শেখ শাহবাজ রিয়াদ স্মৃতিচারণ করেছেন অধ্যাপক ড. আবু হামিদ লতিফকে নিয়ে
আমার শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইইআরের শিক্ষার্থী হওয়ার পেছনে দুইজন ব্যক্তির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব ছিলো। একজন অধ্যক্ষ শেখ মো. আবু হামেদ এবং অন্যজন ড. আবু হামিদ লতিফ স্যার।
দু’জনের নামেও বেশ মিল আছে। প্রথমজন আমার আব্বা, যার প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণায় ও সমর্থনে আমি আইইআরে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার করার পর। সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে আইইআরের সামনে দিয়ে চলাফেরাকালীন সবসময় এটি আমাকে আকৃষ্ট করতো। কারণ আমার আব্বা আইইআরের প্রথম বা দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আব্বার মুখে ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. জিডি মরিশন-এর কথা শুনে এসেছি। ড. মরিশন তাঁর সানসেট এভেনিও নর্দান কলোরেডো, ইউএসএ থেকে আব্বায় ঠিকানায় পোস্টকার্ড চিঠি লিখতেন। সেখানে সম্বোধন থাকতো ‘My dear friend and student’। তাছাড়া আইইআরের স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. মজহারুল হক আব্বার এমএড সহপাঠী ও প্রফেসর জিনাত জামান ম্যাডাম বিএড সহপাঠী হওয়ার কারণে আইইআরই আমার আপন হয়ে উঠলো।
ড. আবু হামিদ লতিফ স্যারের সাথে সরাসরি পরিচয়ের আগে পরিচয় হয়েছিলো স্যারের বইয়ের সাথে। মনে পড়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থ সংস্থায় বই ঘাঁটতে গিয়ে একটি বই পেলাম: নাম- উপানুষ্ঠানিক ও সমাজ শিক্ষা। লেখক ড. আবু হামিদ লতিফ, আইইআরের অধ্যাপক। পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে এক জায়গায় পেলাম শিক্ষার সংজ্ঞা। জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে আচরণের ইতিবাচক ও কল্যাণকর পরিবর্তনকে শিক্ষা বলা হয়। অনানুষ্ঠানিক, উপানুষ্ঠানিক এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষার ধারণাও পেলাম।
শিক্ষা বলতে নতুন কিছু ধারণা পেলাম। শুধু অংক করা, ইংরেজি বলতে পারা, রেওয়ামিল আর ফাইনাল অ্যাকাউন্ট করতে পারাতে শিক্ষা হিসেবে মেনে সন্তুষ্টি থাকতে পারিনি। তাই বিষয়বস্তুর বাইরে আদর্শ, দেশপ্রেম, চেতনা ও মূল্যবোধের কথা এমনভাবে পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। ফলে আইইআরের ডিপ-ইন-এড এবং পরের বছর এমএড-এ মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে পড়াশুনা আমাকে আগ্রহী করেছিলো। যদিও ভাই-বন্ধু-বান্ধবরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশ বিরক্তি প্রকাশ করতেন এ ভেবে যে, চাকরি না খুঁজে আবার পড়াশোনার নামে সময় নষ্ট হবে মনে করে। উল্লেখ্য, আমরা ১৯৯৩-৯৪ সালে আইইআরে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশনে ভর্তি হই। বেশ কঠিন প্রতিযোগিতা। মনে আছে প্রায় সাত হাজার প্রতিযোগী ছিলো। শেষ পর্যন্ত টিকে গেলাম।
