বাড়ি শিক্ষাক্রম ও পুস্তক বিনামূল্যে বই বিতরণ এবং শিক্ষার গুণগত মান

বিনামূল্যে বই বিতরণ এবং শিক্ষার গুণগত মান

বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে বই বিতরণ সরকারের অন্যতম সাফল্য: ছবিসূত্র: Jamuna TV
বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে বই বিতরণ সরকারের অন্যতম সাফল্য: ছবিসূত্র: Jamuna TV

আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় পাশের হার বৃদ্ধি, নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উৎসাহব্যঞ্জক উপস্থিতি এবং মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত বিনামূল্যে বই বিতরণ- এগুলো শিক্ষাক্ষেত্রে ধণাত্মক নির্দেশক। এখন গুণগত পরিবর্তনের বিষয়টি গভীরভাবে দেখার সময় কারণ প্রতি বছর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পাশের হার আর শিক্ষার মান ঠিক উল্টোগতিতে পেছনে যাচ্ছে। সরকার ২০১০ সাল থেকে  প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের  শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করে আসছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে ধরা হয়।

এবার ( ২০১৩) সালে বছরের প্রথমদিনে সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিল সরকার। প্রথমদিন ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ পালন করা হয়েছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে। বিষয়টি শিক্ষার্থীসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট আনন্দের। প্রকৃত অর্থে দেশের সকল প্রান্তে প্রথমদিন তো দূরের কথা, দুই সপ্তাহ পরেও শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছেনি। এটি আমি নিজে দেখেছি উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ করে। আর এটি সম্ভবও নয় সীমিত জনবল দিয়ে। একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে যে, গত দুইমাস সময় পার হয়ে যাবার পরও অনেক স্থানে এখনও ছাত্রছাত্রীরা বই পায়নি। ঢাকা জেলার জেলা শিক্ষা অফিসার  ৩০০০০, বরিশাল জেলার শিক্ষা অফিসার ১০৪২৩ বই ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্য এবং নবম শ্রেণীর জন্য ১৫,২৫২টি বইয়ের জন্য পুনরায় চাহিদা পাঠিয়েছেন। দেশের সর্বত্র মিলে এখনও ৫৩ লাখ বইয়ের চাহিদা রয়েছে।

আমাদের দেশ সমাজতান্ত্রিক দেশ নয় যে সরকারকে সব বই বিনামূলে বিতরণ করতে হবে। তাছাড়া সরকারের সে ক্ষমতাও ভালোভাবে নেই। শিক্ষাখাতে রয়েছে প্রচুর সমস্যা, বোর্ডের বই কেনা খুব একটা সমস্যা নয় অনেকের জন্যই। এমনটি নয় যে, বোর্ডের বইয়ের অভাবে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করতে পারছে না। হ্যাঁ, বোর্ডের বই সরকার বিনামূল্যে দিতে পারতেন হাওড়-বাওর এলাকায়, বস্তিতে, বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোতে। গ্রাম-শহর, ধনী-দর্রিদ্র সবার জন্য দরকার ছিল না বিনামূল্যে সরকারি বই। তাছাড়া বোর্ডের বই পড়লেই যে সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা তো নয়, সহায়ক বই শিক্ষার্থীদের কিনতেই হচ্ছে এবং তার দাম প্রচুর।

নিউ এইজের সম্পাদক নুরুল কবির এক টকে শোতে বলেছিলেন, “গত কয়েক বছর থেকে শিশুরা বছরের শুরুতে বই হাতে পাচ্ছে, এটি ভালো। তবে এটাকে সাফল্য বলার কিছু নেই। কারণ বছরের শুরুতে বাচ্চারা বই পাবে, এটাই তো স্বাভাবিক”। সরকার এবার ২৭ কোটি বই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করছে , এটি বিশ্বের কোনো দেশে নেই।

