বাড়ি দক্ষতা ও উন্নয়ন শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন: কয়েকটি প্রস্তাব

শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন: কয়েকটি প্রস্তাব

শিক্ষাব্যবস্থা

বাংলাদেশে যারা বিদেশ থেকে আসেন শিক্ষা নিয়ে পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে, তাদের বেশিরভাগই শিক্ষক হিসেবে জীবন শুরু করেছেন। আর উন্নত দেশে যারা শিক্ষা-কর্মকর্তা বা শিক্ষার নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে অবদান রাখছেন, তাদের প্রায় সবাই শিক্ষক ছিলেন জীবনের শুরুতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষক হতে হলে শিক্ষার ওপর ডিগ্রি নিতে হয়। তারপর লাইসেন্স নিতে হয়, যেমনটি নিতে হয় আমাদের দেশে উকিল, ডাক্তার বা প্রকৌশলী হতে।

আর শিক্ষা-কর্মকর্তা হতে হলে কমপক্ষে দুই থেকে তিন বছর শিক্ষকতা করে, তারপর শিক্ষা-প্রশাসনের ওপরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে হয়। এরপর নিতে হয় লাইসেন্স। এসব সম্পন্ন হলেই কেবল চাকরি পাওয়ার জন্যে আবেদন করার যোগ্যতা তৈরি হয়। চাকরি পাওয়া আরও দূরের রাস্তা। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, ফিনল্যান্ড, জাপান, হংকং সবখানেই মোটামুটি একই ব্যবস্থা।

ভাবছেন, আমরা তাহলে কোথায় আছি? আমরা বিশেষ কোথাও নেই। থাকতে হলে পাড়ি দিতে হবে আরও অনেক পথ। থাকতে যে হবে, সেটি পুরোপুরি ভাবা শুরু করিনি আমরা এখনও। শিক্ষা যে একটি বিশেষায়িত বিষয়, সেটি যে আলাদা করে শিখতে হয়, জানতে হয়; তাই তো আমরা মনে করি না এখনও। তাই সেই দূরত্বে কবে পৌঁছাবো, তা আমরা কেউ জানি না। সত্যিটা খুব নেতিবাচক শোনাচ্ছে হয়তো, কিন্তু বাস্তবতা তার চেয়েও সত্যি।


শিক্ষা যে একটি বিশেষায়িত বিষয়, সেটি যে আলাদা করে শিখতে হয়, জানতে হয়; তাই তো আমরা মনে করি না এখনও। তাই সেই দূরত্বে কবে পৌঁছাবো, তা আমরা কেউ জানি না। সত্যিটা খুব নেতিবাচক শোনাচ্ছে হয়তো, কিন্তু বাস্তবতা তার চেয়েও সত্যি।


প্রশ্ন উঠতে পারে, বাংলাদেশে বাস করে এসব অতি উন্নত দেশের সাথে কেন তুলনা করতে বসেছি? তাহলে মনে করিয়ে দিই, আমরা কিন্তু ২০২১ সালের মধ্যেই মধ্যআয়ের দেশ হতে চলেছি। সেটি তো আর শুধু মাথাপিছু আয় আর প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যানে আবদ্ধ থাকতে পারে না। দেশের আয় বাড়লে দেশের মানুষের আর্থ-সামজিক অবস্থার উন্নতি হবে, এটিই তো স্বাভাবিক। আর শিক্ষায় উন্নতি ছাড়া সেটি তো সম্ভব নয় কোনোভাবেই। আর্থিক উন্নয়ন দেশ ও জাতির ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে। কিন্তু সুশিক্ষাবিহীন উন্নয়ন জাতিকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে, তা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। তাই মধ্য আয়ের দেশের মানের চেয়েও এগিয়ে থাকা চাই শিক্ষার মান।