বেশিরভাগের উদ্দেশ্য এখানে ভর্তি হয়ে রাজনীতি করা কিংবা হলে থেকে চাকরির সন্ধান করা। আমার অবশ্য এরকম উদ্দেশ্য ছিলো না। আমার উদ্দেশ্য ছিলো, শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করবো যেটি আব্বা করেছিলেন। এভাবে ডিপ-ইন-এড শেষ করলাম। এমএডে ভর্তি হবো কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত আমি নিজেই নিলাম। ভর্তি ফরম ফিলাপ করতে গিয়ে কোন বিভাগ পড়তে চাই লিখতে হয়। তাই আমি পরিচিতজন ও বন্ধুদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ঘুরে শিক্ষকদের নাম দেখে শেষ পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগকে বেছে নিলাম। তখন মাধ্যমিক শিক্ষার চেয়ারম্যান ছিলেন সম্ভবত আবু হামিদ লতিফ স্যার। যেহেতু নামটি আমার পূর্বপরিচিত ছিলো, তাই বিনা বাক্যে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ বেছে নিলাম।
স্যার আমাদের শিক্ষা ও উন্নয়ন পড়াতেন। তখনকার নিয়ম যে কত কড়া ছিলো, এখনকার শিক্ষার্থীরা আন্দাজও করতে পারবে না। আমরা বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থী ছিলাম। কেউ সদ্য পাশ করে ভর্তি হয়েছে, কেউ কেউ বেশ সিনিয়র। আবার অনেকেই সরকারি চাকরি থেকে ডেপুটেশন নিয়ে ভর্তি হয়েছে। আজকের দিনের ইনক্লুসিভ ক্লাস বলতে যা বুঝায় তাই ছিলো। মনে পড়ে, আমাদের সাথে ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তখনকার সভাপতি জনাব মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী। তিনি ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক ছিলেন। চুপচাপ থাকতেন। তবে লতিফ স্যার কাউকে কেয়ার না করে নিজস্ব ভঙ্গিতে পড়াতেন। প্রশ্ন করতেন, ভালো জবাব দিলে সরাসরি প্রশংসা না করে এমন ভঙ্গি করতেন যাতে আমরা বুঝতাম তিনি খুশি হয়েছেন। তবে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব না দিতে পারলে তিনি বকাঝকা করতেন।
আমরা সবাই জেনে গিয়েছিলাম, তিনি খুব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ এবং অনেক জানাশোনা তার। মনে পড়ে, তাঁর আনুষ্ঠানিক, উপানুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার ধারণা, বৈশিষ্ট্য, পার্থক্য, একনেক, ইইসি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, শিক্ষায় বিনিয়োগগসহ বিভিন্ন বিষয়ের পাণ্ডিত্যপূর্ণ আলোচনা ও বিশ্লেষণ। আরেকটি শিক্ষা যা ছিলো আমাদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন। সেটি হলো, স্যারের সাথে ডক্টর দেলোয়ার হোসেন শেখ স্যারের ক্লাসে আসা। তবে দেলোয়ার স্যার কোনো কথা বলতেন না। তুমি শুধু আমাদের নাম রোল করতেন এবং মনোযোগ দিয়ে লতিফ স্যারের ক্লাস শুনতেন। পরে জেনেছি, এটি নবীন শিক্ষকদের দক্ষ করে তোলার এক ধরনের কৌশল। লতিফ স্যার ক্লাসে বিষয়বস্তুর বাইরেও অনেক কথা বলতেন। বিশেষ করে আমাদের বেকার জীবন, চাকরি না হওয়া, জীবনের সিরিয়াস না হওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন প্রসঙ্গে।
লতিফ স্যার শিক্ষার্থীবান্ধব ও শিক্ষার্থী-দরদী ছিলেন। মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের নোটিশ বোর্ডে বিভিন্ন চাকরি বিজ্ঞপ্তি টানানো থাকতো। তিনি ক্লাসে এসে সবাইকে সেখানে আবেদন করতে বলতেন। আমি এমন দুটো বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করেছিলাম। দুটোতেই আমার চাকরি হয়েছিলো। তখন এমএড লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ভাইভা বোর্ডে লতিফ স্যার, ছিদ্দিক স্যার ও মালেক স্যার। লতিফ স্যার আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এতো বিভাগ থাকতে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ নিলেন কেন? আমি বলছিলাম, ‘‘ড. আবু হামিদ লতিফ স্যার, ড. ছিদ্দিকুর রহমান স্যার ও মালেক স্যাররা আছেন বলেই আমি মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়েছি’’।