বেসরকারি পর্যায়ে যখন বই বিতরণ করা হতো বইয়ের অস্বাভাবিক মূল্য, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের জিম্মি করে বই গুদামজাত করা হতো। বেসরকারি প্রকাশকরা যাচ্ছেতাইভাবে বইয়ের ব্যবসা করতেন। তার ফলশ্রুতিতে সরকার নিজ হাতে বই বিতরণ শুরু করেছে। এর ফলে কি সব ধরনের সমস্যা মিটেছে? কারণ বই থাকার কথা সকলের জন্য উন্মুক্ত, কিন্তু বই এখন রেশনিং সিস্টেমের আওতায়, আর সেখানে রেশনিং সেখানেই তো দুর্নীতির সম্ভাবনা। অভিভাবক, গবেষক, শিক্ষক যখন-তখন বই হাতের কাছে পাচ্ছে না, বই বাজারে নেই, কাজেই বইয়ের ক্ষেত্রে রেশনিং পদ্ধতি খুব একটা ভালো লক্ষণ নয়। বরং সরকার তার নিয়মনীতি যথারীতি বই প্রকাশক ও ব্যবসায়ীদের ওপর খাটিয়ে যথাসময়ে বই শিক্ষার্থীদের ওপর দেয়ার দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করতে পারতেন। ইন্টারনেটে বই পাওয়া যায়। এটি এক ধরনের বিলাসিতা। খোদ ঢাকায় এক পৃষ্ঠা ডাইনলোড করতে আধঘণ্টা বসে থাকতে হয়, আর হঠাৎ যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে তো কথাই নেই। ঢাকার বাইরের কী অবস্থা? সরকার এই ২৭ কোটি বই ছাপানো এবং বিলি করতে গিয়ে সমস্ত মানবসম্পদ নিয়োগ করেছেন, গুণগত মানের চিন্তা করার সময় পাননি। আবার এও ঘটেছে অনেক স্কুল অনেক বেশি বেশি বই রিকুইুজিশন দিয়েছে । এভাবে অনেক বইয়ের অপচয় হয়েছে অথচ আমরা বিরাট এক শিক্ষক প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে থাকি বেসরকারি পর্যায়ে, বহুবার এনসিটিবির কর্তাব্যক্তিদের সাথে কথা বলেছি এবং ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছি কিন্তু তারা একসেট বইও আমাদের দিতে পারেননি। এর আগে আমরা প্রয়োজন হলেই আমরা বাজার থেকে বই কিনতে পারতাম এবং কিনতাম। এখন কোথায় পাব আমরা বই? এই যখন বাস্তব অবস্থা তখন সরকারের বিনামূল্যে বই বিতরণ করে আত্মতৃপ্তি পাওয়ার কী কারণ আছে বুঝতে পারছি না।

১৯৯৮ সালের কারিকুলাম অনুযায়ী ইংরেজি পরীক্ষার  প্রশ্নপত্র ঘাটলে যে ছবি  চোখে পড়ে সেটি উৎসাহব্যঞ্জক নয়, মারাত্মকভাবে হতাশাব্যঞ্জক। নবম-দশম শ্রেণীর  টেকস্ট বইয়ে ১১৯টি পাঠ আছে ( ২০১৩ সালে যারা এসএসসি পরীক্ষা দিবে তাদের পর্যন্ত)। আমি ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত নয় বছরের সকল সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র ঘেটেছি এবং দেখলাম মাত্র ১৭টি পাঠ থেকেই প্রশ্ন করা হয়েছে বারবার। এর অর্থ দাড়ায় বাকি ১১৭টি পাঠ শিক্ষার্থীদের পড়ার কোনো দরকার নেই। আর বাস্তবে হচ্ছেও তাই। শিক্ষার্থী, শিক্ষক কেউই অন্য লেসনগুলো নিয়ে ভাবে না। একটি লেসনে এ, বি, সি, ডি ও ই ভাগ থাকে। ইংরেজিতে এ প্লাস পাওয়ার জন্য যে লেসনের যে অংশে ঐ প্যাসেজটি আছে শুধু সেটুকু পড়লেই হয়, বাকি অংশগুলো পড়ার প্রয়োজন হয় না।

নতুন কারিকুলামে ইংরেজি  বারবার পরিবর্তন করা হচ্ছে। এক লুকেচুরি খেলা শুরু হয়েছে। বইয়ে কোনো ধরনের মডেল প্রশ্ন দেওয়া উচিত নয়। কিন্তু এর পূর্বের কারিকুলামে একটি মডেল প্রশ্ন দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে উক্ত মডেলকে অনুসরন করে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হতো। শিক্ষকগণ এবং বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণেতাগনও হুবহু একই প্রশ্ন বছরের পর বছর দিয়ে আসছেন, ক্রিয়েটিভিটির লেশমাত্র নেই। আসলে ইংরেজির বিভিন্ন আইটেম বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করা যেতে পারে। উচিতও তাই্ । কিন্তু আমাদের জাতীয় পরীক্ষাসমূহ সে রকম হয় না, যার প্রমাণ উপর্যুক্ত প্যারায় কিছুট উল্লেখ করলাম। পরীক্ষা হয় পাশের হার বাড়ানোর জন্য। তাই পরীক্ষা আর পরীক্ষা নেই।

লিসেনিং এবং স্পিকিং ছাড়া  ল্যাংগুয়েজ পরীক্ষার কোনো দাম নেই। এবার কারিকুলাম প্রণেতাগন চালু করেছিলেন এই দুটি স্কিল। মনে হয়েছিলো কিছু একটা অন্তত শুরু হলো। এখন শুনলাম এই দুই গুরুত্বপূর্ণ স্কিল বাদ দেওয়া হয়েছে। চালুই যেহেতু করা যাবে না, তাহলে এত পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর  হঠাৎ করে বাদ দেওয়ার কী মানে আছে?

