শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা খাতে রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন: বাজেট প্রসঙ্গে

কামরুস সালাম সংসদ, আহমদ ইকরাম আনাম, আবদুল্লাহ আল সোয়াদ, নুসরাত জাহান শারমিন, সাজিদ আল মুহিত অ্যাঞ্জেল, সাজ্জাদ হোসেন খান লিখেছেন শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা খাতে ব্যয় নিয়ে

শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সমাজের মৌলিক রূপান্তর এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতি সাধন করা। রাষ্ট্রের টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য শিক্ষাখাতে রাষ্ট্রীয় অর্থায়নের পরিমাণ বাড়ানো উচিৎ আমাদের এবং তা যত দ্রুত সম্ভব। শিক্ষাখাতে রাষ্ট্র স্ব-উদ্যোগে বিনিয়োগে আগ্রহী হলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় রাষ্ট্রই।

আসন্ন ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় এক্ষেত্রে সরকারের প্রতি প্রত্যাশার জায়গাটি অনেক বড়। তবে এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার বিষয়টি কখনো কখনো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে যে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি- ২০১০’ গৃহীত হয় সেখানে এই শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন কিভাবে ও কি পরিমাণে হবে, সেই সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনাই রাখা হয়নি, অথচ ২০০৯ সালে সরকার যে খসড়া শিক্ষানীতি জনসম্মুখে প্রকাশ করেছিলো সকলের মতামতের জন্য সেখানে অর্থায়ন নিয়ে আলাদা একটি অধ্যায়ই ছিলো এবং প্রয়োজনীয় সম্ভাব্য অর্থবরাদ্দের একটি হিসাব তাতে দেখানো হয়েছিলো। খসড়া শিক্ষানীতিতে ২০১৯ সালের ভেতর শিক্ষানীতির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য প্রতি অর্থবছরব্যাপী প্রাক্কলিত সম্ভাব্য অর্থবরাদ্দের যে লক্ষ্যমাত্রাকে নির্ধারণ করা হয়েছিলো, সেটা ছিলো শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ন্যূনতম চাহিদা ও তা যোগানদানে সরকারের সক্ষমতার প্রেক্ষিতে। তাহলে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষানীতিতে কেন এই বিষয়টিকে সম্পূর্নভাবেই চেপে যাওয়া হলো? খেয়াল করলেই দেখা যায়, ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বমোট বাজেট ছিলো এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার। ওই বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে যৌথভাবে ২০ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল এবং এর মধ্যে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা, যা খসড়া শিক্ষানীতিতে শুধুমাত্র শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ২০১১-‘১২ অর্থবছরে যে প্রাক্কলিত সম্ভাব্য বরাদ্দের প্রয়োজন নির্ধারণ করা হয় (২৭,১২০ কোটি টাকা) তার থেকে অনেক কম। শিক্ষাখাতে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বরাদ্দ নিয়ে সরকারের এমন লুকোচুরি খেলা আসলে সরকারের ভাবমূর্তিটিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। তাই শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে প্রতি অর্থবছরে কি পরিমাণ অর্থবরাদ্দ প্রয়োজন এবং কিভাবে তা সরকার উত্তোলন করবে তা জনসম্মুখে স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়া এবং আসন্ন ২০১২-‘১৩ অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ যাতে খসড়া শিক্ষানীতিতে উল্লিখিত সম্ভাব্য বরাদ্দ ৩২,২৪৫ কোটি টাকা হতে কোনোভাবেই না কমে সেই ব্যাপারে এই মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগী ভূমিকা নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

আরো একটি বিষয়ে সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে জরুরীভাবে। প্রায় প্রতিবছরেই বাজেটে শিক্ষাখাতে যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দানের বিষয়টি সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় সেখানে একটি শুভঙ্করের ফাঁকি থাকে। আজ পর্যন্ত প্রতি বাজেটেই শিক্ষাখাতের সাথে প্রযুক্তি, খেলাধুলা, স্বাস্থ্য, ধর্মসহ নানাবিধ খাতকে জুড়ে দেয়া হয়েছে, ফলে বরাদ্দকৃত স্বল্প অর্থটুকুও ভাগাভাগি হয়ে যায় অন্যান্য খাতের সাথে। ২০০৭-‘০৮ ও ২০১১-‘১২ অর্থবছরে শিক্ষার সাথে প্রযুক্তি এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তির সাথে স্বাস্থ্যখাতকেও জুড়ে দেয়া হয়েছিল! সরকার নতুন শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছে, এটি বাস্তবায়নের দায়ও সরকারের। শিক্ষার সাথে অন্যান্য খাতকে জুড়ে দেওয়ার ফলে পর্যাপ্ত ন্যূনতম বাজেট বরাদ্দের অভাবে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম না হলে, সরকার নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়- এমনটাও অনেকের মনে হতে পারে।

উচ্চশিক্ষা খাতে অর্থায়নের বিষয়টি আরো ঝামেলাপূর্ণ ও অপর্যাপ্ত। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রণীত ২০০৬-’২৬ পর্যন্ত বিশ বছরব্যাপী উচ্চশিক্ষা খাতে যে Strategic Plan রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার যে ৫টি সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে অপর্যাপ্ত অর্থসংস্থান! শিক্ষাখাতের সমগ্র ব্যয়ের মাত্র ১১% উচ্চশিক্ষা অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় খাতে সরকার ব্যয় করে প্রতিবছর, যা জিডিপি’র মাত্র ০.১২%। মঞ্জুরী কমিশনের রিপোর্টে এই উভয়ানুপাতকে ন্যূনপক্ষে দ্বিগুন থেকে আড়াই গুণ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তাদের হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গুণগত মান যথাযথ পর্যায়ে নিতে হলে তার মাত্রা হওয়া উচিৎ অন্তত জিডিপি’র ০.৩০%। সেই হিসেবে ২০১০ সালে উচ্চ শিক্ষাখাতে ব্যয়ের প্রয়োজন হতো ২২৪৬ কোটি টাকা (জিডিপি’র ০.৩%), কিন্তু বাস্তবে ব্যয় হয়েছিলো মাত্র ৮৯৮ কোটি টাকা। স্বভাবতই এই ব্যয়ে উপযুক্ত মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব হয় না, উপযুক্ত অবকাঠামো, ছাত্রাবাস ও যাতায়াত সুবিধা গড়ে তোলা সম্ভব হয় না, সম্ভব হয় না পর্যাপ্ত ICT ব্যবস্থার আয়োজন করা। সুতারং, আমাদের ভেবে দেখতে হবে কীভাবে আমরা শিক্ষা বাজেট আরো বাড়াতে পারি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে অর্থ উত্তোলনের জন্য সমাজের বিত্তশালীদের কাছে হতে শিক্ষাকর আদায়সহ নানবিধ পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করতে পারেন।

উচ্চশিক্ষা খাতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গবেষণা কার্যক্রম, যা হ্রাস পেয়েছে আশংকাজনকভাবে। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলেও বাড়ানো হয়নি গবেষণাখাতে বরাদ্দ। ২০১০ সালের ২৬ জুন প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘মৌলিক গবেষণাশূন্য ১৫ গবেষণাকেন্দ্র’। গবেষণাকেন্দ্রগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ১৫টি গবেষণাকেন্দ্রের জন্য এক শিক্ষাবর্ষে বরাদ্দ ছিল সাড়ে ২৪ লাখ টাকা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ১৫টি গবেষণাকেন্দ্রের মানসম্পন্ন গবেষণার জন্য এক বছরে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা কি পর্যাপ্ত? গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রাপ্ত বরাদ্দ ও ব্যয়ের ব্যাপারে দু-একটি উদাহরণ এখানে প্রাসঙ্গিক হবে। জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় (Washington University in St. Louis) ২০০৬ অর্থনৈতিক বর্ষে গবেষণা করার জন্য ফেডারেল রিসার্চ ফান্ড থেকে ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার লাভ করে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বার্ষিক বরাদ্দ (Endowment)হচ্ছে ১৪৪ কোটি সিঙ্গাপুর ডলার (তথ্যসূত্র: সাপ্তাহিক একতা, ২৫ জুন, ২০১১)। আমরা বলছি না যে যুক্তরাষ্ট্র বা সিঙ্গাপুরের মতো ধনী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ বরাদ্দ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এখনি দিতে হবে, কিন্তু গবেষণার ন্যূনতম বরাদ্দটুকুও যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা করার উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একদিকে যেমন তার মান হারাবে, অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তার মূল কাজটিও স্থবির হয়ে পড়বে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পিএইচডি শিক্ষার্থীকে মাসে ১২ হাজার রুপি করে বৃত্তি দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে গবেষণা করার জন্য আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু বাংলাদেশে এ বিষয়ে যথেষ্ট উদাসীনতা লক্ষ্যনীয়। বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ, এ জন্য গবেষণা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই- এ কথা বলে গবেষণার মতো মৌলিক বিষয় এড়ানো যাবে না। ২০১১-‘১২ অর্থবছর রাজস্ব বাজেটের প্রায় ৫৮ শতাংশ ব্যয় দেখানো হয় সিভিল প্রশাসন, প্রতিরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা খাতের মতো অনুৎপাদনশীল খাতে। এসব অনুৎপাদনশীল খাতের ব্যয় কমিয়ে ৫০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকা কি শুধু গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা যায় না? শিক্ষাখাতে ব্যয় যেহেতু বিনিয়োগ সেহেতু রাষ্ট্রের অনুৎপাদনশীল খাতঅসহ অন্যান্য কিছু খাতে ব্যয় কমিয়ে শিক্ষাখাতে যদি বরাদ্দ বাড়ানো যায় তাহলে তার ফল পেতে বেশি সময় লাগবে না। শিক্ষায় ব্যয় বাড়ানোর ফলে যে খরচ হবে সেটি অদূর ভবিষ্যতেই উঠে আসবে। উন্নত পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষা-সহায়ক উপকরণ সরবরাহ ও সর্বোপরি স্কুল শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ না বাড়িয়ে উপায় নেই। রাষ্ট্রের বিলাসী খাতে বরাদ্দ ক্রমশ না বাড়িয়ে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক খাতে বরাদ্দ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিতেই হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য আবশ্যিকভাবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার থাকতে হবে এবং সেখানে প্রয়োজনীয় সকল বই, গবেষণাপত্র ইত্যাদি রাখার এবং তার জন্যও পর্যাপ্ত অর্থবরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে শিক্ষাখাতে সামান্য যে বরাদ্দ সেটিও বৈধ ও অবৈধ দুর্নীতির শিকার(বৈধ দুর্নীতি বলতে শিক্ষাখাতের ব্যয় প্রকল্প পরিচালকের গাড়ির পেট্রল ক্রয়ে ব্যবহৃত হওয়াকে বোঝানো হচ্ছে)! শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং সমগ্র বরাদ্দকে সবচেয়ে কার্যকর উপায়ে ব্যয় করতে পারার মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। আবার, শিক্ষাখাতে ব্যয় কোথায় কীভাবে করতে হবে তার দায়িত্ব সদ্য খাদ্য বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে আসা প্রশাসন ক্যাডারদের হাতে দেয়া ঠিক হবে না।

সবশেষে বলবো, শিক্ষাখাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যাপ্ত অর্থায়ন এই মুহূর্তে সময়ের দাবি। এর সাথে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রগতির ধারাটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেখা গিয়েছে যে, দীর্ঘ অর্থনৈতিক মন্দা এবং শিক্ষার ক্রমাগত বেসরকারিকরণের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাখাতে বরাদ্দ গত কয়েকবছরে বেশ কমেছে। এখন শিক্ষাখাতে তাদের বরাদ্দ জিডিপি’র ৫.৭%। যুক্তরাজ্যেও একই কারণে এই বরাদ্দের পরিমাণ বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে জিডিপি’র ৫.৩%। তারপরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর উচ্চশিক্ষা খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করে তা বাংলাদেশের প্রায় ৫০ গুনেরও অধিক! অথচ, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমে যাওয়ায় এই দেশগুলোতে ইদানিং প্রায়ই ছাত্র বিক্ষোভ ভয়াবহভাবে দানা বাঁধছে। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরণের বিক্ষোভ দেখতে পারছি আমরা যা অনাকাংখিত এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য হুমকিস্বরূপ। অতএব, এই ধরণের সমস্যা হতে উত্তরণের জন্য এবং জাতীয়ভাবে টেকসই উন্নয়নের ধারাকে নিশ্চিত করার জন্য সরকারের উচিৎ হবে শিক্ষাখাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে পর্যাপ্ত অর্থায়নের বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং তার প্রতিফলন এই আসন্ন জাতীয় বাজেটেই পড়বে বলে আশা করছি।

লেখকবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটউটের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী।

(২০১২-১৩ বাজেট উপলক্ষ্যে তৈরিকৃত এই লেখাটি পূর্বে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় লেখকদের অনুমতিক্রমে লেখাটি এখানে পুনঃপ্রকাশিত হলো।)

জনপ্রিয় নিবন্ধ

প্রাথমিক স্তরে ভাষা শেখা : বিষয় – বাংলা

ভাষার দক্ষতা চারটি— শোনা, বলা, পড়া, লেখা। আর ভাষা...

আগে ইংরেজি গ্রামার শিখবো, নাকি ভাষা শিখবো?

কোন ভাষার গ্রামার হলো ঐ ভাষার গঠন প্রকৃতি যার...

শিক্ষাব্যবস্থার হালচাল

অর্থনীতিবিদদের মতে, শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক এবং নিরাপদ রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো এবং মার্শালের মতে, শিক্ষা এমন একটি খাত যার কাজ হলো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে পুঁজির সঞ্চালন ঘটানো। শিক্ষার অর্থনীতি নিয়ে মৌলিক গবেষণায় অর্থনীতিবদ আর্থার শুল্জ ও রবার্ট সলো দেখিয়েছেন যে, প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে সম্পদের সুফল ফেরত আসে ৩৫ শতাংশ, মাধ্যমিক শিক্ষায় ২০ শতাংশ, এবং উচ্চ শিক্ষায় ১১ শতাংশ।

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা : পিএইচডির পর কী?

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়, আমি নিজেও এ-নিয়ে...

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা

ক্যাডেটসমূহ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।...

আরও কিছু লেখা

অধিক

    প্রাথমিক শিক্ষায় আশা এবং হতাশা

    আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় ঝড়ে পড়া, শিক্ষার গুণগত মান,...

    সাক্ষাৎকার: দরকার সঠিক প্রস্তুতি

    যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় আবেদনের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো...

    উচ্চশিক্ষায় গবেষণা : একটি কম আলোচিত প্রসঙ্গ

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গবেষণার বিষয়টিকে এমনভাবে জড়িয়ে নিতে হবে যাতে তা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবার জন্যই অপরিহার্য হয়ে উঠে। কোনো শিক্ষার্থী যেন মৌলিক গবেষণার কাজ না করে ডিগ্রি না পায়, কিংবা শিক্ষক যেন মৌলিক গবেষণার কাজ ব্যতীত প্রমোশন না পায় সেই ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করলে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও পরিমাণ দুটোই বাড়বে।

    যোগাযোগ বৈকল্য: যোগাযোগে অক্ষম করা এক ব্যাধি – পর্ব ২

    যোগাযোগ বৈকল্য বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তেমন পরিচিত রোগ না হলেও...

    প্রাথমিক শিক্ষক: সবচেয়ে সংবেদনশীল পেশাজীবী

    সমাজে যত ধরনের পেশাজীবী রয়েছেন, সমাজ বিনির্মাণে তাদের অবদান...

    গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা কেন?

    সমীর রঞ্জন নাথ লিখেছেন গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে...

    শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে ক্লাস নেওয়ানো: একটি প্রস্তাবনা

    বাংলাদেশের মতো বৃহৎ শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে, সেখানে উপযুক্ত শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা ও পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব বরাবরের মতো চলে এসেছে, সেখানে শিক্ষার্থীকে শ্রেণি-কার্যক্রমে শিক্ষকের পাশাপাশি কাজে লাগানো ফলপ্রসু হওয়া বেশ সম্ভাবনাময় । সেক্ষেত্রে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা উপযুক্ত তাদের দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস নেওয়ানোর সংস্কৃতি প্রবর্তন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি প্যানেল তৈরি করা যেতে পারে।

    শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে আত্ম-অবলোকন বা সেল্ফ-মনিটরিং

    একজন পেশাদার শিক্ষক জানতে চান বা জানার ইচ্ছে প্রকাশ...

    প্রাসঙ্গিক নিবন্ধসমূহ

    নতুন লেখার খবর পান ইমেইলে
    বাংলাদেশের শিক্ষা প্রসঙ্গে নতুন লেখা প্রকাশিত হলে সেই খবর পৌঁছে যাবে আপনার ইমেইলে।