শিক্ষার মানের উন্নতি করতে হলে উন্নত শিক্ষানীতি চাই প্রথমত। আশার কথা হলো, আমাদের বর্তমান শিক্ষানীতি গুণেমানে যথেষ্ট সমৃদ্ধ। যদিও প্রয়োজনের নিরিখে যেকোনো সময় তার পরিমার্জন অবশ্যই সম্ভব; কিন্তু গলদ আছে তার প্রয়োগে। সেটির শুরু জাতীয় বাজেটে শিক্ষায় নগণ্য বরাদ্দ দিয়ে। ২০১৮ সালের জাতীয় বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ মাত্র ২%, অথচ যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানেও তা ৪%-এর মতো। গরীব দেশ নেপালেও তাই। আর উন্নত দেশের সাথে মেলাতে গেলে সেটিকে আরও নগণ্য মনে হবে। তারপর ভাবতে হবে শিক্ষায় নিয়োজিত মানুষদের কথা। শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা সবার কথা। জাপানের প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন আমাদের তুলনায় প্রায় দশ গুণ বেশি। যোগ্য মানুষকে শিক্ষায় আনতে হলে ডাল-ভাত নয়, তার চেয়ে ভালো কিছুর ব্যবস্থা করা দরকার।

উপজেলা পর্যায়ে মাছের কারবারী থেকে শুরু করে গরু-ছাগল লালন-পালন, সমবায়, পরিবার পরিকল্পনা পর্যন্ত সবারই ক্যাডার আছে। নেই কেবল শিক্ষার বেলায়। শিক্ষার তুলনায় গুরুত্বের বিচারে বেশ নগণ্য কিছু বিভাগের জন্যে যদি ক্যাডারের (অপেক্ষাকৃত মেধাবী কর্মকর্তা) দরকার হয়, শিক্ষার বেলায় সেটি নয় কেন? এর থেকেই বোঝা যায় আমরা জাতীয়ভাবে শিক্ষার গুরুত্ব কতোটা দেই। আর যে শিক্ষা ক্যাডার আছে, সেটি কেবল শিক্ষক তৈরির জন্যে এবং তা উচ্চশিক্ষার উচ্চতায়ই আবদ্ধ।

কিন্তু কেবল ক্যাডারভুক্ত করে কি এ সমস্যার সমাধান করা যাবে? ক্যাডার তো ক্যাডারই! বিএ, এমএ পাশ দিয়ে আরও দুই থেকে পাঁচ বছর চোখকান গুঁজে পড়াশোনা করে দীর্ঘমেয়াদী মূলত একটি মুখস্তনির্ভর ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে তবেই ক্যাডার হতে হয়। খুব জোর দিয়েই বলবো, আমাদের বিসিএস পরীক্ষা এখনও মূলত একটি মুখস্তনির্ভর পরীক্ষা। আর সেখানে প্রকৌশলী হয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইন সম্পর্কে একটি কথা না জেনেই হয় পুলিশ আর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পড়েও কোনো সুবিধে পায় না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে।

পদার্থবিজ্ঞান পড়ে চাকরি পায় পরিবার পরিকল্পনায়, আর সংস্কৃতি আর সাংস্কৃতিক কোনো কর্মকাণ্ডের ধারে না থেকেও চাকরি হতে পারে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। অথবা শিক্ষা সম্পর্কে কিছু না জেনেও কেবল বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান নিয়ে চাকরি পাওয়া যায় শিক্ষা ক্যাডারে। শিক্ষাবিজ্ঞানের ওপর কোনোরকম দক্ষতা বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই তারা পড়িয়ে যেতে পারেন বছরের পর বছর। আরও মজার বিষয় হলো, পড়াতে পড়াতে হঠাৎ একদিন এরা শিক্ষা-কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন পেয়ে যান শিক্ষা-প্রশাসন সম্পর্কে বিশেষ কিছু না জেনেই।

এদেশে এখনও মনে করা হয়, শিক্ষক হতে বিশেষ কোনো পেশাগত দক্ষতার দরকার হয় না। যে কাউকে ধরে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেই হলো। তাতে দুচারজন নিজের গরজে শিখে ভালো শিক্ষক হয়ে যান। অনেকেই বিশেষ কিছু না বুঝেই আজীবন এই কাজ চালিয়ে যান। আর শিক্ষা-কর্মকর্তা হওয়ার বেলায়ও তাই। ভাবখানা এমন, শিক্ষা সম্পর্কে কিছু না জানলেও শিক্ষা-কর্মকর্তা হতে দোষ কোথায়? প্রশাসন চালানো আর শিক্ষা-প্রশাসন চালানো তো এক কথা নয়।

