাদের টিউশন ফি কম; আবার প্রাইভেটের বেশি। আমেরিকার দক্ষিণের দিকে টিউশন ফি পশ্চিমের দিকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চাইতে কম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গেলে টিউশন ফির পরিমাণ সহজেই দেখতে পাবেন।


কোনো এক র‍্যাংকিং-এ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রম ২৫, আরেকটির ২৭। এর মানে কিন্তু এই না যে প্রথমটির চেয়ে পরেরটি কম মানের। কাজেই কেবল র‍্যাংকিং দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করা বুদ্ধিমানের কাজ না।


আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয় : অবস্থান

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানটিও একটি বড় ব্যাপার। আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বড় শহরের মাঝে অবস্থিত, আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যন্ত এলাকার খুব ছোট্ট এক শহরের মধ্যে অবস্থিত। অনেক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আছে সেখানে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কিছুই নাই। বড় শহরে হলে যাতায়াত, রেস্টুরেন্ট, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অনেক বড় সুবিধা পাওয়া যায়। ওই শহরেই হয়তো বিমানবন্দর আছে যার ফলে অন্যত্র যাওয়া সহজ।

সমস্যা হলো, বড় শহরে বাসা ভাড়াটাও বেশি হতে পারে। ক্যাম্পাস থেকে দূরে থাকলে যাতায়াতে সময় লাগতে পারে, আবার অনেক সময়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে হবে, গাড়ির ইন্সুরেন্সসহ অন্যান্য খরচ মিলে অনেক বেশি পড়তে পারে। ছোট ক্যাম্পাস টাউন বা কলেজ টাউন জাতীয় জায়গা অনেক সময়ে এমন হয় যে, তার আশেপাশে কিছুই হয়তো নাই।

আমার পিএইচডির বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়ের ক্যাম্পাস ছিলো আরবানা-শ্যাম্পেইন নামের দুই যমজ শহর জুড়ে। গুগল ম্যাপে জুম করলেই দেখতে পাবেন তার আশেপাশে আসলে ভুট্টা ক্ষেত ছাড়া কিছুই নাই। কাছের বড় শহর শিকাগো থেকে ওটা প্রায় আড়াই ঘণ্টার ড্রাইভ দূরে। এরকম জায়গায় বাসা ভাড়া সস্তা হয়, খাবার দাবারও হয়তো কম দামের হতে পারে। কিন্তু অনেক কিছুই যেমন দেশি খাবার দাবারের দোকান, দেশি মুদীর দোকান, এসবের কোনটাই নাও থাকতে পারে। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে এসব শহরে করার মতো কাজ খুব বেশি থাকেও না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানের আরেকটি দিক হলো কাজের সুযোগ, পড়ার সময়ে বা পাস করার পরে। বড় শহরে অফ ক্যাম্পাস কাজ, ইন্টার্নশিপ, কিংবা পাস করার পর চাকুরির সুযোগ– সবই অনেক বেশি। পক্ষান্তরে, ছোট শহরে স্থানীয়ভাবে কাজের সুযোগ কম, ফলে পাস করার পরে দূরে যেতে হবে নির্ঘাত। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি কোথায় অবস্থিত, কাছে ধারে বড় শহর কোথায়, সেটি অবশ্যই ঠিকমত দেখে নিবেন।

আবহাওয়া

আমরা বাংলাদেশের মতো গরম দেশের মানুষ, তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে গেলেই জমে যাই, তাই না? আমি অন্তত এক সময়ে সেরকমই ছিলাম। আমেরিকার একটি বড় ব্যাপার হলো এটি একটি মহাদেশ। উত্তর আমেরিকার একুল-ওকুল জুড়ে থাকা একটি বিশাল দেশ, ফলে এর নানা জায়গায় জলবায়ুর বৈচিত্র্য অনেক বেশি। উত্তরের দিকে বেজায় ঠাণ্ডা, এতো ঠান্ডা যে কল্পনার বাইরে।

আমার মনে আছে একদিন বাইরে খটখটে রোদ দেখে খুশি হয়ে বেরিয়ে টের পেলাম, তাপমাত্রা তখন -৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো (ছাপার ভুল না, এটি মাইনাস তিরিশ!)। নিঃশ্বাস ফেলার সাথে সাথে সেটি বরফ হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনেই। ঠাণ্ডা জায়গায় অনেকেই টিকতে পারেন না। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান কোথায়, সেখানকার আবহাওয়া কীরকম, গুগল করে বা উইকি থেকে দেখে নিন।

আচ্ছা, তাহলে?

