অনিরাপদ মন ও অবসেশন

আমেরিকার ফোর্ড মোটর কোম্পানি। মোটরযান শিল্পকে যারা পথ দেখিয়েছে বিশেষ করে উৎপাদন পদ্ধতিতে নতুনত্ব এনে, সেই ফোর্ড মোটর কোম্পানিতে কোন নারী প্রকৌশলী ছিলো না ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত। সেখানে একটি মেয়ে গিয়ে একদিন হাজির হলেন প্রকৌশলে মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে। তিনি ছিলেন ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রথম ইন্জিনিয়ারিং-এ মাস্টার্স মেয়ে।

ফোর্ডের মানবসম্পদ বিভাগের নিয়োগকর্তা মেয়েটির জীবনবৃত্তান্তটি হাতে নিয়ে বললেন, তুমি প্রকৌশলী পদের জন্য এসেছ? কিন্তু নারী প্রকৌশলী তো আমাদের এখানে কেউ নেই! মেয়েটি দমে গেলেন না। বললেন, এই তো একজন তোমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। ইন্টারভিউতে মেয়েটি খুব ভালো করলেন। কারণ তিনি তার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে পরীক্ষায় প্রথম হয়ে এসেছেন। ফোর্ডের মানবসম্পদ বিভাগ তাকে নিয়োগ না করে পারলো না।

এই মেয়েটি কিন্তু একজন আমেরিকান ছিলেন না। তিনি ছিলেন ২৫ বছর বয়সের শীর্ণ শরীরের সাধারণ চেহারার এক ভারতীয় মেয়ে, যার নাম হলো দামিয়ন্তী হিঙ্গোরানী গুপ্তা। ফোর্ডের মানবসম্পদ বিভাগ তাকে নিয়োগদান করলেও তারা তার নাম উচ্চারণ করতে পারছিলো না। তাকে বললো সহজ একটি নাম হলে তিনি কাজ করতে পারবেন। দামিয়ন্তী বলল তাকে রাণী বলে ডাকতে।

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সহজ বিষয় নয়। অনেক অঙ্ক-বিজ্ঞান শিখতে হয়। সেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে নিম্নবিত্ত পরিবারের দামিয়ন্তী গুপ্তা কিভাবে তাঁর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রথম হয়ে সুদুর ভারত থেকে গিয়ে জার্মানি ও আমেরিকায় উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বিশ্বসেরা কোম্পানিতে প্রথম নারী প্রকৌশলী হিসাবে স্থান করে নিলেন?

দামিয়ন্তী গুপ্তা নিজেই বলেছেন তার জীবন কথায় যে, এটি তার ১৩ বছর বয়সের একটি স্বপ্নপূরণের ইতিহাস। দামিয়ন্তীর বয়স যখন ১৩, তখন স্বাধীন ভারতের বয়স মাত্র ৮। নব্য স্বাধীন ভারতে জহরলাল নেহেরু তখন প্রধানমন্ত্রী।

দামিয়ন্তীরা তখন থাকেন গুজরাটের বারোদায়। একদিন তিনি শুনলেন, বারোদায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু আসবেন। সে রাত্রে ঘুম হলো না কিশোরী দামিয়ন্তীর। ভোর সকালে উঠে তিনি চলে গেলেন শহরের পোলো গ্রাউন্ডে যেখানে নেহেরুর বক্তৃতা দেবার কথা।

পোলো গ্রাউন্ডের একদম সামনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডায়াসের সামনে একটি রুমাল পেতে মাটিতে বসে তিনি অপেক্ষা করতে লাগলেন। প্রধানমন্ত্রী এলেন। তার বক্তব্যে তিনি বললেন, “২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনে থেকে ভারতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নাই, তাই আমাদের অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন অনেক প্রকৌশলী। তোমরা প্রকৌশলকে পেশা হিসাবে নেবার চিন্তা কর”।

তারপর তিনি যোগ করলেন, “একথা আমি শুধু তোমরা যারা এখানে কিশোরেরা আছ তাদের বলছি না, একথা আমি কিশোরীদেরও বলছি, তোমরাও প্রকৌশলকে পেশা হিসাবে নেবার চিন্তা কর”।

কথাটি দামিয়ন্তীর মনে গেঁথে যায়। বাড়িতে গিয়ে সে তার মাকে বলে সে ইঞ্জিনিয়ার হবে। সেই থেকে তার জীবনে একটিই লক্ষ্য হয়ে যায়। দামিয়ন্তীর যখন ১৯ বছর বয়স, তখন তিনি ফোর্ড মোটর কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ফোর্ডের আত্মজীবনীটি পড়েন।

