এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা : কয়েকটি জাদু অজানাই থেকে যাচ্ছে

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। বলা যায়, দু’মাসেরও কম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলো ১২ মে।

প্রতি বছরের মতোই এবারও বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথা অনুযায়ী ফল প্রকাশ করেছেন। এটি আমাদের দেশের একটি আলাদা রীতি, যা গুরুত্ব বহন করে। পৃথিবীর সব দেশেই পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীকে আমরা এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতে সাধারণত দেখি না। কিন্তু, আমাদের দেশের রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন এবং ফলের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন, পরামর্শ দেন, অনেক বিষয় সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চান।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গড় পাস করেছে ৮৩ দশমিক ০৪শতাংশ। এদের মধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা কম দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণও জানতে চেয়েছেন।

দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে, শিক্ষায় অংশ নেয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। মেয়েদের হার বেড়েছে অনেক। প্রাথমিকে এক সময় ৫৪ শতাংশ ছাত্রী যেত, এখন ৯৮ শতাংশ যাচ্ছে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মাত্র তিনটি বোর্ডে ছাত্রের সংখ্যা একটু বেশি, অধিকাংশ জায়গায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। নারী শিক্ষার ওপর জোর দেয়ার ফল হচ্ছে এটি।

এবার ১১টি বোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ছাত্রসংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ জন, আর ছাত্রী সংখ্যা ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৬ জন। পাসের হারেও মেয়েরা এগিয়ে। যারা অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের প্রতি কোনো ধরনের নেতিবাচক আচরণ না করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী  পরামর্শ দিয়েছেন।

মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

গত বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মোট ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন। গতবার পাসের হার ছিলো ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তার মানে হচ্ছে, ২০২৪ সালের পাসের হার বেড়েছে। ঢাকা বোর্ডে এবার পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ময়মনসিংহে ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ আর সর্বনিম্ন সিলেট বোর্ডে। সেখানে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ সিলেট বোর্ডে ১৮.৯৭ মানে ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী কম পাস করেছে।

এই জাদুর অর্থ আজও জানা গেলো না। একই সিলেবাস, একই সময়ে পরীক্ষা, একই ধরনের শিক্ষকগণ পড়িয়ে থাকেন। তাহলে কী কারণে কিংবা কী কী কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এক বোর্ডের ফল অন্য বোর্ড থেকে এত বেশি পার্থক্য প্রদর্শন করে? আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, দেখা যাবে, সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া বোর্ডটির ফল পরবর্তী বছর হঠাৎ করে সবার উপরে চলে যায়।

আমাদের বোর্ডগুলো কি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার এসব বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা করে? ফলাফল পার্থক্যের এসব কারণ অনুসন্ধান করে জাতিকে জানানো কি উচিত নয়? তা না হলে বিষয়টি তো গুরুত্বহীন থেকে যাবে।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা পাস-ফেলে একটু পিছিয়ে থাকে। এ নিয়ে গবেষণা না থাকলেও অনুমিত কিছু কারণ বা আমাদের পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা কারণ জানতে পারি। আরেকটি বিষয় প্রতি বছরই দেখা যায় যে, মাদরাসা বোর্ড ফলের দিক থেকে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে এগিয়ে থাকে। এর পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণই নেই। যাই হোক, বিষয়টি এবার সেভাবে ঘটেনি।

এবার মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ১৪ হাজার ২০৬ জন। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাস-ফেল আমাদের খুব একটা স্পষ্ট মেসেজ দেয় না। এখানে বেশির ভাগই ব্যবহারিক পরীক্ষা হওয়ার কথা, কিন্তু এই ফল আমাদের কী বলে তার ব্যাখ্যা আমরা কোথাও দেখতে পাইনা। তাছাড়া, কারিগরি শিক্ষা যে পরিমাণ গুরুত্ব পাওয়ার কথা, বর্তমান অবস্থা সেটি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। 

আরেকটি বিষয় আমরা প্রতিবছরই দেখি যে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কিছুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করে না। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৪৮টি, এবার দেখলাম ৫১টি অর্থাৎ বেড়ে গেছে। প্রথমেই বলা যায়, পাস করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট রিল্যাক্সিং অবস্থা থাকে, তারমধ্যেও এই অবস্থা!