তো, এতো সব ফ্যাক্টর বিচার করার পরে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিবেন? এক্ষেত্রে আসলে আপনার নিজের প্রোফাইল বিচার করতে হবে। আপনার প্রোফাইল যদি ভালো হয়, মানে ধরুন বাংলাদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর্স, ভালো সিজিপিএ, দুই-একটি প্রকাশনা, ভালো টোফেল জিআরই স্কোর, এসব যদি থাকে, তাহলে প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করবেন।

যদি আপনার সবকিছুর অবস্থা মধ্যবিত্ত টাইপের হয় মানে মাঝারি জিপিএ, পেপার নেই, মোটামুটি টোফেল জিআরই স্কোর, তাহলে জোর দিবেন মধ্যম মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরে। আর সবকিছুর অবস্থা নিচের দিকে হলে নিচের দিকের বিশ্ববিদ্যালয়েই বেশি আবেদন করেন।

নিজের অবস্থা যদি নিজে না বুঝেন তাহলে অনলাইনে বা ফেইসবুকে ভর্তি-সংক্রান্ত নানা গ্রুপে পোস্ট করে অন্যদের পরামর্শ চান। অনেক সময় এসব গ্রুপের অন্যান্য সদস্য আপনার প্রোফাইল দেখে অভিমত দিতে পারবেন। আরেকটি উপায় হলো যেখানে ভর্তি হতে চান, সেখানকার বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাইটে গিয়ে তাদের সিভি বের করে দেখেন, আপনার প্রোফাইল কি সেই মাপের কি না।


যদি আপনার সবকিছুর অবস্থা মধ্যবিত্ত টাইপের হয় মানে মাঝারি জিপিএ, পেপার নেই, মোটামুটি টোফেল জিআরই স্কোর, তাহলে জোর দিবেন মধ্যম মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরে। আর সবকিছুর অবস্থা নিচের দিকে হলে নিচের দিকের বিশ্ববিদ্যালয়েই বেশি আবেদন করেন।


ভর্তির আবেদনের সময়ে মোটামুটিভাবে এভাবে আমেরিকায় বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিন

২০% আপনার লেভেলের উপরে, ৬০% আপনার লেভেলে, আর ২০% আপনার লেভেলের নিচে। যদি আপনি মনে করেন আপনার অবস্থা মোটামুটি মাঝারির দিকে, তাহলে ভাগ্য চেষ্টা করার জন্য হলেও ২০% ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন, ৬০% আপনার যেখানে সুযোগ ভালো, সেসব জায়গায়, আর আবেদন করলেই চান্স পাবেন নিশ্চিত এমন ২০% জায়গায়। যদি ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন, তাহলে ২টি খুব ভালোতে চান্স নেন, ৬টি আপনার চান্স ভালো এমন জায়গায়, আর ২টি অন্তত নিশ্চিত ভর্তি এমন জায়গায়।

আরেকটি বড় ফ্যাক্টর হলো ভর্তির আবেদনের ফি। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ থেকে ১০০ ডলারের মতো ভর্তির আবেদন ফি লাগে। একটু কষ্ট হলেও যত বেশি সংখ্যক জায়গায় পারেন, আবেদন করবেন। মনে রাখবেন, আপনি যদি ভর্তি বা ফান্ডিং পান, তাহলে এই টাকার হাজার গুণ ফেরত পাবেন ভবিষ্যতে। কাজেই যতদূর পারেন আবেদন করেন।

কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের ফি লাগে না। গুগল সার্চ করে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা বের করে নিন এবং অবশ্যই এসব জায়গায় আবেদন করুন, কারণ হারাবার তো কিছুই নেই।

লেখক পরিচিতি

ড. রাগিব হাসান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্যা ইউনিভার্সিটি অব অ্যালাবামা অ্যাট বার্মিংহাম-এ অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার নানা প্রসঙ্গ নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করছেন।

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version