সৌভাগ্যবশত আমাদের সন্তানদ্বয়ের একজন প্রাথমিক এবং অন্যজন মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। আমার স্ত্রী ও আমি দু’জনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পেয়েছি। আরও সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের নানাবিধ শিক্ষাব্যবস্থার সাথে আমার সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থার সুবিধা-অসুবিধা, বর্তমান পরিস্থিতি, সীমাবদ্ধতা, প্রয়োজন এসব বুঝতে এবং এর ত্রি-মাত্রিক বিশ্লেষণ করাটা আমার জন্য সহজ। অর্থাৎ, একই ব্যক্তি যখন অভিভাবক, শিক্ষক-প্রশিক্ষক, শিক্ষা ব্যবস্থাপক, গবেষক তখন প্রকৃত সমস্যাটি চিহ্নিত করে সমাধান দেয়া তার পক্ষে অধিকতর সহজ। সব নিয়ে আমি নিজেকে শিক্ষানুরাগী হিসেবেই ভাবতে ভালোবাসি; এর বেশি কিছু নয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কিছু ভাবনাও তারই অংশ।

গত আঠারো মাস ধরে কী পেয়েছে আমার সন্তানেরা?

বিদ্যালয়ে কতটুকু পড়ানো হয়? কী প্রক্রিয়ায় পড়ানো হয়? কী প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন হয়? তাদের আদর্শিক চরিত্র গঠনে বিদ্যালয়ে কী পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে সেই বিতর্কে আমি আজ যাবো না। বরং অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও মন্দের ভালো কী হতে পারতো সেটাই আজকের লেখার মূল লক্ষ্য।

১৭ মার্চ ২০২০, দিনটি ছিলো মঙ্গলবার। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য বাংলাদেশ মহোৎসবের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সেই আয়োজনের মুখে লাগাম ধরতে বাধ্য করেছে। সরকার বাধ্য হয়েছিলো এই অনুষ্ঠানটি বন্ধ করতে, কেবল কোটি বাংলাদেশির প্রাণ বাঁচানোর জন্য। সেই ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে শুরু হলো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিভীষিকাময় অধ্যায়, যা আজও অব্যহত রয়েছে।

শহরের খ্যাত বিদ্যালয়গুলোসহ সবরকমের বিদ্যালয় কার্যক্রম কয়েক মাসের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। কিছু বিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস নামক কার্যক্রম শুরু করলেও সেখানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি অত্যন্ত কম থাকতো। সম্ভবত ২০২০ সালের মে-জুন মাসে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু পাঠদান শুরু করা হয়। আমি অভিভাবক হিসেবে একটি এসএমএস পাই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, সেটি কেবলই বেতন পরিশোধের নোটিশ ছিলো। তখন বিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারি, সরকারিভাবে কিছু অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে যার নাম্বারের ভিত্তিতে পরবর্তী শ্রেণির রোল নং নির্ধারণ করা হবে। কিন্তু আজও অবধি কোনো শিক্ষার্থী এই অ্যাসাইনমেন্টের ফিডব্যাক বিদ্যালয় থেকে পেয়েছে কি না জানি না; তবে আমাদের ছেলেমেয়ে জানতেই পারেনি ওদের কোথায় ভুল ছিলো বা কোনটি ভালো করেছে ! ফিডব্যাকবিহীন অ্যাসাইনমেন্ট করতে শিশুরা কেন আগ্রহ হারাবে না? এখনো অ্যাসাইনমেন্ট নিয়েই যাচ্ছে, অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেয়ার আগে নিশ্চিত করা হচ্ছে বেতনের রশিদ বহিতে সকল বেতন পরিশোধ হালনাগাদ রয়েছে কি না, অন্যথায় অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেয়া হচ্ছে না।

