এসএসসি বা সমমান পর্যায়ে কৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরা এখন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিষয়ে নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে। এবার পূর্বের নিয়মকানুনের সাথে কিছু নতুন বিষয় সংযোজিত হয়েছে।
পূর্বের বছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ দশ কলেজে আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছে। অনলাইন বা এসএমএসের মাধ্যমে ১২ মে থেকে আবেদন নেয়া শুরু হচ্ছে। অনলাইনে আবেদন ফি ১৫০ টাকা আর এসএমএসের মাধ্যমে ১২০ টাকা। পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন বা এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বণ্টন করা হবে কলেজগুলো। এবার শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে আড়াইশ কলেজ ও মাদ্রাসা। শিক্ষার্থীদের আবেদন সংখ্যা ও পাসের হার বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও শতাধিক কলেজ রয়েছে, যেগুলা শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয়। এছাড়াও সারা দেশে অর্ধশত মাদ্রাসা রয়েছে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায়। এসব কলেজ-মাদ্রাসায় স্ব স্ব বিভাগের জিপিএ-৫ পাওযা শিক্ষার্থীরা ভীড় করলে সবার সংস্থান হবে না।
এবার তিনটি ধাপে নেয়া হবে আবেদন। প্রথম ধাপে আবেদন করা যাবে ২৩ মে পর্যন্ত। এ-পর্যায়ের আবেদনকারীদের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ জুন। দ্বিতীয় ধাপের আবেদন করা যাবে ১৯ ও ২০ জুন। ২১ জুন ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় ধাপে আবেদন নেয়া হবে ২৪ জুন। ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ জুন। ২৭ থেকে ৩০ জুন শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত কলেজে ভর্তি হতে হবে।
১ জুলাই শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ যে, দেশের সমস্ত কলেজে একই দিন ক্লাস শুরু হবে। এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ভর্তি হয় সাধারণ কলেজগুলোতে।
কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে আসনের সঙ্কট না থাকলেও মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্কট তীব্র। এমনকি জিপিএ-৫ পেয়েও পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার নিশ্চয়তা থাকছে না।
কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে আসনের সঙ্কট না থাকলেও মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্কট তীব্র। এমনকি জিপিএ-৫ পেয়েও পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার নিশ্চয়তা থাকছে না।
শিক্ষা বোর্ডসমূহ এবার মান নিয়ন্ত্রণের জন্য তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে কলেজগুলোকে। যেসব কলেজে ৬৫০শিক্ষার্থী রয়েছে এবং পাসের হার ৭০শতাংশের বেশি সেগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরির। যেসব কলেজে সর্বোচ্চ ৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে এবং পাসের হার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সেগুলো ‘বি’ ক্যাটাগরির। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে পড়েছে ৬০০-এর নিচে শিক্ষার্থী সংখ্যা এবং ৫০ শতাংশের নিচে পাসের হার।
ক্যাটাগরি করার মাধ্যমে দেখার সুযোগ থাকবে কোন কলেজগুলো নিচ থেকে উপরে উঠে আসছে, আবার কোনগুলো ওপর থেকে নিচে নামছে । ভালো করতে না পারা কলেজগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। আবার কিছু কলেজ নিজ উদ্যোগেই ভালো হওয়ার প্রচেষ্টা চালাবে।
আন্ত শিক্ষাবোর্ড সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সি’ ক্যাটাগরির কলেজগুলোতে সাধারণত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে চায় না। ৬০০ শিক্ষার্থীর কলেজগুলোক স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়েছে। এর কম শিক্ষার্থী থাকলে ওইসব কলেজ পরিচালনা করতে অনেক অসুবিধা হয়।”