সেটি পড়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি ফোর্ড মোটর কোম্পানিতে কাজ করবেন। এর কারণ হলো, হেনরি ফোর্ড তার বইতে লিখেছিলেন শুধু ধনী ব্যক্তি নয়, তিনি সবার জন্য গাড়ি তৈরি করতে চান।   

মায়ের সাথে দামিয়ন্তীর ছিলো তার অতি নিকট, ঘনিষ্ঠ ও পরস্পর নির্ভরশীল সম্পর্ক। তিনি ছিলেন তিন বোনের মধ্যে সবার বড়। তাঁর ভাই ছিলো তার চেয়ে ২০ বছরের ছোট। মা তাকে সর্বদা তার মনের ইচ্ছা পূরণে সাহস দেন ও সহায়তা করেন।                    

দামিয়ন্তী গুপ্তার জীবন কাহিনী অবশ্যই একটি সফলতার গল্প যেটি শুধু ভারতীয় নয়, সারা দুনিয়ায় নারীদের এগিয়ে আসতে উদ্যম যুগিয়েছে, সহযোগিতা করেছে। সারা দুনিয়ায় দামিয়ন্তী গুপ্তা নারী অগ্রযাত্রার একটি জীবিত লিজেন্ড।

ফোর্ড মোটর কোম্পানি স্বয়ং তাঁর ওপর তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছে এবং নিজেদের নেটওয়ার্কে সেটি প্রচার করেছে। আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিনসহ সারা দুনিয়ার মিডিয়া তাকে নিয়ে অসংখ্য আর্টিকেল, তথ্যচিত্র, সাক্ষাৎকার ও টক শো করেছে। দামিয়ন্তীর গুপ্তার সাফল্য স্বীকৃত – কোনো সন্দেহ নেই।

কিন্তু দামিয়ন্তী গুপ্তা যে স্বপ্নের পেছনে ছুটেছেন, সেই স্বপ্ন আসলে কার স্বপ্ন? ভারতে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজন, এটি ১৩ বছরের বালিকার সমস্যা নয়। আমেরিকায় সবার জন্য মোটরগাড়ি তৈরি, সেটি ১৯ বছরের এক দরিদ্র পরিবারের ভারতীয় কিশোরীর নিজের স্বপ্ন নয়।

আসলে দামিয়ন্তী গুপ্তা অবসেসড ছিলেন বিশাল বিশাল ব্যক্তিত্বের প্রতি। নেহেরু ভারতে ফোর্ড সারা দুনিয়ায় তখন এঁরা সব বিশাল বিশাল ব্যক্তিত্ব। হিটলার স্বয়ং ফোর্ডকে গুরু মানতো। দামিয়ন্তী গুপ্তা নেহেরু আর ফোর্ডের স্বপ্নগুলোকে নিজের স্বপ্ন হিসাবে প্রতিস্থাপিত করেছেন মাত্র। তারপর তিনি নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে।

এক সাক্ষাৎকারে এক ভারতীয় হোস্ট তাকে প্রশ্ন করেছেন যে, আপনি যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন ভারতের কলেজে, সেখানে বাকি সবাইতো ছিলো ছেলে। একটি মাত্র মেয়ে হিসাবে আপনার প্রতি অনেকের নিশ্চই বিশেষ আগ্রহ ছিল। সেটি সম্পর্কে বলুন।

দামিয়ন্তী বলেছেন, তিনি তার পড়াশোনা ছাড়া আর কোনোদিকে দৃষ্টি দেননি, সবকিছু অবজ্ঞা করে গেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর নানীর দেওয়া শিক্ষা অনুসরণ করেছেন। তাঁর নানী তাঁকে শিখিয়েছিলেন, যখন তুমি কিছু চাও তখন তোমাকে অর্জুনের মত ফোকাসড হতে হবে। তাঁর নানী তাঁকে বলেছেন, অর্জুন এতোই ফোকাসড ছিল যে, একটি পাখি শিকার করতে গিয়ে তিনি পাখিটি দেখতেন না, পাখিটির চোখ দেখতেন।

কিন্তু এই অর্জুন কে ছিলেন? অর্জুন সংস্কৃত ভাষায় রচিত প্রাচীন ভারতের দুটি প্রধান মহাকাব্যের অন্যতম মিথলজিক্যাল কাব্য মহাভারতের একটি চরিত্র যেটি লিখেছেন কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস, যিনি ব্যাসদেব হিসাবে পরিচিত। মহাভারত মোটামুটি ৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ গুপ্তযুগে রচিত হয়। অর্জুন কিন্তু একটি কল্পচরিত্র মাত্র।  

তাহলে দেখা যাচ্ছে, ব্যাসদেবের শ্লোক, নেহেরুর রাজনৈতিক ইচ্ছা এবং হেনরি ফোর্ডের ব্যবসায়িক পরিকল্প – এগুলোই তৈরি করেছে দামিয়ন্তী গুপ্তার জীবনস্বপ্ন। দামিয়ন্তী গুপ্তার স্বপ্নে ভারতের গুজরাটের বারোদায় বাস করা সাধারণ চেহারা এক শীর্ণ কিশোরীর যে ব্যক্তি মানস ও অস্তিত্বের অভ্যন্তরীণ সঙ্কট তার প্রতিফলন কোথায়?

