শিক্ষাবাজেট বরাবরই উপেক্ষিত; ছবি: jobstestbd
শিক্ষাবাজেট বরাবরই উপেক্ষিত; ছবি: jobstestbd

নতুন বাজেট ও শিক্ষা নিয়ে তুলনামূলক অবস্থান আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এ যাবতকালের সর্বোচ্চ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় যেমন বরাদ্দ বেড়েছে, তেমনই বরাদ্দ বেড়েছে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও মাদ্রসা শিক্ষায়ও।

শিক্ষায় এটি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ বাজেট— কথাটির মধ্যেই কীসের যেন ইঙ্গিত পাওয়া যায়। প্রতিবছর জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে, প্রতিষ্ঠানের খরচ বাড়তেই থাকে। স্বভাবতই পেছনের বছরের চেয়ে তার পরের বছর বাজেট একটু বেশি হবেই। এটি তো যেকোনো প্রতিষ্ঠানের, এমনকি পারিবারিক বাজেটের ক্ষেত্রে একই কথা। এটি শুধু শিক্ষায় নয়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই।

বাজেট ও শিক্ষা নিয়ে ঘাপলা তো সবসময়ই থেকেই যাচ্ছে। যেমন, প্রতিটি ক্যান্টনমেন্টে একটি করে বোর্ড স্কুল থাকে সেগুলোও এমপিও পেয়ে থাকে, যদিও এটি প্রতিরক্ষা বাজেট থেকে আসার কথা। এভাবে সেনা পরিচালিত প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই কিন্তু শিক্ষা বাজেটের আওতাভুক্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল কলেজ, কিছু মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ একাডেমির বাজেট ও শিক্ষা থেকে নির্বাহ করা হয়। ফলে দেখা যায় যে, শিক্ষায় বাজেট বিশাল। শিক্ষার মানে কি এর কোনো প্রভাব আমরা দেখতে পাই?

২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রাথমিক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় মিলে এবার ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিলো ৬১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। সেই হিসেবে গত বছরের বরাদ্দের চেয়ে এবার ৫ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা বেশি প্রস্তাব করা হয়।

নতুন এই অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৪ হাজার ৯৪ কোটি টাকা, যা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ছিলো ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত বছরের বাজেটের চেয়ে এবার ৯০০ কোটি টাকা বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এটি ছিলো ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা। তার অর্থ হচ্ছে, ৩ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে। 

প্রস্তাবিত বাজেট কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এই বাজেট ছিলো ৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা যা এবারের চেয়ে ৮৮ কোটি টাকা কম।

দেশে মানসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা বাস্তবায়নের উদ্যোগের কথা জানিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে উপযুক্ত প্রযুক্তি ও উপযুক্ত দক্ষতাগুলোকে চিহ্নিত করা এবং সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করে তুলতে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত শিক্ষাক্রমের পাশাপাশি সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ কোর্স বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের মাধ্যমে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি সাধারণ জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান হারে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও এবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষা ফল তা বলে না।

মাদ্রাসা শিক্ষার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মাদ্রাসাগুলোর একটি বড় অংশ নিয়মিত স্কুল-কলেজগুলোর তুলনায় অবকাঠামোর দিকে থেকে অনেকটা পিছিয়ে। এ অবস্থার উত্তরণে দেশব্যাপী এক হাজার ৮০০টি মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। বিদ্যমান ৫৬৩টি মাদ্রাসায় আধুনিক মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করা হবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর নিয়মিত শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। টেলিভিশন ও অনলাইনে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হয়। বাজেট ও শিক্ষা নিয়ে আরোচনায় আগামী অর্থবছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে এই দীর্ঘ ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে শিক্ষাক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। এই কাজের জন্য আগামী অর্থবছরে বাজেটে প্রয়োজনীয় জোগান রাখা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী বলেছেন।