তবে স্যারের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হয় বাফেডে (BAFED) আমার কিছুদিন কাজ করার সুবাদে। তখনো এমএড-এর রেজান্ট হয়নি। বেকার জীবনের গ্লানি ও অসহায়ত্ব তখনো শুধু হয়নি। একদিন দেখি স্যারের নোটিশ বোর্ডে বাফেডের জন্য সেক্রেটারি কাম একাউটেন্ট নিয়োগ করা হবে বলে স্যারের স্বাক্ষরের একটি বিজ্ঞপ্তি। বিশেষ কিছু বিবেচনা না করে এক পৃষ্ঠার একটি আবেদন লিখে স্যারের পিয়ন আমাদের শামসু ভাইয়ের কাছে জমা দিয়ে বাড়িতে চলে যাই। একমাস পর আইইআরে ছিদ্দিক স্যারের সাথে দেখা হলে স্যার বললেন, “লতিফ স্যার তোমাকে বাতি দিয়ে খুঁজতেছেন”। সাথে সাথে স্যারের সাথে দেখা করি। তিনি ধমক দিয়ে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলেন এবং শেষ পর্যন্ত জানতে চাইলেন আমি এ কাজটি করবো কি না? শেষ পর্যন্ত রাজি হলাম। লতিফ স্যারের সাথে কাজ করার নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।
আইএলওর অর্থায়নে বাফেড পরিচালিত কয়েকটি বিদ্যালয় আমরা পরিচালনা করতাম। নতুন অভিজ্ঞতা। ভয়, দ্বিধা, সংকোচ নিয়ে কাজ করি। কোথাও কোনো ভুল হয়ে যায় কি না। কিছুদিন পর বুঝতে সক্ষম হলাম, স্যারের অপ্রকাশ্য আদর ও স্নেহ আমার জন্য আছে। আমাকে যেদিন স্যার আপনি থেকে তুমি বললেন, সেদিন আমার সংকোচবোধ অনেকটাই দূর হলো। স্যার আমাকে প্রকল্প প্রস্তাব কীভাবে লিখতে হয় শেখাতেন। বাফেডের বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন অফিসে যাওয়া করার সুবাদে অনেকের সাথে পরিচয় হলো।
বিআইডিএস অফিসে স্যার পাঠালেন ড. মাহমুদুল আলম স্যারের কাছে। তখন কোনো অফিসে গিয়ে কারো সাথে পরিচিত হওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিলো না। মাহমুদুল আলম স্যার আমার সাথে আগ্রহ নিয়ে কথা বললেন। বাফেডের কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে আমাকে স্যার বললেন, আপনার লতিফ স্যার আমাদের জামাই। আবুল ফজলের মেয়ের জামাই। লতিফ স্যারকে যখন ব্রিফ করলাম স্যার খুশি হলেন। আমি স্যারকে বললাম, পণ্ডিত আবুল ফজল আমার আব্বার এবং আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব। আবুল ফজলের সাথে আব্বার সাক্ষাত হওয়ার ঘটনাটি যা ছোটবেলা থেকেই যা আব্বার মুখ থেকে শুনে মুখস্ত হয়ে গিয়েছিলো, তা স্যারের সাথে শেয়ার করলাম। পারিবারিক কিছু খবরাখবর নিলেন এবং আব্বার সাথে তাঁর নামের মিলের বিষয়টি তিনিই উল্লেখ করলেন। এভাবে ধীরে ধীরে স্যারের সাথে অফিসিয়াল সম্পর্কটি পেছনে পড়ে ব্যক্তিগত দিকটিই মজবুত হয়ে উঠলো। বন্ধুবান্ধবরা জেনে গেলো লতিফ স্যার আমার শিক্ষাগুরু।
