শিক্ষক প্রশিক্ষণ বনাম শিক্ষক উন্নয়ন

সালমা আখতার লিখেছেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে

সম্প্রতি Access 2 Information এবং ইউএনডিপির সহযোগিতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন নির্দিষ্ট কয়েকটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে চার বছর মেয়াদি বিএড (অনার্স) কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে কারিকুলাম চূড়ান্তকরণের জন্য ‘ইনটেনসিভ-ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠিত হলো। নীতিনির্ধারক, শিক্ষক-শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ, স্টেকহোল্ডার- সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কারিকুলাম প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে।

এটি অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ। এই অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি উন্নতমানের চার বছর মেয়াদি অনার্স প্রোগ্রামের কারিকুলাম তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। আমরা সবাই জানি, দক্ষ শিক্ষক তৈরির পূর্বশর্তই হচ্ছে উন্নতমানের শিক্ষক-শিক্ষা কারিকুলাম, শিক্ষক তথা ‘টিচার এডুকেটর’, প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধাদি, শিখন-শেখানো পদ্ধতি ও কলাকৌশল, প্রযুক্তির ব্যবহার ও কারিকুলামের সঙ্গে মেলবন্ধন, তত্ত্বের কার্যকর প্রয়োগ তথা প্র্যাকটিস, মূল্যায়ন এবং সর্বোপরি শিক্ষকতাকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করার লক্ষ্যে মনোজগৎ তৈরির জন্য সৃষ্ট সাংস্কৃতিক বলয়।

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আজকের এই ডিজিটাল যুগেও শিক্ষক হচ্ছেন ‘best teaching tool in the classroom’, যদি তিনি ভালো বা দক্ষ শিক্ষক হয়ে থাকেন। তবে উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষক এখন ‘one of the best teaching tool’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এবার দেখা যাক উন্নতমানের এবং দক্ষ শিক্ষক তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষক শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা কী? শিক্ষক-শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থাৎ পিটিআই/Teachers Training College ও ইনস্টিটিউটগুলোতে দুই ধরনের শিক্ষক শিক্ষা রয়েছে- এক. চাকরিপূর্ব, দুই. চাকরিকালীন। প্রাথমিক স্তরের বর্তমান এক বছর মেয়াদি সি-ইন-এডের বদলে ভবিষ্যতে ১৮ মাস মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক শিক্ষার জন্য টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলোর মধ্যে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে চার বছর মেয়াদি বিএড (অনার্স) ও এমএড ডিগ্রি কার্যক্রম রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ৪-৫টি কলেজে ওই কার্যক্রম প্রবর্তনের প্রক্রিয়া চলছে।

পূর্ণাঙ্গ শিক্ষক শিক্ষার কার্যক্রম একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটেই রয়েছে। তবে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটেও অনার্স ও মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, যা আইইআর নামে পরিচিত ১৯৫৯ সালের US-AID ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট কলেজের যৌথ সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত এই ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রমের শুরু ১ জুলাই ১৯৬০ থেকে। এদিক থেকে ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, অন্যদিকে আইইআর দিবস। আইইআরে চার বছর মেয়াদি অনার্স কার্যক্রমের কারিকুলামে তত্ত্ব ও প্রয়োগের চমৎকার সমন্বয় সাধন করা হয়েছ। চার বছর মেয়াদি স্নাতক পর্যায়ে চারটি বিশেষ ধারায় বিজ্ঞান শিক্ষা, সামাজিক বিজ্ঞান শিক্ষা, ভাষা শিক্ষা ও বিশেষ শিক্ষা এবং এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স বা এমএড প্রোগ্রামে ১০টি বিভাগে চাকরিপূর্ব শিক্ষক শিক্ষা ব্যবস্থায় পেডাগজি ও তার প্রয়োগ এ দেশে শিক্ষক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পথিকৃৎ হিসেবে এগিয়ে চলেছে। আইইআর বেশির ভাগ শিক্ষক শিক্ষণ কলেজের টিচার এডুকেটর, এর বেশির ভাগই আইইআরের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাদের শেখন-শেখানো কার্যক্রমের ফসল টিটিসিগুলো থেকে বিএড ডিগ্রিধারী, যারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে থাকেন। যদি টিটিসিগুলোতে গুণগত মানের শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে মাধ্যমিক শিক্ষার মান নিয়ে এত প্রশ্ন কেন উঠছে? তাহলে দক্ষ শিক্ষক তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়? এবং ভালো ও দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি কেন রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনেক সুদূরে এবং গভীর বিশ্লেষণের প্রয়োজন, যা এই লেখায় তুলে আনা সম্ভব নয়। তবে আজকের লেখায় মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক শিক্ষায় টিচার ট্রেনিং কলেজের বিশেষ কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো।