কিন্তু বিষয়টি স্পষ্ট নয়। নতুন অর্থবছরে মাধ্যমিক স্তরে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ছাত্র, ১০ লাখ ৯৫ হাজার ছাত্রী, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এক লাখ ১৬ হাজার ছাত্র, চার লাখ ৬২ হাজার ছাত্রী এবং ডিগ্রি স্তরে ৫০ হাজার ছাত্র ও এক লাখ ৫০ হাজার ছাত্রীকে উপবৃত্তি দেওয়া হবে। পাবলিক পরীক্ষার ফলে ভিত্তিতে এক লাখ ৮৭ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি দেওয়া হবে। এটি ভালো উদ্যোগ। একে স্বাগত জানাই।

করোনার সরাসরি প্রভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রেণিক্ষকভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরকার এ পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইলফোন ও ইন্টারনেট-ভিত্তিক শিক্ষাকর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এর মাধ্যমে এখনও সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌছানো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।

শিক্ষা পুনরুদ্ধারে করোনাঝুঁকি প্রশমন ও শিক্ষা-পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের আওতায় বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ কমপক্ষে দুই-তিন বছরমেয়াদি একটি পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। ওই বিশেষ পরিকল্পনায় পাঠদান, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করা, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা বাদ দেওয়া এবং পাঠদানের রুটিন সমন্বয় করা প্রয়োজন।

করোনা পরিস্থিতির পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের সহায়তা ও প্রণোদনা, স্থানীয় পরিকল্পনা ও জনঅংশগ্রহণ, সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা গবেষণার প্রসার, বাজেট বরাদ্দ ও বাজেট ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ন্যূনতম শিখনফল অর্জনে বিশেষ উদ্যোগ এবং সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় বিশেষ উদ্যোগের বিষয়ে বাজেটে যেরকম প্রয়োজন, সেরকম উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না। অনলাইন ক্লাস কার্যক্রমকে সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এ খাতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া এবং তার  সঠিক ব্যয় ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

নতুন বাজেটে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন এমপিওভুক্তির সুখবর নেই। অর্থাৎ এটি নিয়ে সরকারের বিশেষ চিন্তা বা পরিকল্পনা যে নেই। এরই প্রতিফলন ঘটেছে বাজেটে। শিক্ষকরা যদি সেরকম আন্দোলন করে বসেন, তাহলে হয় কিছু একটি দিয়ে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে হবে। অথবা, হঠাৎ করে কোনো ঘোষণা দেওয়া হবে যার বাস্তবায়ন আগামী বাজেটে হয়তো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।

এটিকে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করা হবে বলে নয় বছর কাটিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা বলা যায়। প্রতি বছরই প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার কোনো বাজেট থাকতো না। বাজেট না হলে এতবড় একটি কাজ কীভাবে হবে? সরকার মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করছে না। এর কারণ কি শুধুই অর্থনৈতিক? শিক্ষার মান আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা? নাকি এতো বেশি পরিমাণ অযোগ্য লোক শিক্ষকতায় ঢুকে গেছে, যাদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিতে চাচ্ছে না? নাকি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি? সরকারকে তো বিষয়টির ভালো ব্যাখ্যা দিতে হবে। এরকম ধোয়াঁশা করে রাখা কতোটা সমীচিন?

এমপিও হচ্ছে দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক ধরনের বিশেষ রাষ্ট্রীয় সহায়তা। এতে শিক্ষকদের চাকরি বেসরকারিই থেকে যায়। সরকারি চাকুরেদের মতো সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান না, তবে রাষ্ট্রীয় তরফ থেকে মূল বেতনের শতভাগ পেয়ে থাকেন। এই শতভাগ এমপিও পেতে শিক্ষক সমাজকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।