এর মানে হচ্ছে, পুরো অকৃতকার্যের বিষয় নিয়ে ফলাফলের পর আর কোনো আলোচনা খুব একটা হয় না। আলোচনা হলে এ বিষয়টি বার বার দেখা যেত না। মিডিয়ার কল্যাণে এবং কিছু শিক্ষা সাংবাদিকদের কারণে আমরা শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু কারণ জানতে পারি, কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খুব একটা যৌক্তিক ব্যাখ্যা আমরা শুনতে পাই না।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ মানে দেশব্যাপী স্কুল-মাদরাসায় উৎসবমুখর পরিবেশ। ফল প্রকাশের দিন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে শাসনের গাম্ভীর্যের বেড়াজাল ভেঙ্গে একাকার হয়ে যান সবাই, উপভোগ করেন যৌথপ্রয়াসে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শিক্ষাকার্যক্রমের মুল্যায়ন।

শিক্ষক ভুলে যান, পাঁচ বছর পরে এই শিক্ষার্থীরা কে কোথায় থাকবে, তাদের ক’জনের সাথে যোগাযোগ থাকবে, কিন্তু সমস্ত সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ওঠে শিক্ষকগণ আনন্দে শামিল হন তাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের সাথে। শিক্ষকের বাসায় হয়তো বাজার করার অর্থ নেই, বাসার বহু সমস্যা, কিন্তু সবকিছু ফেলে এই দিনটি তারা ঈদের চেয়েও যেন আনন্দ নিয়ে উদযাপন করেন। শিক্ষকতা জীবনে এইটুকুই তো পাওয়া!

কোন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক পাস, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ও সহপাঠক্রমিক কার্যবালীর সাথে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতা ও অংশগ্রহণ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের র‌্যাংকিং থাকা প্রয়োজন। এবং, এটি  কোনো তৃতীয় পক্ষ করলে ভাল হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি কোনো বিভাগের করা ঠিক নয়।  

সরকারি, বেসরকারি, এমপিওভুক্ত, নন-এমপিওভুক্ত নির্বিশেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান র‌্যাংকিং থাকা প্রয়োজন। দেশে একটি র‌্যাংকিং পদ্ধতি থাকলে আমরা সহজে বুঝতে পারতাম যে, বোর্ডগুলোর ফলাফলের সাথে র‌্যাংকিং কতোটা সাদৃশ্যপূর্ণ। তাছাড়া র‌্যাংকিং বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানুগলোর মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে।

শিক্ষার জরুরি অথচ উপেক্ষিত উপদানগুলো যেমন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক শিক্ষা, আচার আচরণ এগুলোর কোনো প্রতিফলন এসব ফলাফলে দেখা যায় না বা বুঝা যায় না। অথচ, জীবনে চলতে, এগুতে, কাজ করতে, এগুলোর খুব প্রয়োজন।

নতুন কারিকুলামে এগুলো মূল্যায়নের বিষয় উল্লেখ আছে, কিন্তু সেখানেও খুব আশাবাদী হতে পারছি না। কারণ বিষয়গুলো সেভাবে এগুচ্ছে না আর বাস্তবের চেয়ে উচ্চাশার প্রতিফলন বেশি দেখা যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান র‌্যংকিং হলে এসব বিষয় চলে আসে এবং তখন বলা যায় কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সার্বিক শিক্ষা প্রদান করছে।

ইংরেজি ও গণিত মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, এ দুটি বিষয়ে একমাত্র স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকই নেই। শিক্ষার্থীরা স্বভাবতই এ দুটি বিষয়ের দুর্বলতা নিয়ে উচ্চ-মাধ্যমিক ও উচচশিক্ষা স্তর পার করে।

অথচ পাবলিক পরীক্ষা পাশের হারে কোনো এক জাদুর পরশে দেখা যায়, এ দুটো বিষয়ে পাশের হার আকাশছোঁয়া। এবার ঢাকা বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ, গণিতে ৮৮ শতাংশ। পাসের হারে এগিয়ে থাকে যশোর বোর্ড, ইংরেজিতে পাসের হার সেখানে ৯৬ শতাংশ আর গণিতে ৯৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এই ফল ও আমাদের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও গণিতের প্রকৃত দক্ষতা তুলে ধরছে কি না সেটি একটি প্রশ্ন।

আমাদের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল। তারা দেশের বাইরে গিয়ে কিংবা দেশেও বিভিন্নভাবে তাদের মেধার ও সৃজনশীলতার সাক্ষর রেখে চলেছেন। অথচ, তাদেরকে সিস্টেম্যাটিক্যালি দুর্বল মূল্যায়নের দিক দিয়ে যেতে হয় আর তাদের ফল নিয়ে তাই অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। বিষয়টিতে নজর দেওয়া একান্তই প্রয়োজন।

শিক্ষাক্ষেত্রে বোর্ডগুলোর ভূমিকা কী দেখি? শুধু পরীক্ষার ফরম পূরণ করা আর পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার মধ্যেই তাদের অধিকাংশ সময় চলে যায়। শিক্ষার মানোন্নয়নে বোর্ড কী ধরনের ভূমিকা রাখে বা রেখে চলেছে সে বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই।