কিছুদিন আগেও টিটিসির বিএড কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে চাকরিকালীন প্রশিক্ষণের আওতায় ছিল। এক বছর মেয়াদি বিএড কার্যক্রম মূলত পুরনো তত্ত্বনির্ভর এবং শেখন-শেখানো পদ্ধতি শিক্ষককেন্দ্রিক তথা বক্তৃতানির্ভর ছিল। শিক্ষাক্রম তথা কারিকুলামের সংস্কার ও নবায়ন ছিল না বললেই চলে। অথচ একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর কারিকুলাম, শিক্ষাদান পদ্ধতির নবায়ন অত্যাবশ্যক, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরে হয়ে থাকে। বর্তমানে অবশ্য কারিকুলাম নবায়নের কাজ চলছে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোতে। কিন্তু কারিকুলামের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অনেক সমস্যার আবর্তে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলো সঠিকভাবে মানসম্মত শিক্ষক তৈরি করতে পারছে না।

শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ নামটি শত বছরের পুরনো ব্রিটিশ আমলে প্রবর্তিত। টিচার্স ট্রেনিং এবং টিচার এডুকেশন এ শব্দ দুটির মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। শিক্ষক তৈরিতে ও শিক্ষকের দক্ষতা উন্নয়নে টিচার এডুকেশন ও টিচার ট্রেনিং দুটি আলাদা ভূমিকা পালন করে থাকে। বৃহৎ অর্থে টিচার এডুকেশন শিক্ষক তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে। উন্নত বিশ্বে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক হতে গেলে একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে টিচার এডুকেশনের কার্যক্রমের আওতায় থাকতে হবে। গ্রাজুয়েট ডিগ্রির পরে বিভিন্ন মেয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন ফ্যাকাল্টি কিংবা কলেজ অব এডুকেশনের ডিগ্রি থাকতে হবে। কোনো কোনো দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদে ভর্তি হয়ে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষাটাই বিদ্যালয়ভিত্তিক করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে শিক্ষকদের চাকরির পূর্বশর্ত হিসেবে বিএড, এমএড এখন পর্যন্ত সব আবেদনকারী প্রার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। ফলে শিক্ষকতার জন্য যে কেউ আবেদন করতে পারে। এক্ষেত্রে জর্জ বার্নাড শ-র সেই উক্তিটি স্মরণ করা যায়- ‘He who can does, he who can not, teaches.’ মাধ্যমিক স্তরে ভালো শিক্ষক তৈরি করতে হলে শিক্ষক শিক্ষায় গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে সবাইকে এবং শিক্ষক হতে হলে পূর্বশর্ত হিসেবে বিএড, এমএড ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। এজন্য টিচার এডুকেশনের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত সেসব শিক্ষককে নিজস্ব পেশাগত দক্ষতার উন্নয়ন, পেডাগজির সঠিক ব্যবহার করে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় পদ্ধতিতে শেখন-শেখানো কার্যক্রমের মাধ্যমে সঠিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মেধাভিত্তিক অবস্থান নির্ণয় করা দরকার।

সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোতে শিক্ষকস্বল্পতাও একটি সমস্যা। শিক্ষকদের বিএড, এমএড কার্যক্রমের বাইরেও নানা প্রশিক্ষণে সময় দিতে হয়। ফলে মূল কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। এটি আমি ঢাকা টিটিসিতে লক্ষ্য করেছি। চার বছর অনার্স, এমএড এবং এক বছর মেয়াদি বিএড কার্যক্রমের পাশাপাশি টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্টের আওতায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টিকিউআইয়ের চাকরিকালীন প্রশিক্ষণের ভারে টিটিসির শিক্ষকরা ভারাক্রান্ত। এতে মূল কার্যক্রমের গুণগত মান ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। ফলে আইইআরের অনার্স ও মাস্টার্স কার্যক্রমের শিক্ষার্থীদের তুলনায় সরকারি টিটিসির শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার মানে নিচে থেকে যাচ্ছে।

মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক শিক্ষা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে বেসরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে বিএড, এমএড কার্যক্রম। এ ছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রম। বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোর যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোগত সমস্যা থেকে শুরু করে ভালো মানের টিচার এডুকেটরের স্বল্পতা, গতানুগতিক শেখন-শেখানো পদ্ধতি, স্বল্প সময়কালীন প্র্যাকটিস টিচিংয়ের ব্যবস্থা কিংবা কোনো কোনো কলেজে প্র্যাকটিস টিচিংয়ের কোনো কার্যক্রম না থাকা শিক্ষক শিক্ষার মানকে এত নিম্নমুখী করে যাচ্ছে, যাতে দক্ষ শিক্ষক তৈরির গোটা ব্যবস্থাই হুমকির মুখে। যদিও বেসরকারি টিটিসিগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত কারিকুলাম অনুসরণ করে থাকে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রম তুলনামূলকভাবে ভালো হলেও প্র্যাকটিস টিচিংয়ের অপর্যাপ্ত সময় একটি বড় সমস্যা। অথচ তত্ত্ব ও প্রয়োগের সমন্বয় না ঘটলে দক্ষ শিক্ষক তৈরিতে ঘাটতি দেখা যায়।

