বাড়ি উচ্চশিক্ষা

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় : আলোকবর্তিকা নাকি আভিজাত্য

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় : আলোকবর্তিকা নাকি শুধুই আভিজাত্য?
স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় : আলোকবর্তিকা নাকি শুধুই আভিজাত্য?

একটি দেশ ভালো হয় যদি সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো হয়— পণ্ডিত জওহর লাল নেহেরুর একটি বিখ্যাত উক্তি। এই উক্তি অনুসারে, আমাদের দেশের অবস্থা দেখলেই বোধ করি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা আঁচ করা যায়। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এতো বেশি ক্যাটাগরাইজড করা হয়েছে, সেটি আসলেই আশ্চর্যের বিষয়। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রধান দুটি ভাগ। একটি পাবলিক অন্যটি প্রাইভেট। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবার দুই ভাগে বিভক্ত। একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আজকে আমরা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েই কথা বলবো।

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও আভিজাত্য

যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর আইন বা অধ্যাদেশ অনুযায়ী চলছে, তাদের (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়ে থাকে। বাকি যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারি অর্থায়নে চলে সেগুলোকে বলা হয়ে থাকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এ-ধরনের কোনো বিভাজন কাগজে-কলমে না থাকলেও এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নানাভাবেই বুঝানোর চেষ্টা করে থাকেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তারা আসলেই একটু অভিজাত শ্রেণির।

নিজেদের তারা অভিজাত শ্রেণির ভাবতে পারে নানা কারণেই। একটি কারণ হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলকাজ কাজ হলো জ্ঞান উৎপাদন এবং জ্ঞানের চর্চা অব্যহত রাখা বা বিস্তার ঘটানোর জন্য যে অধিকার বা স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ চায়, তার নমুনা কাগজে-কলমে হলেও আছে এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখন প্রশ্ন হলো, এই অধিকার বা স্বায়ত্তশাসন কতটুকু কাজে লাগাতে পেরেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো? দেশকে জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত করার মতো আলোকবর্তিকা হতে পেরেছে কি? দেশের সবচেয়ে প্রাচীন স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে, সব অধিকার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি পেরেছে দেশের বাকি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রোল মডেল হতে?

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে ইতিবাচক খুব বেশি কিছু  খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ নিকট অতীতে এমন কোনো উদাহরণ পাওয়া যাবে না যেগুলো নিয়ে আপনি গর্ব করতে পারেন। ভিসি অপসারনের দাবিতে ক্যাম্পাস উত্তাল হওয়া থেকে শুরু করে উন্নয়ন প্রকল্পে বড় অঙ্কেও দুর্নীতির অভিযোগ নানা নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালগুলো। কিন্তু নিজেদের স্বায়ত্তশাসন কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে তথা দেশকে জ্ঞানে, গবেষণায়, বিদ্যায়, বুদ্ধিতে এগিয়ে নেয়ার, আলোকবর্তিকা হওয়ার, দেশের বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সামনে থেকে পথ দেখানোর কি দারুণ সুযোগই না ছিলো এই বিশ্ববিদালয়গুলোর সামনে। শুধু স্বায়ত্তশাসনই না, দেশের অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবেও নেতৃত্ব না দিতে পারার দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও তাদের অবস্থান

প্রশ্ন আসতে পারে, জ্ঞানে গবেষণায় নেতৃত্ব দিতে স্বায়ত্তশাসনের প্রয়োজন আদৌ আছে কি? উত্তরে বলতে হবে হ্যাঁ। কারণ ’৭৩ সালের অধ্যাদেশে এমন কিছু ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেয়া হয়েছে যা এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জ্ঞান ও গবেষণার চর্চাকে আরো তরান্বিত করতে পারতো। সেই ক্ষমতাগুলো স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য দিবাস্বপ্নের মতো। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই ক্ষমতা বা সুযোগকে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় কাজে লাগিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নের জন্য নয়, কেবলই কিছু আর্থিক ও ব্যক্তি স্বার্থহাসিলের উদ্দেশ্যে। 

নিকট অতীতের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এই চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও তাদের অবস্থান থেকেই বিষয়টি  স্পষ্ট হওয়া যায়।  বুয়েট ও স্বায়ত্তশাসিত এই চার প্রতিষ্ঠানের আপত্তির মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা থেকে সরে এসে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ভালোমন্দ দিকের উর্ধ্বে গিয়েও বলা যায়, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ভর্তি পরীক্ষার সময় লাখ লাখ শিক্ষার্থী আর্থিক, মানসিক, শারিরীক ভোগান্তি থেকে বেঁচে যেতো। কিন্তু এই জার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তির কারণে এই পরিকল্পনা আর আলোর মুখ দেখেনি। এই আপত্তির কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সব ফোকাস দেয় নিজেদের ‘স্বাতন্ত্র্যবোধ’। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় গেলে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাতন্ত্র্যে আঘাত হানবে!

কিন্তু আসল কারণ খুঁজতে গেলে সেখানে আর্থিক কারণ ছাড়া আর কোনো কারণই খুঁজে পাওয়া যাবে না। কেননা ঐ ‘স্বাতন্ত্র্য’ (যেটিকে আভিজাত্য বলা যেতে পারে) বিক্রি করে চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অনেক বিশ্ববিদ্যালয় একটা মোটা অংকের টাকা আয় করে। জেনেশুনে তারা কেনো এ পথে পা বাড়াবে !