শুনেছি এবং এখন প্রমাণও দেখলাম যে, বোর্ডের নম্বর বণ্টন নির্ণয় করে প্রভাবশালী কিছু প্রভাবশালী মহল। তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী নম্বর বণ্টন করা হয়। এ ব্যাপারটি বিশ্বাস করতে আর অসুবিধা হচ্ছে না কারণ এ বছর বোর্ড থেকে তথাকথিত মডেল প্রশ্ন দেয়নি, মোটামুটি একটি ধারণা টেকস্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিলো, লিসেনিং ও স্পিকিং-এ পরীক্ষা হওযার কথা ছিলো, সাপলিমেন্টারি ম্যাটেরিয়ালস পড়ানোর কথা ছিলো। এগুলো একজন শিক্ষার্থীর ইংরেজির শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আইটেম। কিন্তু এখন এগুলো নাকি আর থাকছে না, অনেকটাই আগের মতো হবে। তাহলে এত ঘটা করে নতুন কারিকুলামের কথা প্রচার করার কি দরকার ছিলো?

যেসব প্রশ্ন কোনো জানা তথ্য পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিতে সহায়তা করে কিন্তু শিক্ষার্থীর বুদ্ধিমত্তা বিকাশে সহায়তা করে না সে ধরনের প্রশ্নকে ফেকচুয়্যাল বা তথ্যনির্ভর  প্রশ্ন বলে। ব্লুম লেভেল অফ নলেজ নামে গবেষকদের কাছে  পরিচিত এই ধরনের প্রশ্ন। যেমন তিন-চারটি প্রশ্নের মধ্যে কোনটা সঠিক তা বের করা। কিছু প্রশ্নের উত্তর হবে একটি, তবে সঠিক উত্তরের জন্য প্রয়োজন হবে সম্পর্কিত অনেক তথ্য। উপন্যাসের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর সাজাতে হবে এবং উত্তরের পেছনে যৌক্তিকতা থাকতে হবে। এখানে শিক্ষার্থীর জানার চেয়ে অনেকাংশে নির্ভর করে পঠিত বিষয়ে বোধগম্যতার মাত্রা ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি ।কিন্তু আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে বাস্তবে এ ধরনের প্রশ্ন এখনও চালু করা হয়নি। সবই বাজারের নোট পড়লে পাওয়া যায়। যেসব প্রশ্ন শিক্ষার্থীর কোনো বিষয় সম্পর্কে বোধগম্যতার মাত্রা ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেসব প্রশ্নগুলোকে ডাইভারজেন্ট প্রশ্ন বলে। কনভারজেন্ট ও ডাইভারজেন্টের মধ্যে পার্থক্য হলো, কনজারভেন্ট প্রশ্নে শিক্ষার্থীর নিজস্ব মতামত প্রকাশের  সুযোগ থাকে না। ডাইভারজেন্ট প্রশ্নে থাকে। আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতিতে এই ধরনের প্রশ্নপত্রের সত্যিকার অর্থে অবতারণা করতে হবে।

সরকারের বিনামূল্যে বই বিতরণ করার কারণে দেশের বই ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে । ফলে কেউ কেউ বইয়ের ব্যবসা ছেড়ে খাতা, কলম  পেন্সিল বিক্রি শুরু করেছে। আবার কেউ কেউ একেবারেই ভিন্ন পেশায় মনোনিবেশ করেছে। গত শতকের ত্রিশের দশকে ১০-১২টি বইয়ের দোকান দিয়া বাংলাবাজারের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। এখন প্রায় সাত হাজার ছাপাখানায় বই ছাপা হচ্ছে এবং ৩৫ হাজার দোকানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাজারজাত করা হচ্ছে সহায়ক বই, নোট এবং সাজেশান। আর এর সাথে জড়িত কয়েকলাখ লোক। বেকারের এই দেশে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আমরা কি সৃজনশীল পদ্ধতিতে খাটাতে পারি না? সরকারের উচিত ছিলো এই শিল্পকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরকে ক্রিয়েটিভ বই উৎপাদনে সহযোগিতা করা। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় মিলে শিক্ষাক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে এক বিরাট পরিবর্তন আনা যেত। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা। তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক দেশের মতো শিক্ষার সব দায়িত্ব সরকার নিবে। অথচ নিতেও পারছে না, ছাড়ছেও না।

বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরে ১২০ দিনের বেশি ক্লাস হয় না। এই ১২০ দিনের মধ্যে কতটুকু সময় তারা পায় প্রতিটি বিষয়ের জন্য। তারমধ্যে আছে স্লো লার্নার। সব শিক্ষক এক রকম নয়, নেই শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং কঠিন বিষয়ের উপযুক্ত শিক্ষক তো নেইই। অন্তত গ্রামাঞ্জলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।  এই বাস্তব বিষয়গুলো চিন্তায় রেখে শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগকে কাজে লাগাতে হবে আর শিক্ষার গুণগত মানের সাথে কোনো ধরনের আপোস নয়। এখানে অবশ্যই রাজনীতি পরিহার করতে হবে। আর তা না হলে জাতিকে অচিরেই পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি।

লেখক পরিচিতি

মাছুম বিল্লাহ বাংলাদেশে ইংলিশ টিচার্স অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পূর্বে ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। কাজ করেছেন ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তিনি ভাব বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন। তিনি নিয়মিত শিক্ষাবিষয়ে নানা প্রবন্ধ লিখছেন।

কোন মন্তব্য নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version