শিক্ষা বোর্ড কি কখনও বিষয় শিক্ষক কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে শিক্ষা প্রশাসন কিংবা বিষয়ভিত্তিক মানোন্নয়নের জন্য বছরে দু’একটি কার্যকর ওয়ার্কশপ কিংবা সেমিনারের আয়োজন করে যেখানে দেশের শিক্ষাবিদদের সাথে শিক্ষকদের মতবিনিময়ের ব্যবস্থা থাকে? এরকম তো খুব একটা দেখা যায় না।

বোর্ডে খাতা আনার সময় দেখতাম, বিভিন্ন পরীক্ষকদের একটি প্রশ্নের উত্তর কীভাবে লিখতে হবে, কীভাবে লিখলে কত নম্বর দেওয়া হবে এটি নিয়ে মতবিরোধ চলতে থাকত। এখনও নিশ্চয়ই আছে। ফলে, শিক্ষকগণ যার যার মত অনুযায়ী নম্বর দিয়ে থাকেন। ইউনিফর্ম কোনো নিয়ম মেনে অনেক ক্ষেত্রেই তা করা হয় না। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পরীক্ষার ফল বের হলে চেয়ারম্যনাগন অনেক ধরনের ব্যাখ্যা ও আশার কথা শুনিয়ে থাকেন। এটি বাস্তবে কতোটা সম্ভব কিংবা এ ধরনের কালচার আমরা তৈরি করতে পেরেছি কি না, সেটি বিবেচনার বিষয়।

লেখক পরিচিতি

মাছুম বিল্লাহ

মাছুম বিল্লাহ বাংলাদেশে ইংলিশ টিচার্স অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পূর্বে ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তিনি ভাব বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন। তিনি নিয়মিত শিক্ষাবিষয়ে নানা প্রবন্ধ লিখছেন।

জনপ্রিয় নিবন্ধ

প্রাথমিক স্তরে ভাষা শেখা : বিষয় – বাংলা

ভাষার দক্ষতা চারটি— শোনা, বলা, পড়া, লেখা। আর ভাষা...

আগে ইংরেজি গ্রামার শিখবো, নাকি ভাষা শিখবো?

কোন ভাষার গ্রামার হলো ঐ ভাষার গঠন প্রকৃতি যার...

শিক্ষাব্যবস্থার হালচাল

অর্থনীতিবিদদের মতে, শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক এবং নিরাপদ রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো এবং মার্শালের মতে, শিক্ষা এমন একটি খাত যার কাজ হলো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে পুঁজির সঞ্চালন ঘটানো। শিক্ষার অর্থনীতি নিয়ে মৌলিক গবেষণায় অর্থনীতিবদ আর্থার শুল্জ ও রবার্ট সলো দেখিয়েছেন যে, প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে সম্পদের সুফল ফেরত আসে ৩৫ শতাংশ, মাধ্যমিক শিক্ষায় ২০ শতাংশ, এবং উচ্চ শিক্ষায় ১১ শতাংশ।

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা : পিএইচডির পর কী?

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়, আমি নিজেও এ-নিয়ে...

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা

ক্যাডেটসমূহ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।...

আরও কিছু লেখা

অধিক

    কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই? : পর্ব ২

    কেমন বিশ্ববিদ্যালয় আমরা চাই এই প্রশ্নটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি...

    কীভাবে শিক্ষার্থীর লিখন দক্ষতা বাড়াবেন

    রিফাত আফরোজ লিখেছেন শিক্ষার্থীর লিখন দক্ষতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে বাংলাদেশে...

    এনজিওর অবদান ও প্রাথমিক শিক্ষার মান অর্জন

    বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওর...

    চাকরির জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

    আলেয়া পারভীন লীনা শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন দেশে বাড়ছে পাশের...

    যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর শিক্ষা: রেকমেন্ডেশন লেটার নিয়ে বিভ্রান্তি

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে ভর্তির আবেদনের অপরিহার্য অংশ...

    প্রাথমিক শিক্ষায় আশা এবং হতাশা

    আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় ঝড়ে পড়া, শিক্ষার গুণগত মান,...

    শিক্ষার সংজ্ঞা আসলেই কি সহজ?

    ‘শিক্ষাবিজ্ঞান’ জ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র ক্ষেত্র হিসেবে বিকশিত হচ্ছে। শিক্ষাবিজ্ঞানের...

    প্রাসঙ্গিক নিবন্ধসমূহ

    নতুন লেখার খবর পান ইমেইলে
    বাংলাদেশের শিক্ষা প্রসঙ্গে নতুন লেখা প্রকাশিত হলে সেই খবর পৌঁছে যাবে আপনার ইমেইলে।