কিছুদিন যাবৎ দেখতে পেলাম জুম এবং গুগল মিটের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই পাঠদানের গুণগত মান নিয়ে না-ই বললাম, বরং একজন অভিভাবকের ভাষ্য এ-দ্বারা ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীকেও অংশগ্রহণ করানো যাচ্ছে না। তাছাড়া এখানে শিশুদের সক্রিয় অংগ্রহণ নিশ্চিত করাটা অনেক দুর্বিসহ বিষয়।

বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় শুরু হয়েছে ওয়ার্কশিট নামক আরেক পদ্ধতি; যা কি না পাঠ্যবই থেকেই অনুশীলনীগুলো নির্ধারিত প্রেসের মাধ্যমে প্রিন্ট করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। আমি একটি হিসেব করে দেখেছি যে, ৩০০ শিক্ষার্থীবিশিষ্ট একটি বিদ্যালয়ে সবগুলি অনুশীলনীর কাজ নিশ্চিত করতে ৪০-৫০ হাজার টাকার প্রয়োজন। অন্যদিকে, প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা এর আওতায় আসছে না।

প্রশ্ন হলো, (১) পাঠ্যবইয়ের অনুশীলনীতে যে কাজ রয়েছে, সেটি কেন আবার প্রিন্ট করে বিতরণ করা হবে? পাঠ্যবই তো বিতরণ করা হয়েছে বইয়ের মধ্যেই কাজ করার জন্য। (২) এই ওয়ার্কশিট প্রিন্ট করার ব্যয় কোত্থেকে নির্বাহ করা হবে? অভিভাবকগণ সরকারি বিদ্যালয়ের কোনো কাজের পেছনে অর্থ ব্যয় করতে রাজি নন। (৩) ওয়ার্কশিট কি শিক্ষকগণ পৌছে দিবেন নাকি অভিভাবকগণ বিদ্যালয় থেকে নিয়ে যাবেন? বিদ্যালয়ে এক্ষেত্রে একত্রে ব্যাপক লোকের সমাগম হয় যা নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর। (৪) লোকাল প্রেসগুলো এসব প্রিন্ট করতে গিয়ে নানাবিধ ভুল করে থাকে, এমনকি পৃষ্ঠাও ওলটপালট করে ফেলে। ফলে কখনো কখনো শিক্ষার্থীকে আলাদা করে ফটোকপি করতে দোকানে যেতে হয়। (৫) সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এই ওয়ার্কশিট পদ্ধতি কতোটা ফলপ্রসূ হচ্ছে? এর কি কোনো ফিডব্যাক ব্যবস্থা রয়েছে?

শিশুদের শেখার ধরন-ধারণ স্বতন্ত্র। অর্থনৈতিক অবস্থা এবং পারিবারিক পরিবেশভেদে শিশুর শিখন সহায়তাও ভিন্ন। তাই এ যাবৎ নেয়া সরকারি কোনো উদ্যোগকেই আমার কাছে সার্বজনীন মনে হয়নি, সবগুলোতেই মারাত্নক সীমাবদ্ধতা ছিলো। আমাকে অভিভাবক হিসেবে কখনো-কখনো বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে; কিন্তু আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অংশগহণে অনীহা প্রকাশ করেছি। অনীহা প্রকাশের অন্যতম কারণ ছিলো নীরব প্রতিবাদ। সরকারি উদ্যোগগুলি ছিলো অনেক ভালো কিন্তু এগুলি বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে সমন্বয়হীনতা এবং বাস্তবায়নকারীদের অদক্ষতা/উদাসীনতাই বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।

বাংলাদেশে জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা নিয়ে নানাবিধ আদর্শ বা স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করা রয়েছে। যেখানে একটানা এক মাসের বেশি বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থা কী হবে সেটি বলা রয়েছে, সেখানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় ১৮ মাস যাবৎ বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও যে লেজেগোবরে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটি আমাকে লজ্জায় ফেলেছে। কেননা, আমি একজন পিতা, আমি একজন শিক্ষা গবেষক এবং আমি একজন শিক্ষা ব্যবস্থাপক। তবে একটি শেষ প্রশ্ন থাকে, এ অবস্থায় শিশুর শিখন নিশ্চিতকরণে আসলে কি করা যেত? সেটা নিয়েই নিচের অংশটুকু লিখছি।