দামিয়ন্তী গুপ্তা প্রকৌশলী হয়েছেন, কিন্তু নেহেরুর কাজে লাগেননি। যে সাধ করে তিনি ফোর্ড কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন, পরে তিনি তাদেরই বলেছেন যে তোমরা গাড়ি বিক্রি না করে জাঙ্ক (জঞ্জাল) বিক্রি করছ কেনো? কারণ তিনি দেখেছেন তার সাধের ফোর্ড কোম্পানি গাড়ি এমনভাবে তৈরি করছে যাতে তিন চার বছর পর সেটি নষ্ট হয়ে যায় ও মানুষ পরের মডেল কিনতে বাধ্য হয়।

আমরা যদি কোনো একটি নোংরা স্থানে যাই বা আমাদের ঘরে, খাবার টেবিলে, চায়ের কাপে বা আমাদের গায়ে নোংরা কিছু লেগে থাকে, তাহলে আমরা নিজে থেকেই একটা অস্বস্তি অনুভব করি কেউ সেটি না দেখলেও। নিজ থেকেই সেই নোংরা অবস্থা আমরা এড়িয়ে চলি বা নোংরা অবস্থা পরিষ্কার করতে উদ্যত হই। এই অস্বস্তিটাকে বলে ডিজোনেন্স। ডিজোনেন্স হয় বলেই আমরা পরিচ্ছন্ন থাকি। ডিজোনেন্স না থাকলে আমরা অপরিচ্ছন্ন থেকে যেতাম, যেমন শিশুরা থাকে। কারণ নোংরা থাকলে তাদের মনে ডিজোনেন্স তৈরি হয় না।

জগতের সকল বিষয় নিয়েই আমাদের মধ্যে একটি ধারণা বা চিন্তা বিরাজ করে, সেটি যতো শিশুতোষই হোক না কেন। যেমন, আমরা কীভাবে এই দুনিয়াতে এলাম, আপেল কেন মাটিতে পড়ে এইরকম নানা কিছু আর কি! এই চিন্তাগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক কোনো নতুন কথা যদি আমরা শুনি বা পড়ি, তাহলে এই নতুন চিন্তা ও পুরোনো চিন্তার সংঘর্ষ আমাদের মনে সেই নোংরা পরিবেশের মতো একটি চিন্তাগত অস্বস্তি বা ডিজোনেন্স তৈরি করে, যাকে বলে কগনিটিভ ডিজোনেন্স।

নোংরা পরিবেশের ডিজোনেন্স যেমন আমাদের পরিচ্ছন্ন হবার তাড়না দেয়, কগনিটিভ ডিজোনেন্স তেমনই আমাদের চিন্তায় অসঙ্গতি বা পরাস্পরবিরোধিতা দেখা দিলে আগের ঘোলাটে চিন্তাকে পরিবর্তন করে চিন্তাটিকে আরও সমৃদ্ধ ও যুক্তিসংগত অবস্থানে নিয়ে যায়। যার ফলে সেই ডিজোনেন্স বা অস্বস্তি কেটে যায়। আমরা ভালো বোধ করি।

মনোবিদ গুস্তভ ইয়ুং, এরিখ ফ্রম, পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন, নিলস বোর, রিচার্ড ফাইনম্যান – যারা সাবাই মানুষের মৌলিক চিন্তা ও উচ্চশিক্ষার সমস্যা নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁরা বলেছেন ‘ইনার কোয়েস্ট’ বা মানুষের অন্তরের গভীরের জিজ্ঞাসার কথা।

এই ইনার কোয়েস্ট তৈরি হয় কগনিটিভ ডিজোনেন্স থেকে। আমাদের ধারণা এবং আমাদের পর্যবেক্ষণ – এই দুটোর মধ্যে যখন সংঘাত তৈরি হয়, তখন সেটি আমাদের মনে তৈরি করে একটি চিন্তাগত অস্বস্তি। সেই অস্বস্তি থেকে তৈরি হয় একটি তাড়না যে, হয় আমার চিন্তা ঠিক অথবা আমার পর্যবেক্ষণ ঠিক। দুটোই ঠিক হতে পারে না।   

