আলোচ্য বিষয়সমূহ
একাডেমিক স্বাধীনতা কী?
একাডেমিক স্বাধীনতা কী এর সংজ্ঞা সঠিকভাবে দেওয়া কিছুটা কঠিন। এটি বলতে সাধারণত ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, এবং গবেষকদের নিন্মলিখিত স্বাধীনতাগুলোকে বিবেচনা করা হয়:
- ছাত্র-ছাত্রীদের শেখানো এবং যেকোনো বিষয়ে আলোচনা করার অধিকার;
- গবেষণা করা, সেটির ফলাফল প্রকাশ করা এবং সবাইকে সেটি সমন্ধে পরিচিত করানোর অধিকার;
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজের মত নির্দ্বিধায় প্রকাশ করার অধিকার;
- বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসাবে একাডেমিক কাজে অংশ নেওয়ার অধিকার।
আমাদের প্রথমেই জানতে হবে, একাডেমিক স্বাধীনতার ধারণাটি কীভাবে এসেছে? ১৯৭১ সালে ইউনেস্কো – জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা, একাডেমিক স্বাধীনতাকে সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেমন সময়ের সাথে সাথে নিজেদেরকে আরো উন্নত করেছে, ঠিক তেমনি একাডেমিক স্বাধীনতা বিষয়টিও দিনে দিনে পরিবর্তিত হয়েছে। বলা যায়, বিশ্বের সব অঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এবং একইভাবে, সমস্ত অঞ্চল একাডেমিক স্বাধীনতার ধারণায় অবদান রেখেছে।
১৯৯৭ সালে, ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে উচ্চশিক্ষায় একাডেমিক স্বাধীনতার সুনির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা প্রদান করা হয়। এখানে উচ্চশিক্ষার মান, শিক্ষা গ্রহণ করার অধিকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমাজের কাছে দায়বদ্ধতা, শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষ, পরীক্ষাগার বা ক্যাম্পাসের বাইরে সমাজের সাথে যুক্ত করা ইত্যাদি একাডেমিক স্বাধীনতা হিসাবে তুলে ধরা হয়। একইসাথে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, উচ্চশিক্ষার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সুরক্ষা এবং একাডেমিক স্বাধীনতা প্রচারের জন্য রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব রয়েছে। এই লেখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বাধীনতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
একাডেমিক স্বাধীনতা কি মানুষের অধিকার?
এটি জানার জন্য প্রথমেই জানতে হবে মানবাধিকার কী? অনেক লোক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষার দাবি জানায় অথবা কিছু সুবিধাবঞ্চিত মানুষ মৌলিক অধিকার পাওয়ার দাবিতে মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহার করে।
এছাড়াও, মানবাধিকার শব্দটির আইনি অর্থ রয়েছে। এই অর্থটি সুরক্ষা ও সুবিধাগুলোর একটি আইনি দাবি বোঝায় যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া আছে। এর মধ্যে মানবাধিকারের জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণা (১৯৪৮), নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর, ১৯৬৬) এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিইএসসিআর, ১৯৬৬) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর অর্থ হলো, রাষ্ট্রসমূহ তার নাগরিকদের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে, তাদের অঞ্চলগুলোতে মানুষকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রক্ষা করবে এবং সেখানে মানবাধিকার প্রচারে আইনি বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এসব চুক্তিতে একাডেমিক স্বাধীনতা শব্দটি স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়নি, তবুও একাডেমিক স্বাধীনতার অর্থের বেশিরভাগ অর্থ এই চুক্তিগুলোর অন্তর্ভুক্ত সুরক্ষাগুলো দ্বারা পরিবেষ্টিত। উদাহরণস্বরূপ, মতামত, মত প্রকাশের এবং বিশ্বাসের স্বাধীনতার সুরক্ষা (আইসিসিপিআর আর্টিকেল, ১৯); শিক্ষার অধিকার (আইসিইএসসিআর আর্টিকেল, ২৬); বা বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি বা অন্যান্য ভিত্তিতে বৈষম্য থেকে মুক্তির অধিকার (ইউনেস্কো, শিক্ষায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে কনভেনশন, ১৯৬০)।
এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন শিক্ষককে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের বিষয়বস্তুর জন্য রাষ্ট্র তাকে শাস্তি দিতে পারে। একে একাডেমিক স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। কারণ এতে শিক্ষকের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
যদি কোনো শিক্ষক তাঁর প্রকাশিত কোনো আর্টিকেল বা বক্তৃতা দেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হন এবং তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে খারাপ আচরণ করা হয়, তাহলে মানবাধিকারের একজন আইনজীবী সাধারণত একাডেমিক স্বাধীনতার কথা উল্লেখ না করে ভুলভাবে আটকে রাখার বা নির্যাতনের জন্য দাবি জানাতে পারেন। তবে আর্টিকেল প্রকাশ এবং বক্তৃতা প্রদান একাডেমিক স্বাধীনতা দ্বারা সুরক্ষিত। আইনজীবী একই সাথে একাডেমিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্যও দাবি জানাতে পারেন।
রাষ্ট্রের যদি কোনো শাসক কোনো একাডেমিশিয়ানকে কোনো নিবন্ধ প্রকাশ বা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বিষয় সম্পর্কে সাক্ষাত্কার দেবার জন্য বরখাস্ত করেন, তাহলে সেটি হবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সেটি একাডেমিক স্বাধীনতারও লঙ্ঘন হতে পারে।
একাডেমিক স্বাধীনতা হল একটি বিশেষ অধিকার যা একটি নির্দিষ্ট পেশার মানুষ যেমন শিক্ষক আর গবেষক উপভোগ করেন, যা অন্য পেশার ব্যক্তিরা উপভোগ করেন না। একাডেমিক স্বাধীনতার এই দৃষ্টিভঙ্গিযুক্ত ব্যক্তিরা একাডেমিক স্বাধীনতাকে মানবাধিকার হিসাবে ভাবেন না।
যেহেতু তাঁরা একাডেমিক স্বাধীনতাকে মানবাধিকার হিসাবে না ভাবেন, সেক্ষেত্রে তাঁরা তাঁদের আইনজীবীদের একাডেমিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দাবি করে মানবাধিকারের মামলা ব্যবহার করতে বলবেন না। ধরুন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো একটি বিভাগ খোলার চেষ্টা করা করা হচ্ছে, কিন্তু রাষ্ট্র সেই বিভাগ খোলাকেই নিষিদ্ধ করে রেখেছে। সেটিতেও একাডেমিক স্বাধীনতা লঙ্ঘন হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। এটি খেয়াল রাখতে হবে, একাডেমিক স্বাধীনতার অন্যান্য দিকগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিগুলি দ্বারা সুরক্ষিত নাও হতে পারে।
ধরে নিন, একটি টেলিভিশন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে একজন ব্যাক্তি সাক্ষাত্কার দিতে গেলেন, যিনি কোনো একাডেমিশিয়ান নন। তাঁর মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাকস্বাধীনতা দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে; তবে তিনি একাডেমিক স্বাধীনতা পাবেন না। সেই একই টেলিভিশন প্রোগ্রামে যদি কোনো শিক্ষক বা গবেষকের সাক্ষাত্কার নেওয়া হয় তাহলে তিনি কী বলছেন, কীভাবে বলছেন এবং তাঁর একাডেমিক দক্ষতার ওপর নির্ভর করে তিনি বাক স্বাধীনতা এবং একাডেমিক স্বাধীনতা উভয় সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।
একইভাবে, রাষ্ট্রের যদি কোনো শাসক কোনো একাডেমিশিয়ানকে কোনো নিবন্ধ প্রকাশ বা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বিষয় সম্পর্কে সাক্ষাত্কার দেবার জন্য বরখাস্ত করেন, তাহলে সেটি হবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সেটি একাডেমিক স্বাধীনতারও লঙ্ঘন হতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, একাডেমিক স্বাধীনতা সুরক্ষা সম্পর্কিত মানবাধিকারের মান এবং উচ্চশিক্ষার নীতিগুলোর মধ্যে পার্থক্য হলো— মানবাধিকারের মানগুলো সাধারণত গুরুতর বা নিয়মতান্ত্রিক কাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন, কোনও ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী করা, বা একদল ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত বৈষম্য।
এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ভর্তি বা উচ্চশিক্ষার তহবিল-সম্পর্কিত বিষয়গুলো মানবাধিকার নীতি লঙ্ঘন হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয় না। শিক্ষক ও গবেষকদের গবেষণা পরিচালনা এবং উপাত্ত সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের দরকার হতে পারে কিন্তু রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞা তাদের যাতায়াতের ওপর ভুলভাবে হস্তক্ষেপ করে সেটিকে খর্ব করতে পারে। এটিও এক ধরনের একাডেমিক স্বাধীনতা লঙ্ঘন। একইভাবে, উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৈষম্যমূলক ভর্তি, কর্মসংস্থান বা পদোন্নতির ভুল অনুশীলনও এক ধরনের একাডেমিক স্বাধীনতা লঙ্ঘন। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন, বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির সুবিধার অধিকার, শিক্ষার অধিকারও একাডেমিক স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে।
একাডেমিক স্বাধীনতার অনেক হুমকি আছে যা অনিচ্ছাকৃত। এগুলো হয়তো অন্য উদ্দেশ্যে গৃহীত পদক্ষেপের ফলে নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
একাডেমিক স্বাধীনতার হুমকিসমূহ
উদ্দেশ্যমূলক হুমকি
একাডেমিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি দ্বারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যে হুমকি দেয়া হয়, সেই ধরনের হুমকিতে হত্যাকাণ্ড, সহিংসতা এবং অন্তর্ধান থাকতে পারে। পাশাপাশি, অন্যায়ভাবে কারাবাস বা আটক, ভুল মামলায় ভুলভাবে বরখাস্ত, অবস্থানের ক্ষতি, অধ্যয়ন থেকে বহিষ্কার, ভ্রমণ বা চলাচলে বাধা এবং অন্যান্য হুমকিও থাকতে পারে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে হুমকি
একাডেমিক স্বাধীনতার অনেক হুমকি আছে যা অনিচ্ছাকৃত। এগুলো হয়তো অন্য উদ্দেশ্যে গৃহীত পদক্ষেপের ফলে নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কীভাবে উচ্চতর পড়াশোনা, পাঠদান এবং গবেষণা তহবিল দেওয়া হয়; উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে পরিচালিত হয়; শিক্ষকদের কীভাবে নিয়োগ বা পদোন্নতি দেওয়া হয়; কীভাবে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হয়; গবেষণা বা শিক্ষার বিষয়গুলো কীভাবে পরিচালিত হয় ইত্যাদি।
একাডেমিক স্বাধীনতায় রাষ্ট্রের হুমকি
রাষ্ট্র চাইলে সংবেদনশীল বিষয়ে গবেষণা বা প্রকাশনা সীমাবদ্ধ করে দিতে পারে। যেমন, নারী বা শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, জাতিগত বা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও সহিংসতা ইত্যাদি বিষয়ে রাষ্ট্র গবেষণামূলক নিবন্ধ প্রকাশে বিধিনিষেধ জারি করতে পারে যাতে আন্তর্জাতিকভাবে রাষ্ট্রকে খারাপ পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়। দেখা যাচ্ছে, কিছু রাষ্ট্র একাডেমিক স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এসব কাজ করছে। অনেকসময়, রাষ্ট্র বিতর্কিত গবেষণা এবং তার ফলাফল প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীগুলো শিক্ষকদের গবেষণা, শিক্ষাদান বা মত প্রকাশের শাস্তি দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র কখনো কখনো পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে অনিচ্ছুক হতে পারে।
একাডেমিক স্বাধীনতায় অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীর হুমকি
অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীগুলো শিক্ষকদের গবেষণা, শিক্ষাদান বা মত প্রকাশের শাস্তি দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র কখনো কখনো পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে অনিচ্ছুক হতে পারে। কিছু অ-রাষ্ট্রীয় সংঘটন নেতিবাচক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করতে বাধা দেওয়ার জন্য অনুদান দেয়াও বন্ধ করতে পারে কিংবা মামলা-মোকদ্দমার হুমকিও দিতে পারে। অনেক সময় সেই গবেষণাকাজে নিয়োজিত শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের বরখাস্ত না করা হলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
সবশেষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসকরা যদি শিক্ষাবিদদের একাডেমিক স্বাধীনতা পেতে একসাথে কাজ করেন এবং তাদেরকে সমর্থন করেন, তাহলে খুব সহজেই এই ধরনের হুমকিকে প্রতিহত করা সম্ভব। এজন্য দরকার মূল্যবোধের চর্চা, প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন, জবাবদিহিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা। একই সাথে, একাডেমিক স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে শিখতে হবে, একে প্রচারের বিশেষ দায়িত্ব নিতে হবে সমাজের সকলের। তাহলেই কেবল আমরা একাডেমিক স্বাধীনতার সঠিক প্রয়োগ দেখতে পারবো।
লেখক পরিচিতি
ড. গৌতম সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।