মূল বেতনের বিশ শতাংশ দিয়ে শুরু শিক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় এই অনুরাগ। তারপর প্রতিবার আন্দোলন ও পুলিশি নির্যাতনের পর দশ শতাংশ করে বেড়ে বেড়ে আজ এই অবস্থায়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বহু বছর যাবত মাত্র ৩১৭টি বিদ্যালয় পুরোপুরি সরকারি ছিলো। তারপর যেসব উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই, সেগুলোতে সরকারি বিদ্যালয় ঘোষণা করায় এখন ৪৭০টির মতো মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি। মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে তিন শতাংশের কাছাকাছি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বাজেট ও শিক্ষা অংশে এ নিয়ে কিছু বলা নেই।

এর কারণ কী? অর্থনৈতিক? মোটেই না। তাহলে কি বিশাল অঙ্কের প্রাথমিক বিদ্যালয়কে (প্রায় ৬৬ হাজার) সরকারি করা হয়েছে যেখানে শিক্ষার মান ধরে রাখা যাচ্ছে না কোনোভাবে? সরকার কি ভয় পাচ্ছে যে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকেও যদি সরকারি করা হয়, তাহলে শিক্ষার মান থাকবে না? যদি এরকম চিন্তা হয় তাহলে সেটি ভালো, কিন্তু বিকল্প তো কিছু একটা করতে হবে। এমপিও নামক রাষ্ট্রীয় অনুকম্পার জন্য শিক্ষকদেরকে সব কাজ বাদ দিয়ে প্রতি বছর আন্দোলন করতে হবে আর সরকার বিষয়টিকে সেভাবে আমলে নেবে না, সেটি কেমন করে হয়? মাধ্যমিক শিক্ষা কি এভাবেই রাষ্ট্রীয় অনুকম্পার ওপর বেঁচে থাকবে?

মাধ্যমিক শিক্ষার এই এলোমেলো অবস্থার মধ্যে সরকার নাকি বৃহৎ পাঁচটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির পরিকল্পনা করছে। শিক্ষাবাজেট নিয়ে এটি কেমন পরিকল্পনা? দেশে বর্তমানে রাষ্ট্র-পরিচালিত ও বেসরকারি মিলে ১৫০টির মতো বিশ্ববিদ্যালয় আছে। রাষ্ট্র পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও সম্প্রসারণ করা যায়। সেগুলো বাদ দিয়ে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কতোটা যুক্তি আছে? তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ে যদি মানসম্পন্ন শিক্ষাদান করা না হয়, তাহলে উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারা পড়বে? কীভাবে সেগুলো পরিচালনা করা হবে?

অর্থনৈতিক কিংবা ব্যবস্থাপনার কারণে যদি সরকার মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে না চায়, তাহলে বৃহৎ কোনো সংস্থার কাছে মাধ্যমিকের দায়িত্ব অর্পণ করা যেতে পারে। দেশে তাহলে একদিকে থাকবে সরকারি বিদ্যালয়, অন্যদিকে উক্ত সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত বিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষকদের চাকুরিবিধি থাকবে, সরকারি চাকরি কিংবা তারচেয়েও বেশি সুযোগ-সুবিধা থাকবে। আর কিছু সংখ্যক বিদ্যালয় থাকবে যারা নিজের অর্থায়নেই চলতে পারে। এটি করা হলে শিক্ষকদের মৌলিক প্রয়োজন নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কয়েকমাস পরপর রাজপথে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করতে হবে না। তাঁরা পুরোপুরি শিক্ষকতায় মনোনিবেশ করতে পারবেন। 

সরকার যদি শিক্ষার মান নিয়ে চিন্তা করে, তারও একটি বড় সমাধান হবে এর মাধ্যমে। তখন সরকারি ও সংস্থা পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা থাকবে। সর্বোপরি  মূল্যায়ণ পদ্ধতিতে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। এজন্য দেশে স্থায়ী একটি কমিশন থাকা প্রয়োজন, যার পরামর্শে মূল্যায়ন পদ্ধতি চলবে। তথাকথিত ঢেলে সাজানোর মতো কথা আর শুনতে হবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে