বাড়িই-শিক্ষাশিক্ষার্থীরা কেন উইকিপিডিয়া ব্যবহার করবে?

শিক্ষার্থীরা কেন উইকিপিডিয়া ব্যবহার করবে?

উইকিপিডিয়া হচ্ছে একটি বহুভাষিক, ওয়েবভিত্তিক, মুক্ত বিষয়বস্তু-বিশিষ্ট বিশ্বকোষ প্রকল্প। ২০০১ সালে এর যাত্রা শুরু হয়। এর ঠিক তিন বছর পর বাংলা উইকিপিডিয়া যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ৩০১টি ভাষায় উইকিপিডিয়া রয়েছে এবং সব মিলিয়ে চার কোটির বেশি নিবন্ধ রয়েছে। শুধু ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় রয়েছে ৫৭ লাখের অধিক নিবন্ধ। অপরদিকে বাংলা উইকিপিডিয়ায় রয়েছে প্রায় ৬৪ হাজার নিবন্ধ।

ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, কিন্তু উইকিপিডিয়াতে একবারও প্রবেশ করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবাই কোনো না কোনোভাবে উইকিপিডিয়া থেকে উপকৃত হলেও আমরা অনেকেই জানি না উইকিপিডিয়া আসলে কী বা কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।

উইকিপিডিয়ার অনেক বিষয়বস্তু নিয়েই আলোচনা করার খোরাক রয়েছে, তবে আজকের লেখাটি শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কেন্দ্র করে। একজন শিক্ষার্থী কেনো উইকিপিডিয়া পড়বে বা সেখানে লিখবে সেটি একটু জানার চেষ্টা করা হবে।  



বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার এক গবেষণায় দেখতে পায় যে সঠিকতার দিক থেকে উইকিপিডিয়া ও মুদ্রিত বিশ্বকোষ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা প্রায় সমকক্ষ। পরবর্তিতে দ্য গার্ডিয়ানসহ আরও অনেকেই তুলনামূলক পর্যালোচনা করে স্বীকার করেছে উইকিপিডিয়ার গ্রহণযোগ্যতা অন্যান্য মুদ্রিত বিশ্বকোষের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।


একুশ শতকে দক্ষতা অর্জনের জন্য উইকিপিডিয়া একটি বড় মাধ্যম। কোনো বিষয়ে সামগ্রিকভাবে জানার জন্য সবচেয়ে সহজ ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যমও এটি। যেকোনো বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করার জন্য উইকিপিডিয়া হচ্ছে উত্তম জায়গা। উইকিপিডিয়াতে কোনো একটি বিষয়ে যখন কোনোকিছু পড়া হয়, তখন সেই বিষয়বস্তু-সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যও খুব সহজে পাওয়া সম্ভব হয়।

অ্যাসাইনমেন্ট, টিউটোরিয়াল, প্রজেক্ট ওয়ার্ক বা গবেষণাপত্র তৈরির কাজেও উইকিপিডিয়া হতে পারে খুব ভালো একটি সহায়ক মাধ্যম। তবে অনেক শিক্ষক তথ্যসূত্র হিসেবে সরাসরি উইকিপিডিয়ার লিঙ্ক গ্রহণ করেন না। তথ্যসূত্র হিসেবে উইকিপিডিয়া ব্যবহার করা যুক্তিযুক্তও নয়। কেনো নয়, তার পেছনে বেশ বড় দু’টি কারণ রয়েছে।

প্রথমত, উইকিপিডিয়া কোনো প্রাথমিক তথ্য সৃষ্টির জায়গা নয়। উইকিপিডিয়া কিছু প্রকাশিত জ্ঞানভাণ্ডার আছে সেগুলোকে একত্র করে মাত্র। তাই উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত সকল তথ্যের সাথে তথ্যসূত্র যুক্ত করা আবশ্যক। ফলে কোনো তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে উক্ত সূত্র থেকে তা যেনো যাচাই করে নেয়া যায়।

দ্বিতীয়ত উইকিপিডিয়াতে প্রকাশিত কোনো তথ্যই চুড়ান্ত নয়। তার মানে এই নয় যে, উইকিপিডিয়ার তথ্যের সঠিকতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা অন্য বিশ্বকোষগুলির চেয়ে কোনো অংশে কম। ২০০৫ সালে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার এক গবেষণায় দেখতে পায় যে সঠিকতার দিক থেকে উইকিপিডিয়া ও মুদ্রিত বিশ্বকোষ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা প্রায় সমকক্ষ।