ভর্তির সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে ঢাকা মহানগরের কয়েকটি কলেজে। হাতেগোনা কয়েকটি কলেজে শিক্ষার্থীরা ভিড় করে বেশি। কিন্তু এসব কলেজ ছাড়াও ঢাকা বোর্ডের অধীনেই অন্য শহরে ভালো কলেজ আছে। সেগুলো তুলে ধরতেই নাকি শিক্ষা বোর্ড কলেজগুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ‘এ’ ক্যাটাগরির কলেজ রয়েছে ৮২টি আর ‘বি’ ক্যাটাগরির কলেজ আছে ৪৫টি। সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাইরে মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরাও ভর্তির আবেদন করে এসব কলেজে। ঢাকায় ‘এ’ ক্যাটগারির কলেজগুলোতে সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা ৫৭ হাজার আর ‘বি’ ক্যাটাগরির কলেজগুলোতে আছে ৫২ হাজার।
অতীতে দেখা গেছে, জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী আবেদনে বড় বড় কলেজ পছন্দের তালিকায় রাখে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতো ভালো ফল করেও অনেকে প্রথম দফায় ভর্তির সুযোগ পায় না। এটি মূলত তাদের পছন্দের কারণে হয়ে থাকে।
অতীতে দেখা গেছে, জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী আবেদনে বড় বড় কলেজ পছন্দের তালিকায় রাখে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতো ভালো ফল করেও অনেকে প্রথম দফায় ভর্তির সুযোগ পায় না। এটি মূলত তাদের পছন্দের কারণে হয়ে থাকে।
আর এ-কারণেই শিক্ষাবোর্ড ‘এ’ ক্যাটগরির কলেজের তালিকা প্রকাশ করেছে। এক সময় ঢাকা বোর্ডের অধীনে ১৩১০টি কলেজ ছিল। নানা অনিয়মের কারণে কিছু কলেজ বোর্ড বন্ধ করে দিয়েছে আবার কিছু কিছু কলেজ শিক্ষার্থী না পাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।
গতবারের ভর্তির তথ্য থেকে জানা যায় যে, ঢাকা বিভাগে ৭৫টি কলেজে, রংপুর বিভাগে ৩২টি, বরিশালে ১৪টি, রাজশাহীতে সাতটি, চট্টগ্রামে ১৯টি, খুলনা বিভাগে ১৩টি এবং সিলেট বিভাগে ২৩টি কলেজে সর্বোচ্চ ভর্তির আবেদন জমা পড়েছিল। এই কলেজগুলোর আসন সংখ্যা ৬০ থেকে ৭০ হাজারের বেশি হবে না।
এর অর্থ হচ্ছে, জিপিএ-৫ পেয়েও সকল শিক্ষার্থীর পক্ষে মানসম্মত কলেজে ভর্তি হওয়ার সুয়োগ থাকছে না। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৪ জন। জিপিএ ৪ থেকে ৫-এর মধ্যে আছে পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৮১৮ জন। জিপিএ ৩.৫ থেকে ৪-এর মধ্যে আছে চার লাখ আট হাজার ৬৭৯ জন। জিপিএ ৩ থেকে ৩.৫-এর মধ্যে আছে চার লাখ আট হাজার ৯৭১জন।
দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি উপযোগী কলেজের সংখ্যা চার হাজার ৬০০টির বেশি। এগুলোতে আসনসংখ্যা প্রায় ২১ লাখ। সারাদেশে ৮ সহস্রাধিক কলেজ ও মাদ্রাসায় ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৯ লাখের মতো। এর মধ্যে মাদ্রাসায় ৮ লাখ। ঢাকা বোর্ডে আসন আছে ৬ লাখ। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আলাদাভাবে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করবে।
মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ দশটি শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাধারণত এক শতাংশ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় না। তবে এক শতাংশ পুরনো শিক্ষার্থী আবার ভর্তির আবদেন করে। অনেক শিক্ষার্থী আবার মাদ্রাসা থেকে পাস করে সাধারণ কলেজে ভর্তি হয়।
আবার সাধারণ বিদ্যালয় থেকে পাস করা অনেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও কারিগরি বোর্ডের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। সেই হিসেবে পাস করা শিক্ষার্থীর চেয়েও যেহেতু সাড়ে এগার লাখ আসন বেশি আছে, তাই অনেক প্রতিষ্ঠানে আসন খালি থাকবে। আবার অন্যান্য ধারার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার কারণেও আরও কমপক্ষে দুই লাখ আসন শুন্য থাকবে। সব মিলিয়ে অন্তত তের লাখ আসনই এবার খালি থাকবে।
ঢাকা শহরে দেড়শোর মধ্যে মানসম্পন্ন কলেজ হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০টি। শিক্ষার্থীরা এগুলোতেই ভর্তি হতে চায়। এই কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ২০ হাজারের মতো। গত দুই বছরে কলেজ অনুমোদনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু এর আগে বহু কলেজকে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো এখন শিক্ষার্থী পাচ্ছে না। শিক্ষাক্ষেত্রে এই চিত্রটিও ধরা পড়েছে।
