বাড়ি ব্যবস্থাপনা গতি আনার জন্য মাধ্যমিক অধিদপ্তর প্রয়োজন

গতি আনার জন্য মাধ্যমিক অধিদপ্তর প্রয়োজন

স্বতন্ত্র মাধ্যমিক অধিদপ্তর প্রয়োজন
স্বতন্ত্র মাধ্যমিক অধিদপ্তর প্রয়োজন

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অধীনস্থ মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮২ শতাংশই মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরের প্রতিষ্ঠান। ব্যানবেইজের ২০১৭ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫,৭৭২টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩৪৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৫৫৩টি নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১২৩৪টি স্কুল ও কলেজসহ সর্বমোট ১৯৮৪৮টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শন, পরীক্ষণ ও মূল্যায়নের দায়িত্ব পালন করে School & Inspection Branch। এর সাথে রয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক কলেজ ২৫৫৭টি, স্নাতক কলেজ ১১২৬টি, স্নাতক (সম্মান) কলেজ ৫৬৮টি ও স্নাতকোত্তর কলেজ ১৬৮টিসহ মোট ৪৪১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গতি আনতে আলাদা করে মাধ্যমিক অধিদপ্তর প্রয়োজন।

বর্তমানে সর্বমোট ২৪,২৬৭টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সংবাদে দেখা যায়, এই সংখ্যা আরও বেশি হবে। এছাড়াও ৫২৪২ প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো স্বীকৃত কিন্তু এমপিও পাচ্ছে না। এর বাইরেও প্রায় হাজার পাঁচেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো অনুমোদনও পায়নি, অনুদানও পাচ্ছে না। সবগুলোর অভিভাবকই হচ্ছে মাউশি। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তদারকিসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে গিয়ে বর্তমান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর হিমশিম খাচ্ছে। কোনোভাবেই যেন কাজে গতি আনতে পারছে না। অথচ ইতোপূর্বে ১২৬৪টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, ৯৬৫৬টি মাদ্রাসার জন্য আলাদা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর গঠিত হলেও জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাব অনুযায়ী আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা অজানা কারণে আটকে আছে।

বিশাল অংশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাজার সমস্যার কথা আমরা জানি। শুধু সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। সমস্যায় জর্জরিত এসব প্রতিষ্ঠান যা বাইরে থেকে দেখলে খুব একটি বোঝা যায় না। সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকগণ ১৫ বছরেও কোনো টাইমস্কেল পাচ্ছেন না। ২০০৯ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী ১২ বছর চাকরি পূর্তিতে একটি সিলেকশন গ্রেড ও দু’টি টাইমস্কেল পাওয়ার বিধান থাকলেও ১৫ বছর যাবত চাকরি করেও কোনো টাইমস্কেল বা সিলেকশন গ্রেড পাননি অধিকাংশ শিক্ষক।

এখানকার শিক্ষকগন ৩০ বছর একই পদে চাকরি করেও পাচ্ছেন না পদোন্নতি। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ০৭/০২/২০১৮ সালে সরকারি মাধ্যমিকে কর্মরত মোট পদের ৫০ শতাংশ পদ সিনিয়র শিক্ষক (১ম শ্রেণির নন ক্যাডার) পদ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি আজও। পে-স্কেলজনিত বেতন বৈষম্যের ফলে সৃষ্ট জটিলতা কমানোর লক্ষে বিগত ১৭/১০/২০১৫ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকদের প্রমোশন ও পদবিন্যাস আটকে আছে বছরের পর বছর ধরে। সহকারী শিক্ষকদের প্রবেশপদ (এন্ট্রিপদ) ৯ম গ্রেড ধরে পদসোপান বাস্তবায়ন করা গেলে মাধ্যমিকে প্রমোশন আকাল কিছুট হলেও দূর হতো।

সামরিক শাসকের অধ্যাদেশভুক্ত ২০/০৪/১৯৮৩ সালে জারিকৃতি অকার্যকর আত্তীকরণবিধি অনুযায়ী আত্তীকরণ প্রক্রিয়া চলমান থাকায় বর্তমানে কর্মরত সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের স্বার্থ সংরক্ষিত হচ্ছে না। বিশেষত, চাকরির সিনিয়রিটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তালগোল পাকানো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেমন, ৭ম গ্রেডের বেসরকারি প্রধান শিক্ষকরা আত্তীকরণ হচ্ছে ৬ষ্ঠ গ্রেডে। যেখানে ১৫ বছরের সরকারি মাধ্যমিকে শিক্ষকরা কোনো টাইমস্কেলই পাচ্ছেন না, সেখানে মাত্র ৮ বছরে সহকারী প্রধান শিক্ষক বনে যাওয়া বেসরকারি শিক্ষকরা সরকারিকরণের পরও সহকারী প্রধান শিক্ষকই থেকে যাচ্ছেন।

বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস ১৯৮১ (School & Inspection Branch) সংশোধন আটকে আছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রমোশন ধীরগতির এটিও অন্যতম একটি কারণ। পুরনো বিধিতে পদোন্নতি দিতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচেছ। তাছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষক প্যাটার্ন বিদ্যমান। ফলে কম প্যাটার্নভুক্ত মফস্বলের বিদ্যালয়সমূহে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকায় পাঠদান কার্যক্রম চলাতে হিমশিম খেতে হচেছ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কর্মমুখী শিক্ষা এবং বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান, প্রদর্শকের কোনো পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমুহে নেই। যুগের চাহিদা অনুযায়ী এটি বাস্তবায়ন করা অতীব জরুরি।

শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী ৯ম-১২শ শ্রেণি নিয়েই মাধ্যমিক স্তর হওয়ার কথা। কিন্তু প্রাথমিক স্তর সংযুক্ত থাকায় মাধ্যমিক স্তরের কার্যক্রম চালাতেই যেখানে হিমশিম খাচ্ছিলো, সেই জায়গায় অতিরিক্ত কোনো পদ সৃষ্টি না করেই ২০০৮ সালে ১০টি সরকারি স্কুলে ১১শ ও ১২শ শ্রেণি চালু করা হয়। উক্ত স্কুলগুলোতে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষক ল্যাব এ্যাসিট্যান্ট পদ সৃষ্টি করা জরুরি।

শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, শিক্ষার্নীতি ২০১০ অনুযায়ী মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র অধিদ্প্তর না থাকা এই সমস্যাগুলোর মূল কারণ। শিক্ষানীতি প্রণয়নের দশ বছর হতে চললেও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক অধিদপ্তর বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা ক্যাডার পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক তারা কেবল শাসিত নয়, শোষিতও হচ্ছেন বলে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকেরা মনে করেন।

যেমন, মাধ্যমিকের জন্য নেয়া প্রকল্পগুলোতে মাধ্যমিক শিক্ষকদের কোনো অংশগ্রহণ নেই, কেবল প্রান্তিক প্রশিক্ষণ নেয়া ছাড়া। শিক্ষা বোর্ডগুলোতে মাধ্যমকি শিক্ষকদের পরীক্ষক হওযা ছাড়া আর কোনো কর্মকাণ্ডে ভূমিকা নেই। মাধ্যমিক শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালযের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী হওয়ার পরও পেশাগত ডিগ্রি বিএড ও এমএড ডিগ্রিও অর্জন করে থাকেন। কিন্তু শিক্ষা প্রশাসন তাঁদের কতোটুকু মুল্যায়ন করেন তা প্রশ্নেবোধক। যথাযথ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে মাধ্যমিকের জন্য মাত্র ৩টি পদ সংরক্ষিত, তাও দীর্ঘদিন অনিয়মিত। মাধ্যমিক শিক্ষকদের মধ্যে হতে আসা আঞ্চলিক উপপরিচালকরা ২০/২২ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত। এমনকি সেসিপ প্রকল্প পরিচালকের বাতাবরণে আঞ্চলিক পরিচালকের পদও এখন কলেজ শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে।

জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমিক শিক্ষা-বিষয়ক অংশ পর্যালোচনা করলে নিম্নোক্ত বিষয়াদি পরিলক্ষিত হয়। উক্ত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা হলে মাধ্যমিক স্তরে গতি সঞ্চার হতো, যা সরকারের রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারতো।

জাতীয় শিক্ষানীতির উল্লেখযোগ্য দিক হলো:

১। শিক্ষা প্রশাসনে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে দুটি পৃথক অধিদপ্তর যথাক্রমে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর গঠন করা হবে। (পৃষ্ঠা ৬৪)

২। মাধ্যমিক স্তর হবে (৯ম-১২শ) এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পন্ন বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। (পৃষ্ঠা ১৩)