উচ্চ-মাধ্যমিকে আমাদের দেশে এতো এতো বিষয় পড়ানো হয়, সেখানে শিক্ষা বিষয়ে একটি ২০০ নম্বরের কোর্স চালু করা কি খুব কঠিন? যদি নিয়ম করা যায়, যারা এই বিষয়টি পড়বে, শিক্ষকতার চাকরিতে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও কেন শিক্ষক হওয়ার জন্যে শিক্ষায় ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করতে পারলাম না? কেন নিয়োগ দেওয়ার পরে সরকারি খরচে তাদের পড়াতে হবে? কেন তারা প্রশিক্ষণবিহীন থেকে বছরের পর বছর শিক্ষকতা করে যাবেন?

নার্স হতে যদি নার্সিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক হয়, কৃষি-বিষয়ক পরামর্শক দিতেও যদি কৃষি ডিপ্লোমার দরকার হয়, শিক্ষা কি এতোই ফেলনা যে, শিক্ষা-বিষয়ে কিছু না জেনেও শিক্ষক হওয়ার বিধান থাকবে? অথবা এটি চালু করা কি খুব কঠিন যে, উচ্চ-মাধ্যমিক পাশের তিন বছরমেয়াদী শিক্ষা ডিপ্লোমা সম্পন্ন করতে হবে প্রাথমিকে শিক্ষক হওয়ার জন্যে? আর চার বছর মেয়াদে সম্মান শ্রেণির ডিগ্রি দেওয়া হবে, যেটি বর্তমানে চালু আছে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ-মাধ্যমিকে যেহেতু বিষয়ভিত্তিক নিয়োগ, তাই বর্তমান ব্যবস্থার সাথে বিএড বা এমএড বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের বর্তমান পরিস্থিতির গুণগত মানোন্নয়নের জন্যে আমি শিক্ষা-প্রশাসন ক্যাডার নামে একটি নতুন ক্যাডার দেখতে চাইবো। প্রতি উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্যে কমপক্ষে একজন করে পদায়ন পাবেন। কিন্তু পদায়নের আগে তাকে প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, শিক্ষাবিজ্ঞান এসব বিষয়ে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তবেই পোস্টিং দিতে হবে। আর এই প্রশিক্ষণ শুধু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হলেই যথেষ্ট নয়; তা হওয়া চাই বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে।

কমপক্ষে এক মাস কোনো একটি বিদ্যালয়ে সংযুক্ত থেকে শিখবেন একটি বিদ্যালয় কীভাবে চলে আর কী কী ঠিকভাবে চলছে না বলে মনে হয়। ধীরে ধীরে চালু করতে হবে প্রতিটি বিভাগীয় শহর থেকে শিক্ষা-প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ। একপর্যায়ে এই ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করতে হবে শিক্ষা কর্মকর্তা হওয়ার জন্যে। এই কর্মকর্তাগণই পদোন্নতি পেয়ে জেলা পর্যায়ে, বিভাগীয় পর্যায়ে যাবেন। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে সচিব পর্যন্ত সব এরাই হবেন।

শুরুতেই বলেছি, উন্নত দেশে শিক্ষকগণই মূলত পদোন্নতি পেয়ে প্রশাসনিক এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিষয়ক পদে আসীন হন। যথাযথ ডিগ্রি নিয়ে এবং উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়ে সেই পদ নিজের করে নিতে হয়। এ ব্যবস্থা বাংলাদেশে চালু হলে বেশ সুবিধে হবে। অপেক্ষাকৃত ভালো শিক্ষকদের ভবিষ্যতে বিশেষ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষা-প্রশাসনের ডিগ্রি লাভের সুযোগ দেওয়া যাবে। পরে তাদের মধ্যে থেকে পিএসসির মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা-প্রশাসন ক্যাডারের আওতায় শিক্ষা-কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।