যত্রতত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেই শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখা যায় না। দেশে জনসংখ্যা অনুপাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ে বেশি রয়েছে। যে-কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিচ্ছে না, এমপিও তো দুরের কথা।
গড়ে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলেও জিপিএ-৫ আর গড়ে ৯৫ শতাংশ নম্বরপ্রাপ্তরাও জিপিএ-৫ধারী। এ-অবস্থায় কোনো কলেজে আবেদন করলে ওই কলেজের আসনের বিপরীতে যদি জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা আবেদন করে, তাহলে দেখা যাবে উচ্চ নম্বর প্রাপ্তরাই প্রথম সুযোগ পাবে। কম নম্বর পাওয়া জিপিএ-৫ ধারীরা ভর্তির সুযোগ পাবে না।
তাই তালিকা প্রকাশ করায় শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রম করাটা সহজ হবে। ক্যাটাগরি দেখে আবেদন করলে শিক্ষার্থীদের বিপাকে না পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমরা সবাই বলি, জিপিএ-৫ নিয়ে বা নম্বর নিয়ে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকগণ বেশি মাতামাতি করেন। তার একটি বড় কারণ কিন্তু এটি। নম্বর দেখে ভর্তি, নম্বর দেখে শিক্ষার্থী যাচাই, নম্বর দেখে চাকরি— সবকিছুতেই যখন নম্বরপ্রাপ্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়, তখন শিক্ষাগ্রহণ বাদ নিয়ে সবাই নম্বরের পেছনে ছুটবে, এটিই তো স্বাভাবিক।
এখানে আরেকটি বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, আমরা সবাই বলি, জিপিএ-৫ নিয়ে বা নম্বর নিয়ে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকগণ বেশি মাতামাতি করেন। তার একটি বড় কারণ কিন্তু এটি। নম্বর দেখে ভর্তি, নম্বর দেখে শিক্ষার্থী যাচাই, নম্বর দেখে চাকরি— সবকিছুতেই যখন নম্বরপ্রাপ্তিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়, তখন শিক্ষাগ্রহণ বাদ নিয়ে সবাই নম্বরের পেছনে ছুটবে, এটিই তো স্বাভাবিক।
একজন শিক্ষার্থী যখন অনলাইনে একটি কলেজ পছন্দ করবে, সঙ্গে সঙ্গে সফটওয়ার শিক্ষার্থীকে জানিয়ে দিবে তার মেধাক্রম। পাশাপাশি কলেজটিতে বা পছন্দের বিভাগে কতো আসন আছে তাও ওয়েবসাইটে থাকবে। মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি হবে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে চতুর্থ বিষয়ের নম্বর বাদ দিয়ে মেধাক্রম তৈরি করা হবে। আবেদনকারী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও কয়েকটি দিকে নজর দিবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সেগুলো হচ্ছে, যদি একই সিরিয়ালের আসনের বিপরীতে সমান নম্বরপ্রাপ্ত একাধিক শিক্ষার্থী পাওয়া যায়, তাহলে গণিত, ইংরেজি, বাংলায় কে বেশি নম্বর পেয়েছে সেটি দেখা হবে। এতেও সমান নম্বরধারী হলে বিভাগভিত্তিক বিষয়গুলোতে প্রাপ্ত নম্বর দেখা হবে। বিষয়টি ভর্তি নীতিমালার তিন নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এবার ভর্তি জালিয়াতি রোধ করার জন্য শিক্ষার্থীর আবেদনে বাবা-মার জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মার্কশিট দেখে আবেদন করিয়ে রাখে। বিশেষ করে যেসব স্কুলের কলেজ শাখা রয়েছে। আর নীতিমালায় নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের কলেজ শাখায় ভর্তিতে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে কলেজ শাখায় কেউ পড়তে না চাইলেও শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ হয়তো হয়রানির শিকার হতো, যা এবার না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
শিক্ষার্থীরা যাতে কলেজে জিম্মি হয়ে না পড়ে, সেজন্য আবেদনে এই নতুনত্ব আনা হয়েছে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক আবেদন করা যাবে না। ভর্তির ক্ষেত্রে এগুলো শুভ উদ্যোগ।
লেখক পরিচিতি
মাছুম বিল্লাহ বাংলাদেশে ইংলিশ টিচার্স অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পূর্বে ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তিনি ভাব বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন। তিনি নিয়মিত শিক্ষাবিষয়ে নানা প্রবন্ধ লিখছেন।