পরবর্তিতে দ্য গার্ডিয়ানসহ আরও অনেকেই তুলনামূলক পর্যালোচনা করে স্বীকার করেছে উইকিপিডিয়ার গ্রহণযোগ্যতা অন্যান্য মুদ্রিত বিশ্বকোষের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। প্রতিনিয়ত সম্পাদনার কারণে উইকিপিডিয়াতে সাম্প্রতিক ও গ্রহণযোগ্য তথ্য দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়, যা মুদ্রিত বিশ্বকোষে সম্ভব হয়ে উঠে না। মূলত এই বিষয়টি উইকিপিডিয়াকে করেছে অনন্য।

উইকিপিডিয়াকে বলা হয় মুক্ত বিশ্বকোষ। এটি যেমন বিনামূল্যে পড়া যায় (উইকিপিডিয়াতে কোনো বিজ্ঞাপনও দেখানো হয় না), তেমনি এতে যারা সম্পাদনার কাজগুলো করেন তারাও সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজটি করে থাকেন। এটি প্রথাগত অন্যান্য বিশ্বকোষ থেকে ভিন্ন। উইকিপিডিয়ায় যেকোনো পাতায় সম্পাদনা করা যায়, এমনকি কোনো অ্যাকাউন্ট ছাড়াও যেকোনো পাঠক অনুমতি ছাড়াই যেকোনো লেখা সম্পাদনা করতে পারেন (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)।

উইকিপিডিয়াতে পঠনের ফলে যেমন একজন শিক্ষার্থী উপকৃত হতে পারে, তারচেয়েও বেশি উপকৃত হতে পারে এটি সম্পাদনা করে। উইকিপিডিয়ায় সম্পাদনা করার ফলে শুধু যে উইকিপিডিয়া নামক বিশ্বকোষটিই সমৃদ্ধ হবে তা নয়, ব্যক্তিগতভাবেও একজন এর ফলে বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারে। যা হোক, উইকিপিডিয়ায় সম্পাদনার ফলে যেভাবে একজন শিক্ষার্থী উপকৃত হতে পারে তার কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো।

পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি

এটি একজন শিক্ষার্থীর পঠনের অভ্যাস তৈরি করে। কারণ উইকিপিডিয়া নিয়ে কাজ করতে হলে প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়। ফলে একজন সম্পাদক কোনো একটি বিষয় নিয়ে যখন উইকিপিডিয়ায় লিখেন, তখন সেই বিষয় সম্পর্কিত খুঁটিনাটি অনেক কিছুই তার জানা হয়ে যায় এবং সেগুলো মনে রাখাও সহজ হয়।

লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি

শিক্ষার্থীরা বর্ণনামূলক, বিশ্বকোষীয় ও সংক্ষিপ্তসার লেখার অনুশীলন করতে পারে। উইকিপিডিয়ার নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নীতি সমালোচনামূলক চিন্তা করতেও সাহায্য করে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে যাচাইকৃত তথ্যসূত্রের ভিত্তিতে, কোনো সাংঘর্ষিক বিষয় নিয়ে, পক্ষপাতদুষ্টতা পরিহার করে লেখা। একটি নিবন্ধ কীভাবে পক্ষপাতহীনভাবে লিখতে হয় এবং সমস্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠ মতামতের উপযুক্ত প্রতিফলন ঘটাতে হয়, সেটি চর্চার উপযুক্ত স্থান হচ্ছে উইকিপিডিয়া। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বা পক্ষপাতহীনভাবে লেখা একটি শিল্প, যা আয়ত্ব করতে অনুশীলনের বিকল্প নেই।

উৎস খোঁজার অনুশীলন

উইকিপিডিয়ায় কাজের মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য উৎস খোঁজার অনুশীলন করতে পারে। অর্থাৎ কীভাবে সহজে নির্ভরযোগ্য তথ্য খুঁজে নিতে হয় তা বুঝতে পারে।

অনুবাদে দক্ষতা অর্জন

একটি ভাষা থেকে অন্য ভাষায় নিবন্ধ অনুবাদের মাধ্যমে সেই ভাষায় আরও দক্ষতা অর্জন করতে পারে। যেমন, ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় এমন অনেক নিবন্ধই রয়েছে যা বাংলা উইকিপিডিয়ায় নেই বা বাংলায় এমন অনেক নিবন্ধ রয়েছে যা ইংরেজিতে নেই। নিবন্ধগুলো বাংলা থেকে ইংরেজি বা ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করার মাধ্যমে দুই ভাষাতেই দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।

উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ

উইকিপিডিয়ায় কাজ করার ফলে উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের সাথে অর্থাৎ অন্য যারা উইকিপিডিয়ায় কাজ করে, তাদের সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে কাজ করছে এমন উইকিপিডিয়ানদের সাথে সেই বিষয়টি নিয়ে চর্চাও করতে পারে। এমনকি শিক্ষার্থীরা নিজে যে বিষয়টি নিয়ে লেখাপড়া করছে, সেই বিষয়ের ভুক্তিও তৈরি করা সম্ভব। যেমন, উদ্ভিদবিজ্ঞানে পড়লে গাছপালা নিয়ে লিখতে পারে, যা শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক জ্ঞানকেও সমৃদ্ধ করতে পারে। সর্বোপরি নিজেকে একজন বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। উইকিপিডিয়ায় কাজ করতে করতে একসময় দেশে এবং দেশের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের উইকিপিডিয়ানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

অনলাইন শিষ্টাচার গঠন

উইকিপিডিয়ায় কাজ করার সাথে সাথে অনলাইন শিষ্টাচার, কপিরাইট আইন এবং মুক্ত লাইসেন্সের মৌলিক বিষয়গুলো জানতে পারে। উইকিপিডিয়া শিষ্টাচার শুধু যে উইকিপিডিয়া বা অনলাইনের জন্য কাজে লাগবে এমন নয়, ব্যক্তিজীবন বা কর্মক্ষেত্রও এটির প্রয়োগ ঘটানো সম্ভব। যেমন, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে বিনয়ের সাথে কীভাবে বিষয়নিষ্ঠ বিতর্ক করা সম্ভব তা চর্চা করার সুযোগ এখানে রয়েছে।  

জীবনবৃত্তান্ত সমৃদ্ধ করা

উইকিপিডিয়ায় কাজের অভিজ্ঞতা নিজের জীবন বৃত্তান্ত সমৃদ্ধ করতে পারে। সহ-পাঠ্যক্রম হিসেবে উইকিপিডিয়া সম্পাদনার গ্রহণযোগ্যতা পৃথিবীর সর্বত্র।

আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা

সর্বোপরি উইকিপিডিয়া সম্পাদনা গৌরবজনক কাজও বটে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্নভাবে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার বা সম্মাননা পাওয়ার সুযোগও রয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে উইকিম্যানিয়া বা অন্যান্য উইকি সম্মেলনে বাংলাদেশের উইকিপিডিয়ানরা অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ১৮-২২ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিত উইকিপিডিয়ানদের বার্ষিক মিলনমেলা উইকিম্যানিয়ায় ছয় জন বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ান অংশ নেয়। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশি উইকিপিডিয়ান নাহিদ সুলতানের কথা বলা যেতে পারে। তিনি ২০১৮ সালের বর্ষসেরা উইকিমিডিয়ান (অনারেবল মেনশান) হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অনুষ্ঠিত উইকিম্যানিয়ায় উইকিপিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলস নাহিদের নাম ঘোষণা করেন। সেখানে বর্ষসেরা উইকিমিডিয়ানের মূল সম্মাননা পেয়েছিলেন রাশিয়ার ফারখাদ ফারকুলিন এবং নাহিদ সুলতানের সাথে আরো অনারেবল মেনশান পেয়েছিলেন ইংরেজি উইকিপিডিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী ড. জেস ওয়েড।


বাংলা ভাষাভাষী যারা উইকিপিডিয়া ব্যবহার করে তাদের মধ্যে প্রতি দশ লাখে উইকিপিডিয়া সম্পাদকের (কমপক্ষে পাঁচটি সম্পাদনা আছে এমন সম্পাদক/অবদানকারী) সংখ্যা মাত্র ০.৮ জন। যেখানে ইংরেজি, জার্মান ও জাপানিজ উইকিপিডিয়ায় প্রতি দশ লাখে উইকিপিডিয়া সম্পাদকের সংখ্যা যথাক্রমে ২৭, ৪১ ও ৩৫ জন।