(১) বিদ্যালয়ের নানাবিধ মেইনটেনেন্স কস্ট রয়েছে যেটি গত ১৮ মাস ধরে ২০ শতাংশের বেশি খরচ হবার কথা নয়। খরচ না হওয়া অর্থ দিয়ে প্রতি শিক্ষককে মাসে ৫০০ টাকা করে মোবাইল বিল দিয়ে তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া যেতো বাড়িতে বাড়িতে ফোন করে শিশুদের লেখাপড়ার খবরাখবর নেয়ার জন্য। একটি রেজিস্টারে শিক্ষক লিখে রাখতেন কাকে কাকে ফোন দেয়া হয়েছে সেটি। যারা অপেক্ষাকৃত সচেতন তাদেরকে ফোন খুব বেশি না দিলেও চলতো। সংসদ টিভিতে কখন কোন ক্লাস হচ্ছে, গুগল মিট বা জুম-এর মাধ্যমে ক্লাসগুলোর খবর দিতেন শিক্ষকরা। এ ছাড়াও করোনাকালীন শিশুরা কীভাবে নিরাপদে থাকবে, বাসায় কীভাবে লেখাপড়া করবে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শিশুর সাথে কেমন আচরণ করবেন, সেটিরও একটি দিক নির্দেশনা দেয়া যেত। উল্লেখ্য, মোবাইল ফোনবিহীন পরিবার এখন আর বাংলাদেশে নেই মনে হয়।

(২) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় সংসদ টিভির ক্লাস একবার না হয়ে দিনে তিনবার প্রচার করা উচিত ছিলো। যদি একটি শিশু একবার অংশগ্রহণ করতে না পারতো, তখন সে আরেকবার অংশগ্রহণের সুযোগ পেত। ক্লাস শেষে শিশুদের জন্য নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হতো, যার উত্তর শিশুরা টোল ফ্রি এসএমএস এর মাধ্যমে প্রদান করতো। প্রতিটি বিদ্যালয়ের যেহেতু ইউনিক কোড রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কাছে সে উত্তর চলে যেত এবং উত্তর সঠিক হলে একটি ফিরতি এসএমএস শিশুটি পেতো। এতে করে কারা অংশ নিচ্ছে আর কারা নিচ্ছে না সেটি সহজেই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় বুঝে যেত। ঘোষণা দেয়া যেত যে, যারা নিয়মিত এসব পাঠে অংশগ্রহণ করবে এবং সঠিক উত্তর দিবে সেটির ভিত্তিতে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। অন্যথায়, সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে।

(৩) যে সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষক প্রতি শিক্ষার্থী সংখ্যা অত্যধিক, সেখানে এলাকার বড় শিশুদেরকে সম্পৃক্ত করে তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা করা যেত। অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫-৬ জন শিশুর জন্য একজন মাধ্যমিক স্তরের শিশুকে ক্ষুদে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করে তার সাথে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিজ বিদ্যালয়ের শিশুদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারতেন। এমন উদ্যোগ নেয়া হলে বড় শিশুটিও লেখাপড়া চর্চার মধ্যে থাকতো এবং সম্মানিত বোধ করতো।

(৪) বিদ্যালয়ের সকল অভিভাবকের ডিজিটাল অ্যাকসেস ম্যাপিং করা যেত, যার মাধ্যমে শিক্ষকগণ সহজেই পরিকল্পনা করতে পারতেন কোন শিশুর সাথে কীভাবে যোগাযোগ করলে তার শিখন নিশ্চিত করা যায়।

