মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ: কেমন হতো যদি এমন শিক্ষাব্যবস্থা হতো?

শহিদ শাকিল লিখেছেন শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে

বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর সবচেয়ে বড় ভক্ত বোধহয় আমি। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে উনি বেশ ভাবেন এটি স্পষ্ট। আগের যে কোন শিক্ষামন্ত্রী থেকে আমার মতে উনিই সেরা। আমি তাঁর সাথে দেখা করতে চাই,বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমার নিজের কিছু চিন্তা ভাবনা আছে ,আমি সেগুলো তাঁর কাছে তুলে ধরতে চাই,তাই সুযোগ চাই। নিচে কিছু তুলে ধরা হল।

১) নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন আগামী প্রজন্মের শিক্ষাব্যবস্থায় দর্শনীয় পরিবর্তন বয়ে নিয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি। নোট ও মুখস্থনির্ভর অনর্থক পড়ালেখা ছেড়ে আধুনিক বিশ্বের সাথে আমাদের শিক্ষার্থীরা তাল মিলিয়ে চলবে, ভাবতেই ভালোলাগে। সমস্যার শেষ কিন্তু হয় নি তবুও। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ শিক্ষকই এখনো পারেন নি এই আধুনিক সংস্করণের সাথে মানিয়ে নিতে,শিক্ষার্থীরা কীভাবে পারবে? তবে আস্তে আস্তে পারবেন সবাই। শিক্ষার্থী-শিক্ষকদেরকে অভ্যস্থ করার জন্য বানানো যেতে পারে ভিডিও টিউটোরিয়াল। কথা হচ্ছে এই বাড়তি এই খরচ যোগাবে কে?

বিটিভি যদি বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারে, তবে কেন শিক্ষার জন্য আমরা পারবো না স্পন্সর যোগাড় করতে? প্রতি ক্লাশের জন্য ভিডিও টিউটোরিয়াল বানাতে ২০০০ টাকা লাগলে ২০০০ ভিডিও টিউটোরিয়াল বানাতে লাগবে চল্লিশ লাখ টাকা, যা বছর বছর করলেও খুব বেশি টাকা লাগবে না। আর স্পন্সর তো আছেই। বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন যে কোন চ্যানেল কয়েক লাখ লোক দেখে মাত্র, স্যাটেলাইটের এ যুগে বিদেশি চ্যানেল নিয়েই সবাই ব্যস্ত , তারপরও চ্যানেলগুলো চলছে বিজ্ঞাপনের জন্যেই।

বাংলাদেশে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সংখ্যা একদম কম নয়, প্রতি পরিবারেই দর্শক পাওয়া যাবে। তারাও আটা-ময়দা-সুজি খান, প্রসাধনী ব্যবহার করেন, লুঙ্গি পরেন। অনেকে বলতে পারেন, বিজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষা দিয়ে দিবেন? তাদের জন্য বলছি, ঢাকার রাস্তায় বিলবোর্ড থেকে টাকা কেন নেয়া হয়, রাস্তার সুন্দর স্থাপত্যে কেন স্পন্সর রাখা হয়? জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষা ঢাকার রাস্তার চাকচিক্য থেকেও কি নগণ্য?

আর যদি এমন হয় যে, শিক্ষকরা ঘরে বসে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখলেন না। সেইটা বন্ধ করার জন্য পরীক্ষা চালু করা যেতে পারে। নবীণ শিক্ষকদের প্রবীণ হওয়ার শর্ত হতে পারে এসব পরীক্ষায় ভালো করা, করা যেতে পারে ভাতা, পুরস্কারের ব্যবস্থা।

শিক্ষার্থীরা যদি না দেখে, তাহলে কী হবে এই টিউটোরিয়াল বানিয়ে। আসলে মানসম্মত মজার টিউটোরিয়াল হলে কেন দেখবে না। তারা তো প্রাইভেট ঠিকই পড়ে। কিন্তু টিউটোরিয়াল থাকলে নিজে ঘরে বসেই পড়ে ফেলতে পারবে, স্কুলে তখন পরীক্ষা নেয়া যাবে প্রচুর, থাকবে প্রশ্ন-উত্তর সেশন, আর ক্লাশ তো আছেই। ডিভিডি বানিয়ে নামমাত্র মূল্যে ১০-১২ টাকায় সব টিউটোরিয়াল প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে পৌছে দেয়া যাবে।

সমস্যা হচ্ছে, এসব ভিডিও টিউটোরিয়াল সবাই কীভাবে দেখবে? সবার তো আর কম্পিউটার অথবা ডিভিডি প্লেয়ার নেই। তবে প্রায় সবার ঘরেই টিভি আছে। একটি ডিভিডি প্লেয়ার কিনতে খুব বেশি টাকা লাগবে না, ১০০০ টাকায় পাওয়া যায়। আর যাদের সেই সামর্থ্যও নেই, আলাদা কোনো ফ্রিকোয়েন্সিতে সরকারি ভর্তুকিতে টিভিতে তাদের জন্য ভিডিওগুলো সারাদেশে সম্প্রচার করতে পারে নির্দিষ্ট রুটিনমাফিক। প্রশ্ন-উত্তর সেশন অনেকাংশে পূরণ করা যেতে পারে রেডিওতে; এসএমএস ফ্রি করা যেতে পারে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তাহলে পৌঁছে দেয়া যাবে ভালোমানের শিক্ষা। আর সম্পৃক্ত করা যেতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। উচ্চাভিলাষী চিন্তা, কিন্তু অসম্ভব তো নয়, প্রয়োজন সদিচ্ছার। আমার টাকা থাকলে আমি নিজেই একটি টেলিভিশন চ্যানেল চালু করতাম।

টিউটোরিয়াল বানাবেন কারা? এজন্য পরীক্ষা নেয়া হবে সারাদেশে, তারপর সেরা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হবে। তারা মাসব্যাপী টিউটোরিয়াল বানাবেন। এসব টিউটোরিয়াল বানানোর জন্য লাগবে মাত্র ১৫-২০টা কম্পিউটার, আর টাচ মাউসপ্যাড। প্রথমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য বানিয়ে দেখা যেতে পারে, পরে সাড়া পেলে ব্যাপকভিত্তিতে আগানো যেতে পারে। আমার বিশ্বাস বিপ্লব হবেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়, শুধু দু’দিন আগে নয়তো পরে।

২) কলেজের ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য মোবাইল কোর্ট চালু করা যেতে পারে। কোথাও অতিরিক্ত ফি নিলে এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে সাথে সাথে শাস্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এখনো অনেক কলেজে অতিরিক্ত গলাকাটা ফি নিচ্ছে।

৩) মাধ্যমিক ও নিম্ন-মাধ্যমিক এর বই কী কী হবে তা পুনঃনির্ধারণ করা যেতে পারে মুক্ত আলোচনার ভিত্তিতে। যেমন, নবম দশম শ্রেণীতে ধর্ম বাদ দিয়ে কম্পিউটার চালু করা যেতে পারে। আর নবম-দশম শ্রেণীর ধর্ম সিলেবাস নিচের ক্লাসে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। কুরআন-শরীফ অনেকেই অল্প বয়সেই মুখস্থ করে,ছোট বয়সে বড় বয়সের ধর্ম কেন শেখা যাবে না? আমার এক বৌদ্ধ ছাত্রীকে হিন্দু ধর্ম পরীক্ষা দিতে হয়েছে বোর্ডে,শুধু তার স্কুলে বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষক না থাকার কারণে। তাছাড়া আমি বিশ্বাস করি ধর্ম পারিবারিকভাবেই চর্চা করা শিখতে হয়,নইলে তার সূদুরপ্রসারী প্রভাব জীবনে থাকে না। বিজ্ঞানবিভাগে সামাজিক বিজ্ঞান বন্ধ করে সাধারণ জ্ঞান চালু করা যেতে পারে,রাখা যেতে পারে ১০০% ব্যবহারিক সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মূল্যায়ন। ইংরেজিতে ব্যবহারিক হিসেবে রাখা যেতে পারে ‘পার্লামেন্টারি ইংলিশ ডিবেট’। ফলে একঘেয়েমি কিছুটা দূর হবে চিরাচরিত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স চালু করা যেতে পারে ‘হেল্প দ্যা নেশন’, এতে একটি সার্টিফিকেটও দেয়া যেতে পারে। এ কোর্সের কাজ হবে দেশের কোনো ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা। আমি একজন কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সমাজ, রসায়ন পড়তে হয়। তার চেয়ে হাজারগুণ ভালো দেশের জন্য কিছু করে সমাজ গঠনে গুরুত্ত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ছোট বাচ্চাদের রসায়ন শেখানো। এক্ষেত্রে যা করা যেতে পারে- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী স্কুল-কলেজে ক্লাশ নিবে গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য, প্রোগ্রামিং শিখাবে, বিজ্ঞান ক্লাবের মেন্টর হবে, রেডিওতে প্রশ্নের উত্তর দিবে, উপস্থাপনা করবে। আর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিন্তু দেশের জন্য এরকম অনেক কিছু এমনিতেই করে। তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ‘মজার মজার গণিত’ নামক কোনো বিষয় চালু করা যেতে পারে,শিক্ষার্থীদের গণিতে ভালোবাসা সৃষ্টির সুযোগ করে দিতে হবে।

আমার আরো অনেক চিন্তাভাবনা আছে, কিন্তু সব বলা তো আর সম্ভব নয়। তবে জানি না আমার এ দীর্ঘ খোলা চিঠি শ্রদ্ধেয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পৌছবে কি-না, অপেক্ষায় থাকলাম তিনি কবে আমাকে দেখা করার সুযোগ দেন।

বাংলাদেশের অনেক মানুষ দুর্নীতি করে নিজের সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য,সরকার যদি এই কাজগুলো নিশ্চিত করে,তবে অনেক দুর্নীতি কমবে। এরপর আছে বাসাভাড়ার লাগাম টেনে ধরা। কয়েকটি ছোট মহৎ পদক্ষেপ, অনেক ভুল, কষ্ট, অন্যায়কে মুছে দিয়ে বড় হয়ে উঠতে পারে।

সবশেষে এতটুকুই বলতেই চাই, নেপোলিয়ান বলেছিলেন, ‘আমাকে তোমরা ভালো মা দাও ,আমি তোমাদের ভালো জাতি উপহার দিব।’ আমি বলি, ‘আমাকে তোমরা ভালো সন্তান দাও, তারাই ভালো জাতি উপহার দিবে, আমাকে কিছু দিতে হবে না।’

শহিদ শাকিল: কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

জনপ্রিয় নিবন্ধ

প্রাথমিক স্তরে ভাষা শেখা : বিষয় – বাংলা

ভাষার দক্ষতা চারটি— শোনা, বলা, পড়া, লেখা। আর ভাষা...

আগে ইংরেজি গ্রামার শিখবো, নাকি ভাষা শিখবো?

কোন ভাষার গ্রামার হলো ঐ ভাষার গঠন প্রকৃতি যার...

শিক্ষাব্যবস্থার হালচাল

অর্থনীতিবিদদের মতে, শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক এবং নিরাপদ রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো এবং মার্শালের মতে, শিক্ষা এমন একটি খাত যার কাজ হলো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে পুঁজির সঞ্চালন ঘটানো। শিক্ষার অর্থনীতি নিয়ে মৌলিক গবেষণায় অর্থনীতিবদ আর্থার শুল্জ ও রবার্ট সলো দেখিয়েছেন যে, প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে সম্পদের সুফল ফেরত আসে ৩৫ শতাংশ, মাধ্যমিক শিক্ষায় ২০ শতাংশ, এবং উচ্চ শিক্ষায় ১১ শতাংশ।

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা : পিএইচডির পর কী?

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়, আমি নিজেও এ-নিয়ে...

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা

ক্যাডেটসমূহ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।...

আরও কিছু লেখা

অধিক

    জীবন থেকে শেখা

    আমরা এই ছোট্ট জীবনে কতোজনের কাছ থেকে কতোভাবে শিখি।...

    উচ্চশিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সান্ধ্যকোর্স প্রসঙ্গে: পর্ব ২

    সান্ধ্যকোর্স পরিচালনা করেন মূলত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত বিষয়ের নিয়মিত...

    আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা: ফোন ইন্টারভিউ – কেন ও কীভাবে

    ভর্তি প্রক্রিয়ার একটি অংশ হলো ফোন ইন্টারভিউ। এ অংশটি...

    বিজ্ঞান শিক্ষা : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ

    বাংলাদেশের নতুন শিক্ষানীতি ২০১০-এ বিজ্ঞান শিক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে যে পাঠ্যবই পড়ানো হচ্ছে, তাতে শিক্ষানীতির অনেক সফল বাস্তবায়ন হয়েছে।

    ‘শুদ্ধস্বর-বাংলাদেশের শিক্ষা’ ত্রৈমাসিক সেরা লেখা পুরস্কার: জানুয়ারি-মার্চ ২০১৩ প্রান্তিকের সেরা লেখা- ‘যৌনকর্মীর ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার জন্য একটি স্কুল ও ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া’

    বিচারক আকলিমা শরমিনের নির্বাচন অনুসারে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দারুণ একটি লেখার জন্য পুরস্কারের দাবিদার হলেন মো. আশরাফুজ্জামান। অভিনন্দন। আমরা আশা করবো, প্রান্তিক পর্যায়ে পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে ভবিষ্যতে আপনি আরও নতুন নতুন ভাবনা পাঠকদের সামনে তুলে ধরবেন।

    উচ্চশিক্ষা এবং সামাজিক পরিবর্তন: ব্যবচ্ছেদে বাণিজ্যিকরণ

    উচ্চশিক্ষার সাথে আমাদের কাঙ্ক্ষিত জ্ঞানভিত্তিক সমাজের সম্পর্ক কোথায়? সহজ কথায় বুঝি- জ্ঞানভিত্তিক সমাজে পৌঁছাতে আমাদের প্রয়োজন সর্বজনীনকৃত এবং সর্ব-অংশগ্রহনে সাধারণীকৃত উচ্চশিক্ষা যা আসলে ঐ লক্ষ্যে পৌঁছানোর সিঁড়ি। আবার এই উচ্চশিক্ষাই পারে সামাজিক সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। অনেক প্রশাসন বিশেষজ্ঞই মনে করেন- সর্বস্তরে সামাজিক সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন সকলের স্বেচ্ছাগ্রহ ও স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আর তা একমাত্র শিক্ষা দ্বারাই সম্ভব এবং (শিক্ষার সামাজিক প্রভাব নিয়ে কাজ করেন এমন অনেকেই মনে করেন) তা যথার্থভাবে পারে একমাত্র উচ্চশিক্ষা।

    সব শিক্ষার্থীর একসাথে পরীক্ষার ফল প্রকাশ: কতোটুকু নেতিবাচক?

    মোঃ শাকিব হাসান শুভ লিখেছেন পরীক্ষার ফল প্রকাশ প্রসঙ্গে প্রাথমিক,...

    ইংরেজি মাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের লেখাপড়া

    ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীরা জাস্টিন বুইবেন বা অ্যাকর্ন-এর গান শোনে, তারা রুনালায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন এবং লালনগীতি জানে না, জানে না মমতাজ কে। ইংরেজি মাধ্যমের একটি ছেলে বা মেয়েকে শুধুমাত্র ইংরেজি বলতে পারা এবং উপস্থাপন দক্ষতা ছাড়া প্রশংসা করার মতো তেমন আর কিছু নেই। তারপরও তারা যে শুদ্ধ ইংরেজি বলছে তা কিন্তু নয়। তারা আমাদের নিজস্ব কালচার সম্পর্কে অজ্ঞ, আমাদের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না বা শ্রদ্ধা দেখায় না। শিক্ষার যে মূল উদ্দেশ্য তা কিন্ত এখানে হচ্ছে না।

    প্রাসঙ্গিক নিবন্ধসমূহ

    নতুন লেখার খবর পান ইমেইলে
    বাংলাদেশের শিক্ষা প্রসঙ্গে নতুন লেখা প্রকাশিত হলে সেই খবর পৌঁছে যাবে আপনার ইমেইলে।