স্যার তাঁর ব্যক্তিগত অনেক কথা, অভিজ্ঞতা আমাকে শেয়ার করতেন। আমার কর্মস্থল ঢাকা টিটিসিতে তিনি বিএড করেছিলেন। হোস্টেলের স্যাররা তাঁদের দিয়ে সদরঘাট থেকে গরুর জন্য ঘাস-বন আনাতেন বলে তিনি আমাকে কিছু কটাক্ষও করতেন। আমি একদিন বললাম, আপনার শ্বশুর পণ্ডিত আবুল ফজল আমাদের কলেজের প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন এবং তিনি বিএড কলেজের দিনগুলোকে তাঁর জীবনের একটি শ্রেষ্ঠ অধ্যায় বর্ণনা করেছেন। তিনি তা জেনে খুব আগ্রহ দেখালেন এবং আমি আবুল ফজল সাহেবের লেখাটি প্রিন্ট করে স্যারকে দিয়েয়েছিলাম। এছাড়াও স্যার তাঁর পিএইচডি স্কলারশিপ পাওয়া ও তা সম্পন্ন করার করার গল্প আমাকে বলেছেন। স্যারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শ্রদ্ধেয় দ্বিজেন শর্মা, হায়াৎ মামুদ, মনজুর আহমেদসহ অনেক বন্ধুদের কথা ও গুণাবলি আমাকে শোনাতেন।
এভাবে স্যারের সাথে ও বাফেডের কাজে সিরিয়াস হয়ে যাই। স্যার হয়তো বুঝতে পারেন, আমিও স্যারের মতো বাফেডকে ভালোবেসেছি। ইতোমধ্যে বাফেডের কাজ ছেড়ে আমি সরকারি স্কুলে যোগদান করি। পরে সরকারি কলেজে যোগ দিই। ঢাকার পোস্টিং নিয়ে আসার পর বাফেড ও স্যারের সাথে বেশি মেশার সুযোগ পেয়েছি। অনেক ব্যক্তিগত কথা বলার সুযোগ হয়েছে। স্যারের আত্মজীবনীতে আইইআরের প্রসঙ্গ কম কেন— এ প্রশ্ন আমি করেছিলাম। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “নিজের টাকা খরচ করে তিক্ততা বাড়াতে চাইনি”। বাফেডের উন্নয়ন নিয়ে স্যারের চিন্তা ছিলো সবসময়। বাফেডের গবেষণাবিষয়ক কনফারেন্সে প্রধান অতিথি কে হতে পারেন সে বিষয়ে স্যার আমার মতামত জানতে চাইতেন। দু-একটিতে প্রধান অতিথি আমি প্রস্তাব করেছি, স্যার সম্মতি দিয়েছেন।
একবার স্যারের পক্ষে আমার আমন্ত্রণে এক বিদেশি পরামর্শককে বাফেডে নিয়ে গিয়েছিলাম। স্যার খুব খুশি হয়েছিলেন। উক্ত পরামর্শক তাঁর প্রজেক্টের জন্য বেশ কিছু বাফেড জার্নাল ক্রয় করেছিলেন। জীবনের শেষ দিনগুলোতে স্যারের সাথে আমার যোগাযোগ ছিলো। তিনি ফোন করে অভিমান করে বলতেন, আমি ফোন দিই না না কেন? আমি কাঁচুমাচু হয়ে বলতাম, “কখন আপনাকে ফোন দিলে আপনার জন্য সুবিধা-সুবিধা হবে তা ভেবে ফোন কম দেয়া হয়”। সুস্থ থাকতে স্যারের বাসায় গিয়েছিলাম করোনাকালীন। স্যারের সাথে অনেক কথা হয়েছিলো। সর্বশেষ অসুস্থতার সময় স্যারের ছোট ভাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সালেহ গফুর ভায়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিলো।
অসুস্থতার মধ্যেও সামান্য স্বাভাবিকবোধ করলে স্যার বাফেডের কথা, আমাদের কথা জিজ্ঞাসা করতেন। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে স্যারকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। আমাকে চিনতে পেরেছিলেন কি না বুঝতে পারিনি। বিগত ১৬ আগস্ট আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক, দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ শিক্ষা উন্নয়ন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু হামিদ লতিফ আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাঁর মৃত্যু আমার শিক্ষা অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
লেখক পরিচিতি
সম্পাদক বাংলাদেশের শিক্ষা
এই লেখাটি সম্পাদক কর্তৃক প্রকাশিত। মূল লেখার পরিচিত লেখার নিচে দেওয়া হয়েছে।