(৫) বিদ্যালয় থেকে যে অ্যাসাইনমেন্টগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলোকে সৃজনশীল করা যেত। শিক্ষার্থীরা যেন বই পড়ে, বড়দের সাথে আলোচনা করে, পরিবেশকে পর্যালোচনা করে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে সেরকম অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া যেতো। এসব অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার পর পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট নেয়ার সময় যেন অ্যাসাইনমেন্টের ফিডব্যাক শিশু পেতে পারে সে ব্যবস্থা করা যেত। অ্যাসাইনমেন্টের প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা যেত। এটি অবশ্যই শিক্ষার্থী এবং অভিভাবককে অনুপ্রাণিত করতো।

(৬) শিক্ষার্থী যখন বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না, বিদ্যালয় চলে যেত পারতো শিক্ষার্থীর বাড়িতে। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে তাদেরকে সহায়তা দিতে শিক্ষকগণ বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে শিশুর শিখন নিশ্চিত করতে পারতেন।

(৭) পাঠ্যবইয়ের অনুশীলনী হুবহু প্রিন্ট না করে প্রতি এক মাসের জন্য একটি লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে শিশুকে বাড়িতে লেখাপড়া করতে বলা যেত। শিক্ষক বাড়ি পরিদর্শনের মাধ্যমে ও মোবাইলের মাধ্যমে অগ্রগতি ফলোআপ করতেন এবং মাস শেষে একটি মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকতো। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শিফট করে করে শিশুরা সবগুলো বিষয়ের একটি মাসিক পরীক্ষা বিদ্যালয়ে এসে দিয়ে যেত, যার ফলাফল পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা পেয়ে যেত।

(৮) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মাথায় নিয়ে বিদ্যালয়গুলো ৫/৬ জন শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই পাঠদানের ব্যবস্থা করতে পারতো। সেক্ষেত্রে বিদ্যালয়ে স্বল্পসময়ের জন্য অনেকগুলো শিফট করে এবং সপ্তাহে ছয় দিনের পরিবর্তে ২/৩ দিন করে ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারতো।

(৯) দ্রুততার ভিত্তিতে শিশুর পারগতা ও সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে শিশুদেরকে কয়েকটি দলে বিভক্ত করে নেয়া, এবং এই ছোট ছোট দলগুলোকে শিখন সহায়তা প্রদান করতে না পারলে স্থায়ীভাবে অনেক শিশু লেখাপড়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

পরিশেষে বলতে হয়, আমাদের মহামান্য শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন স্তরের শিক্ষাকর্মীটি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজ সন্তানের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নিশ্চই বসে ছিলেন না। শিক্ষা থেমে থাকলেও বয়স কিন্তু থেমে থাকেনি। আমরা জানি, শিশুর শিক্ষা অব্যাহত না থাকলে শিক্ষার প্রতি শিশুর স্থায়ী অনীহা তৈরি হয়। বিদ্যালয় বন্ধ হবার সাথে সাথেই একটি সতর্কতা বাণী সকলকে জাননো হয়, যেটি হচ্ছে, “স্কুল বন্ধ হলেও শিক্ষা কিন্তু অব্যহত থাকবে”।

সুতরাং, একজন আন্তরিক শিক্ষকই পারেন বিকল্প উপায়ে শিশুর যথাযথ শিখন নিশ্চিত করতে। সেক্ষেত্রে দেশের কোনো নীতি সেটিকে রুখতে পারে না। মনে রাখতে হবে, পথ কখনো তৈরি থাকে না, শিক্ষকের ইচ্ছেই শিশুর শেখার নানাবিধ পথ তৈরি করতে পারে।

Sending
User Review
0 (0 votes)

লেখক সম্পর্কে

মো: সাইদুল হক

মো: সাইদুল হক

মো: সাইদুল হক একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থায় শিক্ষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি জাতীয় ও স্থানীয় এনজিওসমূহে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।

মন্তব্য লিখুন