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় ও সান্ধ্যকোর্স 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাণিজ্যিকীকরণের আরেক রুপ সান্ধ্যকোর্স । যে কোর্সগুলো ওপর নাখোস খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনে আচার্য আক্ষেপ করে বলেন, “নিয়মিত শিক্ষাকার্যক্রমের বাইরে সান্ধ্যকালীন বিভিন্ন কোর্স চালু করে এক শ্রেণির শিক্ষক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে । পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত কোর্স ছাড়াও বিভিন্ন বাণিজ্যিক কোর্স পড়ে প্রতিবছর হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। এতে ডিগ্রিধারীদের লাভ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এক শ্রেণির শিক্ষক ঠিকই লাভবান হচ্ছেন।” 

আচার্যের এমন কড়া সমালোচনার পরও বন্ধ হয়নি এই বাণিজ্যিক কোর্সগুলো। আর এই কোর্সগুলোর সবচেয়ে বড় বাজার চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ সেই একই, আভিজাত্য! কেনোনা, এই চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্স করতে শিক্ষার্থী বা প্রফেশনালরা যতটুকু আগ্রহী, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সগুলোর ক্ষেত্রে তা লক্ষ্য করা যায় না। তাই সেই আভিজাত্যকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এই চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে সার্টিফিকেট বিক্রির আঁতুড়ঘর!

বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ব্যয়

উপরে আলোচ্য বিষয় একপাশে রেখে যদি শুধু একাডেমিক বিষয়ে নজর দেয়া হয় সেখানেও খুব একটা আশাবাদী হওয়ার জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা র‌্যাংকিংই তার প্রমাণ। র‌্যাংকিং হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্ষেত্রের সার্বিক চিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পারে না; কিন্তু দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই, বিশেষত চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়, যখন বিশ্বসেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা পায় না, ঠিক তখন বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবার জায়গা তৈরি হয় । দেশের অন্যতম প্রাচীন ও বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউজিসির দেয়া বাজেটের একটা বড় অংশই পেয়ে থাকে এই চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু চলতি অর্থবছরে এই চার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণা খাতের ব্যয়ের চিত্র দেখলে আপনি চোখ কপালে তুলতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাধান্যের জায়গা যেখানে হওয়া উচিত গবেষণা, সেখানে এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতের ব্যয় মোট বাজেটের মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ ! গবেষণা খাতে এই বরাদ্দ নিয়ে ভালো র‌্যাংকিং আশা করাটাও বোকামি। 

উপাচার্যকথন

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তথ্য দিয়ে শুরু করা যাক। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরে উপাচার্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন মোট ১৮ জন। এর মধ্যে ৫ জনই প্রবল আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন! এ তথ্য থেকেই বুঝা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক এই পদটা কতটা লোভনীয়। এই চিত্র যে শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তা কিন্তু নয়। চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমবেশি প্রায় একই চিত্র পাওয়া যায়। বারবার এ-ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে তা স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে সেটাই স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ নিয়ে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহারও করতে দেখা যায় হরহামেশাই। শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, উন্নয়ন প্রকল্পে নানামুখী অনিয়মের কারণে এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ প্রায় সারাবছরই থাকেন খবরের কাগজের অন্যতম কেন্দ্রে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি 

বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে পাওয়া যাবে ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ কিংবা নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন প্রতিটি গণআন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলো এদেশের ছাত্রসমাজ। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্থিতিশীল হওয়ার অন্যতম কারণ বলা যেতে পারে এই ছাত্ররাজনীতি। দলীয় লেজুরবৃত্তির বর্তমান ছাত্ররাজনীতিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ প্রাধান্য পায় সামান্যই, কিন্তু আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে মূল দায় বলা যেতে পারে এসকল রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোরই। চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনীহা দেখিয়েছে, তবে এর মধ্যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে; সেটিও ২৯ বছর অপেক্ষার পর । দীর্ঘ প্রতীক্ষার এই নির্বাচন নিয়েও যদিও আছে নানা প্রশ্ন। আর বাকি তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই জট খুলবে কবে তা জানে না কেউ।  ফলে ছাত্ররাজনীতির এই চক্র থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব শীঘ্রই বেরিয়ে আসতে পারবে সে আশাও করা যায় না।

অন্যদিকে, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক রাজনীতির প্রভাব কতোটা তা উপরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে দেয়া তথ্য থেকেই ধারণা নেয়া যেতে পারে। একাডেমিক বা গবেষণাকার্যে মনোযোগ না দিয়ে শিক্ষকদের একটি অংশ বড় ছুটতে থাকে প্রশাসনিক বড় পদপদবির পিছনে । ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল কাজ কতটুকু বাস্তবায়িত হয় সে প্রশ্নও থেকে যায়। 

উপরের আলোচনায় আমাদের দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে চিত্র পাওয়া যায় তা থেকে সহজেই বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতি উপলব্ধি করা যায়। আলোচনা থেকে এটাও স্পষ্ট যে, চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে দেশকে পথ দেখাতে পারতো বা হতে পারতো আলোকবর্তিকা, আর্থিক বা রাজনৈতিক নানা কারণেই সেটা তারা হতে পারেনি। আভিজাত্য ও স্বাতন্ত্র্যকে পাশে রেখে যতো দ্রুত এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলোকবর্তিকা হয়ে উঠতে পারবে আমাদের দেশের মঙ্গলও ততো নিকটে আসবে!

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version