মানুষ ইচ্ছা করলে এই ডিজোনেন্সকে বন্ধ বা শাটডাউন করে দিতে পারে। যে সকল মানুষ তাদের জীবনে চরম অনিরাপত্তাবোধে পতিত হয়, তখন তারা অনেকেই ডিজোনেন্সকে বন্ধ বা শাটডাউন করে দেয়। সে তখন একটি ফাংশনাল প্রসেসরে পরিণত হয়। তার নিজ বলে কিছু থাকে না। চিন্তাই তখন সব।

তখন সে অন্য মানুষের স্বপ্ন ধারণ করে। প্রচুর পরিশ্রম করে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে, অন্যের সমস্যার সমাধান করে কিন্তু নিজের জীবনে বা নিজের পরিবেশের জটিল যুক্তি-জ্ঞানের আওতার বাইরে সমস্যা যখন তাকে ঘিরে ধরে তখন সে কোনো ক্লু পায় না।

আমাদের আলোচনার দামিয়ন্তী গুপ্তার কী ঘটেছিল? তিনি কি তাঁর ডিজোনেন্সকে শাট ডাউন করে দিয়েছিলেন?

দামিয়ন্তী গুপ্তার জন্ম হয় ১৯৪২ সালে বৃটিশ ভারতে সিন্ধু প্রদেশে যেটি তাঁর মাত্র পাঁচ বছর বয়স হতেই পাকিস্তানে পরিণত হয়। তারপর তিনি দেখেন নৃশংস হিন্দু মুসলমান রায়ট। সমৃদ্ধ কৃষক পরিবার তার বাবা মা মাত্র পাঁচ বছরের দামিয়ন্তী গুপ্তাকে নিয়ে একটি কার্গো জাহাজে উঠে ভারতের মুম্বাই চলে আসে রাতের আঁধারে প্রাণভয়ে পালিয়ে।

ভারতে এসে রাতারাতি পরিবারটি পরিণত হয় একটি কপর্দকহীন দরিদ্র রিফিউজি পরিবার। বারোদায় সিন্ধ ভাষার রিফিউজি স্কুলে ভর্তি হন দামিয়ন্তী। এই চরম অনিরাপত্তায় ডিজোনেন্সকে শাট ডাউন করা ছাড়া উপায় কি? নিজের স্বপ্নের ভিত্তি কোথায় যে ব্যাসদেবের শ্লোক, নেহেরুর রাজনৈতিক ইচ্ছা এবং হেনরি ফোর্ডের ব্যবসায়িক পরিকল্পতে তিনি নিজেকে সঁপে দিবেন না?

দামিয়ন্তী গুপ্তা সফল। যারা প্রফেশনাল হতে চাইছে, পেশাগত সার্ভিস দেবার জন্য তাদের নিজের অন্তরের স্বপ্ন ফেলে অপরের স্বপ্নে সফল হতে কোন উনিশ-বিশ হয়ত নেই। কিন্তু মৌলিক জ্ঞানচর্চা ইনার কোয়েস্টের বিষয়। এখানে অবচেতনের সাথে চেতন জ্ঞানের সংঘাত, চিন্তার সাথে অনুভবের সংঘাত এবং নতুন চিন্তার সাথে পুরোনো চিন্তার সংঘাত তথা কগনিটিভ ডিজোনেন্সই মানুষকে টেনে নিয়ে যায় নতুন চিন্তার দুয়ারে।

উচ্চশিক্ষা আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি প্রফেশনাল স্কুলগুলোর মতো অপরের স্বপ্নের কারিগরে ভরে যায়, তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে নতুন চিন্তার দুয়ার। সমাজ যত অনিরাপদ হবে, ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠবে উচ্চশিক্ষা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা। উচ্চশিক্ষা আত্মপ্রতিষ্ঠার অবসেশন নয়, অনিরাপদ ভীত মনের স্বপ্নপূরণের স্থানও নয় – এটা স্বাধীন ও নির্ভীক কৌতুহলী অন্তরের খোলামেলা ক্রীড়াস্থান।

লেখক সম্পর্কে

সিরাজুল হোসেন

সিরাজুল হোসেন

সিরাজুল হোসেন বিশেষ জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং সেগুলোর সামাজিক প্রয়োগে বিশেষজ্ঞ। পাশাপাশি, তিনি ইনোভেশন অ্যাডভাইজার, ডিনেট ও এমডি সাইবারনেটিক সিস্টেমস লিমিটেডে কর্মরত।

মন্তব্য লিখুন