বাংলাদেশে শিক্ষার সাথে সরাসরি জড়িত যতো মানুষ আছে, পৃথিবীর অনেক দেশে সেই সংখ্যক মানুষই নেই। শিক্ষার সব স্তর মিলিয়ে দশ লাখের মতো শিক্ষকের প্রশিক্ষণ ও তাদের শিক্ষার ওপরে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের সুযোগ দিতে একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা স্রেফ সময়ের দাবি।


পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদটি এভাবে অবহেলিত না রেখে সরাসরি শিক্ষা ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথম এক বছর তারা শিক্ষক হিসেবে কাজ করবেন পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে। এই এক বছর কোনো একজন সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মেন্টর করবেন এবং হাতেকলমে কাজ শেখাবেন। শিক্ষকদের জন্যে শিক্ষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা সাপেক্ষে পিএসসির পরীক্ষার মাধ্যমে পিটিআই ইন্সট্রাক্টর হিসেবে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে। তাহলে তেল আর ঘি একসাথে মিশে সব তেল হয়ে যাবে না। ঘি-দের মূল্যায়িত হওয়ার একটি বিশেষ সুযোগ থাকলে শিক্ষকতা পেশায় মানুষের আগ্রহ বাড়বে এবং তা যোগ্যদের আকৃষ্ট করবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় ক্ষেত্রের জন্যেই এ ব্যবস্থা থাকতে পারে।

কথা হলো, শিক্ষা প্রশাসন ক্যাডার চালু হলে বর্তমানে কর্মরত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কর্মকর্তাদের কী হবে? এখানে ভিন্ন মত থাকবে কিন্তু আমি বলবো, একটি স্পেশাল বিসিএসের মাধ্যমে শুধু তাদেরকে পরীক্ষায় বসিয়ে উপযুক্তদের ক্যাডার হিসেবে ঘোষণা করা যেতে পারে। নির্বাহী আদেশে ক্যাডার বানানোর ঘোরতর বিপক্ষে আমি। তবে এই পরীক্ষাটিতে বসার আগে তাদের অবশ্যই শিক্ষা-প্রশাসনের ডিগ্রি গ্রহণ করতে হবে । আর এই বিসিএস পরীক্ষাটি হওয়া চাই সাধারণ জ্ঞানের বা মুখস্ত বিদ্যার পরীক্ষা নয়, শিক্ষা আর শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান ও দক্ষতার পরীক্ষা।

বাংলাদেশে শিক্ষার সাথে সরাসরি জড়িত যতো মানুষ আছে, পৃথিবীর অনেক দেশে সেই সংখ্যক মানুষই নেই। শিক্ষার সব স্তর মিলিয়ে দশ লাখের মতো শিক্ষকের প্রশিক্ষণ ও তাদের শিক্ষার ওপরে উচ্চতর ডিগ্রি লাভের সুযোগ দিতে একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা স্রেফ সময়ের দাবি। এলোমেলোভাবে শিক্ষার ওপরে ডিগ্রি না দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থাকা উচিৎ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে। পিটিআই, টিটিসিসহ শিক্ষা-সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলো তখন চলতে পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে। তাহলে কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সনদ বিক্রিও বন্ধ হতে পারতো।

বর্তমান লেখায় যে প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়েছে, তা হয়তো নীতিনির্ধারকরা শুনবেন না। তবে এসব কথা আমরা সবাই মিলে প্রতিনিয়ত উচ্চারণ করলে একসময় তা নীতিনির্ধারকদের কানে পৌঁছবেই। হয়তো তখন তাঁরা এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবেন। কে জানে, তাঁরাও হয়তো ভাবছেন, কিন্তু করে উঠতে পারছেন না!

লেখক পরিচিতি

সুদেব কুমার বিশ্বাস বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করছেন।

2 মন্তব্য

  1. লেখনীটা খুব সুন্দর হয়েছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ের ভিতর না হলেও সমাজে শিক্ষা সম্পর্কে সঠিক সচেতনতা জাগাতে পারলে ভবিষ্যতে এই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা সহজ হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version