দক্ষ শিক্ষক তৈরির জন্য দীর্ঘমেয়াদি পলিসি ও পরিকল্পনার ক্ষেত্রে, এবারের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। জাতীয় শিক্ষানীতির রিপোর্টে এই অধ্যায়টিতে তেমন কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এবং দায়সারাভাবে বর্তমান ব্যবস্থার অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতিতে ইনক্লুসিভ অ্যাপ্রোচে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা, ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষক, উচ্চশিক্ষা স্তরের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষক শিক্ষা, অব্যাহত শিক্ষক-শিক্ষা, মধ্যম ও স্বল্পমেয়াদি নানা প্রশিক্ষণের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা ও নীতি থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল।

এ প্রেক্ষাপটে আমার দীর্ঘমেয়াদি নানা প্রস্তাবনার একটি হচ্ছে অবিলম্বে শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হোক দেশকে দক্ষ শিক্ষক প্রশিক্ষক ও শিক্ষক জোগান দেওয়ার জন্য। এতে শিক্ষা ব্যবস্থার নানা নৈরাজ্যের নিরসন ও গুণগত মানের উন্নতি, গবেষণা ইত্যাদি অনেক সহজ হয়ে যাবে। অল্প সময়ে আরেকটি যা করতে হবে টিচার্স ট্রেনিং কলেজের নাম পাল্টে কলেজ অব এডুকেশন করতে হবে। তবে কেবল নাম পাল্টালেই চলবে না, কলেজ অব এডুকেশনকে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় সব দিক থেকে যথার্থ করে তুলতে হবে।

সালমা আখতার: অধ্যাপক ও সাবেক পরিচালক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

জনপ্রিয় নিবন্ধ

প্রাথমিক স্তরে ভাষা শেখা : বিষয় – বাংলা

ভাষার দক্ষতা চারটি— শোনা, বলা, পড়া, লেখা। আর ভাষা...

আগে ইংরেজি গ্রামার শিখবো, নাকি ভাষা শিখবো?

কোন ভাষার গ্রামার হলো ঐ ভাষার গঠন প্রকৃতি যার...

শিক্ষাব্যবস্থার হালচাল

অর্থনীতিবিদদের মতে, শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক এবং নিরাপদ রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ। অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো এবং মার্শালের মতে, শিক্ষা এমন একটি খাত যার কাজ হলো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে পুঁজির সঞ্চালন ঘটানো। শিক্ষার অর্থনীতি নিয়ে মৌলিক গবেষণায় অর্থনীতিবদ আর্থার শুল্জ ও রবার্ট সলো দেখিয়েছেন যে, প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে সম্পদের সুফল ফেরত আসে ৩৫ শতাংশ, মাধ্যমিক শিক্ষায় ২০ শতাংশ, এবং উচ্চ শিক্ষায় ১১ শতাংশ।

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা : পিএইচডির পর কী?

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়, আমি নিজেও এ-নিয়ে...

ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা

ক্যাডেটসমূহ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।...

আরও কিছু লেখা

অধিক

    প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

    সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ, দেশের আর্থসামজিক উন্নয়ন এবং...

    সাক্ষরতা ও করোনা পরবর্তী বিশ্ব

    প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন...

    শ্রেণিকক্ষ গবেষণা : কী, কেন এবং কীভাবে

    আপনি কি একজন শিক্ষক? আপনি কি মনে করেন, আপনি...

    রোগীর সামাজিক পরিবেশ ও আমাদের ডাক্তারি বিদ্যা

    আমার সচরাচর খুব একটা অসুখ হয় না। এদিক দিয়ে...

    প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ১০০% করার টেকনিক: একজন শিক্ষকের অভিজ্ঞতা

    কামাল উদ্দিন লিখেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিয়ে এই টেকনিক প্রয়োগ...

    শিক্ষার্থীদেরকে দিয়ে ক্লাস নেওয়ানো: একটি প্রস্তাবনা

    বাংলাদেশের মতো বৃহৎ শিক্ষাব্যবস্থা যেখানে, সেখানে উপযুক্ত শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা ও পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব বরাবরের মতো চলে এসেছে, সেখানে শিক্ষার্থীকে শ্রেণি-কার্যক্রমে শিক্ষকের পাশাপাশি কাজে লাগানো ফলপ্রসু হওয়া বেশ সম্ভাবনাময় । সেক্ষেত্রে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা উপযুক্ত তাদের দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস নেওয়ানোর সংস্কৃতি প্রবর্তন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি প্যানেল তৈরি করা যেতে পারে।

    করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষা

    করোনাভাইরাসের দিনগুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষা কেমন চলছে? কী করছে শিক্ষার্থীরা?...

    ফাদার পিশোতো : একজন মহান মানুষকে নিয়ে স্মৃতিচারণ

    জাহিদুল ইসলাম স্মৃতিচারণ করেছেন ফাদার পিশোতোকে নিয়ে ‘৯৪ সালের কোনো...

    প্রাসঙ্গিক নিবন্ধসমূহ

    নতুন লেখার খবর পান ইমেইলে
    বাংলাদেশের শিক্ষা প্রসঙ্গে নতুন লেখা প্রকাশিত হলে সেই খবর পৌঁছে যাবে আপনার ইমেইলে।