সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার একদিকে যেমন আন্দোলনকারী ছিলেন, তেমনি ছিলেন একজন শিক্ষকও। কিন্তু শিক্ষাবিদ? শিক্ষক ও শিক্ষাবিদের মধ্যে পার্থক্য আছে। শিক্ষক হলেই একজন শিক্ষাবিদ হয়ে যান না। একজন শিক্ষক যেমন শিক্ষাবিদ হতে পারেন, তেমনি শিক্ষক না হয়েও একজন শিক্ষাবিদ হতে পারেন। ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার শুধু যে আধুনিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা নয়; তিনি একইসঙ্গে স্পেনের তৎকালীন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে যুক্তিবাদী ও স্বাধীনচেতা শিক্ষার দর্শন ও চর্চার ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা কিনা পুরো বিশ্বকে প্রভাবান্বিত করেছিল।
বিষয়টিতে তিনি এতোটাই নিবিড় ছিলেন যে, এমা গোল্ডম্যানের মতে, ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার আসলে একজন বিদ্রোহী যে কিনা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে আঘাতের মাধ্যমে আমূল বদলাতে আগ্রহী (যদিও আমরা পরবর্তীতে দেখবো ফেরার মোটেই আঘাতের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তনে আগ্রহী ছিলেন না; মূলত ফেরারকে বিভিন্নভাবে তখন মহিমান্বিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং এর ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিশয়োক্তি হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়)।
অন্যদিকে আনাতোল ফ্রাঁ মনে করতেন, সামরিক জান্তা তাঁকে মেরেছিল বিদ্রোহের জন্য নয়, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কারণে। ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার যে ধরনের বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন, বিদ্যালয়ের যে দর্শন তিনি প্রচার করেছিলেন— তার ভবিষ্যৎ কী হতে পারে তা সামরিক জান্তা যথার্থভাবেই উপলব্ধি করতে পেরছিল এবং সে-কারণেই প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও প্রায় বিনাবিচারে তাঁকে মরতে হলো (আমার মতে, এটাই হচ্ছে ফেরারকে মেরে ফেলার মূল কারণ। তাঁর বিদ্যালয় মূলত যুক্তিবাদী ও স্বাধীনচেতা নাগরিক তৈরির ক্ষেত্রে হিসেবে কাজ শুরু করেছিল, যা কোনো সামরিক জান্তারই মেনে নেওয়ার কথা নয়)।
ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার একদিকে যেমন আন্দোলনকারী ছিলেন, তেমনি ছিলেন একজন শিক্ষকও। কিন্তু শিক্ষাবিদ? শিক্ষক ও শিক্ষাবিদের মধ্যে পার্থক্য আছে। শিক্ষক হলেই একজন শিক্ষাবিদ হয়ে যান না। একজন শিক্ষক যেমন শিক্ষাবিদ হতে পারেন, তেমনি শিক্ষক না হয়েও একজন শিক্ষাবিদ হতে পারেন।
তবে তাঁর মৃত্যুর পর থেকে আধুনিক বিদ্যালয়ের ধারণা জনপ্রিয় হতে থাকে ইউরোপে, এমনকি আমেরিকাতেও। সে সময় দেশে দেশে ফেরার অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হতে থাকে। এমা গোল্ডম্যান ফেরারের কাজে এতোটাই আকর্ষিত হয়েছিলেন যে, বিশ্বব্যাপী ফেরার অ্যাসোসিয়েশন তৈরির কাজে তিনি মূল ভূমিকা পালন করেন। ফেরারের শিক্ষাদর্শনে অনেক আমেরিকান চিন্তুকও প্রবলভাবে আকর্ষিত হন যাদের মধ্যে রয়েছেন আপটন সিনক্লেয়ার, জ্যাক লন্ডন ও চার্লস এডওয়ার্ড রাসেল। তাঁদের কারণে খুব স্বল্পসময়ের মধ্যে ১৯১১ সালে নিউ ইয়র্কে প্রথম আধুনিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। অর্থাৎ ফেরারের আধুনিক বিদ্যালয় খুব স্বল্পসময়ে মহাসাগর পেরিয়ে অপরপ্রান্তের মানুষদের এমনভাবে প্রভাবান্বিত করে যে, আজকের তুলনায় সেটিকে রীতিমতো দ্রুত পদক্ষেপই বলা যায়।
শিক্ষা নিয়ে ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার নিজে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন উইলিয়ান গডউইন ও জাঁ-জাক রুশো থেকে। এই দুজনের শিক্ষাদর্শন ও শিক্ষাকর্মকাণ্ডে তিনি এতোটাই মোহিত ছিলেন যে, তাঁদের দর্শনগুলোকে নিজের ভাবনার সাথে মিলিয়ে একইসঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনি স্থাপন করেছিলেন স্পেনে যা অতিদ্রুত আলোড়ন সৃষ্টি করে। ফেরার-স্থাপিত আধুনিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম দেখতে এসেছিলেন জর্জ বার্নার্ড শ, এইচ জি ওয়েলস, আর্থার কোনান ডয়েল কিংবা লিও টলস্টয়ের মতো ব্যক্তিরা। বিদ্যালয়ের কার্যক্রম দেখে টলস্টয় এতোটাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন যে, তিনি রাশিয়াতে গিয়ে এ ধরনের বিদ্যালয় চালু করেছিলেন যা থেকে আজকের এ এস নেইল কর্তৃক ইংল্যান্ডে সাফোকের সামারহিল বিদ্যালয়ের জন্ম হয়। সুতরাং এক অর্থে ইউরোপে আধুনিক বিদ্যালয় ও এ-ধরনের বিদ্যালয়ের সমন্বিত দর্শনের জন্মদাতা ফ্রান্সিসকো ফেরার।
তবে আলাদাভাবে বিদ্যালয় স্থাপন করা এবং এই বইটি, বিশেষ কিছু বুলেটিন ও আরও কিছু ছোট লেখা ছাড়া স্পেনের শিক্ষা আন্দোলনে ফ্রান্সিসকো ফেরারের সক্রিয় অংশগ্রহণ তুলনামূলক কম ছিলো। ফলে তাঁর সক্রিয়তা নিয়ে চিন্তুক মহল যতোটা উচ্চধারণা পোষণ করেন, শিক্ষাকর্মীবৃন্দ ততোটাই সন্দিহান। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবও এ-ধরনের জটিলতার সৃষ্টি করেছে।
বিশেষ করে শিক্ষার যেসব ধারা নিয়ে ১৮৬০-এর পর থেকে মিখাইল বুকানন, পল রবিনস, ফ্রেডারিক ফ্রোয়েবেল, পিটার ক্রপোতকিন, টলস্টয় এমনকি রুশোও কাজ করেছেন, সেখানে ১৮৯৫ সালের পূর্ব পর্যন্ত সচেতনভাবে শিক্ষা নিয়ে কাজ শুরু করেননি ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার । খুব কম সময়ের মধ্যে তিনি অনেক পরিচিতি পেয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেটি প্রচারের আলোয় বেশিমাত্রায় এসেছিল কিনা সে প্রশ্নও ওঠে। এমনটিও মনে করা হয়ে থাকে, তিনি নৈরাজ্যবাদীদের আন্দোলনের সমর্থন দিতে গিয়ে বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করেছিলেন কিনা।
বইয়ের শুরুতে অবশ্য ফেরার কীভাবে আধুনিক বিদ্যালয়ের জন্ম হলো সে-সম্পর্কে অনেককিছুই বলেছেন, কিন্তু সেসব খোদ লেখকেরই কথা! স্পেনের ইতিহাসে সেটি ছিল এমন এক সময় যখন নৈরাজ্যবাদীদের আন্দোলন মোটামুটি তুঙ্গে ছিল। সে-সময় অনেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত না থেকেও ভিন্ন উপায়ে সমর্থন দিতেন। ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার সে-কারণেই আধুনিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে থাকতে পারেন বলে মনে করা হয়। তবে যা-ই হোক না কেন, তিনি যে ধারণাগুলো দিয়েছেন আধুনিক বিদ্যালয় সম্পর্কে— তিনি নৈরাজ্যবাদী ছিলেন কিনা সেই বিতর্কের কোনো সুরাহা না করতে পারলেও উক্ত ধারণাগুলো তাঁকে শিক্ষাবিদ হতে কোনোপ্রকার বাধা সৃষ্টি করে না।
আধুনিক বিদ্যালয়: ধারণা, চর্চা ও বিবর্তন
ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার যখন আধুনিক বিদ্যালয়ের ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন, তখন সার্বিকভাবে স্পেনের শিক্ষাব্যবস্থার মান ভালো ছিল না। সাক্ষরতার হার ছিল ৫০ শতাংশের কাছাকাছি, বিশেষত মেয়েদের শিক্ষাকে উৎসাহিত করা হতো না। বিদ্যালয়গুলো মূলত চার্চ দ্বারা পরিচালিত হতো। সেখানে মুখস্থবিদ্যার ওপর জোর দেওয়া হতো এবং রাজনীতি সম্পর্কে কোনো ধরনের আলোচনা নিষিদ্ধ ছিল। এ-অবস্থায় ফেরার যখন আধুনিক বিদ্যালয়ের কাজ শুরু করেন, তার কিছুদিনের মধ্যে বার্সেলোনার আশেপাশে ৪০টির মতো একই ধরনের আধুনিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাঁর লিখিত বই ৮০টি বিদ্যালয়ে পাঠ্য করা হয়।
বলা প্রয়োজন, একটি বিদ্যালয়ে কী পড়ানো হবে, তাঁর বইতে সে সম্পর্কে কোনো বক্তব্য ছিল না বা তাঁর লেখাগুলোকে কোনো বইয়ের নির্দিষ্ট উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। কিন্তু তিনি যেভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা ও শিক্ষার যুক্তিবাদী ও স্বাধীনচেতার ধারণাগুলোকে উপস্থাপন করেছেন, সেগুলো থেকে বিদ্যালয় পরিচালনার প্রতি তাঁর সার্বিক দর্শন ফুটে উঠে। সম্ভবত এই দর্শনটিই তখনকার বিদ্যালয়-ব্যবস্থায় অনুপস্থিত ছিল এবং তখনকার বিদ্যালয়-ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়াসীরা ফেরারের বক্তব্যে নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখতে পেরেছিলেন। যে কারণে আধুনিক বিদ্যালয় ছাড়াও অন্যান্য বিদ্যালয়ও ফেরারের দর্শনকে স্বাগত জানিয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করারও চেষ্টা করেছে ফেরারের বিদ্যালয়ের চর্চাগুলোকে।
ফেরার যেটি করেছেন, এক-ধরনের সংস্কারমূলক শিক্ষা প্রচলনের পাশাপাশি নতুন কিছু উদ্ভাবনের সমন্বয়ে স্পেনের শিক্ষাব্যবস্থাকে গতি দিতে চেয়েছিলেন, যা চার্চকেন্দ্রিক স্থবির শিক্ষাকে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিল। অন্যদিকে ফেরার যেহেতু যুক্তিবাদী ও স্বাধীনচেতা শিক্ষাধারণার সমর্থক ছিলেন, সুতরাং বিদ্যালয়ের নানা চর্চায়ও তিনি সেগুলো প্রতিফলিত করতে চেয়েছিলেন, যার দেখা পাওয়া যায় ফেরারের লেখায়।
উদাহরণস্বরূপ জেন্ডারের কথা বলা যেতে পারে। জেন্ডারের বর্তমান ধারণা তখনও ইউরোপিয়ান সমাজে জোরালোভাবে প্রবেশ করেনি কিন্তু চিন্তুকমহলে কিছুটা আলোচিত হচ্ছিল। অপরদিকে ফেরারের বিদ্যালয়-ভাবনায় ছেলে ও মেয়েদের শিক্ষাকার্যক্রমকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা হয়নি; বরং দেখা হয়েছে পরিপূরক এবং মানবীয় শিক্ষার দিক হিসেবে। তিনি যে আধুনিক বিদ্যালয় চালু করেছিলেন, যে চর্চা তিনি প্রকাশ করতেন সেই বিদ্যালয়ে, সেখানে ছেলে ও মেয়েদের আলাদাভাবে শিক্ষা দেয়ার প্রথা ছিল না যদিও সেটির কারণে তাঁকে অনেক প্রতিকূল আচরণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
ফেরারের বিদ্যালয়-ভাবনায় ছেলে ও মেয়েদের শিক্ষাকার্যক্রমকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা হয়নি; বরং দেখা হয়েছে পরিপূরক এবং মানবীয় শিক্ষার দিক হিসেবে। তিনি যে আধুনিক বিদ্যালয় চালু করেছিলেন, যে চর্চা তিনি প্রকাশ করতেন সেই বিদ্যালয়ে, সেখানে ছেলে ও মেয়েদের আলাদাভাবে শিক্ষা দেয়ার প্রথা ছিল না যদিও সেটির কারণে তাঁকে অনেক প্রতিকূল আচরণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
এই প্রতিকূল আচরণ নানা মহল থেকেই এসেছে। তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, যৌথশিক্ষার প্রচলন স্পেনে নতুন কিছু নয় এবং তিনি সেটি নতুনভাবেও তৈরি করেননি; কিন্তু তা সত্ত্বেও স্পেনের তৎকালীন সমাজে এই যৌথ-অবস্থানভিত্তিক শিক্ষা সমাদৃত ছিল না। বিশেষ করে দুর্গম অঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে সদ্ভাবের কারণে চার্চ পরিচালিত বিদ্যালয়েও ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করা হতো। আইনগতভাবেও এর ভিত্তি ছিল, অন্তত মেনে নেয়া হতো; কিন্তু কখনোই সেটি সামাজিক পর্যায়ে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য ছিল না, ফেরার সেখানে জোরালোভাবে আঘাত করেন মূলধারার বিদ্যালয়ে যৌথশিক্ষা প্রবর্তনের মাধ্যমে।
এ-ধরনের যৌথশিক্ষা স্পেনের কিছু দুর্গম এলাকা কিংবা যেখানে শিক্ষার ভিন্ন কোনো উপায় ছিল না বা শুধু মেয়েদের জন্য বিদ্যালয় বানানো ব্যয়বহুল ছিল, সেখানেই চালু ছিল; এর বাইরে যৌথশিক্ষাকে নিরুৎসাহিতই করা হতো। তবে ফেরার যৌথশিক্ষা চালুর কাজটি করেছিলেন ভিন্ন কৌশলে। তিনি যৌথশিক্ষার বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে কখনোই সামনে আনতে চাননি; কারণ তিনি জানতেন, এটি নিয়ে প্রচার-প্রচারণা হলে তার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত নেতিবাচক হবে এবং তিনি যা করতে চান তা তিনি করতে পারবেন না। তৎকালীন সমাজব্যবস্থার পাশাপাশি ধর্মব্যবস্থা সেটি করতে দিবে না।
ফলে ফ্রান্সিসকো গার্দিয়া ফেরার আলাদা আলাদাভাবে অভিভাবকদের সাথে সভা করে ছেলে ও মেয়েদের একই স্থানে পাঠদানের বিষয়ে সম্মতি আদায় করে তবেই কাজটি চালু করলেন। ফেরার জানতেন, এই অভিভাবকরাই ‘যদি অন্যরা কী বলবে’ মনোভাব পোষণ করে তাঁদের মেয়েদের বিদ্যালয়ে আসতে দিতেন না যদি যৌথশিক্ষার বিষয়টি সাড়ম্বরে প্রকাশিত হতো। একজন ব্যক্তিকে আলাদা করে ইতিবাচক উপায়েই প্ররোচিত করা সম্ভব যদিও সেখানে প্রচুর সময় প্রদানের প্রয়োজন হয়। ফেরার সেই সময়টুকু দিয়েছিলেন এবং ফলে যৌথশিক্ষার দৃঢ় ভিত্তি তৈরি হয়েছিল।
লেখক পরিচিতি
গৌতম রায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।