‘শুদ্ধস্বর-বাংলাদেশের শিক্ষা’ ত্রৈমাসিক সেরা লেখা পুরস্কার

প্রিয় লেখক ও পাঠক, বাংলাদেশের শিক্ষাবিষয়ক ওয়েব সাইট ‘বাংলাদেশের শিক্ষা’ এবং প্রকাশনা সংস্থা ‘শুদ্ধস্বর’-এর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের শিক্ষা’ ওয়েব সাইটে প্রকাশিত শিক্ষাবিষয়ক সেরা লেখাকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পুরস্কৃত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুরস্কারের আর্থিক মূল্যমান কম, কিন্তু পুরস্কার হিসেবে অমূল্য- বই। সেরা লেখার লেখককে ‘শুদ্ধস্বর’ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন বই উপহার দেয়া হবে। পুরস্কারের নিয়মাবলী নিম্নরূপ:

নিয়মাবলী

১. প্রতি বছরকে চার ভাগে ভাগ করে অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ, এপ্রিল-জুন, জুলাই-সেপ্টেম্বর, অক্টোবর-ডিসেম্বর- এই তিনমাস প্রান্তিকে প্রকাশিত লেখাগুলো ত্রৈমাসিক পুরস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হবে। সেখান থেকে একটি লেখাকে চূড়ান্তভাবে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হবে। প্রতি বছর এরকম চারটি পুরস্কার দেওয়া হবে। কোনো লেখকের একাধিক লেখা এ সময়ের মধ্যে প্রকাশিত হলে সবগুলো লেখাই প্রাথমিক বাছাইয়ে থাকতে পারে।

২. সেরা লেখার লেখককে পুরস্কার হিসেবে ৫০০ টাকার বই উপহার দেয়া হবে। ‘শুদ্ধস্বর’ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন ধরনের বই লেখককে সরাসরি অনুষ্ঠান বা কুরিয়ারের মাধ্যমে লেখকের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

৩. শিক্ষাবিষয়ে সরাসরি কাজ করছেন কিংবা শিক্ষার নানা বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবগত- এমন একজন বিচারক প্রতিটি লেখা পড়ে তিনমাসের সেরা লেখা মনোনীত করবেন। সেরা লেখা মনোনীত করার পর বিচারক সেই লেখার ওপর বিস্তারিত মতামত প্রকাশ করবেন যা ‘বাংলাদেশের শিক্ষা’ ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে। সেরা লেখার ব্যাপারে বিচারকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

৪. বিচারক নিজেই যদি ‘বাংলাদেশের শিক্ষা’ ওয়েব সাইটে লিখেন, তাহলে তাঁর লেখাসমূহ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবে না। তাছাড়া ‘বাংলাদেশের শিক্ষা’ এবং ‘শুদ্ধস্বর’-এর সাথে সংশ্লিষ্ট কারোর লেখা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে না।

৫. প্রতি বছরের পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখা এবং সেই লেখার ওপর বিচারকের মতামতসমূহ পরবর্তী সময়ে ইবুক আকারে প্রকাশ করা হবে।

উপর্যুক্ত নিয়মাবলীর ওপর ভিত্তি করে প্রথম পর্যায়টি শুরু হতে যাচ্ছে আগামী জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১২ প্রান্তিকে। এই সময়কালে প্রকাশিত প্রতিটি লেখা বিচার-বিবেচনা করে অক্টোবর মাসের কোনো এক সময় সেরা লেখার নাম ঘোষণা করা হবে। সুতরাং আপনার লেখাগুলো নিয়মিত পাঠাতে থাকুন এবং জিতে নিন অমূল্য পুরস্কার- বই।

এবারের বিচারক

জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১২ প্রান্তিকে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন মাছুম বিল্লাহ। নিচে সংক্ষেপে বিচারকের পরিচিতি তুলে ধরা হলো।

মাছুম বিল্লাহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে কয়েকটি জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক সংস্থায় কাজ করেন। তারপর শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশ করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর শিক্ষকতা করেন বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, সিলেট ক্যাডেট কলেজ, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে। এছাড়া তিনি ব্যাচেলর ইন ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচিং প্রোগ্রাম (বেল্ট), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউটর হিসেবেও কাজ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে (পেইস) যোগদান করেন। বর্তমানে সেখানে তিনি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও ইংরেজি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সেমিনারে শিক্ষার ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন।

বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকের নিয়মিত কলাম লেখকও তিনি। বাংলাদেশে ইংরেজি ভাষার ব্যবহারের ওপর স্বাধীনভাবে গবেষণারত রয়েছেন জনাব মাসুম বিল্লাহ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচার্স এসোসিয়েশনের (বেল্টা) ভাইস প্রেসিডেন্ট। ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ইংরেজি প্রশিক্ষণে অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক টিসল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তাঁকে টিসল প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে।

আমাদের এই উদ্যোগ বা পুরষ্কার সম্পর্কে আপনাদের কোনো প্রশ্ন, মতামত বা পরামর্শ থাকলে এখানে জানাতে পারেন। আশা করছি, এই উদ্যোগে আপনাদেরকে আমরা সাথে পাবো। ধন্যবাদ।

জনপ্রিয় নিবন্ধ

প্রাথমিক স্তরে ভাষা শেখা : বিষয় – বাংলা

ভাষার দক্ষতা চারটি— শোনা, বলা, পড়া, লেখা। আর ভাষা...

আগে ইংরেজি গ্রামার শিখবো, নাকি ভাষা শিখবো?

কোন ভাষার গ্রামার হলো ঐ ভাষার গঠন প্রকৃতি যার...

শিক্ষাব্যবস্থার হালচাল

অর্থনীতিবিদদের মতে, শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক এবং নিরাপদ রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো এবং মার্শালের মতে, শিক্ষা এমন একটি খাত যার কাজ হলো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে পুঁজির সঞ্চালন ঘটানো। শিক্ষার অর্থনীতি নিয়ে মৌলিক গবেষণায় অর্থনীতিবদ আর্থার শুল্জ ও রবার্ট সলো দেখিয়েছেন যে, প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে সম্পদের সুফল ফেরত আসে ৩৫ শতাংশ, মাধ্যমিক শিক্ষায় ২০ শতাংশ, এবং উচ্চ শিক্ষায় ১১ শতাংশ।

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা : পিএইচডির পর কী?

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়, আমি নিজেও এ-নিয়ে...

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা

ক্যাডেটসমূহ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।...

আরও কিছু লেখা

অধিক

    পথহারানো পথ

    শ্রদ্ধা করার মতো শিক্ষক পাওয়া যায়, ভালোবেসে পদতলে লুটিয়ে...

    শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ তৈরির সূতিকাগার

    স্বাধীনতার ৪৮ বছরে কতটুকু এগোলো বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা? আদৌও কি...

    বিশ্ব শিক্ষক দিবস: “শিক্ষক আমি শ্রেষ্ঠ সবার, দিল্লীর পতি সে তো কোন্ ছার”

    ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম অধিবেশনে গৃহিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শিক্ষকদের...

    জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০: কতটুকু বাস্তবায়ন হলো?

    মিরন কুমার ভৌমিক লিখেছেন শিক্ষানীতি ২০১০ প্রসঙ্গে চাকরিসূত্রে যখন জাতীয়...

    উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল এবং আমাদের রাজনীতি

    অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর এটি আরেকটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ যে, সেরা প্রতিষ্ঠান নির্ধারণের ক্ষেত্রে মানদণ্ড নির্ধারণে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীর সংখ্যা বা জিপিএ-৫ পাওয়াই সেরা প্রতিষ্ঠান হওয়ার শর্ত হতে পারে না।

    শিক্ষা ও গবেষণায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়: পর্ব ১

    এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হিসেব মতে, দেশে বেসরকারি...

    শিশু ও শিশুর সাথে মিথ্যে বলা

    শিশু খেতে চাইছে না। মা বা অন্য কেউ বলছেন,...

    বয়স্ক সাক্ষরতা : গালগল্প (প্রথম পর্ব)

    আ.ন.স হাবীবুর রহমান: উনিশ শত আশি এবং নব্বইয়ের দশক...

    প্রাসঙ্গিক নিবন্ধসমূহ

    নতুন লেখার খবর পান ইমেইলে
    বাংলাদেশের শিক্ষা প্রসঙ্গে নতুন লেখা প্রকাশিত হলে সেই খবর পৌঁছে যাবে আপনার ইমেইলে।