আলোচ্য বিষয়সমূহ
স্বাধীনতার ৪৮ বছরে কতটুকু এগোলো বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা? আদৌও কি পেরেছে কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছাতে? উত্তর যদি না হয় তাহলে এর কারণ কী? মোটাদাগে চিন্তা করতে গেলে আর্থিক ও অবকাঠামোগত বিষয়গুলো বাদ দিলে প্রথমত যে কয়েকটি ব্যাপার সামনে আসে তা হলো, ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা পদ্ধতি, দক্ষ শিক্ষা প্রশাসনের অভাব, যুগোপযোগী শিক্ষাক্রমের অভাব। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা বিশেষজ্ঞের। শিক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম ইনস্টিটিউট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর)। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণা খাতে নতুন দ্বারের উন্মোচন হয়।
১৯৫৯ সালের নভেম্বর মাসে USAID-এর সহযোগিতায় যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শুরুতে শুধু বিএড ও এমএড ডিগ্রি প্রদান করতো। ১৯৯৪ সালে চালু হয় শিক্ষা বিষয়ে বিএড (সম্মান) ডিগ্রি। প্রথমে এটি তিন বছর মেয়াদি হলেও ১৯৯৮ সাল থেকে ৪ বছর মেয়াদি সম্মান ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া, এমফিল, পিএইচডি, এমএড (এক বছর ও দুই বছর মেয়াদি) ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইইআরে মূলত ৫টি বিশেষ বিষয়ে সম্মান ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এগুলো হলো, বিশেষ শিক্ষা, ভাষা শিক্ষা, সমাজ বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞান। এগুলোকে স্ট্রিম বলা হয়। স্ট্রিম হলো কতোগুলো বিশেষ শাখা। যে বিষয়গুলোর মাধ্যমে শিক্ষার বিশেষ শাখার ওপর শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে দক্ষ করে গড়ে তোলা হয়। স্নাতকোত্তার পর্যায়ে রয়েছে এক স্ট্রিম থেকে অন্য স্ট্রিমে যাওয়ার সুযোগও।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আরো অধিক সংখ্যক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ২০০০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট। প্রথম দিকে শুধু এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হলেও ২০১৫-১৬ সেশন থেকে বিএড (সম্মান) ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এই ইনস্টিটিউটে বিশেষ শিক্ষা, ভাষা শিক্ষা ও সমাজ বিজ্ঞান এই তিনটি স্ট্রিমে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পেশাজীবিদের জন্য এখানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (পিজিডিএড) ও এমএড ডিগ্রিও চালু রয়েছে।
২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইইআর। ২০১২-১৩ সেশন থেকে এখানে পরিচালিত হচ্ছে বিএড (সম্মান) কার্যক্রম। এখান থেকে আরও দেয়া হচ্ছে এমএড ও এমফিল ডিগ্রি। প্রক্রিয়াধীন আছে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর কার্যক্রমও। প্রতি বছর তিনটি স্ট্রিমে ১২০ জন করে শিক্ষার্থী নেয়া হচ্ছে এখানে। স্ট্রিম তিনটি হলো বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এডুকেশনের অধীনে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করে আইইআর। প্রথমে পিজিডিএড ও এমএড ডিগ্রি দিয়ে শুরু হলেও ২০১৮-১৯ সেশন থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী দিয়ে শুরু হয় বিএড (সম্মান) কার্যক্রম। এ ইনস্টিটিউটে ভৌত বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান স্ট্রিমে বিএড ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে।
২০১৫-১৬ সেশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জমিদার নিকোলাস পোগোজের প্রতিষ্ঠিত পোগোজ স্কুলকে কেন্দ্র করে যাত্রা শুরু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর)। শুরুতে পরিচালক ড. মনিরা জাহান ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একাই শুরু করেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ তৈরির কার্যক্রম। কোনো স্ট্রিম ছাড়া এখান থেকে বিএড ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা বিভাগ যাত্রা শুরু করে শিক্ষা অনুষদ নামে। ২০১৭-১৮ সালে শুধু শিক্ষা বিভাগ দিয়ে শুরু হওয়া এ অনুষদে ২০১৮-১৯ সেশনে যুক্ত হয় শিক্ষা প্রশাসন বিভাগ। এই বিভাগের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষা প্রশাসক তৈরি হবে বলে আশা করা যায়। বিজ্ঞান ও ভাষা শিক্ষা নামে দুইটি স্ট্রিমে বিএড (সম্মান) ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে এমএড ডিগ্রিও।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস-এ ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে যাত্রা শুরু করে আইইআর। এই ইনস্টিটিউটটি ২০১৫-১৬ সেশন থেকে বিশেষ শিক্ষার ওপর সম্মান ডিগ্রি বা বিএসএড প্রদান করছে। শুরুর দুই বছর পর্যন্ত সার্টিফিকেট কোর্স অন ডিজ্যাবিলিটি ম্যানেজমেন্ট এন্ড এডুকেশন ও এক বছর মেয়াদি বিএসএড ডিগ্রি প্রদান করা হতো। বর্তমানে স্নাতক শ্রেণিতে প্রতি বছর ৪০ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ শিক্ষার ওপর বিশেষজ্ঞ করে গড়ে তোলা হচ্ছে ।
শিক্ষা বিষয়ে পড়ার পর একজন ব্যক্তি শুধু শিক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবেন বা স্নাতক ডিগ্রিধারী সার্টিফিকেট-সর্বস্ব ব্যক্তি হবেন, বিষয়টি মোটেও তেমন নয়।
শিক্ষাক্রমের বিস্তৃতি
শিক্ষা বিষয়ে পড়ার পর একজন ব্যক্তি শুধু শিক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবেন বা স্নাতক ডিগ্রিধারী সার্টিফিকেট-সর্বস্ব ব্যক্তি হবেন, বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। স্নাতক শ্রেণির কারিকুলামের দিকে লক্ষ্য করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। চার বছরের কোর্সে একজন শিক্ষার্থী যে সকল কোর্স করেন তার মধ্যে অন্যতম হলো, শিক্ষা পদ্ধতি, শিক্ষার ভিত্তি, শিক্ষা প্রশাসন, শিক্ষাক্রম, জেন্ডার এডুকেশন, শিক্ষা গবেষণা, শিক্ষা মনোবিজ্ঞান, কম্পিউটার, বাংলা ও ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান। কোর্সগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, একজন শিক্ষার্থী একজন পরিপূরক মানুষ হওয়ার জন্য যে সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন সবই পাচ্ছে এখানে পড়াশোনা করলে।
শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে টিচিং কোর্স করতে হয়। ছয় মাস মেয়াদি এক সেমিস্টারের পুরোটিই কোনো প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে শিক্ষক হিসেবে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে হয়। শিক্ষা মনোবিজ্ঞান, জেন্ডার এডুকেশনের মতো কোর্স করা এসব শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই একীভূত শিখন পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেন।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ
শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষার্থীদের দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার সুযোগ এখানে অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নরওয়ে, কোরিয়া প্রভৃতি দেশে শিক্ষা নিয়ে পড়ার জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব দেশের বিভিন্ন নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষার্থীদের।
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ (ইউজিসি কর্তৃক প্রদত্ত, এখানে আইইআরের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি আছে), ফুলব্রাইট স্কলারশিপ, কমনওয়েলথ শেয়ার্ড স্কলারশিপ, ইকুইটি এন্ড মেরিট স্কলারশিপ ইত্যাদি বেশ কয়েকটি স্কলারশিপের মাধমে শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষার্থীরা সারা বিশ্ব থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
কাজের ক্ষেত্র
শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে এর নিজস্ব কাজের ক্ষেত্র। যেমন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), উপজেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টর, শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটসমূহ, সরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প ইত্যাদি।
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো পিএসসি পরিচালিত সকল ধরনের পরীক্ষাসহ সব ধরনের চাকরির পরীক্ষায় শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষার্থীরা বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এসকল সরকারি চাকরির কথা বাদ দিলেও শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বেসরকারি ক্ষেত্রেও রয়েছে নিজস্ব অনেক সুযোগ। যেমন, ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, ইউএনএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন, এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল, গ্লোবালক্যাম্পেইন ফর এডুকেশন, ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব এডুকেশন, বৃটিশ কাউন্সিল, ইউএন গার্লস এডুকেশন, রুম টু রিড, এডুকেশন ফার্স্ট, সেইভ দ্যা চিলড্রেন, অক্সফাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ইত্যাদি। তাছাড়া দিনের পর দিন আন্তর্জাতিক জব সেক্টরে বৃহৎ থেকে বৃহত্তর আকার ধারণ করছে চাকরির ক্ষেত্রগুলো।
শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিবর্তনের জন্য সরকার সহযোগিতা নেয় আইইআরের। প্রাথমিকের জন্য সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রম পর্যালোচনার জন্য শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একদল শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশের ৪৫টি বিদ্যালয়ে টানা তিন মাস কাজ করেন। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনার প্রতিবেদনও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটিতেও ছিলেন আইইআরের প্রতিনিধি।
শিক্ষা বিষয়ে বর্তমানে অধিক সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট বের হওয়ার পরও এই পেশাগত বিষয়টির নিজস্ব কিছু চাকরির ক্ষেত্রে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে। অথচ, সেখানে শুধু আইইআরের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা করার ছিলো।
অভ্যন্তরীণ পরিবেশ
আইইআরে শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্পর্ক খুবই মধুর। শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের দুয়ার চব্বিশ ঘণ্টাই খোলা। তাঁরা আমাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত আন্তরিক। তাঁরা শুধু শিক্ষকদের দায়িত্বই পালন করেন না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁরা অভিভাবক বা বন্ধুর ভূমিকাও পালন করেন। ঠিক যেমনটি পঞ্চম শ্রেণিতে উচ্চস্বরে গড়গড় করে ‘আদর্শ শিক্ষক’ রচনা পড়ার সময় শিক্ষকের যেসব গুণাগুণ পড়েছিলেন, সেগুলোর দেখা পাবেন তাদের মধ্যে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতেও রয়েছে আইইআরের শিক্ষার্থীদের বলিষ্ঠ পদচারণা। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নানা সময়ে আইইআরের শিক্ষার্থীরা নানা সময়ে বিজয় অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। বিতর্ক ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইইআর পরিচালিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়েছে একটি বিশেষ সংগঠন ‘বৃহন্নলা’। এছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ‘সাম্য’ নামের আরেকটি সংগঠন।
চ্যালেঞ্জ
এতোসব ইতিবাচক দিকের ওপিঠে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে আইইআরের শিক্ষার্থীদের জন্য। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের সুদৃষ্টি অর্জন করা। কেনোনা, শিক্ষা বিষয়ে বর্তমানে অধিক সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট বের হওয়ার পরও এই পেশাগত বিষয়টির নিজস্ব কিছু চাকরির ক্ষেত্রে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে। অথচ, সেখানে শুধু আইইআরের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা করার ছিলো। এরকম উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ফলে অনেকক্ষেত্রে আইইআর গ্রাজুয়েটরা ছিটকে পড়ছে। ফলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হচ্ছে না।
লেখক পরিচিতি
ফুয়াদ পাবলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।