উচ্চশিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়। সেটির আগে বরং ভর্তি পরীক্ষাকে মানসম্মত করতে হবে। পরীক্ষাপদ্ধতি ঠিক না থাকলে উচ্চশিক্ষায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আসতে পারবে না, ঝরে যাবে শুরুতেই।

গত ৩ জুলাই প্রথম আলোতে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি চক্রে আসন শূন্য চার শতাধিক শিরোনামে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত টানা হয়েছে যে, দ্বিতীয় দফায় ভর্তির সুযোগ থাকায় প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কয়েকশ আসন খালি থেকে যাচ্ছে। দেশের অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ হিসাবে আনলে সংখ্যাটি কয়েক হাজার হবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গটিকে সামনে আনার জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ। প্রতিবেদনের মূল সুরটিতে একমত হলেও কিছু বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে এ লেখার অবতারণা।

বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের দেশে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়, সেখানে যথেষ্ট উন্নতির সুযোগ রয়েছে। বিশেষত, বর্তমানে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর যে পরিমাণ ভোগান্তি ও অপচয় পোহাতে হয়, সেটিকে গুরুত্ব দেবার জন্য হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময়ে এই বিষয়গুলো আলোচনায় এলেও তেমন কার্যকর পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

এইচএসসি পাশের পর শিক্ষার্থীরা এক ও সমন্বিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি হতে পারলেও দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ভর্তি হতে তাদেরকে নানা জায়গায় গিয়ে একাধিক পরীক্ষা দিতে হয়। আজ থেকে প্রায় ষোল বছর আগে এ প্রবন্ধের লেখককে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রাজশাহীতে যেতে হয়েছিল। কোথাও কোথাও একাধিক পরীক্ষা দিতে হয়েছে পছন্দের বিষয়টিতে যাতে চান্স পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করার জন্য।

লেখকের পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি এমন ছিল না যে চাইলেই যে কোনো জায়গায় গিয়ে পরীক্ষা দেয়া যাবে; কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পছন্দসই বিষয়ে ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য কাজটি করতেই হয়েছিল। সন্তানের ভর্তির জন্য পিতা ধারদেনা করে কিছু টাকাপয়সা যোগাড় করলেও কী দুর্বিষহভাবে একেকটি জায়গায় গিয়ে কৃপণের মতো একেকটি টাকা খরচ করে প্রয়োজনে দূর সম্পর্কের আত্মীয়স্বজনের বাসায় থেকে হেঁটে পরীক্ষা সেন্টারে গিয়ে লেখককে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল- সেরকম অভিজ্ঞতা বোধকরি প্রচুর মানুষের রয়েছে।

শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফরম কিনলেই হয় না, সেখানে যাওয়া-আসা করা এবং নিদেনপক্ষে দুটো দিন থাকার ব্যবস্থা করার পেছনেও প্রচুর অর্থ খরচ হয়। নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ঘর থেকে আসা সন্তানদের পক্ষে এক মওসুমে এতোগুলো অর্থের সংস্থান করা কঠিনই হয়ে দাড়ায়। তাছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ পরিবর্তন কিংবা একই বিভাগেই একাধিক বিষয়ের জন্য একাধিক ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। সব মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে দুটো থেকে তিনটি মাস পরীক্ষা ও যাতায়াত করেই কাটাতে হয়।

এসএসসি ও এইচএসসির মতো দু-দুটো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন একই বিষয়ে আবার পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে হবে- এ নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকে মনে করেন, এর মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে গুরুত্ব হারায়। তবে সেটা অন্য বিতর্কের বিষয়। কিন্তু যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়, তখন এ ধরনের নানা প্রসঙ্গই আলোচনায় চলে আসে, যার সর্বশেষ (সম্ভবত) সংযোজন এই শূন্য আসনের বিষয়টি।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বিভাগ পরিবর্তন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তন- এই দুটো কারণে প্রতি বছর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকশ করে আসন খালি থাকছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় পাশের হার দারুণভাবে বেড়েছে যাদের অনেকেই জিপিএ ৫ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না। ভর্তি হতে না পারাদের জন্য প্রতিবেদনটি নিদারুণ দুঃখজনকই ব্যাপার হিসেবেই দেখা দিবে। অবশ্য বছরের শুরুর দিকে পত্রিকাতেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিশাল অংশ ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর তুলতে পারছে না।

একদিকে সর্বোচ্চ ফলাফল করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে নানা বিড়ম্বনা এবং পাশাপাশি আসন শূন্য থাকা- সব মিলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়াটিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সম-ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এখন উচিত হবে নিজেরা একত্রে বসে একটি সমন্বিত পন্থা বের করা যাতে শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার ধকলটা কম যায় এবং পাশাপাশি সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ার সমস্ত কর্মকাণ্ড নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা-বাবদ কিছু অর্থ বরাদ্দ করে।

এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশের শিক্ষাবিদ ও অন্যান্য গবেষকদের নিয়ে একটি গবেষণা দল গঠন করে গবেষণার মাধ্যমে কার্যকর ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সুপারিশ করতে পারে ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা বাস্তবায়ন করতে পারে।

প্রতিবেদনটিতে আসন শূন্যতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ ছাপা হয়েছে যেগুলোর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণের সুযোগ রয়েছে। একটি পরামর্শ এসেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া। উদাহরণ হিসেবে এখানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা হয়েছে যারা দ্বিতীয় দফায় ভর্তির সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্ঝঞ্ঝাটে পরীক্ষা দিতে পারে না, পরীক্ষার আগে নানা জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয় এবং নানা টেনশন মাথায় নিয়ে পরীক্ষা দেয় তারা, সেখানে এই বন্ধ করে দেওয়াটা যুক্তিযুক্ত কিনা তা আরও গভীরভাবে ভাবা দরকার।

বলা হয়েছে, যারা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়, তারা বেশি দিন ধরে প্রস্তুতি নিতে পারে যা কিনা নতুনদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বৈষম্য সৃষ্টি করে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বিষয়টি একেবারেই উল্টো। কারণ যারা প্রথমবারের মতো ভর্তি পরীক্ষা দেয়, তারা দুবছরের বেশি সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা-পরবর্তী সময়টা তারা ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েই কাটায়। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় বছর তিনেকের মতো একটানা সময় পায় তারা।

অন্যদিকে যারা দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষা দেয়, তাদের একটি বিরাট অংশ বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি থাকে। সেখানে তাকে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে হয় ক্লাসে উপস্থিত থেকে এবং নিদেনপক্ষে একটি বা দুটো সেমিস্টারে পার করতে হয়। সেখানে ন্যূনতম ফলাফল দেখাতে হয় তাকে, নিজের প্রয়োজনেই নিজের মেধার প্রমাণ রাখতে হয়। কাজটি করতে গিয়ে তাকে প্রচুর না হলেও উল্লেখযোগ্য সময় দিতে হয় পড়ালেখার কাজেই- সেখান থেকে কিছুটা সময় বের করে নিয়ে পরবর্তী বছর ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। সুতরাং প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির যে প্রসঙ্গটি এসেছে, সেটি একেবারে উল্টোভাবেই এসেছে বলে মনে করি।

তবে এটা ঠিক, যারা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়, তারা মানসিকভাবে অনেকটা এগিয়ে থাকে; কারণ ইতোমধ্যে তাদের ভর্তি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা হয়ে যায়। ভর্তি পরীক্ষায় বিষয়বস্তুর ওপর দক্ষতা থাকাটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পরীক্ষার সময়টিকে ধীরেসুস্থে ঠাণ্ডামাথায় কাজে লাগানোটাও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে পরীক্ষার হলে নার্ভাস হয়ে যায়, টেনশনে ভোগে। প্রথমবারের অভিজ্ঞতা সেক্ষেত্রে অনেক কাজে লাগে। এ প্রসঙ্গে বরং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী রীয়াজের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। কতো শতাংশ শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভর্তি হতে পারবে তার একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। আমি তাঁর সঙ্গে একমত।

আমাদের উচ্চশিক্ষায় আসন সংকট রয়েছে- এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তর্কের খাতিরে নানা হিসাবনিকাশে এটা হয়তো মানতে চাইবেন না, কারণ সারা দেশের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সংখ্যা হিসাব করলে উচ্চশিক্ষায় আসন সংকট না থাকারই কথা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জিপিএ ৫ পাওয়া একজন শিক্ষার্থী ফলাফল পাওয়ার পর মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য; কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ার জন্য নয়। আমাদের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলো নিজেদেরকে সেভাবে গড়ে তুলতে পারেনি যাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হয়।

এমনকি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ও সেভাবে নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারেনি। সুতরাং নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা চাহিদাসম্পন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অধিক আগ্রহ দেখাবে- বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সেটাই স্বাভাবিক। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে শিক্ষার্থীদের চাহিদার সঙ্গে আসন সংখ্যা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং তার কারণেই দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের কিংবা আসন শূন্য থেকে যায়। এসব নানা দিক বিবেচনা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সুযোগ এবং অপচয়- দুটোই।

যেখানে সুযোগ এবং অপচয় একই সঙ্গে বিরাজ করে, সেখানে পরিমার্জন এবং পরিবর্তন জরুরি। এখানে পুরো বিষয়টিই আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সংস্কারের সঙ্গে সম্পর্কিত। যে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো, সেটি আলাদা কোনো ঘটনা নয়; বরং প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার সমস্যার বাই-প্রোডাক্ট। এটি চলমান থাকলে দিনেদিনে আরও নতুন সমস্যা তৈরি হবে। উচ্চশিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতের কথা বলা হয়। সেটির আগে বরং ভর্তি পরীক্ষাকে মানসম্মত করতে হবে।

পরীক্ষাপদ্ধতি ঠিক না থাকলে উচ্চশিক্ষায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আসতে পারবে না, ঝরে যাবে শুরুতেই। যেহেতু ইতোমধ্যে সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে, সুতরাং চাইলে উন্নততর পদ্ধতি বের করে সেগুলোর সমাধান করা সম্ভব। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই সেটা করা উচিত। কিন্তু উদ্যোগ কে নিবে কিংবা এর সমাধানের দায়িত্ব কার- তা স্পষ্ট নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কি একত্রে বসে এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন?

পরিমার্জিত ও সম্পাদিক লেখাটি আজকের প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে। লিংক: http://prothom-alo.com/detail/date/2013-07-07/news/365797 । মূল ও পূর্ণাঙ্গ লেখাটি এখানে প্রকাশিত হলো।

Sending
User Review
0 (0 votes)

লেখক সম্পর্কে

গৌতম রায়

গৌতম রায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

মন্তব্য লিখুন