৩। খেলাধুলার সরঞ্জাম ও সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা করা হবে। গ্রন্থাগার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রন্থাগারিক পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেয়া হবে। (পৃষ্ঠা ৬৬)

৪। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত পর্যায়ক্রমে ২০১৮ সালের মধ্যে ১:৩০-এ উন্নীত করা। (পৃষ্ঠা ৬৬)

৫। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আগ্রহী এবং সঠিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সকল স্তরের শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয় গভীরভাবে বিবেচনাপূর্বক পনুর্বিন্যাস করা হবে। (পৃষ্ঠা ৫৮)

৬। সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা হবে। (পৃষ্ঠা ৫৮)

৭। মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পদায়ন করা। (পৃষ্ঠা ৫৯)

৮। আধুনিক ও যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখী শিক্ষা প্রশাসন গড়ার লক্ষে মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষা প্রশাসনকে প্রয়োজনানুসারে সংস্কার করা হবে। (পৃষ্ঠা ৬৬)

৯। মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনে ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তৃত্বকে বিভাগীয় জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। জেলা শিক্ষা অফিসারের পদটি জেলার অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে সুসামঞ্জস্য করা হবে। (পৃষ্ঠা ৬৬)

১০। একাডেমিক তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ জোরদার করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের সংখ্যানুপাতে বিদ্যালয় পরিদর্শকের পদ সৃষ্টি করতে হবে। (পৃষ্ঠা ৬৬)

১১। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সংখ্যানুপাতে সরকারি স্কুল, কলেজ, টি টি কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জিলা শিক্ষা অফিস, আঞ্চলিক অফিস ও অধিদপ্তরে প্রয়োজনানুসারে কর্মকর্তার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। (পৃষ্ঠা ৬৬)

বর্তমান সরকার যেসব ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে, শিক্ষা তার অন্যতম। তারপরেও দেখা যায়, সরকারঘোষিত পদক্ষেপের সুফল থেকে বঞ্চিত সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা। নানামুখী বঞ্চনার কারণে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকরা চরম হতাশায় নিমজ্জিত। আলাদা মাধ্যমিক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হলে হয়তো বিদ্যমান সমস্যাগুলোর উদ্ভব হতো না। নিয়মতান্ত্রিক ন্যায্য পাওনা ও পদোন্নতি পেয়ে পেশাগত উৎকর্ষতা অর্জনে বিশ্বাসী সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা যেনো আলো হাতে নিয়ে চলেছেন আধারের যাত্রী হয়ে। আশা কুহেলিকা বাস্তবে ধরা দিচ্ছে না তাঁদের কাছে। সরকারকে বিব্রত না করতে চাওয়া আলোর দিশারী সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকবৃন্দ তাদের দাবিদাওয়া আদায়ের নামে একদিনও তাঁদের পেশাগত কার্যক্রম বন্ধ রাখেননি। বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা নিয়ে সরকারের সকল কার্যক্রমে নিরবচিছন্ন সহায়তা দিয়ে আসছেন।

কিন্তু তাঁদের অত্মরাত্মা গুমরে কেঁদে মরছে। দেখার যেন কেউ নেই! শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের ধারণা, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রস্তাবিত মাধ্যমিকের জন্য স্বতন্ত্র মাধ্যমিক অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড মাধ্যমিক স্তরে গতির সঞ্চার হতো, যা সরকারের রূপকল্প ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারতো। দু’একটি হঠাৎ চমক ছাড়া মাধ্যমিক স্তরে জিইয়ে রাখা হাজারো সমস্যা সমাধানের কোন কার্যকর উদ্যোগ নেই। 

সমস্ত শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই স্তরটির দিকে রাষ্ট্রীয় সঠিক নজর এবং মনোযোগ দেয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা শিক্ষকদের মাঝে নানামুখি হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সংশ্লিষ্ট মহলের অবহেলা ও সমন্বয়হীনতার কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। মাধ্যমিকের আলাদা অধিদপ্তর হলে এই সমস্যার উদ্ভব হতো না বলেই শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

লেখক পরিচিতি

মাছুম বিল্লাহ বাংলাদেশে ইংলিশ টিচার্স অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পূর্বে ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তিনি ভাব বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন। তিনি নিয়মিত শিক্ষাবিষয়ে নানা প্রবন্ধ লিখছেন।

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version