পরিশেষে এখানে একটি তথ্য জানিয়ে রাখা যায়— বর্তমানে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনা বা অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির কাজে উইকিপিডিয়া ব্যাপকভাবে ব্যবহার করলেও উইকিপিডিয়া সম্পাদক হিসেবে বা উইকিপিডিয়া সম্পাদনার কাজে শিক্ষার্থীদের সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ কেউ যখন একটি বই পড়ছে, তখন সেই বইতে প্রাপ্ত তথ্য যদি উইকির নিবন্ধে লিখে, তাহলে তার সেটি যেমন মনে থাকবে বেশি করে, তেমনি উইকির জন্য আলাদা সময়ও তাকে দিতে হচ্ছে না।

সাম্প্রতিক লেখা

বাংলা ভাষাভাষী যারা উইকিপিডিয়া ব্যবহার করে তাদের মধ্যে প্রতি দশ লাখে উইকিপিডিয়া সম্পাদকের (কমপক্ষে পাঁচটি সম্পাদনা আছে এমন সম্পাদক/অবদানকারী) সংখ্যা মাত্র ০.৮ জন। যেখানে ইংরেজি, জার্মান ও জাপানিজ উইকিপিডিয়ায় প্রতি দশ লাখে উইকিপিডিয়া সম্পাদকের সংখ্যা যথাক্রমে ২৭, ৪১ ও ৩৫ জন। এ-অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এতে ব্যক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সমৃদ্ধ হবে আমাদের মুক্ত বিশ্বকোষ।

লেখক পরিচিতি

মাসুম আল হাসান

মাসুম আল হাসান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ অধ্যায়ের একজন সক্রিয় কর্মী।

আরও পড়ুন

মতামত

বিজ্ঞান চেতনা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন বিজ্ঞান শিখছে শিশুরা?

নাহিদ নলেজ বিজ্ঞান চেতনা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কী- এ সম্পর্কে বিস্তর কথাবার্তা আমাদের সবার জানা। সেই প্রাথমিক শিক্ষাটুকুই যদি গলদপূর্ণ হয়, তাহলে আর কী কথা...

দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আপনি কি সন্তুষ্ট?

মোঃ তৌফিক ইমাম চৌধুরী লিখেছেন বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থা আছে তা নিয়ে কি আপনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট? প্রাথমিক কিংবা নিম্নমাধ্যমিক শ্রেণীতে একজনকে অনেকগুলো বিষয়ে পড়তে...
নতুন লেখার খবর পান ইমেইলে
বাংলাদেশের শিক্ষা প্রসঙ্গে নতুন লেখা প্রকাশিত হলে সেই খবর পৌঁছে যাবে আপনার ইমেইলে।

এই বিভাগের আরও লেখা

বিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাসিক ব্যবস্থাপনা : প্রয়োজন যথাযথ উদ্যোগ

মেয়েদের মাসিক ঋতুস্রাব তাদের জীবনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যেটি বাংলাদেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে দশ বছর...

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি এখন সময়ের দাবি

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান নিয়ে বর্তমান সময়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এমনকি শিক্ষাসংশ্লিষ্টগণও সন্তুষ্ট নন। এর...

বাংলাদেশে শিক্ষকতা ও শিক্ষক-প্রশিক্ষণ

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সহজভাবে কিছু লেখার কাজটা বেশ কঠিন। এ-কাজের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা এই...

উচ্চশিক্ষার ভাষা এবং শিক্ষায় এর প্রভাব

মানুষের জন্মলগ্ন থেকে বেড়ে ওঠার প্রতিটি পর্যায়ে বোধ, শিক্ষা, যোগাযোগ ও অনুভূতি প্রকাশে ভাষার...

মাদার বখশ: রাজশাহীর শিক্ষায় এক অগ্রপথিক

শিক্ষানগরী হিসেবে সারা দেশে সুপরিচিত রাজশাহীর শিক্ষাখাতের সবচেয়ে বড় বিকাশ হয় মূলত গত শতাব্দীর...

আমাদের উচ্চশিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যর্থতা

সিরাজুল হোসেন লিখেছেন আমাদের উচ্চশিক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে কনজেনিটাল সিফিলিস ১৯৪৯ সালে ভারত-পাকিস্তান দেশ ভাগ...

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের ভিত্তি, শিখন ক্ষেত্র এবং কিছু প্রসঙ্গ

আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর সব কিছুই পূর্ব-পরিকল্পিত এবং বিন্যাসিত। আর এই পূর্ব-পরিকল্পিত...

বই পড়া কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ?

তানিয়া কামরুন নাহার লিখেছেন বই পড়ার গুরুত্ব নিয়ে বই পড়া একটি মননশীল কাজ। চোখ, নাক,...